এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • ভাসাভাসি ভাষাভাষী

    Nirmalya Bachhar লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২৪২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বাংলা ভাষা ক্রমশ মরে যাচ্ছে, বুইলি - মরে যাচ্ছে! গাঁক গাঁক করে বলছিলেন ব্যানার্জী সায়েব। ব্যানার্জী সায়েব গ্রাম্ভারী মানুষ। বয়সও হয়েছে, জেনারেলি উনি জোরে কথা বললে সামনে কেউ চট করে কথা কয় না। কিন্তু এইসব ছেলে-মেয়েগুলি সদ্য জয়েন করেছে, আপিসের চালচলনগুলো এখনো সমঝে উঠতে পারে নি ঠিক করে। বিশেষ করে মেয়েগুলো। ব্যানার্জী সায়েবের মতে মেয়েগুলো অত্যন্ত ফক্কড়, গুরুজন মানামানি নেই। আগের জেনারেশান গেছে, এখন অফিসের বেয়ারাও সম্মান এক্সপেক্ট করে তার থেকে। এসব নিয়ে ব্যানার্জী সায়েবের মনে বড় দুঃখ। 

    তবে লাঞ্চ আওয়ারে কেউ তাকে ঘাঁটায় না। ঐ সময়টা উনি নিজের মত করে চ্যালাচামুণ্ডাদের জুটিয়ে আড্ডা মারেন। অবশ্য আড্ডার চেয়ে বেশি সেটা নিজের মনোলগ। উনি নিজেই বলে যান, বাকিরা সবাই হুঁ হা করে কাটিয়ে দেয়। আপিসে শান্তিভঙ্গ করতে কেউ চায় না। নতুন ছেলে মেয়েরাও তাই এই সময়টা দূরে দূরে থাকে। 

    কিন্তু আজ সঞ্চারীর লেজার গোছাতে দেরী হয়ে গেছিল, সে আর শর্বরী আজকাল একাউন্টসে বসছে। নতুন চাকরী, কাজ বুঝতে সময় লাগে। দুজনে প্রাণপণ চেষ্টার কসুর করে না। কিন্তু বেশিরভাগ সময় বাধ্য হয়ে রাত অব্দি বসে একাউন্টস মিলিয়ে তবে ঘরে যেতে হয়। ইন্টারেস্টিং ব্যপার হল যে এত সত্ত্বেও মেয়েদুটির মুখের হাসি কমে না। কাজেও অনীহা নেই। ভুলের কথা বললে শুধরে নেয়। সিনিয়ারদের কাছ থেকে ফেভার চায় না, বরং কাজ বুঝে নেয়। ব্যনার্জী সায়েবের এদের এত হাসিখুশি মেজাজ পছন্দ নয়। তার মতে অফিসে একটা হায়ারার্কি থাকা চাই। সেইটে ঠিক হচ্ছে না বলেই যত বিপত্তি। 

    তা যাই হোক, আজ একুশে, তাই স্বভাবতই লাঞ্চ আওয়ারে মাতৃভাষা নিয়ে কথা উঠেছিল। বাংলা ভাষার যে দুরবস্থা সে নিয়ে দেখা গেল কারোরই কোন দ্বিমত নেই। ব্যানার্জী সায়েব বলছিলেন - বাংলার দূর্দশা আজকের নয়। যবে থেকে এই দেশে আক্রমণ হতে লেগেছে তবে থেকেই এই গোলযোগ। বাংলায় এত বাইরের শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটেছে যে তার নিজস্বতা গেছে হারিয়ে। আর এই এস এম এস জেনারেশান এসে তো এর বারোটাই বাজিয়ে দিল। বুঝলে হে সঞ্চারী।

    সঞ্চারী আর শর্বরী হাত ধুয়ে আবার নিজেদের ডেস্কের দিকে রওনা হচ্ছিল। ব্যানার্জী সায়েবের কথায় একটু থমকে গেল সঞ্চারী। চলেই যাচ্ছিল, আবার পিছু ডাকায় ফিরে এল সে। ব্যানার্জী সাহেব তখনও বলছিলেন - স্বধর্মে নিধনঃ শ্রেয় পরধর্মভয়াবহঃ, বুইলে হে মিত্তির। সে কথা আর এখনকার জেনারেশানকে কি বোঝাবে। এরা আর দু লাইন বাংলা লিখতেও পারে না হে। আর আজকাল হয়েছে এই স্মার্টফোন আর তার সাথে যত সব আনস্মার্ট ছেলেমেয়ের দল! - বলে নিজেই নিজের কথায় হেসে কুটিপাটি হলেন তিনি। তারপরে সঞ্চারীর দিকে তাকিয়ে বললেন, আজ কত তারিখ জানা আছে? 

    সঞ্চারী বা শর্বরী জেনারেলি ব্যানার্জীকে এড়িয়ে চলে। ভদ্রলোকের একটা ভয়ানক আত্মম্ভরিতা আছে যা সকলকেই বিকর্ষণ করে। কয়েকটা ঘটনায় দূর থেকে সেটা বুঝে তারা একটু এড়িয়ে চলত ভদ্রলোককে। কিন্তু আজ আর শেষ রক্ষা হল না। মিষ্টি করে বলল - কেন মনে থাকবে না স্যার, আজ তো একুশে ফেব্রুয়ারি। তাতে কি হল স্যার? 

    আজ মাতৃভাষা দিবস, মনে আছে? 

    বিলক্ষণ আছে স্যার। তার সাথে মনে আছে মানভূমের ভাষা আন্দোলন যার ফলে বাংলা বিহারের বর্ডারে পুরুলিয়া জেলা স্থাপিত হয়। মনে আছে বরাক উপত্যাকার ভাষা আন্দোলন যার ফলে ১৯৬১ সালে এগার জন ভাষা শহিদ প্রাণ দেন। কর্ণাটকের ভাষা আন্দোলন যার ফলে কর্ণাটক সরকার বাংলাকে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দেয় ২০১৩ সালে। কিচ্ছু ভুলি নি স্যার।

    ব্যানার্জী সায়েব একটু ঘাবড়ে গেছিলেন। তার সিলেবাসে শুধু একুশে ফেব্রুয়ারী ছিল। এতগুলো সিলেবাস বহির্ভূত আনসিন এসে পড়ায় তিনি একটু বেসামাল হয়ে গেছিলেন। তার সহকর্মীরাও ঐটুকু মেয়ের দাপটে একটু চমকেই গেছিল। মনে মনে হয়তো তারিফ করছিল। কিন্তু সঞ্চারী যদি ম্যালকম মার্শাল হয় তো ব্যানার্জীবাবুও গুণ্ডাপ্পা বিশ্বনাথ। ফের প্যাড ট্যাড ঠিক করে সোজা হয়ে বুক চিতিয়ে দাঁড়ালেন। বললেন - বাইরের শব্দের অন্তর্ভুক্তির কথাটা তো মানতে হবে! এতে করে বাংলা ভাষার জোর কমে যাচ্ছে। 

    সঞ্চারী ফের আউটসুইং দিল, জোর কমে যাওয়া কাকে বলে স্যার। শব্দ অব্যবহারে না বহু ব্যবহারে? 

    অবশ্যই অব্যবহারে, বহু ব্যবহারে কি করে শব্দের জোর কমে যাবে?

    জিফ'স ল কাকে বলে জানেন স্যার?

    জিফ? GIF? 

    না না, Zipf - George Kingsley Zipf একজন হার্ভার্ডের লিঙ্গুইস্ট। তিনি প্রথম দেখেছিলেন যে যে কোন ভাষার শব্দ ব্যবহারের মধ্যে একটা ন্যাচেরাল অর্ডার আছে। অর্থাৎ তার rank অনুযায়ী তাকে সাজানো যায়। যেমন ধরুন ইংরেজী ভাষায় সর্বাধিক ব্যবহৃত শব্দ কি জানেন? সেটা হল "the", দ্বিতীয় ব্যবহৃত শব্দ - "of" তৃতীয় - "and" চতুর্থ - "to" পঞ্চম ষষ্ঠ সপ্তম ইত্যাদি হল - "a", " in", "is" ইত্যাদি। এবারে এদের যদি কতবার করে বলা হয়েছে সেইভাবে সাজাই, তবে দেখা যাবে, প্রথম শব্দটি যতবার বলা হয়েছে, দ্বিতীয় শব্দটি তার অর্ধেকবার বলা হয়েছে, তৃতীয়টি তার ওয়ান থার্ড বার বলা হয়েছে, চতুর্থটি তার ওয়ান ফোর্থ বার বলা হয়েছে, ইত্যাদি।

    অর্থাৎ, একটা স্পেসিফিক ল্যাঙ্গুয়েজেই তার নিজস্ব ব্যবহারের একটা প্যাটার্ণ আছে। একে বলে কমপ্লেক্স সিস্টেম পাওয়ার ল ডায়নামিক্স। (*পাওয়ার - ক্ষমতা নয়, ম্যাথমেটিকাল পাওয়ার - বা এক্সপোনেন্ট)। এবং মজার ব্যপার হল এই জিফ'স ল শুধু মাত্র ইংরেজীর জন্যে নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষা এমন কি মৃত ভাষাদের উপরে ব্যবহার করেও একই রকম ফল পাওয়া গেছে। 

    তাহলে বুঝলেন তো, আপনি কোন শব্দ বেশি ব্যবহার করছেন সেটা স্থির করে দিচ্ছে যে শব্দগুলি আপনি বেশি বলছেন না তাদের rank। কোন শব্দ যত কম বলবেন সে তত দ্রুত হারিয়ে যাবে। তার জন্যে বাইরে থেকে শব্দ আমদানি করতে লাগে না, নিজের শব্দরাই তাকে হারিয়ে দেয়। ভাষাকে তাই থিসিয়াসের শিপের মত হতে হয়। নিত্য নতুন শব্দ দিয়ে তাকে সাজিয়ে তুলতে হয়। যদি তা না পারেন তাহলে কিছু আর্টিকল, ভার্ব, প্রিপোজিশানের মধ্যেই আটকে পড়ে থাকবেন। 

    ব্যানার্জীর কথা বন্ধ হয়ে এসেছিল। তবু সে একবার বলতে চাইল - বহিরাগত শব্দের কথা। তাতে সঞ্চারী বলল - বহিরাগত কে নয় স্যার? সংস্কৃত ভাষীরাই তো বহিরাগত। এখানকার ভূমিপুত্র তো নয় তারা। কালে কালে যত ইনভেশান/মাইগ্রেশান হয়েছে, তার ছাপ পড়েছে ভাষায়। তাতে কি হল? কালের চিহ্ন থাকবে না? আপনি কি এখনও সাধুভাষায় কথা বলেন? না প্রাকৃত কিম্বা পালি ভাষায় কথা বলেন? একটা প্রাণ তদ্দিন বাড়ে যদ্দিন সে জোয়ান। তখন সে বাঁধ মানে না, আকাশমুখে উঠতে চায়। যখন সে বুড়ো হয়, তখন সে মৃত ডালপালা আগলে রাখে। ওগুলো ফেলে দিলে কিন্তু প্রাণটা আরও কিছুদিন বাঁচত। এখন আপনি ভাষাকে আগলে নিয়ে বেড়াবেন না এগিয়ে এসে ভাঙবেন সেটা আপনার ব্যপার। আমি বরং একাউন্টস সামলাই গিয়ে।

    গোটা অফিসকে তাক লাগিয়ে ব্যানার্জীর মুখে কুলুপ এঁটে মেয়েদুটি চলে যাচ্ছিল - পাশ থেকে ক্যাশিয়ার মুকুজ্জে ব্যানার্জিকে লক্ষ্য করে বললেন - অগাধজলসঞ্চারী বিকারী নচ রোহিতঃ, গণ্ডুশজলেমাত্রেণ শফরী ফর্‌ফরায়তে! আশেপাশের লোকেরা মুখ টিপে হেসে আবার কাজে এগোলো। কাউন্টারে ভীড় জমে গেছে।

    নিরমাল্লো
    ২১ শে ফেব্রুয়ারী ২০২২
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ১২৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:১১504228
  • ওহ তুখখোড়। 
  • kk | 2600:6c40:7b00:1231:e525:7136:2051:***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৩৯504233
  • " যখন সে বুড়ো হয়, তখন সে মৃত ডালপালা আগলে রাখে। ওগুলো ফেলে দিলে কিন্তু প্রাণটা আরও কিছুদিন বাঁচত। " -- এই লাইন গুলোর সাথে পুরোপুরি একমত হলাম। ভালো লাগলো লেখাটা খুব।
  • Ranjan Roy | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:০৯504246
  • অসাম।  ফাটাফাটি। কোন কথা হবে না!
  • Nirmalya Bachhar | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:১৩504247
  • দ-দি, রঞ্জন-দাদা, kk সব্বাইকে অনেক ধন্যবাদ। 
  • dc | 2401:4900:230a:d760:b4af:8876:ed67:***:*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৪০504248
  • দারুন লাগলো। আর সঞ্চারীকে স্যালুট, উনি আমার মনের কথা বলেছেন। এক জায়গায় আটকে গেলে হবে না, এগিয়ে যেতে হবে :-)
  • Nirmalya Bachhar | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:২২504271
  • Dc অনেক ধন্যবাদ। 
     
    আমার খুব ইচ্ছে কেউ যদি বাংলায় ঐরকম করে ওয়ার্ড কাউন্ট করে ইংরেজীর মত জিফ'স ল এপ্লাই করে দেখে, কত শব্দ বেশি কম ব্যবহার আছে। জানতে পারলে ভালোই লাগবে। মুশকিল হল বাংলায় যুক্তাক্ষর হয়ে ঐ সব মেলানো খুবই ঝামেলা। তাও যদি কোনভাবে করা যায় তাহলে হেবি ইন্টারেস্টিং জিনিস হয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন