এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন শয্যার নক্সীকাঁথা - ১০

    Sudip Ghoshal লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ অক্টোবর ২০২৫ | ৭ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২
    আবার সাঁতার শিখতে গিয়ে,ছোটোবেলার রায়পুকুরের রাধা চূড়ার ডালটা আজও আমায়  আহ্বান করে হাত বাড়িয়ে । এই ডাল ধরেই এলোপাথারি হাত পা ছুড়তে ছুড়তে সাঁতার শিখেছি আদরের পরশে । ডুবন্ত জলে যখন জল খেয়ে ফেলতাম আনাড়ি চুমুকে, দম শেষ হয়ে আসতো তখন এই ডাল তার শক্তি দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরতো অক্লেশে । হয়তো পূর্ব জন্মে আমার দিদি হয়ে যত্ন আদর করতো এই ডালটা । কোনোদিন তাকে গাছ মনে করিনি আমি ।এখনও জল ছুঁয়ে আদরের ডাক শুনতে পাই পুকুরের ধারে গেলে । রাধা নামের মায়াচাদর জড়ানো তার সবুজ অঙ্গে ।ভালো থেকো বাল্য অনুভব । চিরন্তন প্রকৃতির শিক্ষা অঙ্গনে নাম লিখে যাক নব নবীন  শিক্ষার্থী প্রবাহ ।আমি এইসব ভাবছি। এমন সময় পিছন দিক থেকে একটা বড় পাঁঠা আমাকে গুঁতিয়ে জলে ফেলে দিলো। খুব রাগ হলো কিন্তু পাঁঠার সঙ্গে লড়াই করতে লজ্জা হলো। যদি কেউ দেখে ফেলে। তারপর গাজনের রাতে স্বাধীন আমরা। সারা রাত বোলান গান শুনতাম। সারা রাত নাচতাম বাজনার তালে তালে। সবাই মনে করতো, ব্যাটারা গাঁজার ভক্ত নাকি। গাজনে একজন হনুমান সেজেছিলো। আমরা তার লেজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলাম। পরে দেখলাম লোকটা রাগ করে নি। বলছে,লঙ্কা পুড়িয়ে ছারখার করে দেবো।

    আর হনুমান লাফিয়ে শেষে জলে ঝাঁপ দিলো।
    চারদিকে প্রচুর লোকজন ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে।বন্ধু রবি বলছ,ঠিক বলেছিস। তোর কথা শুনলাম। রবি আর আমি বসে গল্প করছি। এবার শোন আমার দাদুর কথা। আমার হৃদয়ের কথা। তোকে শোনাতে পারলে ভালো লাগবে।।রাগ,হিংসা,ক্রোধের সংমিশ্রণে সংসার স্রোতে ভাসতে ভাসতে জীবন প্রবাহ এগিয়ে চলে। হয়তো এর ফলেই দাদুর শেষজীবনে সেবার সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। আমি নিয়ম করে দাদুকে গীতাপাঠ করে শোনাতাম। দাদু কত গল্প বলতেন। কোনোদিন হা পিত্যেশ করতে দেখিনি। আমার সময় কাটতো দাদুর কাছেই বেশি। পড়াশোনার ফাঁকে চলতো গীতাপাঠ। আমি জিজ্ঞেস করতাম,দাদু মরণের পরে আমরা কোথায় যাই? দাদু বলতেন,জানি না ভাই। তবে।।মরণের পরে যদি যোগাযোগ করা যায়,তাহলে আমি তোকে নিশ্চয় জানাবো। দাদু বলতেন, আমি যখন শেষ বিছানায় শোবো,তখন আমি ঈশারা করবো হাত নেড়ে। তখন তুই গীতার কর্মযোগ অধ্যায় পড়ে শোনাবি। তোর মঙ্গল হবে। আমিও শান্তিতে যেতে পারবো। হয়েছিলো তাই। কর্মযোগ পাঠ করা শেষ হতেই দাদুর হাত মাটিতে ধপাস করে পরে গেলো। দাদু ওপাড়ে চলে গেলেন হেলতে দুলতে চারজনের কাঁধে চেপে। মাথাটা দুই বাঁশের ফাঁক গলে বেরিয়ে ঝুলছিলো। আমি বলে উঠলাম, ওগো দাঁড়াও দাদুর লাগবে। মাথাটা ঠিক কর  বালিশে দি। কেঁধো বললেন,মরে গেয়েচে। ছেড়ে দে। আমি বললাম, না ঠিক করো। তারপর ঠিক করলো দাদাভাই,দাদুর মাথাটা বালিশে দিয়ে।  অনেক বছর অপেক্ষা করেছি,দাদুর কথা শুনবো ওপাড় থেকে। যোগাযোগের উপায় থাকলে নিশ্চয় করতেন। কিন্তু কোনোদিন স্বপ্ন পর্যন্ত দেখিনি। কথা শোনা তো দূর অস্ত।  ট্রেন কাটোয়া ঢুকে পরেছে। যে যার নিজের রাস্তা ধরে হাঁটতে লাগলো। আমি বাড়ি এসেই খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে পরলাম ফাঁকা মাঠে হাওয়া খেতে। বন্ধুরা সবাই বেড়াতে আসে মাঠে। গল্প গুজব করতে করতেই সবাই বাড়ি ফিরলাম। তারপর কিছু ছেলেমেয়ে পড়তে আসে। তারা চলে গেলে সপরিবারে রাতের আহার সারি।

    সকাল হলেই বন্ধু আশীষের খোঁজ নিতে গেলাম। ও ফিরে এসেছে ভেলোর থেকে। 
    খবর ভালো নয়।আশীষ নামের সীমাহীন আনন্দমাখা ছেলেটা ভেলোরে গিয়ে জানতে পারলো,তার হার্ট বড়জোর আর দুবছর চলবে। এত কথা জেনেও কোনোদিন মুষড়ে পরেনি তার মন। ফুটবল খেলতে ভালোবাসতো ছেলেটা। সারা  বিকেল ছুটে ছুটে সে আনন্দ মাখতো সারা গায়ে। আলো নামের আলো মনের মেয়েটা জেনেশুনে তার সমস্তকিছু দিয়েছিলো দুদিনের আনন্দের দেবদূতকে। পৃথিবীর রঙ,রূপ, রস সে একশো বছরের পরমায়ুর মতো পেয়ে গিয়েছিলো মনের প্রসারতায়। কেউ তাকে সান্ত্বনা দিতে এলেই কথা ঘুরিয়ে তার চোখে এঁকে দিতো স্বপ্ন।তার সঙ্গে ঘুরতে গেছিলাম মুর্শিদাবাদের রামপাড়া। গঙ্গার ধারে গ্রামটি। ছোটো হলেও আমরা বন্ধুরা প্রত্যেকটি বাড়ি বাড়ি ঘুরেছি। কারো বাড়ি স্নান করা, কারও বাড়িতে খাওয়া দাওয়া।কারওবাড়িতে গান বাজনা করেই দিন চলে যেতো। দুর্গাপুজোর বিসর্জনের দিনে নৌকা করে ঠাকুর বিসর্জন দেখলাম। গঙ্গার ধারের সব গ্রামের ঠাকুর নৌকো করে মাঝ গঙ্গায়এনে বিসর্জন করা হচ্ছে ঢাক,ঢোল বাজিয়ে। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা নেমেএলো। সন্ধ্যা নেমে এলো আশীষের জীবনে। রাত হওয়ার আগেই পাড়ি দিলো ভবসাগরের ওপাড়ে। তার সংসারে বাবা,মা, তিন বোন। আশীষের বাবাকে আমি  জামাইবাবু বলতাম। তিনি কেলকাতা লালবাজারের কমিশনারের দপ্তরে কাজ করতেন। তার দাপ ছিলো ভীষণ। তার নামে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেতো। তিনি ছেলের শোকে মারা গেলেন। দিদি কয়েক মাসের মধ্যেই চলে গেলেন। বড্ড প্রাণপ্রিয় ছিলো তার আশীষ। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। রামপাড়ার বাড়িতে আর কেউ নেই। কতকগুলো ঘুঘু মনখারাপের ডাক ডেকে চলে নিশিদিন। ওই নিরীহ পাখি মানুষকে সত্য, সুন্দরের বাণী শোনায় আজীবন। বড্ড প্রিয় আমার এই ঘুঘু পাখি। ভিটেতে ঘুঘু চড়ে না,সে মনে রাখে এই ভিটের মালিক একদিন আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলো,আজও দিয়েছে। তাই কৃতজ্ঞ সুরে তার শোকপ্রকাশ মালিকের অবর্তমানে। আমার তাই মনে হয়। সত্য ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার নাম ধর্ম। জীবন একটা ছোটো নাটক। জলে একমুঠো দেহছাই  ছড়িয়ে গেলেই সব শেষ। রবি বলে চলেছে তার আবেগ,তার ভাবনার কথা।কি করে একটা সাজানো বাগান তছনছ হয়ে যায়। বন্ধু রবি বললো,তবু কিছু মানুষের এত অহংকার। তারা মনে করে মৃত্যু বোধহয় তাদের ভুলে গেছে। সে ভোলে না। হঠাৎ চলে আসে। সময় থাকতে বাড়ির কাছের মানুষের সেবা করাই ভালো। পৃথিবী সুন্দর হয়ে উঠবে,পরস্পরের সেবা, ভালোবাসার মাধ্যমে। অন্তর্জলির আগে একবার মানুষকে ভালোবেসে তাদের সুখে দুখে আমাদের হৃদয়কে ভরিয়ে তুলি ভালোবাসায়। আয় আমরা মানুষ হবার শপথ নিই...অংশুমান বুড়ো হয়েছে। সৈকত বিয়ে করে সংসারী হয়েছে। অনুপমও বিয়ে করেছে। আর বিশু ও সৈকতের অনান্য সঙ্গিরা সকলে জীবনের ছবি এঁকে চলেছে নবরূপে নতুন তুলিতে। 
    রূপাডিহির পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর গাঙ্গুলির বড় কন্যা মনীষার সঙ্গে  ভালােবাসা ছিল সােহনের। তাছাড়া মদনমােহন ও শুভঙ্কর দুইজনে বরাবর একই সঙ্গে মেলামেশা করায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বটা প্রগাঢ় হয়ে ওঠে। তারই পরিণতি এই বিবাহে, এই বন্ধনে। কিন্তু আশ্চর্য  যে এই গােপন পরামর্শ সােহন এবং মনীষা কিন্তু ঘুণাক্ষরে জানতাে না। যখন মনীষা এগারাে বৎসরের তখন শুভঙ্করবাবু একবার কন্যাকে নিয়ে সােহনদের বাড়িতে আসেন মদনমােহনের সঙ্গে দেখা করার জন্যে। ষােল বৎসরের সােহন তখন। পড়াশােনায় ব্যস্ত। হঠাৎ সুন্দরী কিশােরী মনীষার দিকে নজর যাওয়াতে সেই চোখ আর ফিরতে পারেনি। ক্রমে সেই ভালােলাগা ভালােবাসায় পরিণত হয়। তারপর কত রাগ অনুরাগ, কথার পথ পেরিয়ে আজ সেই শুভদিন। উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনির মাঝে সকল চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যে থেকেও সােহনের মা, বাবা কিন্তু ঈশ্বরের প্রার্থনায় মগ্ন! তারা চিন্তা করছিলেন কি করে বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে তারা আজ কিছুটা সুখের মুখ দেখতে পাচ্ছেন। চিন্তা করছেন এইবার বৌমার হাতে সংসারের ভার অর্পণ করে সুখী হবেন মদনমােহন বলছিলেন সবিতাদেবীকে মনে পড়ে তােমার, একবার সােহন পুকুরে ডুবে গিয়েও বেঁচে গিয়েছিল। সবিতা দেবী বাধা দিয়ে বলে ওঠেন, ওঃ তুমি সেই দুঃখের রাত্রির কথা আর বােলােনা, ওকথা শুনলে আমার কেমন ভয় করে। আজ শুভদিনে শুধু ঈশ্বরের কাছে সােহন আর বৌমার শুভ প্রার্থনা করি। ইত্যবসরে অরিন্দম। আজ কি আনন্দ আকাশে বাতাসে গানটি আবৃত্তি করতে করতে এসে বলল মা শুধু দাদা আর বৌমা ভালাে থাকবে আর আমরা -সবিতা দেবী। কথার মাঝেই বলে উঠলেন, ওরে গাছের গোড়ায় জল দিলে কি আর কেউ গাছের ডগায় জল দেয়। তারা তাে একই বৃক্ষের শাখা প্রশাখা। অরিন্দম মায়ের কথায় প্রীত হয়ে কাজের কথায় ফিরে এসে বাবাকে বললাে, বাবা আমাদের কাজ মােটামুটি শেষ। এখন তােমরা দুজনে কিছু খেয়ে নিলেই ব্যাস ফিনিস।রাত পোহালো। কেকিল ডাকলো। শােভন আজ সকালে রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে কার কত বয়স হলাে তারই হিসাব করছিলাে। চিন্তা করে দেখল তার বাবা ষাটে পা দিয়েছেন। মা একান্ন। আর বড়দি অনীতা বত্রিশ, তার বিয়ে হয়েছে আজ বছর দশেক হলাে। বড়দা ত্রিশ, বৌদি বাইশ, অরিন্দমদা চব্বিশ আর ছােটবােন দেবীকা সতের। শােভনের নিজের বয়স কুড়ি বৎসর দুই মাস। ভাবছে বয়স তাে ভালােই হল।এবার সাবধানে চলতে হবে। 

    সুন্দর চরিত্রের দাদা বৌদি আর দেব-দেবী পিতা মাতাকে ছেড়ে কোথাও পালিয়ে যেতে ইচ্ছাও করে না শােভনের। শােভন যাচ্ছিল সােনা-দিঘি গ্রাম, তাদের গ্রামের পাশেই গ্রাম। এক মাইল দূরত্ব। সেখানে থাকে তার এক অন্তরঙ্গ কাকু অশােক। অশােকের মা বাবা সবাই আছে আর আছে এক বােন নাম অপর্ণা। সুন্দরী, তন্বী মেয়ে। অতি ভদ্র, লেখাপড়ার দিক থেকে খুবই ভালাে। অশােক বেশিরভাগ সময়ে  শােভনের কাছে আসে, কিন্তু মাঝে মধ্যে তাে বন্ধুর বাড়ী যেতে হয় এই বলে শােভন তাদের বাড়ী যায়। শােভনের যাবার আরও একটি কারণ ছিল। তার হল অশােকের বাবার আন্তরিকতার আকর্ষণ। পদ্মপুকুরের পাড় ঘুরতেই একটা মিষ্টি কণ্ঠের আওয়াজ শােভনের এলাে। এই শােভনদা, যাচ্ছেন কোথায় আরে আরে এইদিকে তাকান, শােভন ঘুরে দেখে অপর্ণা সঙ্গে আর একটি মেয়ে। শােভন তাকে চেনে না। শােভনের অত পর্যবেক্ষণ করারও কোন প্রয়ােজন ছিল না বলে অপর্ণাকে বলল, “তােমাদের বাড়িতেই যাচ্ছিলাম, অশােক ধরে আনল। “হ্যাঁ” ছােট্ট একটি উত্তর দিয়েই অপর্ণা বান্ধবীর সাথে কথা বলতে শুরু করল। শােভনও আপন পথে পা বাড়ালাে। দেবীকার সঙ্গে অপর্ণার হয়তাে কোন পরিচয় নেই। একদিন পরিচয় করিয়ে দিতে হবে চিন্তা করে শােভন একটি গান ধরলাে। অশােকের নাম ধরে ডাকতেই সে বেরিয়ে এলাে একটি কলম হাতে। দীর্ঘকায়, সুঠাম সবল একুশ বৎসরের এক যুবক অশােক। মুখে চাপ দাড়ি আর সুন্দর তার মুখের গড়ন।  সম্পাদক হয়ে ঝামেলার অন্ত নেই মাইরি। এইমাত্র একটা রবীন্দ্রনাথের ছবি আঁকা শুরু করেছি, আর কে কি আবৃত্তি করবে, কে গান করবে এইসব ঠিক করে নিই।প্রোগ্রাম  তৈরী করছিলাম আর কি। অশোকের বাবা মৃন্ময় মুখোপাধ্যায় মহাশয়কে ধারে ধীরে তাদের দিকে আসতে দেখে দুই বন্ধু চুপ করে গেল। মৃন্ময় বাবু বলে উঠলেন, কি শোভন কেমন আছে? পড়াশুনা কেমন চলছে?শােভন তাড়াতাড়ি উঠে মৃণ্ময়বাবুকে প্রণাম করে বললাে, চলে যাচ্ছে কাকাবাবু একরকম। আর এবার তাে আমার সেকেণ্ড ইয়ার হল।

    -হ্যাঁ তুমি আর অশােক তবে দুজনেই বি.এ. সেকেণ্ড ইয়ারে পড়াে। তবে কি জানাে পাশ কোর্সে পড়ে। এখন আর কোন কাজ হচ্ছে না শোভন। শােভন মৃম্ময়বাবুর কথায় সম্মতি জানিয়ে অন্য প্রসঙ্গ টানলাে। বললাে, কাকাবাবু এখন অপর্ণার শরীর কেমন? মৃন্ময় বাবু বললেন, তােমার বাবার থেকে আমি আট বছরের ছােট। তাও দেখ আমার শরীরের অবস্থা। এজমা রোগী। এখনই ভালাে, তখনই মন্দ। যাহােক তােমর তাহলে গল্প করাে আমি একটু ঘুরে আসি। আর, তুমি এখন আমাদের এখানে বড় একটা আসাে না তাে? আসবে, আসবে তােমার সাথে কথা বলে  শান্তি হয়।  এইকটু কথা বলতে বলতে তিনি বেরিয়ে গেলেন।
    – তারপর তুই কি করছিস বল? বলে অশােক ভালাে করে বসলো। অশােক ভালাে করে বসলাে। কিন্তু শােভন  বলে, চল রাস্তায় খেতে খেতে বলা যাবে, পাঁচটা বাজে। অগত্যা  শোভনের কথায় রাজি হল। শোভন বলল, যাবার সময় কাকীমার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো। আর আপনাকে বললাম তোমাকে একদিন আমার বোনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব।  অনিল আজ  অপর্ণাকে বললাে, আরে মশাই দেবীকা হচ্ছে আমার প্রিয় বান্ধবী। অরিন্দম দুপুরটা অভিনয় আর আবৃত্তির চর্চা করে কাটিয়ে দিলাে। চারটি ঘরের মধ্যে, একটি ঘর নিজের মতাে করে সাজিয়ে নিয়েছে এবং তা ব্যবহার করে। শুধুমাত্র কিছু সময় দিয়ে সে শুধু নিজের সাধনা চালিয়ে যায়। যতরকম অভিনয় সংক্রান্ত উপদেশমূলক বই আছে তার কোনটাই তার বাদ যায়নি। আবার মাঝে মধ্যে সে গােপালবাবুর  কাছে.যায়। গােপালবাবু একজন সুদক্ষ অভিনেতা ও বিশেষজ্ঞ । তার কাছে গিয়েও অনেক উপকার হয় অরিন্দমের। কিন্তু মন তার বােঝে না। শুধুমাত্র অভিনয় শিখে একটা মানুষ তার সব আশা পূর্ণ করতে পারে। গােপালবাবু বলেন, অভিনয় সর্বপ্রথমে জ্ঞান দেয়, সম্মান দেয় আর তার সঙ্গে দেয় অর্থ। সেই অর্থই এখন প্রয়ােজন অরিন্দমের। দ্বাদশ শ্রেণি অবধি পড়ে আর পড়াশুনা হয়নি অরিন্দমের। কিন্তু অরিন্দম বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ এবং শান্ত প্রকৃতির। গোপালবাবু বলেন, অরিন্দম অভিনয় কখনও অভিনয় বলে নিও না। চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করার চেষ্টা করাে, তারপর তােমার ভাব প্রকাশ করাে। | এইসব চিন্তা করতে করতে অরিন্দম প্রায় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাে আর ঠিক সেই মুহুর্তে বৌদি মনীষা এসে বললাে, ঠাকুরপাে এখনও তােমার অভিনয় সাঙ্গ হলাে না। এবার ওঠো জাগাে চেয়ে দেখাে, সম্মুখে রয়েছে এক পেয়ালা চা আর -- ‘মাের মাতৃসমা স্নেহশীলা বৌদি।। বাব্বা! তুমি এতও পারাে বলে বৌদি কাজে চলে গেলেন। বিকালে এক কাপ চা। পেলে যেন অরিন্দম হাতে স্বর্গ পায়। কিন্তু আবার ভাবে এক কাপ চায়েরও দাম চল্লিশ পয়সা। অরিন্দম ভাবলাে চাকরী তাকে একটা জোগাড় করতেই হবে। আরে কি চিন্তা করছিস। চল।  চল একটু ঘুরে আসা যাক, সুব্রত বললাে।
    গোপালবাবু বলেন, রাতের পর রাত জেগে বাংলার সাধারণ মানুষ কৃষক, তাঁতী, কামার ,কুমার, জেলে দেখেছে যাত্রায় কাহিনি আর মেতেছে পালা গানের সুরে। কখনো ভক্তি, কখনো ভালোবাসা, কখনো দেশপ্রেম তাকে কাঁদিয়েছে, হাসিয়েছে। আবার সামন্ত রাজা, জমিদার ও অভিজাত শ্রেণির মানুষও যাত্রা দেখেছে। জমিদারবাবু তো আর সাধারণ প্রজার সঙ্গে যাত্রার আসরে গিয়ে বসবেন না। বরং তার প্রাসাদের নাটমণ্ডপেই বসবে যাত্রার আসর। জমিদারবাড়িতে থাকতো বিশাল নাটমণ্ডপ। সেখানেই যাত্রা, পালাগান, কীর্তনের আসর বসতো। চিক বা পর্দাঘেরা বারান্দায় বসতেন জমিদার গৃহিনী, রানীমা, পরিবারের নারী সদস্যরা। তারা চিকের আড়াল থেকেই দেখতেন যাত্রা পালা।যাত্রাপালার ঐতিহ্য অত্যন্ত প্রাচীন। অষ্টম ও নবম শতকেও এদেশে পালাগান ও পালার অভিনয় প্রচলিত ছিল। শ্রী চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের আগেও রাঢ়, বঙ্গ, সমতট, গৌড়, পুণ্ড্র, চন্দ্রদ্বীপ, হরিকেল, শ্রীহট্টসহ সমগ্র ভূখণ্ডে পালাগান ও কাহিনিকাব্যের অভিনয় প্রচলিত ছিল। ধর্মীয় বা কোনো উৎসবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার যে রীতি সেখান থেকেই যাত্রা শব্দটি এসেছে। এদেশে শিবের গাজন, রামযাত্রা,কেষ্টযাত্রা, সীতার বারোমাসী, রাধার বারোমাসী প্রচলিত ছিল। সেসময় বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি অভিনয় করে দেখানো হতো। সেখান থেকেই যাত্রার উৎপত্তি। নবদ্বীপে শ্রীচৈতন্যের আবির্ভাবের পর কৃষ্ণযাত্রা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। কৃষ্ণযাত্রায় মূলত রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা, কৃষ্ণের বাল্যকাল, মা যশোদার সঙ্গে কৃষ্ণর বাল্যক্রীড়া, কৃষ্ণের কংসবধ, মথুরা জয় ইত্যাদি কাহিনি অভিনয় ও গানের মাধ্যমে দর্শকদের পরিবেশন করা হতো। দর্শকরা তা দেখে ভক্তিরসে সিক্ত হতেন। রুক্মিণী হরণ নামে একটি কৃষ্ণযাত্রায় চৈতন্যদেব নিজেই অভিনয় করতেন। তিনি রুক্মিণী সাজতেন।জামাটা গায়ে দিয়ে জুতাে পরে বেরিয়ে পড়লাে বন্ধু সুব্রতর সঙ্গে। সুব্রত অরিন্দমের বন্ধু। সুব্রত ব্যানার্জী। সেও অভিনয় করে অরিন্দমের সঙ্গে। অভিনয়কে ভালােবাসে। কিন্তু তার ঘরের অবস্থা অরিন্দমের থেকে ভালাে। ফলে সে অভিনয়টাকে পেশা হিসেবে নিতে চায় না। নদীর ধারে বসে বসে দুই বন্ধুতে অনেক গল্পই করলাে। তারা আবৃত্তি নিয়ে আলােচনা করল। অরিন্দম আবৃত্তি করে শােনাল সুকান্তের ঐতিহাসিক। "আজ এসাে তােমাদের ঘরে ঘরে পৃথিবীর আদালতের পারায়ানা নিয়ে।" তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো। আর আপনাকে বললাম তোমাকে একদিন আমার বোনের সাথে পরিচয় কলি, সী। অনিন আজ গাল অপ্ণা বললাে, আরে মশাই দেবীকা হচ্ছে আমার প্রিয় বান্ধবী। অরিন্দন দুপুরটা অভিনয় আর আবৃত্তির চর্চা করে কাটিয়ে দিলাে। চারটি ঘরের মলো। একটি ঘর নিজের মতাে করে সাজিয়ে নি@েই তা ব্যবহার করে। শুধুমাত্র কিছe দিয়ে সে শুধু নিজের সাধনা চালিয়ে যায় যতরকম অভিনয় সংক্রান্ত উপদেশমূলক আছে তার কোনটাই তার বাদ যায়নি। আবার মাঝে মধ্যে সে গােপালবাবুর কাছে যায়। গােপালবাবু একজন সুদক্ষ অভিনেতা। তার কাছে গিয়েও অনেক উপকার অরিন্দমের। কিন্তু মন তার বােঝে না শুধুমাত্র অভিনয় শিখে একটা মানুষ তার সব আশা পূর্ণ করতে পারে। গােপালবাবু বলেন, অভিনয় সর্বপ্রথমে জ্ঞান দেয়, সম্মান দেয় আর তার সঙ্গে দেয় অর্থ। সেই অর্থই এখন প্রয়ােজন অরিন্দমের। দ্বাদশ শ্রেণি অবধি পড়ে আর পড়াশুনা হয়নি অরিন্দমের কিন্তু অরিন্দম বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ এবং শান্ত প্রকৃতির। গোপালবাবু বলেন, অরিন্দম অভিনয় কখনও অভিনয় বলে নিও না। চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করার চেষ্টা করাে, তারপর তােমার ভাব প্রকাশ করাে। | এইসব চিন্তা করতে করতে অরিন্দম প্রায় তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাে আর ঠিক সেই মুহুর্তে বৌদি মনীষা এসে বললাে, ঠাকুরপাে এখনও তােমার অভিনয় সাঙ্গ হলাে না। এবার ওঠো জাগাে চেয়ে দেখাে, সম্মুখে রয়েছে এক পেয়ালা চা আর -- ‘মাের মাতৃসমা স্নেহশীলা বৌদি।। বাব্বা! তুমি এতও পারাে বলে বৌদি কাজে চলে গেলেন। বিকালে এক কাপ চা। পেলে যেন অরিন্দম হাতে স্বর্গ পায়। কিন্তু আবার ভাবে এক কাপ চায়েরও দাম চল্লিশ। পয়সা। অরিন্দম ভাবলাে চাকরী তাকে একটা জোগাড় করতেই হবে। আরে কি চিন্তা করছিস। চল একটু ঘুরে আসা যাক্। বন্ধু সুব্রত বললাে।কাছে গেছে ভোরে উঠে।অরিন্দম ভাবে চাকরি না হলে যাত্রাদল সে করবেই।আজ অরিন্দম বাড়িতে মা বাবাকে বলে গোপাল বাবুর গােপালবাবুকে আজ আশেপাশের পাঁচ ছয়টি গ্রাম থেকে একজন করে বা দুজন করে। নিয়ে আর নিজের গ্রাম থেকে আটজন অভিনেতাকে নিয়ে একটি বই মঞ্চস্থ করার। মনস্থ করলেন। তার জন্য তো মহড়ার প্রয়োজন। সেই মহড়ার শুরু আজ থেকে। গোপালবাবুর সেই পুরানো দিনের বাড়ি। বাড়ি বললে ভুল হবে। যেন এক বিরাট প্রাসাদ। সেই প্রাসাদের সম্মুখে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। হয়ত এটা পূর্বের জমিদার বাড়ির সভাকক্ষ ছিল । গােপালবাবু একজন শিল্পী।তিনি সেই স্থানটিতেই মহড়ার বন্দোবস্ত করলেন। অেক জমায়েত ধনী ব্যক্তির। মহড়া দেবার স্থান নির্বাচিত হল সেই স্থানটিতেই হয়েছিল। যাদের ডাকা হয়েছিল তারা সকলের সম্মতিক্রমে ঠিক হলাে মহড়া দেবার কথাটি। প্রথমে নির্বাচন হল কোন বইটা মঞ্চস্থ করা যাবে। সর্বসম্মতিক্রমে ভবেশ ভট্টাচার্যের ‘দিন দিন প্রতিদিন' সামাজিক পালাটি  ঠিক হলো । মোটামুটি সকলেই জানে, অভয়পুরের সুদর্শন সান্যালের নাম অভিনয় জগতে মােটামুটি সকলে অভিনয় দেখে। তারা গােপালবাবু আর সুদর্শনকেই চেনে বেশি। তাছাড়া মহড়ায় সুদর্শনের সন্তোষজনক অভিনয় দেখে, গােপাল বাবু নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করতে বলেছিলেন। গােপালবাবু নিজেও একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।  বাইরের শহর থেকে এসেছিলেন চারজন অভিনেত্রী। অরিন্দম একজন বেকার ছেলের চরিত্রে ছিল। যাত্রাগান অনুষ্ঠিত হওয়ার রাত্রিতে একটু তাড়াতাড়ি বেরিয়ে ছিল অরিন্দম। তার সকল রকম দরকারী জিনিসপত্র নিয়ে। উপস্থিত হলাে একদম গ্রীণ রুমে। গিয়ে দেখে গােপালবাবু ও শহরের অভিনেত্রীরা এবং সাজঘরের লােকেরা প্রত্যেকেই সময়মতাে উপস্থিত হয়েছেন। ধীরে ধীরে সকলেই এলাে। তারপর শুরু হলাে ‘মেক আপ। এদিকে দেবীকা বায়না ধরেছে শােভনের সঙ্গে সেও যাত্রা দেখতে যাবে। শােভন আমি এসে গেছি বলে প্রবেশ করলাে অশােক। শােভন জিজ্ঞাসা করলাে কি রেঅপর্ণাকে নিয়ে এলি না কেন?ওরা তিনজনে দেবীকা, শােভন আর অপর্ণা বেেিরয় পড়লাে যাত্রা দেখার জন্য। যাত্রাটি হচ্ছে গােপালবাবুর বাড়ির একটু দূরে যে  জায়গাটি পড়ে আছে সেখানেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন