(এক)
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এলেই আমার ১৯৭১ সালের মে মাসের একটি বিশেষ দিনের কথা মনে পড়ে যায় (তারিখটা আজ আর মনে নেই)। অবিস্মরণীয়। মার্চ মাস থেকে ওদেশে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম, বিপ্লব, এগুলো এত কাল ছিল আমাদের বড়দের কাছে শোনা কথা, আর কিছু বইতে পড়া জিনিস। আর তখন আমাদের প্রায় চোখের সামনেই, পাশের দেশেই, একটা সংগ্রাম শুরু হয়েছে যাকে বলা হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানের হাত থেকে পূর্ব পাকিস্তানের তথা পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার লড়াই। আমাদের সতের-আঠার বছর বয়সে মনের কানাচগুলিতে সুকান্ত কথিত সেই বিদ্রোহের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দপ্দপে শিখা হয়ে জ্বলে উঠতে চাইছে।
তিন বন্ধু আমরা। আমি আর সমীর শ্যামনগরের বাসিন্দা, অপূর্ব পলতার। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা। তিন জনেই আগের বছর (১৯৭০) ইছাপুর নর্থল্যান্ড হাইস্কুল থেকে উচ্চতর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে কোনো রকমে পাশ করেছি। সমীর ভৌমিক গেল আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস পড়তে, অপূর্ব সেনগুপ্ত পড়ছে বিসিএমএইচ—ডিএনবোস হোমিওপ্যাথি কলেজে। আর আমি অন্য কোথাও জায়গা না পেয়ে প্রবেশ পরীক্ষা দিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে স্ট্যাটিসটিক্স পড়তে ঢুকেছি। ইতিমধ্যে এসইউসিআই দলের খাতায় সক্রিয় কর্মী হিসাবে আমরা নাম লেখালেও তিন জনাই তখনও অনেকটা স্বেচ্ছাচারী উঠতি যুবক। অনেক কাজই করি দলের রুটিনের বাইরে, নিজেদের খেয়াল খুশি মতে। এদিক ওদিক।
অপূর্বই প্রথম প্রস্তাবটা দিয়েছিল। বর্ডার পেরিয়ে একদিন মুক্তিযুদ্ধ দেখতে গেলে কেমন হয়?
দিন তিনেক বাদে সকাল সাড়ে নটা নাগাদ শ্যামনগর স্টেশন থেকে গেদে প্যাসেঞ্জারে চেপে বসলাম তিন বন্ধু সেই প্রস্তাব মোতাবেক। গেদে মানে ভারতের সীমান্তবর্তী স্টেশন। অবিভক্ত আমলে এই লাইনে পরের স্টেশন দর্শনা, যা এখন পূর্ব বাংলার প্রান্তিক স্টেশন। ভারত পাকিস্তান বিভাজন সত্ত্বেও পুরনো আমলের রেল লাইন পাতা রয়েছে একটানা। সীমানা বরাবর ইএফআর (ইস্টার্ন ফ্রন্টিয়ার রাইফেল্স)-এর ক্যাম্প। ওপারে ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল্স)। টীকা দিয়ে রাখি। কিছু কাল পরেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইএফআর রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে বদলে বিএসএফ বসানো হয়। আর স্বাধীন বাংলাদেশে ইপিআর নাম ও জার্সি বদলে হয় বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেল্স)।
সেকালের খবর যাঁদের মনে আছে, তাঁরা জানেন, গেদে প্যাসেঞ্জার তখন ছিল কয়লার ইঞ্জিন বাহিত মেটে লাল রঙের ইংরেজ আমলের ঝরঝরে কামরা বিশিষ্ট গাড়ি। তৃতীয় শ্রেণির প্রতিটি কামরায় দেওয়াল বরাবর আর মাঝখান দিয়ে চার দফার লম্বা টানা সোফা টাইপের বেঞ্চি। উপরে দুপাশে টানা বাঙ্ক। দ্বিতীয় শ্রেণির কামরাগুলি চারটে কুপে ভাগ করা থাকত। প্রথম শ্রেণির কামরাতেও তাই, তবে বেঞ্চির গায়ে কাঠের উপর থাকত গদি। সে ছিল সত্যিকারের কু-ঝিক-ঝিক গাড়ি। সব কামরাতেই আলো আর পাখাও থাকত। অস্তিত্ব অনুভব করতে না পারলেও খালি চোখে পরিষ্কার দেখা যেত। বিশেষ করে দিনের বেলায়।
ট্রেনে ওঠার পর আমাদের খেয়াল হল, একদম খালি হাতে মুক্তি যুদ্ধ দেখতে যাই কী করে? মুক্তিযোদ্ধাদের দেখতে পেলে কিছু তো সাহায্য আকারে দিতে হবে। নইলে এপারের বাঙালি হিসাবে সম্মান থাকে কোথায়?
সমীর বলল, “চল, হকারদের থেকে একটা গামছা কিনে ফেলি।”
ট্রেন চলতে চলতে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করতে যাচ্ছি বলে দরদাম করে আড়াই টাকা দিয়ে একটা গামছা কিনে ফেলা হল। হালিশহর স্টেশন আসতে আসতে শুরু হল গামছা পেতে অর্থ সংগ্রহ। অপূর্ব আর সমীর দুদিক থেকে গামছা ধরে আছে, আর আমি যদ্দুর সম্ভব জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে পূর্ব বাংলার বাঙালিদের স্বাধীনতা সংগ্রামে পশ্চিম বাংলার তরফে সাধ্য মতো আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। নিজেদের পকেট থেকে আগেই তিনটে সিকি ফেলে দিয়েছি, যাতে গামছাটায় একটু নৌকাভাব জেগে ওঠে।
আজ অবিশ্বাস্য লাগলেও বলি, কী হচ্ছে ব্যাপারটা বুঝে নিতে সহযাত্রীদের হয়ত দুপাঁচ মিনিট সময় লেগেছিল। তার পর থেকেই চার দিক থেকে ঝপাঝপ সিকি আধুলি দশ পয়সা পড়তে লাগল। অল্প হলেও দু একজন এক বা দুটাকার নোটও ফেললেন। কল্যাণী স্টেশনে গাড়িতে উঠেই একজন যখন পাঁচ টাকা দিয়ে ফেললেন, আমাদের উৎসাহ বেজায় বেড়ে গেল। সেই ভদ্রলোক বললেন, “তোমরা কি এক কামরাতেই থাকবা নাকি? অন্য কামরাগুলিতেও যাইয়া অ্যাপিল কইরা দ্যাখ।”
আসলে আমাদের এই লাইনের প্যাসেঞ্জারদের মধ্যে বারো আনাই বাঙাল। ওপার থেকে দাঙ্গার কারণে বা আর্থিক সুবিধার আশায় চলে এসেছে। ওপারের বাগ্ধারা সঙ্গে নিয়েই। আমাদের তিন বন্ধুর মধ্যেও আমি আর সমীর কাঠ বাঙাল, শুধু অপূর্বই ঘটি। আমরা তিন জনায় এবার অন্য কামরায় গেলাম। একে একে। সঙ্গে দুতিনজন আমাদের কাছাকাছি বয়সের ছেলে ছোকরা জুটেও গেছে। ফলে তখন বাধ্য হয়ে আরও একটা গামছা কিনতে হল।
এখন আমরা শ্লোগান দেওয়াও শুরু করেছি। “বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ লাল সেলাম”, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর লড়াই কর, আমরা তোমার সাথে আছি”, “পাকিস্তানের জংলি শাসক ইয়াহিয়া খান মুর্দাবাদ”, ইত্যাদি। অপূর্ব হঠাৎ প্রস্তাব দিল, অশোক তুই গান ধর। গাড়ির চাকার শব্দের সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে আমি যখন খোনা গলায় গাইতে শুরু করলাম, “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি”—শুধু সমীর নয়, এদিক ওদিক থেকে আরও কেউ কেউ দেখলাম আওয়াজ যোগ করতে লাগল। সুরে বা স্বরে না মিললেও। আবেগ তখন আমাদের মধ্যে টগবগ করে ফুটছে।
রাণাঘাট স্টেশনে এগারোটা নাগাদ যখন ট্রেন পৌঁছল, গোটা গাড়ি থেকে তখন আমাদের বেশ অনেকটা অর্থ সংগ্রহ হয়ে গেছে। দুটো নতুন গামছার সঙ্গে আরও দুটো পুরনো গামছা—দুজন ভেন্ডরের কাছে পাওয়া—ভরে গেছে। সেই সঙ্গে ধেয়ে এল বিতর্ক। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নগদ টাকাই তুলে দেব, নাকি, জিনিসপত্র কিনে দেওয়া ভালো? নগদ টাকা দিলে, ভারতীয় রুপি ওরা চালাবে কী করে? ওদের দেশে তো পাকিস্তানি রুপইয়া চলে।
নতুন সঙ্গীদের একজন বললে, “আপনেরা এই দিকে নতুন আইসেন বইলা কিস্যু জানেন না। বর্ডারে আমগো মদ্যে দুই দ্যাসের টাকাই চলে। দোকানি বাজারিরা চক্ষু বুইজা নিয়া ন্যায়। চাইলে নগদও দিয়া দিতে পারেন।”
অপূর্ব জিদ ধরল, মাল কিনে দেওয়াই ভালো। ওর একটা পা পোলিওতে ছোটবেলায় পঙ্গু হয়ে গিয়েছিল। ফলে ও বরাবরই একটু জেদি টাইপ। বেশ, তাই সই। আমরা মেনে নিলাম।
তখন আর এক বিতর্ক—কী কেনা হবে? কোত্থেকে?
আর এক নতুন সাথী জানাল, “গারি অখন অ্যাক ঘন্টা খারাইয়া থাকব। জল ভরব। কয়লা নিব। আপনেরা রানাঘাটের বাজারে ঢুইকা কিনাকাটা সাইরা লইতে পারেন।”
সমীর জানাল, “সেই সঙ্গে আমাদের কিছু খেয়েও নিতে হবে।” অত্যাবশ্যক প্রস্তাব। অবশ্য পালনীয়।
খাওয়াদাওয়া সেরে নিয়ে চারটে বস্তায় চাল, চিড়ে, গুড় আর কলা কিনে ভরে আমাদের সাত জনের টিম গাড়িতে ফিরে এল। অনেক সওয়ারি নেমে গেছে। আবার প্রচুর লোক নতুন উঠেছেও। কামরা টায়টায় ভর্তি। কিন্তু আমাদের তখন এত খাতির যে অনেকেই উঠে বসার জায়গা করে দিল।
ট্রেন রাণাঘাট ছাড়তেই সেই দুঃখবরটা পেলাম। গাড়ি আজকাল গেদে অবধি যাচ্ছে না। পাকিস্তানি বোমাটোমার ভয়ে নাকি বানপুর স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে থামছে। ওখান থেকেই ফিরে আসছে। তার মানে আমাদের এই সব মালপত্র নিয়ে চার কিলোমিটার এক্সট্রা হাঁটতে হবে। এবং মে মাসের সেই ভরা দুপুরে।
কী আর করা। বানপুর থেকে সাত জন মিলে হাঁটা দিলাম চার খানা বস্তা ভাগাভাগি করে ধরে বা ঘাড়ে চাপিয়ে। উৎসাহ আমাদের আরও বেড়ে গেল যখন দেখলাম, আমাদের মতো আরও কয়েকজনের দল চলেছে একই উদ্দেশ্যে দর্শনার উদ্দেশে। তাদেরও হাতে কাঁধে বস্তা। শ্লোগানের সম্মিলিত আওয়াজও তখন বেড়ে গেছে। গেদে স্টেশনে পৌঁছে একটু বিশ্রাম নিয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে নেমে আমরা আরও পুবে এগিয়ে চললাম।
খানিক বাদেই এল সীমান্ত। এদিকে নদীয়া জেলা। ওদিকে কুস্ঠিয়া জেলা। সামনেই দর্শনা স্টেশন দেখা যাচ্ছে। একটা পরিখার মতো অগভীর নালা কেটে দুই দেশকে আলাদা করা হয়েছে। তখন অবধি দেশ নেতারা কাঁটা তারের কথা ভেবে উঠতে পারেনি। রাষ্ট্রের উপর মহল থেকে পাকিস্তান বিরোধিতার প্রচার চালু থাকলেও অবিভক্ত কালের ভূগোলকে তখনও কাটা ছেঁড়া করা শুরু হয়নি। আন্তর্জাতিক সীমানা বোঝা গেল সীমান্ত রক্ষীদের ঘেসো রঙের ক্যাম্প দেখে।
রক্ষীবাহিনীও খুব দরাজভাবে আমাদের স্বাগত জানালেন। বুঝলাম, তাঁরা পশ্চিম বঙ্গ থেকে এই ধরনের সফর দেখে দেখে অভ্যস্ত এবং মানিয়ে নিয়েছেন। হয়ত উপরওয়ালাদেরও নির্দেশ আছে, কাউকে না আটকাতে। দুজন জওয়ান এগিয়ে এসে আমাদের জানালেন, “আপ লোগ থোরা সা সাইড হোকর চলিয়ে। অওর শাম সে পহলে লওট আনা জরুর।”
অন্য গ্রুপের একজন বড়দা বললেন, “ইতনা জলদি কাহে? হাম লোগ বহুত দূর সে আয়া। উধার যা কে কুছ গল্পটল্প না করকে ক্যায়সে আয়েগা?”
ওদের একজন বললেন, “হম কুছ নহি কর সকতে হ্যাঁয় জি। অন্ধেরা হো জানে সে আপলোগোঁ কো উধার সবেরে তক ব্যায়ঠে রহনা পড়েগা।”
অপূর্বর বাবা তখন পলতা এয়ার ফোর্সের অফিসার। ও আমাদের মধ্যে ভালো হিন্দি জানত। তাড়াতাড়ি সকলের হয়ে শুদ্ধ বয়ানে জানাল, “ফিক্র মত কিজিয়ে জি! হম লোগ অন্ধেরা হোনে সে ঢের পহলে লওট আয়েঙ্গে।”
আমরা যখন সীমান্ত পার হয়ে দর্শনা স্টেশনের খানিকটা দূর দিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়লাম, তখন সূর্যদেব পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতের সীমানায় চড়ে বসেছে। দেশি সময়ের মাপে আড়াইটা বাজে। আমাদের দেখেই কিছু শিশু এবং মহিলা এগিয়ে এল। মহিলাদের একজন জিগ্যেস করলেন, “আপনেরা কই যাইতে চান?”
আমাদের উদ্দেশ্য জেনে ওরা একটু দুরের একটা চিনি কল দেখিয়ে বলল, “ওইখানে জোদ্দারা আসে। আপনারা অদের লগে কথা কইয়া লন। যা দ্যাওন থোওনের ওনাগো হাতেই দিয়া দিবেন।”
চিনি কলে গিয়ে দেখলাম, বারো চোদ্দ জনের একটা দল বসে আছেন। কয়েকজনের হাতে পাইপগানের মতো কিছু অস্ত্র। বাকিদের হাতে স্রেফ লাঠি। ওরা আমাদের কাছ থেকে খাবারদাবারের বস্তাগুলি পেয়ে খুব খুশি হলেন। দুটো জিনিসের খোঁজ নিলেন—চিনি আর লবন। হায়! আমাদের সব কটা টিম বেছে বেছে ঠিক এই দুটো জিনিসই বাদ দিয়েছে। আমরা সবাই যেন ধরেই নিয়েছি, এগুলো ওনাদের হাতের কাছে নিশ্চয়ই আছে। ওরা বললেন, দেশের ভেতর থেকে খাবার দাবার কিছুই আসছে না। চিনির কলটাও মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই, বোধ হয় হাওয়া বুঝতে পেরেই, বন্ধ। তবে সুখের কথা এই যে প্রতি দিন বর্ডার দিয়ে ইন্ডিয়া (হ্যাঁ, ওনারা ভারতও বলেননি, পশ্চিম বাংলাও বলেননি, সোজা ইন্ডিয়ার নাম নিয়েছেন) থেকে যে সরবরাহ আসছে, তাতেই ওদের এবং আশে পাশের কয়েকটা গ্রামের খাওয়াদাওয়া জুটছে। এবং রোজই কিছু না কিছু আসছে। শুধু চিনি আর লবণের অভাব মিটছে না। ওনাদের মধ্য থেকে একজন কারও বাড়ি থেকে চা করে নিয়ে এলেন। সঙ্গে বিস্কুট।
চারটে পর্যন্ত জমিয়ে অনেক গল্প হল। গান হল। শ্লোগানও হল। আমাদের কারও সঙ্গে ক্যামেরা ছিল না বলে ছবিটবি নেওয়া গেল না। আমি আর অপূর্ব ছবি আঁকার অভিনয় করতে জানতাম। আমরা দুই বন্ধু এক জায়গায় বসে চিনিকলটাকে লক্ষ্য রেখে কাগজে পেনসিল দিয়ে আধা ঘন্টার চেষ্টায় একটা করে ল্যান্ডস্কেপ এঁকে ফেললাম বলে সবাইকে বোঝালাম (পাঠক, প্রমাণ চাইবেন না। সে সব দলিলপত্র অনেক কাল আগেই হারিয়ে গেছে!)। তারপর উঠে পড়লাম।
পাঁচটার মধ্যেই আমরা বর্ডার রূপী নালা পেরোলাম। যথারীতি ইএফআর ক্যাম্পের জওয়ানরা কেউ কেউ হাত তুলে আমাদের খুশিযুক্ত বিদায় জানালেন। আমরাও প্রত্যুত্তরে হাত নাড়লাম। জোরে জোরে পা চালাতে হবে। বানপুরে গিয়ে ছটার গাড়ি ধরতে হবে। কলকাতার দিকে যাওয়ার এটাই শেষ ট্রেন। অবশ্য রাস্তায় সহযাত্রীদের কাছে ভরসার বাণী শোনা গেল, যতক্ষণ গেদের দিক থেকে লোক আসতে দেখা যাবে, গার্ড সাহেব নাকি হুইসেল বাজাবেন না। সবাইকে নিয়ে তবেই তাঁরা গাড়ি ছাড়বেন।
মুক্তি যোদ্ধাদের খবর নিয়ে আসছে কিনা!
[চলবে]
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।