এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ভ্রমণ  দেখেছি পথে যেতে

  • হিমালয়ান্ ব্লুজ (পর্ব ৩)

    Debayan Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ভ্রমণ | দেখেছি পথে যেতে | ২৩ এপ্রিল ২০২১ | ৩৩৮২ বার পঠিত
  • সাইপ্রেসের ব্রিজ (পর্ব ৩)


    ঠিক যেমন একটা ট্রেন ধরে তাহাস্কোঁ বা হুয়াঁ পৌঁছে যাওয়া যায়, মৃত্যুতে সওয়ার হয়ে আমরা একটা তারার কাছে পৌঁছে যেতে পারি। একবার মরে গেলে যেমন আর ট্রেনে চাপা সম্ভব নয়, ঠিক তেমনই - বেঁচে থাকতে তারাদের কাছে পৌঁছনো অসম্ভব। আমার তাই মনে হয় - হয়তো কলেরা, টিবি, কিংবা ক্যানসার - এগুলো সবই যাতায়াতের এক-একটা অপার্থিব মাধ্যম। আমাদের স্টিমবোট, বাস, বা রেল যেমন - তাই।


    বার্ধক্যের শান্ত মৃত্যু যেন পায়ে হেঁটে সেখানে পৌঁছনো।


    (ভাই থিও-কে লেখা ভিনসেন্ট ভ্যান গখের একটা চিঠির অংশবিশেষ।)


    --


    আমাদের দেশে এখনো এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে সূর্যাস্তের সময় আকাশে গোধূলির হলুদ রং পরিষ্কার দেখা যায়। এই জায়গাটা সেরকমই একটা জায়গা। আমি অবশ্য এখানকার সূর্যাস্ত দেখিনি - শুনেছি শুধু।


    দেখতাম, যদি না বিকেল থেকেই নিখিলদার শরীরটা খারাপ হওয়া শুরু হত।


    আজ সকালে আমাদের হাঁটা শেষ হয়েছে। নেমে এসে এই লজ্-টায় উঠেছি। ছোট্ট লজ্, দুটো মাত্র ঘর। সামনে বারান্দা আছে একটা।


    দুপুরের খাওয়াটা হয়েছিল ফাটিয়ে।


    নিখিলদা লিটেরালি আমার বাপের বয়সী। তবু যে কেন দাদা বলে ডাকি, জানিনা।


    নিখিলদা আর্টিস্ট। একসময় সরকারি চাকরি করেছে, এখন পুরোদস্তুর আঁকা-ফটোগ্রাফি-থিয়েটার নিয়ে থাকে। রোগা, ঢ্যাঙা চেহারা। কালো-কালো বলিষ্ঠ দু'টো হাতে অসংখ্য শিরা বেরিয়ে আছে।


    নিখিলদা জামা, গেঞ্জি, এমনকি জ্যাকেটও - সবসময় হাতা গুটিয়ে পড়ে।


    প্রথমটা পেটে, তারপর বুকে। চৌকিতে শুয়ে নিখিলদা রীতিমত কাতরাচ্ছে। গ্যাসের ব্যথা নিশ্চয়ই। নিখিলদার বয়েস হয়েছে। ওভাবে বুকে হাত চেপে শুয়ে থাকতে দেখে আমার ভয়-ভয় করছিল।


    এখানে সব আটটার মধ্যে শুয়ে পড়ে। ম্যানেজার ছেলেটাকে খুঁজে পেলাম না। চেঁচামেচি করে একটা গুমটি খুলিয়ে কয়েক প্যাকেট ইনো জোগাড় হল। নিখিলদাকে পরপর দু'প্যাকেট ইনো খাইয়ে দিলাম।


    রাতের দিকে ব্যথাটা অনেক কমল। নিখিলদা একটা সিল্ক কাট ব্লু ধরিয়ে দু'টান মেরে বলল - একটা গল্প শুনবি?


    আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে নিখিলদা শুরু করল।


    --


    বছর তিরিশেক আগেকার ঘটনা। আমরা তখন পাহাড়ে যেতাম ম্যাপ দেখে, গল্প শুনে। ক্লাবের এক দাদার কাছে গল্প শুনলাম একটা লেকের। অদ্ভুত সুন্দর গ্লেসিয়াল লেক, লেকের চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে আছে মানুষের হাড়-কঙ্কাল। শুনেই গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল।


    প্ল্যান করা, গাইড ঠিক করা, সব আমিই করলাম। ধনঞ্জয় অনেকটা হেল্প করেছিল অবশ্য। ধনঞ্জয় খুব ভালো ছেলে, রেল হাসপাতালের কম্পাউন্ডার ছিল। ন'-দশজনের টিম হল।


    ট্রেন-বাসের পর্ব মিটিয়ে রোডহেডে পৌঁছলাম।


    ছোট টাউন মতন। কাজচালানো হোটেল, টেলিফোন বুথ - এসব আছে অবশ্য। গাইড শেরা সিং হোটেলে দেখা করতে এল।


    শেরা সিংয়ের হাইট প্রায় ছ'ফুট। নেপালিরা সাধারণত এত লম্বা হয়না। বোম্বের ভিলেন ড্যানিকে মনে আছে? অনেকটা ড্যানির মতন দেখতে। আমরা ওকে আড়ালে ড্যানি বলা শুরু করলাম।


    গাইড পোর্টার মিলিয়ে প্রায় জনা পনেরোর দল। আমাদের হাঁটা শুরু হল।


    গ্রাম ছাড়িয়ে রামদানার ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে পথ। রামদানার সোনালী-পার্পল্ ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে কি যে ভাল লাগে, কি বলব!


    মিনিট পনেরোর মধ্যে এক জঙ্গল সাইপ্রেস গাছের মধ্যে গিয়ে পড়লাম। কবেকার গাছ সব, কে জানে! কয়েকশো বছর পুরোনো তো বটেই। বিরাট উঁচু, ইয়া মোটা কান্ড। চারজনে মিলেও ঠিকঠাক জড়িয়ে ধরা গেল না।


    সাইপ্রেস গাছ দেখেছিস কখনো? গোপেশ্বরেও আছে একটা। ঝর্ণার ধারে, কখনো গেলে দেখিস। ওটাও খুব পুরোনো।


    সাইপ্রেস পাবি ভ্যান গখের স্টারী নাইট ছবিতেও। ফোরগ্রাউন্ডে যে এক জোড়া গাছ আছে, ওই দুটো। জীবন্ত শহর আর মৃত আকাশের মধ্যেকার ব্রিজ যেন গাছগুলো।


    যাইহোক। জঙ্গলে রাজুর সঙ্গে খুব বন্ধুত্ব হয়ে গেল।


    রাজু পোর্টার। নেপালের ছেলে। শর্ট হাইট, টুকটুকে ফর্সা রং - রোদে একটু ট্যান্ হয়ে বাদামি হয়ে গেছে। মুখে হালকা গোঁফের রেখা। আমাকে নিজের স্টকের বিড়ি খাওয়াল।


    জঙ্গলের বন্ধুত্ব বোধহয় খুব দৃঢ় হয়। ওইসব বন্ধুত্বে একটা আদিম ব্যাপার আছে। ড্যানিও রাজুকে খুব পছন্দ করে, দেখলাম।


    সাইপ্রেসের জঙ্গল পেরিয়ে একটা উঁচু রিজে উঠে আবার নেমে আসা। একটা চওড়া ঝর্ণা পেলাম। সবাই বোতলে জল ভরে নিল।


    ট্রেডমার্ক পাহাড়ি পথ। ওক্-রডোডেনড্রনের মধ্যে দিয়ে উঠে চলা। পায়ের তলায় শুকনো পাতা ভাঙার শব্দ। সবাই চুপ করে হেঁটে চলেছে।


    রাতে একটা ওক্ বনে ক্যাম্প হল। আগুনের চারপাশে খেতে বসেছি, এমন সময় বৃষ্টি নামল। থালা হাতে সব টেন্টের মধ্যে সেঁধিয়ে গেলাম।


    পরপর দু'দিন বুগিয়ালের মধ্যে দিয়ে পথ। দূরে হিমালয়ের বিখ্যাত পিকের ভিড়। রাজু এই রুটে আগে কখনো আসেনি। দেখি, আমাদের চেয়েও বেশি অবাক হয়ে যাচ্ছে ও।


    ফোর্থ ডে-র দিন আর টেন্ট পিচ্ করার দরকার পড়ল না। সন্ধ্যে হবে হবে, ক্যাম্পসাইটে পৌঁছে দেখি - পাথরের তৈরি দু'কামরার শেপার্ডস্ হাট রয়েছে। আকাশে কালো মেঘ। ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল।


    আমরা অনেকেই বারণ করলাম, বললাম - এখন আর বৃষ্টির মধ্যে বেরিয়ে কাজ নেই। ঘরের মধ্যেই তো থাকা - আগুন না জ্বললেও চলবে।


    রাজু শুনল না। আধো-অন্ধকারে বেরিয়ে গেল কাঠ আনতে। শুকনো কাঠ কোথায় পাবে, কে জানে!


    আমার শরীরটা ভালো ঠেকছিল না। শীতশীত ভাব, পেটে ব্যথা। রাজুকে যেতে বারণ করলাম বটে, তবে মনে মনে ভাবছিলাম - একটা জম্পেশ আগুন জ্বললে মন্দ হত না!


    খানিকক্ষণের মধ্যেই রাজু ফিরে এল। এক বান্ডিল কাঠ এনেছে। পুরো ভিজে গেছে, কিন্তু মুখে হাসি। খুব খুশি হলাম। মুখে কিছু বললাম না অবশ্য।


    একটা ঘরে ধনঞ্জয়রা শুল। আমি এপাশের বড় ঘরটাতেই রইলাম। এখানেই রান্না হয়েছে, আগুন জ্বলেছে। আগুনের কাছেপিঠে শোব আজ রাতটা।


    তখন বোধহয় শেষ রাত। কাঠের দরজা খুলে কেউ একজন বাইরে গেল, বুঝতে পারলাম। বমির শব্দ। যে বাইরে গেছিল, সে আবার ফিরে এল। আমার চোখ লেগে আসছিল।


    আবার সেই একই শব্দ। কেউ বেশ অনেকক্ষণ ধরে বমি করল। আমি উঠে পড়লাম।


    বাইরে থেকে রাজু এসে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ল। দরজা ভেজায়নি, হু-হু করে হাওয়া ঢুকছে। রাজুর বুকের ঘরঘরানি, অনিয়মিত নিঃশ্বাসের শব্দ সেই হাওয়ার দমকে ঘরের প্রতিটা কোনায় ছড়িয়ে পড়তে লাগল।


    চিৎকার করে ধনঞ্জয়কে ডাকলাম। ধনঞ্জয় এসে রাজুর টেম্পারেচার নিল। নাড়ি ধরে বসে রইল বেশ কিছুক্ষণ। ওর মুখ গম্ভীর হয়ে গেল। বলল - নিখিলদা, ওর পায়ের তলায় জোরে জোরে মালিশ করো, এক্ষুনি।


    মালিশ করতে করতে বুঝতে পারছিলাম, রাজুর পা দু'টো ঠান্ডা হয়ে আসছে। যতই ঘষি, কিছুতেই গরম করতে পারিনা।


    ধনঞ্জয় পাশের ঘর থেকে ওর ওষুধের বাক্সটা নিয়ে এল। এক শিশি কোরামিন নিয়ে এসেছিল ও। শিশি বের করে দেখি, পুরো মালটাই বেকায়দায় কোনভাবে বাক্সের মধ্যে পড়ে গেছে। ধনঞ্জয়ের স্যাকটা গত দু'দিন রাজুই বয়েছে।


    শিশি ঝাঁকিয়ে দু'ফোঁটা কোরামিন রাজুর মুখে দিলাম।


    তখন ভোর হচ্ছে। আকাশে শুকতারা দেখা যাচ্ছিল। আমি বাইরে বেরিয়ে একটা সিগারেট ধরিয়েছি, এমন সময় ধনঞ্জয় এসে বলল - নিখিলদা, রাজু মরে গেছে।


    ঘরে ঢুকে একেবারে ঠান্ডা হয়ে গেলাম। রাজু মরে পড়ে আছে। আমার টিমমেটরা মন্ত্রমুগ্ধের মতন ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে। বাকি যে পোর্টাররা, তাদের দেখি - কোত্থেকে চাবড়া-চাবড়া মাটি নিয়ে এসে রাজুর বডির ওপর ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলছে। বিড়বিড় করে কিসব বলছে। শুনতে মন্ত্রের মতন লাগছিল।


    সবচেয়ে অবাক লাগছিল, যখন পোর্টাররা মাঝে মাঝে আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকাচ্ছিল। ওদের দৃষ্টিতে আমার পরিচিত পোর্টার-সুলভ বদান্যতা আর নেই। আমার বেশ ভয় করছিল।


    বেলা বাড়ল। শেরা সিংয়ের সঙ্গে কথা বলে একটা ডিসিশন নিলাম - রাজুকে এখানেই কবর দিয়ে আমরা আজই নেমে যাব।


    টিমমেটদের বাইরে ডেকে ওদের সিদ্ধান্তটা জানালাম। অদ্ভুত কান্ড, বুঝলি! আমায় স্পেলবাউন্ড করে দিয়ে টিমটা মুহূর্তের মধ্যে দু'ভাগে ভাগ হয়ে গেল। একদল আমার সঙ্গে নেমে যেতে রাজি। অন্যদল বলল - এখান থেকে লেকটা আর মাত্র দেড় দিনের পথ, এদ্দুর এসে ফিরে যাওয়া - সেটা কি ঠিক হবে?


    আমি বললাম - যেতে হয়, একলা যাও। আমরা যাব না। যাবে না শেরা সিং, পোর্টাররাও। আর একলা গেলে, ফিরতেও হবে একলা। পারবে তো?


    এরপর আর কোন কথা হয়না।


    পাহাড়ের একটা ঢালে, ক্যাম্পসাইটের একটু আড়ালে একটা গর্ত খোঁড়া হল। রাজুকে দড়ি দিয়ে নামিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দিল পোর্টাররা। তিনটে বড় বড় বোল্ডার গড়িয়ে নিয়ে এসে কবরের ওপর সাজিয়ে দেওয়া হল। শেয়ালে যাতে মাটি উপড়ে বডি তুলে না নিয়ে যায়, তাই হয়তো। ওই অল্টিটুডে কি শেয়াল পাওয়া যায়?


    নামা শুরু করলাম। বেলা করে বেরিয়েছি, ক্যাম্পে পৌঁছতে প্রায় সন্ধ্যেরাত হয়ে গেল। যাওয়ার পথে এখানটায় টেন্টে থেকেছিলাম, এখন আর তা হল না। একটা শেপার্ডস্ হাট মতন আছে, একটাই ঘর - সেখানেই সবাই শুয়ে পড়লাম। একটা খিচুড়ি-ঘ‍্যাঁট খেয়ে।


    তখন অনেক রাত। কত রাত, তা অবশ্য মনে নেই। ঘরের একমাত্র জানলাটার পাশ দিয়ে কিছু একটা হেঁটে যাওয়ার শব্দ হল। কেউ একজন দরজার কড়া নাড়ল এক-দু'বার।


    ধনঞ্জয়কে বললাম - ধনঞ্জয়, জেগে আছো?


    ধনঞ্জয় চাপা গলায় বলল - শুনেছি।


    কেউ যেন, ঘর থেকে এবার অনেকটা দূরে - একটা কাগজ ছিঁড়ে ফেলল। হাঁটাচলার শব্দটা আবছা হয়ে আসছিল।


    ভোর হল। বাইরে বেরিয়ে দেখি, শেরা সিং একা দাঁড়িয়ে বিড়ি ফুঁকছে। আমায় দেখতে পেয়ে বলল - বাবু, কাল রাতে - শুনেছেন?


    শুনেছি।


    আমি বললাম।


    শেরা বলল - ভাল করেছেন, পাল্টা আওয়াজ দেননি।


    আমি বললাম - আওয়াজ দিয়েই বা কি হত, বলো?


    --


    নিখিলদা থামল।


    - তারপর?


    নিখিলদা বলল - তারপর আর কি! রোডহেডে ফিরে এলাম। হোটেলে সে রাতে কি ঝামেলা! আমাদের পোর্টাররা, আরো অন্য অনেক লোকাল ছেলে - ঘরের বাইরে ধর্না দিয়ে বসল। টাকাপয়সা চায়। ওখানকার আর্মি ক্যাম্পের এক বাঙালি ডাক্তার খুব সাহায্য করলেন। সেনার জওয়ানদের এনে ভিড় খালি করানো থেকে শুরু করে আমাদের বাসে চড়িয়ে দেওয়া পর্যন্ত। শেরা সিংও বরাবর আমাদের সঙ্গে সঙ্গে ছিল। একবারের জন্যেও ছেড়ে যায়নি।


    ধনঞ্জয় পরে কোত্থেকে খবর জোগাড় করে আনল - এই ট্রেকটা কমপ্লিট করেই নাকি রাজু কাঠমান্ডু ফিরে যেত। শেরা সিংয়ের বোনের সঙ্গে ওর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, সেই বিয়ে করতে!


    নিখিলদা আরেকটা সিগারেট ধরাল। আমি উঠে ঘরের বাইরে এলাম। বারান্দায় একটা হলুদ আলোর বাল্ব জ্বলছে।


    বাল্বটা ঘিরে একঝাঁক পোকা আর একটা মথ্ উড়ছিল।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ভ্রমণ | ২৩ এপ্রিল ২০২১ | ৩৩৮২ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    একক - Debayan Chatterjee
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ২৩ এপ্রিল ২০২১ ১৬:৩৬105061
  • পড়ছি।

  • Debayan Chatterjee | ২৫ এপ্রিল ২০২১ ১৯:৩৭105170
  • অনেক ধন্যবাদ!

  • ইন্দ্রাণী | ০৬ মে ২০২১ ১৪:৪৭105608
  • আগে পড়ি নি। নিয়মিত পড়া হয় না আজকাল।

    অসম্ভব ভালো লাগল।
    আপনার লেখা খুঁজে খুঁজে আরো পড়ব -
    নমস্কার জানবেন।

  • ইন্দ্রাণী | ০৬ মে ২০২১ ১৪:৫৪105609
  • শুরু, শেষ, গোটা লেখাটার তৈরি হয়ে ওঠা আশ্চর্য সুন্দর। অথচ অনায়াস।
    বিন্যাস, চলন, কোন শব্দের পরে কোন শব্দ আসে, কোন বাক্যের পিছু কোন বাক্য এলে পাঠকের গর্দান বরাবর ঝাঁপ দেওয়া যায়- নিখুঁত।

    মুগ্ধ হয়েছি। আগে কেন পড়ি নি-

  • Debayan Chatterjee | ০৬ মে ২০২১ ১৮:৪৯105616
  • ইন্দ্রাণী, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখায় কেউ এরকম মন্তব্য করলে নতুন কিছু পড়ার, লেখার উৎসাহ পাই।


    সময়-সুযোগ করে, এই লেখাটার অন্য পর্বগুলো, এবং অন্যান্য লেখাগুলোও পড়বেন। মন্তব্য করবেন - ভাল, মন্দ, এক্কেবারে ঝুল - যা মনে হয়, তাই লিখবেন। অনেক কিছু শিখব।

  • রমেন | 2a0b:f4c1:2::***:*** | ০৭ মে ২০২১ ২০:১৫105679
  • রাজুর ভুত এসেছিল বুঝি? কাগজ ছিঁড়ে সম্পরক চুকিয়ে গেল?

  • Debayan Chatterjee | ০৭ মে ২০২১ ২২:৫৮105689
  • ইন্টারেস্টিং পয়েন্ট, রমেনবাবু। ;)

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন