এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ডাক্তারবাবু

    Siddhartha Mukherjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩৩৭৪ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • ডাক্তারবাবু

    (আজকের দিনে তিনবছর আগে ভেঙ্গে পড়েছিল মাঝের হাট ব্রিজ। কয়েক বছর আগে, ২০১৬ র ৩১ শে মার্চ, ধ্বসে পড়ে ব্রেবোর্ন স্ট্রীট ফ্লাইওভারের নির্মিয়মাণ অংশ। লেখাটি সেই সময় কে মনে রেখে।)



    আমরা বলতাম : বলরাম মল্লিকের দোকান।
    বালু মল্লিক, বালুদা, ছিলেন আমাদের অ্যানাটমি হলের হেড ডোম। যে সব নামগোত্রহীন শব শেষ পর্যন্ত Dissection এর জন্য বরাদ্দ হতো, তাদের দন্ডমুন্ডের কর্তা ছিলেন বালুদা।

    কোনটিকে কোন শ্বেতপাথরের টেবিলে শেষ শয্যায় রাখা হবে, উপুর না চিৎ -- পার্ট, আইটেম, সিমেস্টার অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা করতেন !
    এক্কেবারে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের মত। ক্ষমতা বোধহয় বেশিই ছিল নিধিরাম ভোটবাবুর চেয়ে।

    কালোকুলো, দড়কচা মারা চেহারা, বেশ গম্ভীর মানুষটির বয়স বলা মুশকিল। বরং, মুড ভাল থাকলে, তার একমাত্র ছেলেটির নাম আর বয়স স্বতো:প্রণোদিত ভাবে বলে দিত -- "লালন মল্লিক... বিশ সাল তো হবেই! " - অনেকটা এই ভাবে।

    তো, সে হেন বালুদার সাথে আমার প্রগাঢ় হৃদ্যতা গড়ে উঠেছিল বেশ চমকপ্রদ ভাবে।

    চকখড়ির বাক্সের মধ্যে পেঁজা তুলোর আস্তরণে "ইথময়েড"... "স্ফেনয়েড" ইত্যাদি অতি নরম কিছু Spongy Bones নিয়ে বালুদা এসে উপস্থিত হয়েছিল আমাদের বাড়িতে। কারণ একটাই, বেশ দামি ওই মুখ ও মাথার হাড়গুলি আমি নেব ব'লে কথা দিয়েও তাকে ঘোরাচ্ছিলাম... তাই কলেজ আপিস থেকে ঠিকানা যোগাড় করে সোজা বাড়িতে... এখনকার Claim Agent দের "বসুমতী" সংস্করণ যেন।

    আমার পিতৃদেবও ছিলেন একই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী... এবং আলাপচারিতায় বিক্রমপুরের "হল অফ ফেম" খ্যাত!

    চা-বিস্কুট খেতে খেতে বালুদা সেদিনই প্রথম জানতে পারে যে, তার বাবা - কালু মল্লিক (তখন অ্যানাটমি হলের জুনিয়ার ডোম) দারুন গান গাইত... বস্তুত কলেজের নানা অনুষ্ঠানে সেই ছোকরা, কুন্দনলাল সায়গল সাহেবের "যব দিল হি টুট গ্যয়া" গেয়ে মাত করে দিত... মেইন হোষ্টেলের ছাদে বসে গানের ফাঁকে সক্কলের সাথে "পল-মল" সিগারেট ফুঁকত.... আর তার বড় ছেলেটির জন্মের সময় রাতবিরেতে Forceps Delivery করতে হয়েছিল এই ধীরাজ মুখুজ্জেকেই!

    বালু মল্লিক খানিক ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে বাবার পা ছুঁয়েছিল। কেমন অচেনা স্বরে বলেছিল : সারা জীবন শুধু মুর্দাফরাশ রইলাম বাবু... পা ধরলাম বলে ঘেন্না করলেন না তো? :

    সেদিন থেকে, কোন অজ্ঞাত কারণে, আমি ওর 'দাদাবাবু' হয়ে গিয়েছিলাম।

    বালুদার তো বটেই, তার ছেলে লালনের... এমনকি নাতি চন্দনেরও -- দাদাবাবু !
    যাকে বলে ভদ্রলোকের এক "রিস্তা"।

    ****

    সেই যোগাযোগ টা কিন্তু রয়েই গিয়েছিল।
    ইন্টার্ন-হাউসস্টাফ থাকার সময় খবর পেলাম লালনের চাকরি হয়েছে -- মর্গে। ময়নাতদন্তের সহকারী ডোমের পোস্ট। সেই উপলক্ষে বালুদা জমিয়ে পার্টি দিয়েছিল mortuary র পেছনের মাঠে। আহা, এখনো জিভে লেগে আছে সেই সুপক্ক পর্কের ঝালঝাল সোয়াদ -- কোথায় লাগে তার কাছে Calcutta Club এর Spare Ribs !

    সেই ঘনায়মান আঁধারে এক সময় বালুদা এসে বসে ছিল আমার পাশটিতে। নেশা মেশানো নীচু গলায় বলেছিল :

    " দাদাবাবু, আমার বড় সপপন ছিলো লালন মুর্দাফরাশ হবে না। জিন্দা আদমি তুলবে... ইলাজের জন্য হাসপাতাল আনবে এম্বুলেন্স চাপিয়ে।
    .... হল না। শালা মর্গে ডিউটি পেল -- অ্যানাটমি ঘরেও নয়।
    সবাই বলে ওখানে পয়সা আছে। ডেড দের গায়ের আংটি -হার ঘুরিয়ে দিলেই হলো। আমি লেকিন হেরে গেলাম দাদাবাবু।

    ..... মুর্দাফরাশের বেটা ডাক্তার হবে তো ভাবলাম না -- এটেন্ড্যান হবে... এটা তো ভাবা যায় বলুন?
    লালন তো ইন্টার পাশ ভি করল! তবুও.... "।

    স্তোকবাক্য শুনিয়েছিলাম বালুদাকে। বলেছিলাম : "আরে, লালনের বিয়ে হবে... ছেলেমেয়ে হবে... তাদের ভালোভাবে পড়িয়ো... হয়ত একদিন কেউ ডাক্তারই হবে ! সেদিন যেন জানাতে ভুলোনা দাদা! "

    বালুদা ম্লান হেসে বলেছিল : দাদাবাবু, আর একটু মানসু নিতেই হবে লেকিন।

    ******

    মেডিক্যাল কলেজের পাট চুকোনোর পর যোগাযোগ আস্তে আস্তে কমে এলেও একেবারে ছিন্ন কখোনই হয় নি। কলেজে গেলেই দেখাও হত লালনের সাথে। একসময় তার বিয়ে হলো।
    এর মাঝেই খবর পেলাম বালুদা মারা গেছে।

    বিদেশ থেকে ফিরে একবার চিঠিচাপাটির পাঁজার মধ্যে পেলাম লালনের একমাত্র পুত্র চন্দনের মুখেভাতের আমন্ত্রণ পত্র - ইংরেজি আর হিন্দীতে ছাপা নীল কার্ড !

    লালন ইতিমধ্যে ইউনিয়নের কেষ্টবিষ্টু হয়েছে -- প্রতিপত্তি বেড়েছে - পার্টিনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে অশোকনগরে বেনোজলে ভেসে আসা একফালি জমিবাড়ি পেয়েছে - দেশগ্রাম মোতিহারি তে জমিজমা আরও বাড়িয়েছে... ইত্যাদি ।

    ছেলেকে নাকি RMP ডাক্তার বানাতে পাঠিয়েছিল বিহারে -- কোন Alternative Medical College এ... অনেক খরচটরচ করে একটা ছাপ্পা মারা কাগজ নিয়ে ফিরেছে। ব্যস, ওই পর্যন্ত ই। কোন চাকরি হয়নি। বরং পাতাখোর বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে বাপ-মার প্রভূত অশান্তিসাধন করে চলেছে।

    লালনের কথায় : ভাবলাম ডাংতার বানাবো... ফেরেব্বাজ বনে গেল। মুর্দাফরাশ ভি হল না।
    বড়বাজার চিৎপুর মেছুয়া তে ঘুরে ঘুরে রোগী ধরার দালালি করে!
    কবে যে জেলে যাবে... বহোত চিন্তায় আছি দাদাবাবু । আপনি যদি একটু সমঝাতেন চন্দনকে...

    ****

    কাজেকম্মে কয়েকদিন একটু কলকাতার বাইরে আছি। তারই মধ্যে গতকালের উড়ালপুলের ভেঙ্গে পড়া ! Whatsapp এ যখন একটার পর একটা ছবি আর দু:সংবাদ এসেই চলেছে... তখনই মোবাইল ফোনের পর্দায় একটি নম্বর ভেসে উঠল।

    চন্দন মল্লিক।

    মাঝেমধ্যে ফোন করে। কোন চাকরির তদ্বির করতে হবে কিংবা খেলার টিকিট চাই... এইসব আব্দার নিয়ে।
    সবেমাত্র বলতে যাচ্ছি...বাইরে আছি - পরে কথা হবে....
    তার আগেই এক নি:শ্বাসে চন্দন ঝড়ের বেগে বলে চলল কত্তো কথা :

    " দাদাবাবু নমস্কার। আজ তো গজব হয়ে গেল দাদাবাবু। আমার যেমন ডেলি-কা-ডেলি ধান্দা থাকে, তেমনি মেছুয়া-কলাকার ইস্টিট থেকে ফিরছি। হটাক, পুরা ব্রিজটা ধড়াম দানি পড়ে গেল। ধূলা উড়ল কি ! যেন সত্যনাশ আজই হবে, দাদাবাবু। হাজার-পাঁচশো লোগ ত চাপা চলে গেল, ডেড়-দুশো গাড়িবাস ভি ! আমার এক লাথখোর ফ্রেন্ড ভি ছিল সাথে। সুয়ারটা বলে কি : চল চন্নু, সোনাচাঁদি কিছু পাওয়া যাবে কি না দেখি!
    বাঞ্চোতটাকে মারলাম এক লাথ।
    দাদাবাবু, গালি বকে ফেললাম... মাফ করবেন। আমার মাথা তো ঠিক নেই এখন !
    তো, আমি দেখি কি একটা ভাঙ্গা পিলারের পিছনে উল্টে আছে একটা অটো। চোদ্দো আনা মচ্ছরের মতো চিপ্টে গ্যাছে বাবু।
    সামনের সিটে বসেছিল একটা মেয়েছেলে। আমার উওমর, গোরা চিট্টা ! খুব ব্লিডিং হচ্ছে... সালোয়ার পুরা গিলা... লেকিন দাদাবাবু... জিন্দা থি আউরত... আমি পালস দেখলু দাদাবাবু।
    পালস দেখতে আমি জানি.. সত্যি জানি বাবু।
    মাথার গামছা খুলে আমি ব্যান্ডেজ বাঁধলু। গামছা নতুন ছিল...সচ। নাইলে তো সেপ্টিক হয়ে যাবে... ঠিক না দাদাবাবু?
    সালোয়ার ফাড়কে ব্যান্ডেজ করনা পরা... লেকিন আমি কিচ্ছু দেখিনি বাবু... আমার মাথা তখন পাগল পাগল লাগছিল... সচমে দাদাবাবু।

    কান্ধের পরে চড়িয়ে এদিকে আসলে পরে দেখি একটা ভ্যান গাড়ি। শালা যার গাড়ি সে বোধহয় মরেই গেছে। তো, উনাকে গাড়িতে শুইয়ে আমি দিলাম ধাঁ!

    মেটিয়া হাসপাতালে এনে ডাংতারবাবুকে ঝুটমুট বললাম: আমি ইউনিয়ানি লোক। আগে দেখুন একে।
    স্যারটা ভাল ছিল দাদাবাবু। সেলাই দিল চার-পাঁচটা। দাওয়া দিল। নার্স পানি ভি পিলায়া।

    আর বলল কি, দিদিমণি গাভীন আছে।

    আমি ওর হাতে ধরে রিকেস্ট করলু : দেখুন না স্যার, বাচ্চাটা মরে নি তো!
    ততক্ষণে হাজার পিসেন্ট আসতে শুরু হয়েছে। তাও উনি আলা বসিয়ে পেট দেখলেন।
    বললেন : ঠিক আছে। স্ক্যান ছবি তুলতে হবে। বাড়িতে খরব দাও।

    দাদাবাবু, এবার না দিদিমণি তাকালো।
    আর আমি বল্লাম কি : আপনি পুরা ঠিক আছেন। ফোন নাম্বার বলুন - বাড়ির লোক কে ডেকে এনে আমি তবে যাব।

    উনি আমাকে "ডাক্তারবাবু" বলে ডাকলো দাদাবাবু !
    বললো উনার নাম - উষা... উষা রায়।

    দিদিমণি আমায় আবার ডাক্তারবাবু বলল --
    এই নিয়ে দুবার!

    আমি ওর বাড়িতে ফোন করলাম। এক্ষুনি ওরা আসছে। আমি এই চান্সে আপনাকে ফোনে মেলালাম দাদাবাবু। : "

    আমি ধাতস্থ হয়ে বোধহয় বলেছিলাম : একটু জল খাও তুমি, চন্দন। শান্ত হও।

    " :: আমি তো পারলু, দাদাবাবু।
    মুর্দা নিয়ে আমি তো হাসপাতালে আসিনি।
    দিদিমণি জিন্দা আছে... বাচ্ছাটা ভি জিন্দা !
    আপনি বলুন দাদাবাবু, আমি পারলু না? : "

    ****

    ক'জন মারা গেছে.. জানতে চাইনি ওর কাছে। সেই হিসেব করার জন্য ততক্ষণে রাজপথে নেমে পড়েছে রাজনীতির শকুন আর হায়নার দল। পরে জেনে নেব না হয়।

    এই মুহূর্তে আমি জানলাম, এই মর্মন্তুদ ঘটনায় অন্তত একজন... উষা দিদিমণি... বেঁচে আছে। তার মধ্যেই বেঁচে আছে কলকাতার একটুকরো ভবিষ্যতও ।

    ....... আর হ্যাঁ, চন্দন পেরেছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৩৩৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Subhra Kumar Nandy | 42.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:২৬497591
  • ঠিক যেন  সরেশদার  লেখা  মশাই 
  • Karobi Mukherjee | 2402:3a80:aa4:5f4c:ecef:b635:4cc:***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৫:২২497594
  • খুব সুন্দর  উপস্থাপনা . মন  ছুঁয়ে gelo. চন্দন   দের মানবিকতা ই  পৃথিবী ke বাঁচিয়ে  রেখেছে 
  • বাণীব্রত বসু | 122.163.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:১৬497598
  • খুবই মর্মস্পর্শী লেখা! 
  • নির্মাল্য সেনগুপ্ত | 171.5.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৩০497599
  • এগুলো হচ্ছে, সেই 'মন ভালো করে দেওয়া লেখা', যেগুলো হঠাৎ করে পড়ে ফেলার পরে, পৃথিবীটা হঠাৎ সুন্দর লাগতে শুরু করে!
  • Sandip Datta | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:১৩497600
  • ওই আশা আর আশার গান , যাওয়ার মগ
  • Dr Ashit Kumar Dutta | 223.19.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৪২497602
  • খুব ভাল লাগলো লেখাটা পড়ে।লেখাটা পড়তে পড়তে অনুভব করলাম এই লালনরা আছে বলেই মানবিকতা শব্দটি এখনও টিকে আছে।
  • Kumarda | 2409:4042:4e96:881c:97f0:8a38:6bea:***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:০২497603
  • নস্টালজিক এন্ড এক্সসেলেন্ট ফাদার্স true wish notional fruition.
  • ডাঃ আলপনা (ঘোষ) চৌধুরী | 2409:4060:e88:c2bf:81ba:d350:58f5:***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৮:০৬497604
  • খুব খুব খুব ভালো লিখেছিস। 
    আমার বাড়িতেও ঐ ভাবেই হাড়গোড় দিয়ে গিয়েছিলো।
  • ভূদেব সেনগুপ্ত | 2405:201:800b:c8dd:719c:4fc3:ce77:***:*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:১৩497612
  • খুবই দরদী লেখা।
  • kaktarua | 134.238.***.*** | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:৩৪497622
  • বাহ্! 
  • Somenath Guha | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:০৫497731
  • ভালো
  • Kuntala Lahiri-Dutt | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৫৫497746
  • মেলোড্রামাকে সন্তর্পণে বাঁচিয়ে লিখেছেন। মন ছুঁয়ে গেল এই অ্যাসপিরেশনের কাহিনী।
  • Prajna Paramita Bhattacharjee | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:১৩497781
  • এই লেখায় যে মানবিক দিকটি উজ্জ্বল সেই দিকে কতবার যে মুখ ফেরাই....
  • Siddhartha Majumdar সিদ্ধার্থ মজুমদার | 103.77.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৩:১৬497951
  • ভীষণ সুন্দর লেখা। ছুঁয়ে গেল। দরদী মন ফুটে উঠেছে যেন প্রতিটি অক্ষরে। চরিত্রগুলি নিপুণ ভাবে উপস্থিত করেছেন লেখক। এই লেখকের অন্য লেখার মতন, এই লেখাটিও একটানে পড়িয়ে নিল।  
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন