এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলন 

    Ziauddin Choudhury লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ নভেম্বর ২০২৫ | ৪৫ বার পঠিত
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলন
    জিয়াউদ্দিন চৌধুরী

    আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কি কেবল ভাষাগত পার্থক্যের কারণে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার লড়াই ছিল, নাকি এটি ভাষার গণ্ডি ছাড়িয়ে আরও গভীর কিছু ছিল? যেসব নেতারা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ভারতের মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, কেন তাদের কয়েক বছর পর আবার নতুন এক পরিচয়ের জন্য লড়তে হলো? এটা কি শুধু তাদের মাতৃভাষার মর্যাদা অস্বীকারের কারণে, নাকি তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে এক প্রভুত্বের জায়গায় আরেকটি প্রভুত্বকে স্থান দিয়েছেন?
    এই প্রশ্নগুলির উত্তর কেবল ভারত বিভক্তির পর পূর্ব পাকিস্তানে যা ঘটেছিল তাতে নয়, বরং তারও অনেক আগের ঘটনায় নিহিত। ভাষা আমাদের স্বাধীনতার যুদ্ধের একটি অংশ ছিল, যদিও সেটিই এই সংগ্রামের বীজ বপন করেছিল। ভাষা নিয়ে বিরোধ নতুন দেশের দুই ভৌগোলিকভাবে পৃথক অংশের ধর্মভিত্তিক ঐক্যের মুখোশ খুলে দেয়।
    ভারতের মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের ধারণা এবং সংগ্রাম এসেছিল সেই শ্রেণির মুসলমানদের কাছ থেকে, যারা নিজেদের কেবল ধর্মের ভিত্তিতেই একটি জাতি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন। এই ধারণা জাতীয়তার একটি বিস্তৃত সংজ্ঞা—যেখানে জাতিগত, ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত উপাদান বিবেচিত হতো—তাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছিল। এই ধারণার জন্ম হয়েছিল হতাশা, অর্থনৈতিক বঞ্চনা, এবং একসময় রাজনৈতিক প্রাধান্য হারিয়ে অধীনতায় পতনের বেদনা থেকে। ফলে এই স্বার্থান্বেষী শ্রেণি ধর্মীয় বিভাজনের সুযোগ নিয়ে পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তোলে। একই সঙ্গে তারা একক ভাষার ধারণাও প্রচার করতে শুরু করে ঐক্য সৃষ্টির নামে। তাদের কাছে সেই ভাষা ছিল উর্দু, এবং অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কেবল উর্দুতেই কথা বলতে শুরু করেন। এভাবেই উর্দু সেই রাজনৈতিক শ্রেণির পছন্দের ভাষা হয়ে ওঠে, যা পরে বাংলার মুসলিম অভিজাতদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।
    এটি আমাদের বাঙালি পরিচয়ের প্রতি এক ধরনের গর্বের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে।
    পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেই সব মানুষের স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে, যারা মুসলমান হিসেবে নিজেদের পরিচয়ে গর্ববোধ করত। কিন্তু দেশটি ছিল ভৌগোলিকভাবে দুই অংশে বিভক্ত—হাজার মাইল দূরত্বে এবং দুটি ভিন্ন ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী নিয়ে। নেতারা ভৌগোলিক বিভাজন দূর করতে পারেননি, তবে তারা বিশ্বাস করতেন ধর্ম ও আইন দ্বারা অন্যসব পার্থক্য মেটানো সম্ভব, প্রয়োজনে জোরপূর্বকও। পাকিস্তানের দুই অংশের কৃত্রিম ঐক্যের প্রথম ফাটল দেখা দেয় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাসে করাচিতে অনুষ্ঠিত প্রথম শিক্ষা সম্মেলনে। পাকিস্তানের তখনকার শিক্ষা মন্ত্রী ফজলুর রহমান (বিদ্রূপজনকভাবে একজন বাঙালি) এই সম্মেলন আহ্বান করেছিলেন। সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার এবং শিক্ষায় ইসলামী আদর্শ প্রচার। কিন্তু সম্মেলন সেই সীমা অতিক্রম করে সুপারিশ করে যে সরকারি ফর্মপত্র, মানি অর্ডার, খাম, পোস্টকার্ড ইত্যাদি কেবল উর্দু ও ইংরেজিতে ছাপানো হবে। পাশাপাশি, অ-বাংলাভাষী প্রতিনিধিরা ঘোষণা করেন যে পাকিস্তানের একমাত্র সরকারি ভাষা হবে উর্দু।
    এই সিদ্ধান্ত পূর্ব পাকিস্তানের (তৎকালীন পূর্ববঙ্গ) প্রতিনিধিরা তীব্রভাবে বিরোধিতা করেন, বিশেষ করে তমদ্দুন মজলিশের সদস্যরা, যারা পূর্ববঙ্গের শিক্ষাবিদদের সংগঠন ছিল। তারা বিশেষভাবে ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রীর উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার মন্তব্যে।
    তারা প্রতিবাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন মজলিশের সাপ্তাহিক সেনানী পত্রিকায় ও অন্যান্য সংবাদপত্রে লেখালেখির মাধ্যমে। এতে পূর্ব পাকিস্তানে প্রবল বিরোধী-উর্দু মনোভাব তৈরি হয়। এদিকে, বাংলার তরুণরা বাংলা ভাষার পক্ষে সংগঠিত হতে শুরু করলে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তাদের আন্দোলনকে "বামপন্থী ষড়যন্ত্র" বা "পাকিস্তানবিরোধী" বলে অভিহিত করে।
    ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে করাচিতে অনুষ্ঠিত প্রথম গণপরিষদ অধিবেশনে ভাষা ইস্যু নতুন মাত্রা পায়। সেখানে সদস্যদের কেবল উর্দু বা ইংরেজিতে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়। পূর্ব পাকিস্তানের সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দাবি করেন যে বাংলা ভাষায়ও বক্তৃতা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক, কারণ পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশই বাংলা ভাষায় কথা বলে (৬৯ মিলিয়নের মধ্যে ৪৪ মিলিয়ন)। কেন্দ্রীয় নেতারা, এমনকি তৎকালীন পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনও, এই দাবির বিরোধিতা করেন। তিনি পরবর্তীতে বলেন, “পূর্ববঙ্গের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হওয়া উচিত উর্দু।” তিনি স্পষ্টতই পূর্ববঙ্গের অ-বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর পক্ষেই বলছিলেন, যার অংশ ছিলেন তিনিও।
    যখন বাংলা ভাষাকে গণপরিষদ, মুদ্রা, ডাকটিকিট, এমনকি সরকারি চাকরির পরীক্ষার ভাষা থেকেও বাদ দেওয়া হয়, তখন শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে হরতাল আহ্বান করে।
    কিন্তু এ ছিল কেবল শুরু। মার্চ ১৯৪৮ সালে জিন্নাহ ঢাকায় আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে ঘোষণা দেন যে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। তিনি কার্জন হলে ভাষণ দিয়েও একই কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা প্রবল আন্দোলনে নামে, কিন্তু জিন্নাহ তার অবস্থান থেকে সরে আসেননি।
    জিন্নাহর মৃত্যু (সেপ্টেম্বর ১৯৪৮) এবং লিয়াকত আলি খানের হত্যাকাণ্ড (১৯৫১) ভাষা আন্দোলনের গতি কিছুটা শিথিল করলেও, খাজা নাজিমুদ্দিন গভর্নর জেনারেল হওয়ার পর আন্দোলন নতুন করে জোর পায়। তার অ-বাঙালি অভিজাতদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং বাঙালি সংস্কৃতি ও সমাজের প্রতি অজ্ঞতা তাকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরোধী-বাংলা রাজনীতির ধারাবাহিক সমর্থকে পরিণত করে।
    ১৯৫২ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের গণপরিষদের মৌলিক নীতিমালা কমিটি সুপারিশ করে যে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হোক। এতে সারা পূর্ববঙ্গে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। একদলীয় ভাষা আন্দোলন কমিটি গঠিত হয় এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেয়। মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিনের সরকার আন্দোলন দমন করতে কঠোর পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ইতিহাসের সেই মোড় থেকে পরবর্তী ঘটনাবলি সকলেরই জানা।
    আমাদের ভাষা আন্দোলন কেবল ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার লড়াই নয়; এটি স্বাধীনতা, মুক্তি এবং সকল প্রকার আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক। এটি আমাদের বাঙালি পরিচয়ের প্রতি এক অমলিন গর্ব এনে দেয়, যা পরবর্তীতে আমাদের রাজনীতি ও জাতীয় চেতনাকে গড়ে তোলে—এক ধর্মনির্ভর ভুল জাতীয়তাবোধ থেকে মুক্তি দেয়। ভাষা আন্দোলন আমাদের ভাষাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল, আর প্রায় দুই দশক পরের লড়াই আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌমত্ব এনে দিয়েছিল।
    একটি জাতি গঠিত হয় না শুধু ভাষা বা ধর্মের ভিত্তিতে; এটি গঠিত হয় প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে লালিত ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার দিয়ে। আমাদের ভাষা আন্দোলনকে মনে রাখতে হবে, কারণ সেটিই পরবর্তীতে আমাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের সংগ্রামে রূপ নিয়েছিল। আমাদের কর্তব্য হলো সেই ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং যে মূল্যবোধের জন্য আমরা লড়েছি—গণতন্ত্র, সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার—সেগুলিকে সংরক্ষণ করা।

    লেখক একজন গ্রন্থকার ও কলামিস্ট। এই লেখাটি ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত তাঁর একটি প্রবন্ধের বাংলা সংস্করণ।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন