এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন শয্যার নক্সীকাঁথা

    Sudip Ghoshal লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ অক্টোবর ২০২৫ | ১৫ বার পঠিত
  • 101 | ত্রয়োদশ পর্ব | ত্রয়োদশ পর্ব
    একটু ভুলের জনাে পরস্পরের মধ্যে যে বিভেদ সৃষ্টি হয়তার জন্যে অনেক তো মাশুল গুনতে হয়। সে কথা বলার আগে মনে করি দুই বন্ধুকে। আজ শােভন এসেছে, অশােকের কাছে। তারা দুজনেই পরীক্ষা দিয়েছে। বর্তমানে যা অবস্থা মনে হয় বছর খানেকের মধ্যে না হলে বি.এ., বি.এস.সি,পরীক্ষার রেজাল্ট  বের হয় না। এই খবরটুকু তাদের জানা বলেই তারা দুজনে যুক্তি করে কিছু করতে চায়। কিন্তু কি করবে তারা। বর্তমান বেকার যুগে কিই বা করার আছে। অনেক আলােচনার পর তারা ঠিক করলাে তারা দুজনে মিলে টিউটোরিয়াল হােম খুলে স্বল্প বেতনে শিক্ষাদান করবে। কিছুদিনের মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। তারা রূপাডিহির ও সােনাদিঘির সপ্তম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ডেকে তাদের মনের কথা বললাে। কুড়িজন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে তারা শুরু করলো তাদের শিক্ষাদান। প্রত্যেকের কাছে পঁচিশ টাকা করে নিয়ে তাদের হিসেবে পাঁচশাে টাকার মতাে হবে। তারপর দুজনের ফিফটি ফিফটি। অশোক শােভনের টিউটোরিয়াল হােম ভালােভাবেই চলছে। এতে স্টুডেন্ট  কল্যাণের ফলে তাদের দুই বন্ধুর সম্মান দুই গ্রামেই বেড়ে গেছে। দুজনের  নম্রতা প্রত্যেক গ্রামবাসীর কাছে প্রশংসার বিষয়বস্তু ছিল। আর দুই বন্ধু অশোক ও শােভন তাদের নতুন ভাব দর্শনের স্রোতে ভেসে চললাে। ছােট ঘটনাটি ঘটলে হয়তাে অশােক দেবীকার মধ্যেকার সম্পর্কে কতখানি দৃঢ় তাহা বুঝা যেত না। অতি প্রত্যুষে উঠে অশোক শােভনের বাড়ি গেল আজ সুদীর্ঘ তিন মাস পরে। শােভনের বাড়িতে প্রবেশ করার আগেই অশােক, দেবীকা কে ফুল বাগানে দেখতে পেল। আড়ালে দাঁড়িয়ে অশোক তাকে নিরীক্ষণ করতে থাকলাে। হঠাৎ একটা শব্দ শুনে দেবীকা ঘুরে দাঁড়াতেই অশােকের সঙ্গে চোখাচোখি হল। এক পলক তাকিয়েই দেবিকা ঘাড় নীচু করে ঘরের ভিতর প্রবেশ করলো, অশােক তাকে ডেকেও উত্তর পেল না। অশোক চলে যাচ্ছিল। হঠাৎ মাসীমার অর্থাৎ সবিতা দেবীর ডাকে সচকিত হয়ে সে ঘুরে দাঁড়ালাে। সীতা দেবী তাকে এতদিন না আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। অশোক আমতা আমতা করে কোনরকম শােভনের ঘরে প্রবেশ করল। প্রায় দু তিন ঘণ্টা পরে অশােক যখন শােভনের ঘর থেকে বাইরে এল তখন দেবীকা লাল পাড়ের শাড়ি পরে কলেজের পথে পা বাড়িয়েছে। বর্তমানে গলসি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। অশােক দেবীকার পিছু নিল। দেবীকা কিন্তু অনড়, অচল। সে ভুল করে একবারও অশােকের ডাকে সাড়া দিল না বা তাকাল না। অশােক কাতর স্বরে বারংবার বলতে শুরু করলাে। দেবীকা তুমি আমায় ভুল বুঝাে না। আমি তােমায় আমি তােমায় ভালােবাসি। পথের মাঝে তার ফলে সে সিনক্রিয়েট হলাে। তার প্রতি বিন্দুমাত্র লক্ষ্য ছিল না অশোকের। পথযাত্রীরা প্রত্যেকে ভুল বুঝে অশোকের পথ রুদ্ধ করলো। অশোক পাঁচ ছয় ব্যক্তির বেড়া ভেঙ্গে দেবীকার কাছে যেতে চেষ্টা করলাে কিন্তু দেবীকা তার প্রতি ভ্রক্ষেপ মাত্র না করে বাসে উঠে আপন পথে এগিয়ে গেল। অপরিচিত কয়েকজন ব্যক্তির হাতে প্রহৃত হয়ে অশোকের হৃদয়ে যে ক্ষতের সৃষ্টি হলাে সেই ক্ষতের দাগ নিশ্চিহ্ন হতে যুগ যুগ হয়তাে কেটে যাবে। তবু সে দেবীকার সামনে এ মুখ দেখাবে না। তার প্রতি বিন্দুমাত্র আসক্তি ও নেই।ও  ভুলবে না,এই প্রতিজ্ঞা করলাে। অশােক ও শােভনের বি.এ. পরীক্ষার ফল ঠিক এক বৎসর দেড় মাস পর প্রকাশিত হল। অশােক ডিস্টিংশন নিয়ে পাশ করেছে আর শােভন ফরটি ফাইভ' পারসেন্ট পেয়ে পাশ করেছে। শােভন গ্র্যাজুয়েট হওয়ার প্রথম খবর মা, বাবাকে দেওয়ার পর,বীথিকার বাড়ি গেলাে। কিন্তু বীথিকার পাশে বসে কে ওই তরুণী পিছন দিকে থেকে দেখার ফলে তাকে চেনা যাচ্ছে না। শােভন এগিয়ে না গিয়ে দুর থেকে ইশারা করে বীথিকার দৃষ্টি আকর্ষণ করলাে। বীথিকা উঠেআসতে পাশের তরুণী ঘুরে বসে দেখলাে শােভনকে, আর দেখল শােভন ও বীথিকা ঘনিষ্ট অবস্থায় দাঁড়িয়ে। খুশির প্রথম চুম্বন আঁকলাে বীথিকার চিবুকে শােভন। তারপর.... আর দেখতে পারলাে না তরুণীটি। দৌড়ে বেড়িয়ে গেল সে। বীথিকা বান্ধবীকে ডেকে উঠলাে। এই অপর্ণা কোথায় যাচ্ছিস?স্তম্ভিত শােভন। এমনভাবে আঘাত দিতে চায়নি অপর্ণাকে। সে জানতাে অপর্ণা তাকে ভালােবাসে। কিন্তু শােভন যাকে একবার তার বােনের আসনে বসিয়েছে তাকে প্রেমিকার আসন দিতে পারেনি। এটা শােভনের নীতি বিরুদ্ধ।  শােভনকে ধাক্কা দিয়ে বীথিকা সহজভাবে বলে উঠলাে, পূৰ্ব্ব প্রেমিকা বুঝি ?আজ রবিবার। ১২ই জানুয়ারী। অশােক ও শােভন যৌথভাবে আজ একটি পার্টি দিয়েছে তাদের পাশ করার আনন্দ স্বরূপ। সেখানে নিমন্ত্রিত আছেন অনেকে। প্রথমত দুই পরিবারের সকল সদস্য এবং এ ছাড়া উভয় পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তি। যেমন গােপালবাবু ও মেয়ে অপরূপা আর বীথিকা ও তার পিতা অরুণ মুখার্জী ও মাতা রিয়া দেবী, অপর্ণা বীথিকার বন্ধুত্বের সূত্র ধরে।।অশােক ও শােভন তাদের উভয়ের মিলিত টিউটোরিয়াল হােমের অর্থ খরচ করে,ব্যবস্থা করেছিলাে অতিথিদের জন্য,  সবরকম ব্যবস্থা। সবসময় ভেসে আসছিল সংগীতের মিষ্টি সুর। সুদৃশ্য অলােকসজ্জা আর সুরুচিকর খাদ্য পরিবেশনের মাধ্যমে আসর জমে উঠেছিলাে। অরিন্দম ও অপরূপা একটি পপ সংগীত গাইতে তালে তাল নাচতে থাকে। তার সঙ্গে নাচতে থাকে উপস্থিত সকলে। শােভন ও অশােক একই সুরে সুর মিলিয়ে গাইতে থাকে। – "যদি তাের ডাক শুনে ..".এরই মধ্যে চলতে থাকে আর একটি নাটক। দেবীকা অশোকের হৃদয়ের গভীর ক্ষতের কথা জানতে পেরেছে। সেই ক্ষতস্থানে প্রলেপ দেওয়ার জন্যে সে বারবার অশােকর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে। কিন্তু পারছে না। অশােক আজ সেই অশোক নেই সে আজ দিশেহারা আজ সে একটু ড্রিংকসও করছে। ব্যথা হঠাৎ বুকে এসে অশোকের সঙ্গ দিতে শুরু করেছে। সে কোমর দোলাতে দোলাতে অশোকের কন্ঠে কণ্ঠ মিলিয়েছে। আর ঘন ঘন ক্যামেরার ফ্লাশ গর্জন করে চলেছে শােভনের হাত থেকে।শােভন, অপর্ণাকে পাশে ডেকে নিয়ে গিয়ে সােফায় বসল। অপর্ণা ঘরে বসে তার দাদা অশােকের সঙ্গে নাচছে, দেখছে কি সুন্দর ভঙ্গিমায় তার বান্ধবী বীথিকা তার দাদার সঙ্গে  কতক্ষণ গান গাইছে। সে কেন পারছেনা। তাদের মানসিকতার, শিক্ষাদীক্ষার ফারাক মর্মে মর্মে উপলব্ধি করলাে। সে আরও বুঝতে পারলাে ভালােবাসা কোনদিন মরে না। সে তার আপন গতিপথে স্বতঃস্ফূর্তি ভাবে এগিয়ে চলে। সে কি করল, তার দাদা অশােকের চোখ তারই দিকে চেয়ে আছে। সে দাদার অন্তরের কথা যেন বুঝতে পারল। সে দ্রুত উঠে পড়ে দেবীকার পাশে দাঁড়াল। শােভন এ দৃশ্য উপভােগ করতে লাগল। দেবীকার পাশে দাঁড়ানাে মাত্র অপর্ণা এক অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠলাে। সে দেবীকাকে ডেকে বাইরে পূর্ণিমার আলাের মধ্যে বসল। দেবীকার মুখের এবং অশ্রুসজল চোখের ভাষায় অপর্ণা ব্যাপারটির গুরুত্ব উপলব্ধি করলাে।রূপা অপেরার চাহিদা বেড়েই চলেছে। অপেরা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক হিসাবে গােপালবাবুর সুনাম চতুর্দিকে বিস্তৃত হয়ে চলেছে। আজ পর্যন্ত অনেক নামীদামী অপেরার পার্টির থেকে রূপা অপেরাটির বৈশিষ্ট্য আলাদা। সুদর্শন সান্যাল বিশেষ লোক, যে কোনাে বইয়ের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করতেন। কিন্তু অরিন্দম সে বিষয়ে কোনাে গুরুত্ব দিত না। গােপালবাবুর নির্বাচন মতাে সে অভিনয় করে যেত। অপেরার স্বার্থে গােপালবাবু কিছু পরিবর্তন করতে চাইলেন। কিন্তু সর্বপ্রথম তিনি বাধা পেলেন সুদর্শন সান্যালের কাছে। নিজেকে তিনি একজন বড়াে অভিনেতা বলে অহংকারে মত্ত ছিলেন। গােপালবাবুর মতে সুদর্শনবাবুর অভিনয়ের শিক্ষার অনেক অভাব ছিল। তিনি অরিন্দমকে প্রধান চরিত্রে মনােনীত করতে চাইলেন। কিন্তু সুদর্শন সান্যাল এই সুযােগ হাতছাড়া করতে চাইলেন না।। গােপালবাবুকে কথা দিলেন যে এবার তিনি সাধ্যমত অভিনয় করে তার আসন পাকা করে নেবেন। সান্যাল ধনী দুলালের পুত্র কিন্তু তার অর্থের প্রলােভন ছিল বেশী। সে। চেয়েছিল প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে বেশী উপার্জন করতে। গােপালবাবু সহৃদয় লোক। তিনি সুদর্শন সান্যালকে আর একটি সুযােগ দিলেন। অরিন্দমের কিন্তু কোনো বিকার নেই। গোপালবাবুই তার গুরুদেব।তার নির্দেশমতাে চলতে তার বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই।।

    যাইহােক ‘রূপা অপেরা’ দেড় বৎসর ব্যাপী রামকৃষ্ণ মিত্রের ‘সােনার সানাই।' বইয়ের মহড়া দিল। অরিন্দম ছিল এক ছদ্মবেশী ভিক্ষুর অভিনয়ের। এবার রূপা অপেরা-র ডাক পড়েছে নদীয়ার একটি শহরে। রূপা অপেরার এখন দশ হাজার টাকা, পার নাইট রেট। বাসভর্তি অপেরা পার্টি হাজির ছিল সন্ধ্যা সাত ঘটিকায়। বই শুরু হবে নয় ঘটিকায়। অরিন্দম ও অপরূপা প্রথমত শহরটি একটু দেখার জন্যে বেরিয়েছে। পথমধ্যে এক মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়লাে তারা। একটি মােটর সাইকেল এসে তাদের রিক্সার সঙ্গে সংঘর্ষ বাধায়। এর ফলে অরিন্দম লাফিয়ে নেমে পড়লেও অপরূপা পায়ে ভীষণভাবে আঘাত লাগে। অরিন্দম কথা না বাড়িয়ে মােটর সাইকেল আরােহীর সাহায্যে রূপাকে নার্সিংহােমে নিয়ে যায়। ডাক্তারবাবু প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেন। | এদিকে গােপালবাবু অরিন্দমকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দিয়েছেন। বই শুরু হতে আর আধ ঘণ্টা বাকী। কনসার্ট পড়ে গিয়েছে। কিন্তু অরিন্দমের পাত্তা নেই। অরিন্দমের দ্বিতীয় দৃশ্যে প্রবেশ। সুদর্শন সান্যাল এ সুযােগ হাত ছাড়া করলাে না। বারবার গােপালবাবুর কানে কুমন্ত্রণা দিতে থাকলাে গােপালবাবুর উপর দোষ চাপিয়ে বললাে আপনিই ওকে বাড়িয়ে মাথায় তুলেছেন নিজেকে অরিন্দম বড্ড বেশী বড় মনে করে। গােপালবাবু একে প্রেসারের রােগী ক্রমে তার ক্রোধ বেড়ে যাওয়াতে তার প্রেসার বাড়তে থাকলাে। অরিন্দম যখন এলাে তখন গ্রীন রুম সাইলেন্ট। অপরূপা এক পাশে বসে পড়লাে। অরিন্দম দ্রুত মেকআপ সেরে নিয়ে মঞ্চে প্রবেশ করেলা। মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকায় অরিন্দম খুবই বিব্রত বােধ করতে থাকলাে, ফলে ডায়ালগ  মিশ করল। সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের মধ্যে গুঞ্জন শােনা গেল। কোনওরকমে অরিন্দম মঞ্চ থেকে বেরিয়ে এলাে। অপরূপার কাছে এসে দাঁড়ালাে। অপরূপা অভয় দিলাে। উভয়ে তাকিয়ে দেখলাে সুদর্শন সান্যালের মৃদু হাসির ঝিলিক আর তার পার্শ্বে দন্ডায়মান হিরু এবং ব্যথিত গােপালবাবুকে। পরবর্তী দৃশ্যগুলিতে অরিন্দম মােটামুটি ভালাে অভিনয় করলাে কিন্তু অপরূপার অভিনয় ভালাে হল না। এদিকে সুদর্শন সান্যাল ফাঁকা মাঠে গােল দেওয়ার মতাে সেই রাত্রির শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মান পেল। অপরূপা ও অরিন্দম বিষন্ন চিত্তে বাসে উঠে পিছনের সীটে বসলাে। সুদর্শন সান্যাল ও গােপালবাবু বসলেন পিছনের সীটে। সুদর্শন সান্যালের ভালাে অভিনয়ের জন্যে অরিন্দম এবং অপরূপা কিন্তু তাকে শাবাসি দিতে ভুল করলাে না। কিন্তু সুদর্শন সান্যাল প্রত্যুত্তরে কিছুই বললাে না। এমন  মনের বাসনা চরিতার্থ করার জন্য সাধনা লাগলাে। সাত দিন পরে সে গােপালবাবুর বাড়ি গিয়ে দেখে  তিনি আলােচনায় ব্যস্ত।  অপরুপা পাশের ঘরে। অরিন্দম ঘরে প্রবেশের অনুমতি নিয়ে গোপালবাবু পাশের চেয়ারে বসলাে। সান্যাল উঠে তখন পাশের ঘরে গেল। গোপালবাবু তিরস্কারের সুরে বলে উঠলেন, তোমার আর অভিনয় শেখা হলনা।” গােপালবাবুর এই কথাটি অরিন্দমের বুকে তীব্র তিরের মত বিদ্ধ হল। অরিন্দমের চোখ জল ছলছল করে উঠলাে। গােপালবাবু বলে যেতে লাগলেন অভিনয় করতে গেলে দায়িত্ববান হতে হয় এবং অনুশীলন করতে হয়। তােমার মধ্যে এই দুটোর কোনটাই দেখছি না।  গােপালবাবুকে বিছানায় দেখে বলে উঠলাে, কাকাবাবু আপাতত এখন কেমন আছেন তার দেহে হাত দিয়ে দেখলাে অরিন্দম ‘হার্টবিট’ অনেক বেশি এবং উত্তাপ অস্বাভাবিক। কোন কথা না বলে অরিন্দম ডাক্তার ডাকতে চলে গেল। এসেই দেখে সুদর্শন সান্যাল ডাক্তার নিয়ে এসেছে। একা অপরূপা বিছানার পাশে বসে আছে। অরিন্দম ডাক্তারকে ফি দিয়ে বিদায় দিল। অপরূপা অরিন্দমকে দেখে উঠে এসে তার বুকে মাথা রেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাে। তার কথা শুনে অরিন্দম জানতে পারল গােপালবাবু ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং তিনি চার মাসের বেশী বাঁচবেন না। | ‘রূপা অপাের পুনরায় চার রাত্রি যাত্রা করার ডাক পেলাে। অরিন্দম কিন্তু গােপালবাবুর শরীরের জন্যে যেতে চাইলেন না। সুদর্শন সান্যাল এখন পার্টির সকল দায়িত্ব নিয়েছে এবং সকলের দেখাশােনা করছে। গােপালবাবুর পরামর্শে এবং তার আদেশে শেষ পর্যন্ত অরিন্দম যেতে রাজী হলাে। কিন্তু সঙ্গে অপরূপা এবং গােপালবাবু যাবেন না, ফলে অরিন্দম ব্যথায় জর্জরিত।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    101 | ত্রয়োদশ পর্ব | ত্রয়োদশ পর্ব
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন