এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  বিজ্ঞান সহজিয়া

  • জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার জটিল তত্ত্বের প্রাঞ্জল হদিশ

    গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়
    পড়াবই | বিজ্ঞান সহজিয়া | ২৪ জানুয়ারি ২০২১ | ৪০১০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • “সমস্ত মৃত নক্ষত্রেরা কাল জেগে উঠেছিল—আকাশে এক তিল ফাঁক ছিল না”—কবির এ উচ্চারণেও আছে বিজ্ঞানের অনেক লুকোনো কথা। কিংবা ভিন্‌দেশের নানা ডাকটিকিটের ছবিতে। সেইসব ক্লু ধরে ধরেই সরল ভাষায় অনেক জটিল বিষয়ে আলোচনা। বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করতে এমন কেতাব বাংলায় বিরল। পড়লেন বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের কর্মসচিব, পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়


    প্রথমেই বলে রাখা ভালো ‘নক্ষত্রের গান’ বইটি অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী বিমান নাথ লিখেছেন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে। বিজ্ঞানের ইতিহাস বা দর্শনের বই বাদ দিলে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বাংলা ভাষাতে বিশুদ্ধ বিজ্ঞানের বই কমই লেখা হয়; সম্ভবত তার কারণ চাহিদার অভাব। বাড়িতে ছোটো ছেলেমেয়ে না থাকলে শুধু নিজের পড়ার জন্য বাংলা ভাষাতে মৌলিক বিজ্ঞানের বই কিনতে ক-জন আগ্রহী হন?

    অথচ বিমানবাবুর অনেক কথা বলার আছে, এবং সে সমস্ত কথাই যে শুধু ছোটোদের জন্য, বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহী প্রাপ্তবয়স্ক পাঠক তার সবটাই জানেন, তা কিন্তু নয়। তিনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছেন সেই অ্যাস্ট্রোফিজিক্স বা জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিজ্ঞানের আধুনিকতম বিষয়গুলোর মধ্যে পড়ে। শুধু তাই নয়, সবচেয়ে দ্রুত যে সমস্ত শাখা এগোচ্ছে, তাদের মধ্যে এটি একটি। একটা উদাহরণ দেখা যাক। আজ থেকে পঁচিশ বছর আগেও সূর্য ছাড়া অন্য কোনো নক্ষত্রের চারপাশে গ্রহের অস্তিত্বের কোনো প্রমাণ ছিল না, আর এখন আমাদের জানা গ্রহের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাই এই বই পড়ে শুধু ছোটোরাই বিজ্ঞান শিখতে পারবে এমন নয়। এ বিষয়ে শুধু একটা কথা বলাই যথেষ্ট; এই বিষয়ে আমি স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াই—আমার ছাত্ররা এই বই পড়ে লাভবান তো হবেই, আমিও অনেক নতুন কথা জেনেছিলাম।

    বইয়ের বেশির অংশেই বিমানবাবু বেছে নিয়েছেন কথোপকথনের মাধ্যমকে। টাপুরের দাদা খড়্গপুর আইআইটিতে পড়ে, পুজোর ছুটিতে বাড়ি এসেছে। টাপুরের আগ্রহ একই সঙ্গে বিজ্ঞান ও ডাকটিকিটে। সে একটা নতুন স্ট্যাম্প পেয়েছে, তার উপর লেখা আছে এস চন্দ্রশেখর, সঙ্গে একটা বৈজ্ঞানিক রাশিমালা।



    সুইডেনের স্ট্যাম্প, তার এক পাশে নোবেল প্রাইজ কথাটারও উল্লেখ আছে। টাপুরের জিজ্ঞাসা--সুইডেনের ডাকটিকিটে যে ভারতীয়ের নাম, তিনি কে? আর ওই ফরমুলাটারই বা মানে কী? দাদা চন্দ্রশেখরের তত্ত্ব ব্যাখ্যা করছে, টাপুরের দেশবিদেশের ডাকটিকিটের সংগ্রহ থেকে বেছে নিচ্ছে একের পর এক টিকিট, কখনও আবার ছবি এঁকে বা ইন্টারনেট থেকে ফটো দেখিয়ে বোঝাচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় তথ্যের ভার নেই, প্রবন্ধের প্রচলিত ফর্মের জায়গা নিয়েছে সহজ সরল কথাবার্তা; ফলে তরতর করে পড়ে যাওয়া যায়।

    বিজ্ঞানকে সহজ করে বোঝাতে গিয়ে তাকে জোলো করা হয়নি, আবার অনেক উপর থেকেও শুরু করা হয়নি। জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন সুব্রাহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর।



    সুব্রাহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর

    তাঁর আবিষ্কারের কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দাদাকে শুরু করতে হল আলোর বর্ণালি বিশ্লেষণ থেকে। তারাদের তাপমাত্রা কেমন ভাবে মাপা হয় তা বোঝাতে বলতে গিয়ে এল আর এক বিখ্যাত ভারতীয় মেঘনাদ সাহার নাম। নক্ষত্রের শক্তির উৎসের কথা বলতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আইনস্টাইনের ভর ও শক্তির তুল্যমূল্যতা সংক্রান্ত বিখ্যাত সূত্রের কথা এল। কোয়ান্টাম তত্ত্ব বা আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মতো জটিল বিষয় খুব সহজেই এসেছে আলোচনাতে। কেমন করে নক্ষত্রদের জন্ম হয়, তাদের শক্তির উৎস কী, তাদের গঠন কেমন, নক্ষত্রের মৃত্যু ও নতুন মৌলিক পদার্থের উদ্ভব, নক্ষত্রের ‘অসুখ’, মহাকাশের ধূলিকণার গুরুত্ব—বিজ্ঞানে উৎসুক একজন সাধারণ মানুষ জ্যোতির্পদার্থবিদ্যার যে সমস্ত বিষয়ে জানতে আগ্রহী হতে পারে, তাদের সবই এসেছে গল্পে। বামন নক্ষত্র, নিউট্রন তারা, নোভা, সুপারনোভা, ব্ল্যাক হোল, যুগ্ম তারা, আণবিক মেঘ, গামা রশ্মির ঝলক— এই ধরনের নামগুলো যাঁরা শুনেছেন কিন্তু তাদের সম্পর্কে খুব বেশি জানেন না, তাঁরা এই বইটি পড়লে বেশ স্বচ্ছ একটা প্রাথমিক ধারণা পাবেন।



    একটি সাম্প্রতিক সুপারনোভার অবশিষ্ট অংশ। ছবিসৌজন্য: নাসা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিজ্ঞানের প্রায় অন্য সমস্ত শাখার থেকে একদিক দিয়ে আলাদা। জ্যোতিষ্করা আমাদের নাগালের মধ্যে নেই, তাদের নানা ধর্ম ল্যাবরেটরিতে সরাসরি মাপার কোনো সুযোগ নেই। পৃথিবীতে বসে পর্যবেক্ষণ করে কেমন ভাবে নক্ষত্রদের সম্পর্কে জানা সম্ভব, সেই দিকটাও এই বিজ্ঞানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশের জ্যোতিষ্কদের দূরত্ব, ভর, বয়স, উপাদান, গঠন, তাপমাত্রা ইত্যাদি কেমন করে মাপা হয় সেই কথাগুলোও জানা জরুরি। জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানে পরিমাপ ও তত্ত্ব কেমনভাবে হাত ধরাধরি করে চলে সেই কথা বিমানবাবুর লেখাতে এসেছে, সেইসঙ্গে কখনো-কখনো এসেছে নানা আবিষ্কারের ইতিহাস। উদাহরণ হিসাবে এক মহিলা বধির বিজ্ঞানী হেনরিয়েটা লেভিট কেমনভাবে মহাকাশের নক্ষত্রদের দূরত্ব মাপার পথ খুলে দিয়েছিলেন, সেই চিত্তাকর্ষক গল্পের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।



    হেনরিয়েটা লেভিট

    এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণা কেমন করে যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়েছে তার একটা ধারণা এই বই পড়লে পাওয়া যাবে।

    স্টিফেন হকিঙের প্রকাশক তাঁকে বলেছিলেন প্রতি সমীকরণের জন্য বইয়ের বিক্রি অর্ধেক কমে যায়। কথাটা কতটা ঠিক তা জানি না, তবে সাধারণ পাঠক একটু শ্রদ্ধা মেশানো ভয়ের চোখে অঙ্কের দিকে তাকান সন্দেহ নেই। অথচ এ কথাতেও সন্দেহ নেই যে উচ্চতর গণিতের সাহায্য না নিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানকে প্রকাশ করা খুব কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজে সম্পূর্ণ সফল হয়েছেন বিমান নাথ। বিজ্ঞানের বইতে ছবি অলংকরণ নয়, তা লেখার অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেকগুলি পরিষ্কার ছবির সাহায্যে তাঁর বক্তব্যকে পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়েছেন লেখক, আবার প্রয়োজনে কার্টুনের সাহায্য নিয়েছেন। কখনো-কখনো সমীকরণের প্রয়োজন অবশ্যই হয়েছে, কিন্তু প্রায় সর্বত্রই মূল লেখাতে না রেখে তার জায়গায় বেছে নিয়েছেন একটি ডাকটিকিট। চন্দ্রশেখর সীমা, মৌলিক কণার তরঙ্গদৈর্ঘ্য সংক্রান্ত ব্রয়লির সম্পর্ক, বোরের পরমাণু সূত্র—এগুলি সবই বইতে এসেছে ডাকটিকিটের ছবির মাধ্যমে। লেখক সুপরিচিত বিজ্ঞানী, তাই তাঁর লেখাতে সাম্প্রতিকতম গবেষণার কথাও যেমন আছে, তেমনি খুঁজে পাওয়া যাবে আমাদের বর্তমান জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা। প্রকৃত বিজ্ঞানী জানি না বলতে দ্বিধা করেন না, পুরানো ধারণার বিপরীতে নতুন সাক্ষ্য এলে তাকে উড়িয়ে দেন না। বিজ্ঞানের সেই বৈশিষ্ট্য লেখাতে খুঁজে পাওয়া যাবে। অনেকেই জানেন সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে এই গ্রহাণু পৃথিবীতে এসে পড়ার ফলে যে মহাপ্রলয়ের সৃষ্টি হয়েছিল তাতে ডাইনোসররা লোপ পেয়ে যায় এবং স্তন্যপায়ীদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। মানুষের বিবর্তনে আঠাশ লক্ষ বছর আগের অন্য এক মহাজাগতিক ঘটনার সম্ভাব্য ভূমিকার কথা এসেছে বইতে। ছোটোদের জন্য লিখতে বসেছেন, বাংলাতে বিজ্ঞান লেখার সময় যেন কোনো ভুল না থেকে যায় সে বিষয়ে সচেতন থেকেছেন বিমান নাথ। তাই ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এই ধরনের বাজারচলতি বিভ্রান্তিকর বাক্যবন্ধ সাবধানে এড়িয়ে গেছেন, লিখেছেন ‘শক্তি আর ভর আসলে একই জিনিসের দুই চেহারা”।

    গল্প এগিয়েছে বিজ্ঞান ও ডাকটিকিটের সূত্র ধরে। কিন্তু আরও এক অন্তঃসলিলা ধারা লেখার ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে, এবং সেই ধারার সঙ্গে সম্ভবত প্রাপ্তবয়স্করা অনেক বেশি একাত্মতা বোধ করবেন। বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীর ভিড়ের মধ্যে নজর কেড়ে নেয় একটি ডাকটিকিট, জীবনানন্দ দাশের ছবি সহ ২০০০ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত স্ট্যাম্প। নক্ষত্রদের কথা বারবার এসেছে জীবনানন্দের লেখাতে। ‘রূপসী বাংলা’র পঙ্‌ক্তি “প্রেম যে নক্ষত্র আর নক্ষত্রের গান”--সেখান থেকেই এসেছে এই বইয়ের নাম। ‘হাওয়ার রাত’ কবিতার সেই বিখ্যাত লাইন, “সমস্ত মৃত নক্ষত্রেরা কাল জেগে উঠেছিল—আকাশে এক তিল ফাঁক ছিল না” আলোচনাকে নিয়ে গেল অলবার্সের প্যারাডক্সে—রাতের আকাশ কালো কেন? উদাহরণের সাহায্যে অসাধারণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিমান নাথ। জঙ্গল বড়ো হলে তার এপাশ থেকে ওপাশ দেখা যাবে না, দৃষ্টিরেখা কোনো না কোনো গাছে আটকে যাবে। তেমনি মহাবিশ্ব যদি অসীম ও অনন্তকাল ব্যাপী হয়, তাহলে আমাদের দৃষ্টি কোনো না কোনো তারাতে পড়বে, আকাশে এক তিল ফাঁক তাহলে তো থাকার কথা নয়। অথচ রাতের আকাশ সত্যিই কালো--এর সমাধান কী? এই রকম বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে ‘নক্ষত্রের গান’ বইটিতে।

    লেখার ধারাকে ব্যাহত না করার জন্য বেশ কিছু ধারণার বিশদ ব্যাখ্যার জন্য টীকার আশ্রয় নিয়েছেন লেখক। এখানে কিছু সমীকরণ খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে তাঁর উদ্দিষ্ট পাঠকের কথা মনে রেখে লেখক কখনোই খুব জটিলতার মধ্যে ঢোকেননি, বেশি জানতে হলে কোন্‌ বই পড়তে হবে শুধু তা নির্দেশ করেছেন। অনেকগুলি পরিভাষা প্রথম চোখে পড়ল। কসমিক রে-কে আমরা মহাজাগতিক রশ্মি লিখতে অভ্যস্ত; বই পড়ে মনে পড়ল রবীন্দ্রনাথ তার নাম দিয়েছিলেন আকস্মিক রশ্মি!

    বইয়ের ছাপা ভালো, মুদ্রণপ্রমাদ নেই। ছবিগুলি সুন্দর। শুধু একটা আফসোস রয়ে গেল, ডাকটিকিটগুলোর ছবি যদি রঙিন হত!



    জীবনানন্দ লিখেছিলেন “ব্রহ্মাণ্ডের অপরূপ অগ্নিশিখা”, দাদার কাছে নক্ষত্রদের কাহিনি শুনে টাপুরের কাছে সেই অগ্নিশিখা হয়ে দাঁড়াল আকাশের জ্যোতিষ্ক; তাদের সম্পর্কে সহজ কথায় জানতে হলে এর থেকে ভালো বই পাওয়া শক্ত হবে। জিব্রাল্টারের স্ট্যাম্পে ছাপা আছে আইনস্টাইনের সেই বিখ্যাত উক্তি, “Imagination is more important than knowledge.” মহাকাশের স্বপ্ন দেখেই পদার্থবিজ্ঞান পড়তে আসে অধিকাংশ ছেলেমেয়ে। তাদের কল্পনার উড়ানের আদর্শ সঙ্গী ‘নক্ষত্রের গান’।




    নক্ষত্রের গান
    বিমান নাথ
    আনন্দ
    মুদ্রিত মূল্য: ২০০ টাকা
    প্রাপ্তিস্থান: কলেজস্ট্রিটে আনন্দ আউটলেট, দে'জ, দে বুক স্টোর(দীপুদা)


    বইটি অনলাইন কেনা যেতে পারে এখানে

    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।


    গ্রাফিক্স: মনোনীতা কাঁড়ার

    এই বিভাগের লেখাগুলি হোয়াটসঅ্যাপে পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করে 'পড়াবই'এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৪ জানুয়ারি ২০২১ | ৪০১০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Swati Ray | 117.194.***.*** | ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ২০:৩৭102031
  • অনেক ধন্যবাদ এই বইটার হদিশ দেওয়ার জন্য ।অবশ্যই পড়ব . 

  • Kallol Dasgupta | ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:০৯102075
  • চন্দ্রশেখরের জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখজনক ঘটনা ১৯৩৫এ ব্রিটিশ জ্যোতর্পদার্থবিদ আর্থার এডিংটনের ভুলভাল একগুঁয়েমী বদমায়েশী, যার ফলে সুব্রমানিয়ান চন্দ্রশেখর ব্ল্যাক হোলের আবিষ্কর্তার সম্মান থেকে বঞ্চিত হন। পরে প্রমাণ হয় এডিংটন একেবারেই ভুল ছিলেন। উইকি লিখছে - In an infamous encounter at the Royal Astronomical Society in London in 1935, Eddington publicly ridiculed the concept of the https://en.wikipedia.org/wiki/Chandrasekhar_limit" title="Chandrasekhar limit" style="font-variant-ligatures: normal;font-variant-caps: normal; orphans: 2;text-align:start;widows: 2;-webkit-text-stroke-width: 0px; word-spacing:0px">Chandrasekhar limit। Although Eddington would later be proved wrong by computers and the first positive identification of a black hole in 1972, this encounter caused Chandrasekhar to contemplate employment outside the UK. Later in life, on multiple occasions, Chandrasekhar expressed the view that Eddington's behaviour was in part racially motivated.

    আমাদের দুর্ভাগ্য।

  • Kallol Dasgupta | ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:১৪102076
  • চন্দ্রশেখরের জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখজনক ঘটনা ১৯৩৫এ ব্রিটিশ জ্যোতর্পদার্থবিদ আর্থার এডিংটনের ভুলভাল একগুঁয়েমী বদমায়েশী যার ফলে সুব্রমানিয়ান চন্দ্রশেখর ব্ল্যাক হোলের আবিষ্কর্তার সম্মান থেকে বঞ্চিত হন। পরে প্রমাণ হয় এডিংটন একেবারেই ভুল ছিলেন। উইকি লিখছে - In an infamous encounter at the Royal Astronomical Society in London in 1935, Eddington publicly ridiculed the concept of the Chandrasekhar limit. Although Eddington would later be proved wrong by computers and the first positive identification of a black hole in 1972, this encounter caused Chandrasekhar to contemplate employment outside the UK. Later in life, on multiple occasions, Chandrasekhar expressed the view that Eddington's behaviour was in part racially motivated.

    আমাদের দুর্ভাগ্য।  

    দুঃখিত পোস্টের গোলমালের জন্য আবার দিতে হলো। ​​​​​​​

  • Ramit Chatterjee | ২৭ জানুয়ারি ২০২১ ০০:৩৭102082
  • বইটির পৃষ্ঠা সংখা কত ?

  • Biman Nath | ৩১ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:০৭102229
  • পৃষ্ঠা সংখ্যা ১৬৭ 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন