এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন শয্যার নক্সীকাঁথা - ১১

    Sudip Ghoshal লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ অক্টোবর ২০২৫ | ১০ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২
    অভিনয় সকলেরই ভালাে হয়েছে। প্রত্যেক গ্রামের অভিজ্ঞ লােকেরা সকলের। অভিনয়ের প্রশংসায় মুখর। কিন্তু সকলের উর্ধ্বে যেন অরিন্দম। অরিন্দম একা,ছেলের চরিত্রে যা অভিনয় করে গেল তা সত্যি সকলের মনে দাগ  রেখে গেল। পরের দিন সকালে অরিন্দম দেখে তরুণ যুবকেরা তাকে গুরু বলছে। তপন বলল, গুরু পায়ের ধুলো দাও। অরিন্দম বাড়িতে মা বাবাকে বলে গোপাল বাবুর বাড়ি গেল।  গােপালবাবু আজ আশেপাশের পাঁচ ছয়টি গ্রাম থেকে একজন করে বা দুজন করে নিয়ে, আর নিজের গ্রাম থেকে আটজন অভিনেতাকে নিয়ে একটি বই মঞ্চস্থ করার মনস্থ করলেন। তার জন্য তো মহড়ার প্রয়োজন। সেই মহড়ার কাজ  শুরু আজ থেকে। গোপালবাবুর সেই পুরানো দিনের বাড়ি। বাড়ি বললে ভুল হবে। যেন এক বিরাট প্রাসাদ। সেই প্রাসাদের সম্মুখে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। হয়ত এটা পূর্বের জমিদার বাড়ির সভাকক্ষ ছিল । গােপালবাবু একজন সেই স্থানটিতেই। সেখানে জমায়েত ধনী ব্যক্তি। মহড়া দেবার স্থান নির্বাচিত হল। সেই স্থানটিতেই ডাকা  হয়েছিল। যাদের ডাকা হয়েছিল তারা এলেন। অরিন্দদমের মনে কিন্তু একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে। গতকল রাত্রিতে অভিনয় করার সময় সে শুধু একটি দিকেই মনপ্রাণ রেখেছিল। সেখানে বসেছিলাে এক সুন্দরী তরুণী। অরিন্দম লক্ষ্য করেছিল তার সেই দুটি চোখ যেন কি অপরিসীম ব্যথায় জর্জরিত। যাত্রার শেষে অরিন্দম লক্ষ্য করেছিল সেই তরুণী শেষে গোপালবাবুর সঙ্গেই ঘরে ফিরেছিল। অরিন্দম  আজ যেন তার সন্ধানে ব্যাকুল। সেইজনা সে চা খেয়েই বৌদিকে বলে ঘর থেকে বেরিয়েছে। বৌদি বলেছেন, দেখ ঠাকুরপাে, তোমাকে প্রকৃতিস্থ মনে হচ্ছে না। অরিন্দম ভাবে মেয়েদের চরিত্র কি বিচিত্র। পুরুষদের মনের কথা। তারা যেন দেশের চিত্রের মতো দেখতে পায়। | লেবু বাইরে দাড়িয়ে কিছু লােকের সাথে কথা বলছিলেন। প্রসঙ্গ সেই যাত্রাগান। গোপালবাবু অরিন্দমকে দেখে বললেন, আমার, তোমার সঙ্গে একটা দরকারী কথা আছে। তুমি একটু ঘরে বসো। অরিন্দম ঘরে বসে আর ভাবে কোথায় সেই তরুণীটি। এখানে তাে থাকে না। তাহলে থাকে কোথায়? অরিন্দমের হঠাৎ চোখে পড়ল ঘরটি বেশ সুন্দর ভাবে গােছানাে। সামনেই একটি রাধাকৃষ্ণের ফটো। তার পাশে মা কালি। দু চারটি মহাপুরুষদের বড় বড় বাঁধানাে চিত্র। মনে হল এটা গােপালবাবুর শােবার ঘর। খাটের পাশে টেবিলের উপর কতকগুলি মােটা আর একটি বাঁধানাে ফটো। ফটোটা হাতে নিয়ে অরিন্দম দেখলাে এই তো সেই তরুণীটি। শোভনের কলেজে আজ বাৎসরিক অনুষ্ঠানের প্রথম দিন। আজ মমতা শংকরের নাচের প্রোগ্রাম। বাড়তি একটা কার্ড শােভন সংগ্রহ করেছিলাে, বন্ধু বান্ধবদের বলে। বলা যায় না কেউ তাে বায়না ধরতে পারে এই ভেবে। এই কলেজে পড়ে শােভন, অশোক আর অপর্ণা।আগেই বলেছি শােভন অশােক সেকেন্ড  ইয়ার বি.এ. আর অপর্ণা ক্লাস টুয়েলভ এ | অপর্ণাও দুটি কার্ড জোগাড় করেছে। সে মনস্থ করেছে তার বান্ধবী বীথিকাকে সঙ্গে নেবে।। বীথিকরা সােনাদিঘিতে  থাকতাে না। যদিও তার জন্মস্থান এই গ্রাম | তারা থাকতাে লিলুয়ায়। আর গ্রামে থাকতেন তার কাকা। কাকা মারা যাওয়ার পর বীথিকার বাবা চাকরী ছেড়ে দিয়ে এই গ্রামেই এসেছেন। বর্তমানে বীথিকা তার বাবা আর আর মা এখানে থাকেন আর বড় দাদা ব্যাঙ্কে চাকরী করেন। বীথিকার বাবা অরুণ মুখার্জী আর মা রেবা দেবী। কলেজে গেছে শােভন, অশােক আর দেবীকা। অন্যদিকে অপর্ণা আর বীথিকা। অপর্ণা দেবীকাকে দেখেই বলে উঠলাে, আরে দেবী তােমার সাথে অনেকদিন দেখা হয়নি, এসাে এসাে এইদিকে বসি। শােভন আর অশােকের সুবিধাই হল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন