অরণ্যকাণ্ড
© সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়
"বনের আজা" সিংহ ' মাঙ্কিভাতে ' হঠাৎ ঘোষণা করল, কাল থেকে প্রাণী হত্যা বন্ধ । আমরা সবাই নিরামিষাশী হলাম এখন থেকে ।এখন মানে আভ্ হি !
এই ঘোষণায় সব মাংসাশী প্রাণীদের মাথায় বজ্রাঘাত হল ।
: আজা, আজা , আমরা খাবো কি ?
: " কেন ? তোমরা চিঁড়ের পোলাও খাও !
উথাপ্পম খাও ! "
লে লুল্লু ! কি হবে এখন !!
এই ঘোষনা'য় শিয়ালের তো ভারি রাগ হল।
তার আবার মাংস ছাড়া কিছুই মুখে রোচে না কিনা ! কিন্তু নিজের কথা নিজের মুখে বলতে ভারি বাধো বাধো ঠেকে !
তাই শেয়াল এক বুদ্ধি বের করল ।
সে বলতে লাগলো,
" মহারাজের এই সিদ্ধান্তে জঙ্গলের তৃণভোজী প্রাণীদের কি দুর্দশা হবে , কেউ কি ভেবে দেখেছ ? সব ঘাস যদি আমরা খেয়ে ফেলি তবে তারা কি খাবে ? "
বলে শেয়াল মামাশ্রী সব সব্জীভোজী প্রাণীদের জন্য চোখের জল, নাকের জল এক করে ফেললেন ।
হরিণ, খরগোশ ইত্যাদি প্রাণী'রা তাদের জন্য শেয়ালের এত দরদ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল । এত ভালোবাসা এতদিন কোথায় ছিল সেটাই তারা বুঝতে পারছিল না । কেউ কেউ আড়ালে আবডালে বল্লে
: ওগো, এ হলো Twentieth -Century Fox ! যেমন মরদ... তেমনি দরদ !
যাই হোক, জঙ্গলের গোটা শেয়াল সম্প্রদায় মহারাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করল । তারা বলল, তারা এর শেষ দেখে ছাড়বে।
লড়াইয়ের থিম-গান হলো : ওই যে সবুজ
বন-বীথিকা...
আর ম্যাস্কট করা হলো রবিঠাকুরের "বলাই" কে।
দিকে দিকে ঘোষিত হ'লো :
নিরীহ "ভেগান" প্রাণীদের জন্য তাদের এই লড়াই চলছে... চলবে।
***
এখন কে জেতে কে হারে , এটা দেখতে সব পশুরা অপেক্ষায় আছে...........
আমাদের'ও অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই, বেরাদর সকল ।।
(এই দেখেছেন, এই সুন্দর গল্প'টার মধ্যে'ও আপনি রাজনীতি খুঁজছেন !
আপনাকে কোনো গল্প'ই আর বলা যাবে না
দেখছি ।।)
কোন কথা হবেনা।একেবারেই দেশের তাজা খবর।কুম্ভীরাশ্রু।ধন্যবাদ বন্ধু।যদি আমাদের চোখ খোলে।...
" মামাশ্রী " শব্দটা কয়েক বছর আগে ছিলই না।
অথচ এখন ওই শব্দটার রেশ কাটতে চাইছে না মন।
কমুনিস্টস নিপাত যাক !! চীনের দালাল দূর হট !!