কয়েক বছর ধরে প্রচুর লোকজনকে দেখলাম বইয়ের রিভিউ লিখতে। কিন্তু কেউই ঠিক যুত করে লিখতে পারে না বলে দেখলাম।
তাই রিভিউ লিখে জ্ঞানপীঠ, সাহিত্য অ্যাকাডেমি এবং নোবেল একসাথে পাওয়ার পরে আজ এসেছি রিভিউ কেমন ভাবে লিখলে বিখ্যাত হওয়া যায় সেই নিয়ে আলোচনা করতে। একজন বাঙালি হয়ে আরেক বাঙালির সাহায্য না করলে কি চলে মশাই? চলে না।
১) যে বইয়ের রিভিউ লিখবেন তার লেখককে অবশ্যই পোস্টে tag করবেন। আপনি রিভিউ লিখছেন সেটা লেখক যদি না জানে তাহলে তো রিভিউ লেখাই বৃথা।
২) লেখক ফেসবুকে না থাকলে ঘাবড়ে যাবেন না। তাঁর কিছু চাটুকার বা ভক্ত নিশ্চয়ই থাকবেন। তাদের Tag করে লিখবেন। তার মধ্যেই আবার ফেক প্রোফাইল থেকে লেখক নিজেই থাকতে পারেন, অতএব মাভৈঃ।
পোস্টে tag না করলে রিভিউ লেখাই বেকার। মন্তব্যে mention অনেকে করে বটে, কিন্তু লাভ নেই।
৩) রিভিউর সাথে বইয়ের ছবি দিন আর নাই দিন, নিজের ছবি অবশ্যই দেবেন। মনে রাখবেন, রিভিউ লেখা কিন্তু অন্য পাঠকদের বইয়ের ব্যাপারে জানানোর জন্য নয়, নিজের ঢাক পেটানোর জন্য।
৪) লেখার শুরুতে একটা ন্যাকামি অবশ্যই করবেন, নাহলে লোকে আপনার বাঙালিয়ানা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেবে।
সেটা হচ্ছে, রিভিউয়ের শুরুতেই লিখবেন — "এই বইয়ের রিভিউ করার যোগ্যতা আমার নেই, কিন্তু..." এরপরে চার পাতা ধরে রিভিউ লিখে হ্যাজাবেন।
৫) এই বারে আসি রিভিউয়ের মূল মন্ত্রে।
রিভিউ লেখার সময় সবর্দা মনে রাখবেন —
কুপাঠক যদ্যপি হয়,
কুলেখক কদ্যপি নয়।
কাজেই কোনো বই তো দূরের কথা, বইয়ের কোনো অংশ খারাপ হতেই পারে না। কোনো বই খারাপ লাগলে আপনি সেটা নিয়ে কখনই লিখবেন না।
৬) মাথায় রাখবেন যে খারাপ দূরের কথা, মাঝারি মানের লেখাকেও ভালো বলে তোল্লাই দিতে হবে। কারণ, বাঙালি মধ্যমেধার চাষ করে না।
৭) যদি খারাপ কিছু লেখার কথা মাথায় আসে, তবে জেনে রাখবেন যে বাংলা সাহিত্য বিশ্বের সেরা সাহিত্য এবং সর্বোধিক মূল্যবান তথা বিক্রিত সাহিত্য। এক মাসে চারটে এডিশন একমাত্র এই ভাষাতেই সম্ভব। এই ভাষাতেই একটা এডিশনে পঞ্চাশ থেকে এক হাজার কপি, যেকোনো সংখ্যার বই ছাপা হতে পারে। এখানেই পাঠকের থেকে লেখক বেশী, লেখকের থেকে সম্পাদক বেশী এবং সম্পাদকের থেকে প্রকাশক সংখ্যায় আরো বেশী।
তাই, এই বিস্ময়কর ব্যবসায় প্রফিট মার্জিন থাকে না বলেই সবাই দাবী করেন, অথচ প্রতি বছর অন্তত খান (আমির নয়) পনেরোটি প্রকাশনা খুলে যায়।
কিন্তু এই সুবিশাল বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আপনার মাত্র একখানা ফেসবুকে পোস্টের জোরেই। সেই পোস্ট পৌঁছে যেতে পারে বিশ্বের সমস্ত পড়ুয়ার কাছে; এমনকি যাদের কাছে মোবাইল নেই কিন্তু বই আছে, তাদের কাছেও।
তাই বাংলা ভাষা এবং বাংলা সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে কোনোমতেই কোনো বইয়ের নিন্দা করা যাবে না।
৮) এরপরেও যদি সমালোচনা করেন তাহলেও একটা কথা মাথায় রাখবেন।
কারোর কবিতা খারাপ লাগলেই তার চাটুকার থুড়ি ভক্ত থুড়ি সাহিত্য বোদ্ধারা এসে বলবেন —
ওহে, তুমি...
শেলি পড়েছ?
কীটস্ পড়েছ?
হোমার?
রবীন্দ্র-নজরুল-শক্তি - সুনীল নিদেনপক্ষে সুকান্ত?
ও, এখনো পড়া হয়নি?
তাহলে কোন আক্কেলে লেখার সমালোচনা করছো?
ওহে ছোকরা, কাকে সাহিত্য বলে সেটা আদৌ বোঝ?
কিন্তু কারোর লেখা গদ্যকে যদি দুর্দান্ত, কালজয়ী, আপনার শ্রেষ্ঠ লেখা এটিই আর লেখার দরকার নেই, বাংলা সাহিত্য তো বটেই এমনকি বিশ্বসাহিত্যও আপনার কাছে ঋণী হয়ে থাকবে ইত্যাদি লিখে পোস্ট দেন, তাহলে তখন কিন্তু কেউ এসে বলবে না —
ওহে, তুমি...
জয়েস পড়েছ?
অ্যাসিমভ পড়েছ?
টলস্টয়?
মানিক — বিভূতি, কমপক্ষে রবীন্দ্র-শরৎ?
ও, এখনো পড়া হয়নি?
তাহলে কোন আক্কেলে লেখার প্রশংসা করছো হে বোনটি?
ওহে, কাকে সাহিত্য বলে তার ধারণা আছে আদৌ ?
অতএব, কষে প্রশংসা করে যান।
৯) এবার প্রশংসা কীভাবে করবেন সেটাও জানাই। একটা স্যাম্পেল না পেলে টুকবেন কীভাবে। সেটাও নিয়ে এসেছি।
চলুন কয়েকটি নমুনা দিই।
1] প্রচ্ছদ অসাধারণ। এই কালারের বিভিন্ন ডিজাইনের প্রচ্ছদ এর আগে দেখলেও এমনটা দেখিনি, আর এই ডিজাইনের অনেক কালারের প্রচ্ছদ দেখলেও এমনটা আগে দেখিনি। এই প্রথম তোমায় দেখেছি, এই প্রথম কাছে এসেছি... ইত্যাদি।
2] অলংকরণ অত্যন্ত সুন্দর।
আমার note — ভাবছেন ভেতরে আঁকা ছবি না থাকলে কী লিখবেন? সেটাও বলছি।
তখন লিখবেন — ভালো জিনিস কম হলেই ভালো কবিগুরু বলেছেন, তাই এই বইতে অলংকরণের অনুপস্থিতিই একটা অলংকরণ।
3] বাঁধাই অত্যন্ত সুন্দর।
এবার আপনার নিশ্চয়ই বলবেন যে এমন বই তো থাকে যেগুলো ছেড়ে দিলে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে কী লিখবো?
দেখুন, এমনি এমনি রিভিউ লিখে নোবেল পাইনি। এরও উপায় আছে।
সেক্ষেত্রে লিখবেন — মজবুত বাঁধাই। শক্তপোক্ত বাঁধাইয়ের উপস্থিতি বইতে বুকমার্কের প্রয়োজনীয়তাকে বাঙ্ময় করেছে।
4] আরামদায়ক / শক্তিদায়ক / তৃপ্তিদায়ক ফন্ট।
এমন লিখবেন যেন লোকে ভাবে আপনি ফন্টটা দেখছেন না, চা-কফি খাচ্ছেন।
১০) এত কিছু লেখার পরে লোকে বইয়ের কন্টেন্ট নিয়ে আর মাথা ঘামাবে না। তাও না লিখলে দুষ্ট লোকেরা মন্তব্য করবে — "বিশদে লিখলে ভালো হত।"। কাজেই এখানেও ঢালাও প্রশংসা করে যেতে হবে।
1] ধরুন, বইতে অকারণে যৌনতা বা খিস্তি এসেছে। লিখবেন — এই বইটি দিয়েই বাংলা ভাষায় প্রাপ্তমনস্ক বইয়ের সূচনা হলো।
2] আবার ধরুন, প্রয়োজন থাকলেও যৌনতা বা গালি নেই। তখন লিখবেন — এই বইটি বাংলা সাহিত্যের চিরকালীন ভদ্রতাকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
3] আবার ধরুন, পিরিয়ড নিয়ে কবিতা লেখা হয়েছে, তখন লিখবেন — জীবনশৈলীর পাঠক্রমে এই বইটি পড়ানো অবশ্যই দরকার।
ইত্যাদি।
১১) রিভিউতে লেখক/লেখিকাকে নোবেল অন্তত পাইয়ে দেবেন। বাংলা ভাষায় লেখেন বলেই যে তিনি নোবেল পেলেন না এইটা লেখার শেষে একদম মাস্ট - মাস্ট - মাস্ট। এর থেকেই লোকজন বুঝে যাবে যে সাম্প্রতিক কালের বিশ্বসাহিত্য আপনার মর্মস্থ, পুরো বিশ্বের সমস্ত ভাষার সাহিত্য পড়েই আপনি সেই লেখক/লেখিকাকে নোবেল দিচ্ছেন।
১২) রিভিউ লেখার সময় নিজের ওপিনিয়নগুলি বিনা ব্যাখ্যায় ফ্যাক্ট বলে চালিয়ে দেবেন। এইটা করলে রিভিউতে লাইকের থেকে কমেন্ট বেশী আসবে।
যেমন — রবীন্দ্রনাথ উপন্যাস লিখতে পারতেন না।
শুধু এইটুকুই লিখবেন। কেন তার উপন্যাসগুলি আদপেই উপন্যাস হলো না, সেই ব্যাখ্যা লেখার ভুল করবেন না।
১৩) রিভিউতে একটি জিনিস অবশ্যই লিখবেন। প্রথমে যদি নাও লেখেন, শেষে অবশ্যই লিখবেন।
"এই বইটি পড়ে বোঝা যায় যে লেখক/লেখিকা প্রচুর রিসার্চ করে এই বইটি লিখেছেন।"
কারণ, বাকি সব লেখকরা কোনো পড়াশোনা না করেই লিখতে বসে যান, আর শুধুমাত্র আপনার লেখকই প্রচুর রিসার্চ করে বই লেখেন এইটা পাঠককে বোঝাতে হবে তো।
১৪) উপরের জিনিসটি নন-ফিকশন বইয়ের ক্ষেত্রে একবার লিখলেও চলে কিন্তু ফিকশনের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে এইটি একাধিকবার লেখা জরুরী। নাহলে অশিক্ষিত লোকজন সেটাকে থিসিস পেপার বলে ভুল করতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্যের নোবেলটা আবার ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ইত্যাদিতে চলে যেতে পারে। সেটা তো আর হতে দেওয়া যায় না।
এই বাক্যটি না থাকলে রিভিউ লিখে কোনোদিন বড় রিভিউয়ার হতে পারবেন না।
১৫) এই প্রসঙ্গেই আরেকটি কায়দা মাথায় রাখবেন। সাম্যবাদী হতে হবে।
না, না, লাল পতাকা ধরে মিছিল করতে বলিনি।
নন-ফিকশন আর ফিকশনের ভেদাভেদ মুছে দিতে হবে। এমনভাবে রিভিউ লিখবেন যাতে পড়ে বোঝাই না যায় যে বইটি ফিকশন না নন-ফিকশন।
আর এরপরে, লোকে ফিকশন চাইলে সেখানে নন-ফিকশন বই আর নন-ফিকশন চাইলে সেখানে ফিকশনের রেকমেন্ডেশন মেরে দিতে ভক্তরা তো আছেনই।
এমনি এমনি কি সাতদিনে তিনটে এডিশন হয় মশাই! হয় না, হয় না, হতে পারে না।
১৬) মাথায় রাখবেন, রিভিউ লিখতে গিয়ে লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের কোনো কাজের নিন্দা করলে মানহানির মামলার ভয় আছে, কিন্তু প্রশংসা করলে তো মানহানির মামলার ভয় নেই। কবিগুরু বলে গেছেন — বড়বাবুকে হনুমান বললে মানহানি হতেও পারে, কিন্তু হনুমানকে বড়বাবু বললে মানহানি হয় না।
কাজেই বইয়ের সাথে তথা সাহিত্যের সাথে সর্ম্পক না থাকলেও লেখক ব্যক্তিগত জীবনে কোথায় কী করে বেড়াচ্ছেন সেটার প্রশংসা করে রিভিউতে লিখতেই হবে।
বিশেষত যেকোনো একটা চাকরী করতে করতে যদি লেখেন তাহলে তো আর কথাই নেই। এইটা করা যে কত কঠিন সেটা বার বার লিখবেন।
তবে ব্যবসা করতে করতে লিখলে একটু নরম করে বকে দেবেন। বাঙালি ব্যবসা অপছন্দ করে তো।
আর এই সব অপ্রাসঙ্গিক জিনিস লিখলে রিভিউটা একটু লম্বাও হবে। কাজেই উইন-উইন সিচুয়েশন।
১৭) ইস্পেশাল নোট — নিজে লেখক হলে যে প্রকাশনা থেকে আপনার বই বেরিয়েছে বা বেরোতে চলেছে রিভিউতে তার ঢাক ভালোভাবে পেটাতে হবে।
এরই সাথে সেই প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত অন্য বই এবং তার লেখক/লেখিকাদের প্রশংসা করাও আপনার কর্তব্য। মাথায় রাখবেন, শুধুমাত্র প্রশংসা করবেন। কারণ —
কুপাঠক যদ্যপি হয়,
কুলেখক কদ্যপি নয়।
১৮) বই কেনার জন্য রিভিউতে বার বার পাঠকদের উস্কানি দিতে হবে, সেন্টিমেন্টাল সুড়সুড়ি দিতে হবে, "এই বই না কিনলে জীবন বৃথা" মার্কা ভয় দেখাতে হবে।
রিভিউ না, বইয়ের প্রমোশন, সেটা যেন পাবলিক বুঝতেই না পারে।
এইসব না করলে বাংলা বইয়ের দুর্দিন ঘনিয়ে আসবে।
আর কারোর বই কিনে খারাপ লাগলে রিভিউয়ার তো খিস্তি খাবে না, খাবে লেখক। কাজেই, নির্লজ্জের মতো, থুড়ি ভয় না পেয়ে লিখুন।
১৯) রেটিং দিলে সর্বোচ্চ মান পাঁচ হবে। দশে বা একশততে দিতে যাবেন না। অন্য লবির লেখকরা যদি জিজ্ঞেস করে —
প্লট কেমন ছিল?
ক্যারেক্টারাইজেশন কেমন ছিল?
ডায়লগে ডায়ালেক্ট কতটা ঠিকঠাক আছে?
উপন্যাস হলে তাতে সাব-প্লটগুলো গোটানো হয়েছে?
একশ নাম্বারে এইসব ব্যাখ্যা করতে গেলে বাংলা সাহিত্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সাহিত্য হতে পারবে না, কাজেই এই রকম পাকামি নৈব নৈব চ।
পাঁচে পাঁচ দিতে থাকুন। রিভিউ তে লেখার প্রচুর ভুল ধরে দিলেও পাঁচে পাঁচ।
২০) দেখুন, এমনিতে এমন রিভিউ লিখতে হয় যার ভাষা বইয়ের লেখার থেকেও ভালো। কিন্তু সবার তো অত ভাষার উপর দখল নেই, এই যা, নিন্দা করে ফেললাম।
দুঃখিত। আবার লিখছি।
দেখুন, এমনিতে এমন রিভিউ লিখতে হয় যার ভাষা বইয়ের লেখার থেকেও ভালো। কিন্তু, সবাই তো একইভাবে প্রশংসা করতে চান না।
সেক্ষেত্রে বই থেকে টানা এক-দুই পাতা লেখা পোস্টে নামিয়ে দিন আর সাথে নেখক/লেখিকার একটা মনোরম ফটো। আর ঐ রিসার্চ, নোবেল ইত্যাদি জিনিসগুলো গুঁজে দিতে হবে।
এটাও রিভিউ।
২১) বইয়ের রিভিউ লেখার সাথে বই বিক্রিও শুরু করুন। নিজেই বইয়ের প্রশংসা করবেন, আর নিজেই সেই বই বিক্রি করবেন।
না, এতে conflict of interest একেবারেই হবে না।
২২) এইসব করে-টরে একটু জনপ্রিয় হলে ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, পেট্রিয়ন, ওনলিফ্যানস ইত্যাদি জায়গায় আসুন। আগে নিজের খরচে বই কিনে রিভিউ করতেন, এবার টাকা ও বই দুটোই নিয়ে প্রমোশনাল ভিডিও করুন, তবে সেটার নাম রিভিউ লিখে ভিউয়ারদের কাছেও টাকা নিতে থাকুন, নিজের লেভেল মেন্টেন করতে বিনা পয়সায় রিভিউ করবেন না।
অস্কার কে আটকায়!
আমিও টুইচে আসবো ভাবছি।
কী বললেন? টুইচে লোকে খেলা দেখায়?
আরে, এই রিভিউ লেখাটা তার থেকে আলাদা কিছু নাকি!!
—————————————————————————————————————————————
আপনারা আরো কোনো পয়েন্ট-ফয়েন্ট পেলে জানাবেন। আমিও রিভিউ লেখা শিখবো। আরো একটা নোবেল পেতে হবে তো।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।