"জীবনের কোনো সময়ই নেতাজি গান্ধীজির প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেছিলেন বলে মনে পড়ে না"
সুভাষের ইন্ডিয়ান স্ট্রাগলের ছত্রে ছত্রে গান্ধীর কঠোর সমালোচনা আছে। ত্রিপুরী কংগ্রেসের আগে গান্ধী অনুগামী ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের প্রতি জঘন্য ইঙ্গিত আছে। তাতেও যদি অশ্রদ্ধা না প্রকাশিত হয়, তবে সোজাসুজি গালাগাল দিয়ে অশ্রদ্ধা প্রকাশ করতে হবে?
আপাতত এইটুকু। পরে বিস্তারে।
একটু উদ্ধৃতি-সহকারে দেখাবেন, প্লীজ, সুভাষচন্দ্র ব্যক্তি-গান্ধীর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রকাশ করেছিলেন কোথায়?
নীতির ফারাক যে ছিল, সে তো ক্লাস সেভেনের বাচ্চারাও জানে - এবং নীতির সমালোচনা থাকবে, এটাও প্রত্যাশিত।
ধরুন, কেউ মনমোহন সিং-এর উদারনীতির সমালোচনা করলেন - রীতিমতো কঠোর সমালোচনা করলেন - তার সাথে সেই সময়ের মন্ত্রীসভার দুজনের প্রতি "জঘন্য ইঙ্গিত" করলেন।এগুলো কি মনমোহন সিং-এর প্রতি সেই ব্যক্তির অশ্রদ্ধার প্রমাণ হিসেবে বলা যাবে??
থাক সে কথা, "ছত্রে ছত্রে"-র থেকে কয়েকটি বাছাই ছত্র পাঠান, প্লীজ।
ডা বিষান বসু বা মানব মিত্তির তাঁদের পিতা মাতার চেষ্টায় আশির্বাদ এবং অনুকূল পরিমণ্ডলের প্রভাবের ফলে যেটুকু বিদ্যে বুদ্ধি অর্জন করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন, তাতে গান্ধী, পটেল, গডসে, নেতাজি এবং আর আর সকলের তুলনামূলক আলোচনা করে নিজেদের প্রয়োজন সুবিধা ও নীতি অনুসারে কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে পারেন। কেননা তাঁরা তত্ত্ব, তথ্য, নীতি, প্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়গুলো কিছুটা হলেও বোঝেন। তাঁদের দুধ বলে পিতুলি গোলা গেলানো কঠিন বা অসম্ভব।
প্রশ্ন হল, এই দুটি মানুষের বিপ্রতীপ এ আপামর জনের সংখ্যা কত ? তাদের পৌনে শ বছর পরেও অন্ধকারে কে, কেন, কিভাবে রাখতে পারছে ? সম্পদের সুষম বণ্টন কি, কেন, কিভাবে এসব কজন জানে বোঝে ?
যে রাজনীতিকে নোংরা বলে এড়িয়ে যাই, সে - ই পারে, এর উত্তর দিতে।
দুঃখিত, উত্তর দিতে সামান্য দেরি হল।
আপনি লিখেছেন "আপাতত, সুবিধেমত অংশবিশেষ বেছে নিয়ে সেটাকেই আস্ত বলে চালিয়ে দেওয়ার যুগ।" এবং কী আশ্চর্য সেটাই করেছেন গোটা লেখাটায় পরম মমতায়! আসলে বিজেপি-র আইডিওলজিকে কাউন্টার করতে বামদের (আপনি বাম, যদিও তা বলছি না আদৌ কারণ আপনার সম্পর্কে এ কথা আমি লিখছি না) এখন গান্ধী এবং সুভাষের হাত ধরতে হচ্ছে এবং ব্যাপক ক্লিনচিট দিতে হচ্ছে! বিধি যখন বাম, তখন কাঁটা বেছে খাওয়াটাই দস্তুর!!
তো প্রথমে বসু-প্যাটেল ইস্তাহার যেখানে লেখা হচ্ছে - We are clearly of [the] opinion that as a political leader Mahatma Gandhi has failed. The time has therefore come for a radical reorganization of the Congress on a new principle and with a new method. For bringing about this reorganization a change of leadership is necessary…. If the Congress as a whole can undergo this transformation, it would be the best course. Failing that a new party will have to be formed within the Congress, composed of all elements. Non-cooperation cannot be given up but the form of non-cooperation will have to be changed into a more militant one and the fight for freedom to be waged on all fronts.
এর পরে আসছে দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল যেখানে গান্ধীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে সুভাষ লিখছেন, যে গান্ধী … has rendered and will continue to render phenomenal service to his country. But India’s salvation will not be achieved under his leadership.
এর থেকে খোলাখুলি অশ্রদ্ধা প্রকাশ অন্য কিছুতে হয় নাকি?
এবারে গান্ধী কী চোখে দেখছেন সুভাষকে? ১৯৩৭ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে এআইসিসি-র কলকাতা অধিবেশনে মহীশূরে দমন-পীড়নের নিন্দা করে বামপন্থীদের আনা একটি প্রস্তাব গৃহীত হল এবং সমস্ত রাজবন্দিকে মুক্তি না দেওয়ায় কয়েকজন বামপন্থী সদস্য মাদ্রাজের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজাগোপালাচারির কঠোর সমালোচনা করলেন। এতে ক্রুদ্ধ হয়ে ১ নভেম্বর প্যাটেলকে গান্ধী লিখলেন I have come to the conclusion that it would be best if all [of you] resigned. Even if the others don’t resign, you should. Jamnalal is sure to resign. Who will be left then? Rajendra Babu? And won’t [it] be bankruptcy? Bhulabhai also will leave. But it will not matter even if he does not. I don’t think that Maulana’s support is necessary. If he does not resign, a time will come when he will be forced to resign. I have observed that Subhas is not at all dependable. However, there is nobody but he who can be the President. I thought hard last night and again now. Let others do what they like, I am convinced that you should resign. If each does not take care of his own interest nothing will be done and the whole game will be lost.
এবারে চলে আসুন ১৯৩৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। বারদোলি থেকে গান্ধী সুভাষকে লিখছেন ---So far as I can judge the old colleagues whom you consider as rightists will not serve on your cabinet. You can have their resignations now, if that would be more convenient for you. Their presence would be unfair to you and to them. You should be left free to frame your own programme and expect the rightists (I wish you would choose better and indigenous terms to designate the parties of your imagination) to support where they can and abstain without obstructing where they cannot see eye to eye with you.
এই রাইটিস্ট কারা? গান্ধী 'the whole game will be lost' -এর আশঙ্কা করেছিলেন কেন? পারস্পরিক শ্রদ্ধা্র পরাকাষ্ঠা তো!
একই রকম লিখেছেন "ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রবল বিরোধী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু"।
বেশ, খুব ভালো। তো আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন ১৯৪০-এর ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত কর্পোরেশনের নির্বাচনে কংগ্রেস-বহিষ্কৃত সুভাষ, কেবলমাত্র মেয়র ও অল্ডারম্যান নির্বাচনের প্রশ্নে নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু মহাসভার সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করেন কেন? কেন সেই আলোচনা ব্যর্থ হলে মুসলিম লিগের সঙ্গে চুক্তি করেন তিনি? একজন কংগ্রেস সভাপতির (প্রাক্তন) সামান্য কর্পোরেশনের অল্ডারম্যান হওয়ার জন্য সুভাষের এত আকুলতা কেন? নাকি তিনি হিন্দু মহাসভা কিংবা মুসলিম লিগের হাত ধরলে তারা গঙ্গাজলে ধোয়া তুলসিপাতা হয়ে যায়? কেনযে সুভাষ ১৯৩৭ সালে ফজলুল হকের মন্ত্রিসভাকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে অভিযুক্ত করেন, সেই হকেরই ১৯৪১-এর কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য হন শরৎ?
বাকি রইল গান্ধীর ট্রাস্টি নীতি। এটা মানে ফাটাফাটি! ১৯৪২ সালের ৪ জুন লুই ফিশারের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে গান্ধী খোলাখুলি স্বীকার করেন যে, বোম্বাইয়ের মিলমালিকদের চাঁদা থেকেই কংগ্রেসের প্রায় পুরো বাজেটের অর্থ আসে । ফিশার যখন তাঁকে প্রশ্ন করেন, “Doesn’t the fact that Congress gets its money from the moneyed interests affect Congress policies? Doesn’t it create a moral obligation?”, তার প্রত্যুত্তরে গান্ধী বলেন: “It creates a silent debt”। বোম্বাইয়ের মিলমালিকরাই গান্ধীর নির্ধারিত ট্রাস্টি ছিলেন না? নাকি ভুল বলছি?
আর গান্ধীর হিন্দুপ্রীতি নিয়ে আম্বেদকরের চাঁচাছোলা মন্তব্য আর দিলাম না! নির্মাণে অসুবিধা হয় কিনা! তবে একটু জানাবেন পুণা চুক্তিতে সাভারকরের সইটা ছিল কেন?
"একদিকে গান্ধীজির হত্যাকারীর নামে মন্দির তৈরী হচ্ছে এবং আরেকদিকে গান্ধীহত্যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে গৌরবান্বিত প্রধানমন্ত্রী গান্ধীজির স্মৃতিসৌধে মালা দিয়ে থাকেন।"
এরই নাম মোদী সরকার। এদের মুখে শান্তিনিকেতন, কিন্তু অন্তরে পেন্টাগন!
গান্ধীর চশমার রাজনৈতিক দিকদারিটি মোক্ষম
dc
আপনার দৃষ্টিভংগীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ভুলভাল বলে থাকলে শুধরে দেবেন । শুধু গান্ধী বা রবীন্দ্রনাথ কেন, রথীমহারথী সব আইকনেরই কঠিন নির্মোহ বিশ্লেষনের পক্ষপাতী।
কিন্তু পুঁজিবাদী দর্শনের বিপরীতে গান্ধী বোধহয় ব্যক্তি জীবনে কৃচ্ছতার ওপর গুরুত্ব দিতেন, সহজ সরল প্রায় সন্যাস জীবন, আর দান- সহমর্মিতা, ব্যক্তি ভোগবাদী জীবনের বদলে সবাইকে নিয়ে ভাল থাকা। এই দিক থেকে ভেবে দেখবেন?
শুভেচ্ছা
এলেবেলেবাবু, অনাস্থা আর অশ্রদ্ধা দুটি শব্দ ভিন্ন, এটা জানা কঠিন নয়। অতএব, ছত্রে ছত্রে গভীর অশ্রদ্ধা দেখতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়ে গেলাম এখনও।
দ্বিতীয়ত, "পারস্পরিক শ্রদ্ধা" শব্দবন্ধ আমি ব্যবহার করিনি - বলেছি, সুভাষচন্দ্র গান্ধীজিকে অশ্রদ্ধা করেননি। সুভাষচন্দ্রের প্রতি গান্ধীজির অনভূতি একইরকম ছিল না।
তৃতীয়ত, না, বোম্বে মিলমালিকেরা গান্ধীর নির্ধারিত ট্রাস্টি ছিলেন না। গান্ধীজির কথাটা বলেছেন আদর্শের জায়গা থেকে - এবং সেখানে একথাও বলেছেন, এটা কার্যকর হবে কি হবে না, করা যাবে কি যাবে না, একজনও অছি পাওয়া যাবে কি যাবে না, সেসব পরের প্রশ্ন - কিন্তু, অহিংসার আদর্শের একেবারে সম্পৃক্ত এই ভাবনা।
নেতাজি প্রসঙ্গে আপনি সেকথা বলেছেন, তার উত্তরে আমার মনে হয়, political ideals এবং practical politics-এর মধ্যে সাযুজ্য সবসময় রাখা সম্ভব হয়নি সুভাষচন্দ্রের ক্ষেত্রে - কিন্তু, আমার যেটুকু পাঠ, তাতে তাঁকে হিন্দুত্ব রাজনীতির কট্টর বিরোধী বলেই মনে হয়েছে।
গান্ধীজির রাজনীতি, অবশ্যই, ধর্মনির্ভর - কিন্তু, প্রচলিত অর্থে religion বলতে যা বোঝায়, তাঁর ধর্ম ছিল তার থেকে আলাদা। সেই পথে চলতে গিয়ে তাঁর মধ্যে বিচ্যুতি অবশ্যই এসেছে সময়ে সময়ে, কিন্তু সেই জার্নিটা আশ্চর্য। আপনি, খুব সম্ভবত, আমাকে পরম গান্ধীবাদী ভাবছেন - যা আমি নই। আমার বক্তব্য ছিল, আড়াই কোটি দিয়ে গান্ধীজির চশমা কেনা গান্ধী-কথিত পথের বিপরীত।
হিন্দুত্ব-রাজনীতি আইকন খুঁজতে গিয়ে দেশনেতাদের অংশবিশেষ বেছে নিয়ে এবং বিকৃত করে ব্যবহার করছে - এ নিয়ে আপনার সংশয় থাকতে পারে, আমার নেই।
বাম রাজনীতির পক্ষ নিয়ে এই লেখা নয়, একথা অনুমান করা তো কঠিন নয় - কেননা, গান্ধীজি থেকে যে অংশগুলো উদ্ধৃত করেছি, সেগুলো বাম ভাবাদর্শের থেকে বহুদূরে, তাই না?
আর dc-বাবু, আপনার বক্তব্য এতখানিই ভাটের, সে নিয়ে কথা না বাড়ালেও চলে। তথাকথিত ইকনমির বাড়বাড়ন্ত আর আয়ের সুষম বিন্যাস ও সমাজের সকলের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ যে একই কথা নয়, সেটুকু আশা করি বোঝেন। ফেরারি চড়ে ফুটানি করা বড়লোকের বাউন্ডুলে ছেলের সুবাদে ইকনমির লাভ যে পাশের বস্তির যুবকের সংসার চালায় না, এটুকু এতদিনে না বুঝলে বোঝানোর কিছু নেই। আর বাই দ্য ওয়ে, গান্ধীজির সময়ে এক কোটি টাকা অনেএএএক টাকা - অনেকটাই বড়লোকি, থুড়ি ইকনমির উন্নতি করা যেত ওই টাকায়।
আপনি গান্ধীভক্ত কিংবা গান্ধীভক্ত নন কি না - তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। কিন্তু বিজেপিবিরোধিতার জন্য গান্ধীকে যে ঢাল করছেন সেটা আপনার লেখা থেকেই পরিষ্কার। নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ এবং পরবর্তীকালে তাঁর অনুগামীদের 'রাইটিস্ট' বলা সুভাষের মনোভাবকেই স্পষ্ট করে। তিনি রকের মস্তান নন, যে তাঁর অশ্রদ্ধার ভাষা তাদের মতো হবে। বস্তুতপক্ষে কংগ্রেসে থাকাকালীন সুভাষ কখনই গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না, যদিও তাঁর ক্ষমতা হয়নি গান্ধীর তৈরি করে দেওয়া ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বাতিল করার। এটা তাঁর প্রধানতম দুর্বলতা। তবে সেটা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু আজাদ হিন্দ ফৌজের একটা বাহিনির নাম 'গান্ধী ফৌজ' রাখলেই শ্রদ্ধা প্রকাশিত হয় না কারণ তার পেছনেও সুভাষের নিজস্ব রাজনীতি ছিল।
আপনি বলেছেন বটে যে বোম্বাইয়ের মিলমালিকরা গান্ধীর নির্দিষ্ট অছি ছিলেন না, তাহলে আমার প্রশ্ন বাজাজ ও সারাভাই অছি ছিলেন কি না এবং তারা বোম্বাইয়ের মিলমালিক ছিলেন কি না। ভুল হলে বলবেন, নিজেকে শুধরে নেব। আর বিড়লা যে গান্ধীর কথায় রবি ঠাকুরকে ৬০ হাজার টাকার চেক দিয়েছিলেন বিনা বাক্যব্যয়ে, সেটাও এমনি এমনি চ্যারিটি করতে দিয়েছিলেন বুঝি!
"গান্ধীজির রাজনীতি, অবশ্যই, ধর্মনির্ভর - কিন্তু, প্রচলিত অর্থে religion বলতে যা বোঝায়, তাঁর ধর্ম ছিল তার থেকে আলাদা।" বিজেপিকে কাউন্টার করতে এটাও আজকাল বাজারে খুব চলে! তো দেব না দেব না করে আম্বেদকরের এ বিষয়ে লম্বা উদ্ধৃতিটা দিয়েই দিলাম --- What is there in Gandhism which is not to be found in orthodox Hinduism? There is caste in Hinduism, there is caste in Gandhism. Hinduism believes in the law of hereditary profession, so does Gandhism. Hinduism enjoins cow-worship. So does Gandhism. Hinduism upholds the law of karma, pre-destination of man’s condition in this world, so does Gandhism. Hinduism accepts the authority of the Shastras. So does Gandhism. Hinduism believes in avatar or incarnations of God. So does Gandhism. Hinduism believes in idols, so does Gandhism. All that Gandhism has done is to find a philosophic justification for Hinduism and its dogmas. Hinduism is bald in the sense that it is just a set of rules which bear on their face the appearance of a crude and cruel system. Gandhism supplies the philosophy which smoothens its surface and gives it the appearance of decency and respectability and so alters it and embellishes it as to make it even attractive….
আর পুণা চুক্তিতে সাভারকরের সই করার প্রসঙ্গটা এড়িয়ে গেলেন কেন? অস্বস্তিকর, তাই?
প্রথমত, আপনি অছি শব্দটাই ভুল ইন্টারপ্রেট করছেন। গান্ধীজির লেখা পড়ুন - সেখানে অছি কথাটা ব্যবহৃত হয়েছে সমাজের সম্পদের অছি হিসেবে - এবং তার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত প্রত্যেকের ন্যূনতম চাহিদাপূরণের প্রশ্নটি। সেখানে কোন অর্থে আপনি বাজাজ ও সারাভাইকে অছি বলছেন, সেটা স্পষ্ট করে জানান।
দ্বিতীয়ত, সাভারকার ও গান্ধীর সম্পর্ক কতোখানি মধুর ছিল, সে ১৯২৭ সালে রত্নগিরি বৈঠকের পর সাভারকার কখনোই গোপন করেন নি - ১৯৩০-এর আশেপাশে সাভারকারের লেখাপত্র পড়লেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
তৃতীয়ত, বাহিনীর নাম গান্ধীর নামে রাখার অর্থ শ্রদ্ধাবোধ নয়, নিজস্ব রাজনীতি, এই তত্ত্বটি কি একান্তই আপনার নিজস্ব? তা না হলে একটু রেফারেন্স দেবেন, প্লীজ।
চতুর্থত, পুনে চুক্তির স্বাক্ষরকারীদের নামগুলো একটু বলুন এখানে (রেফারেন্স সহ) - আপনার উত্তর পাওয়া মুশকিল নয়।
চতুর্থত, আম্বেদকারের উদ্ধৃতি তাঁর মতামত - যিনি ঘোষিত গান্ধীবিরোধী - কোনো অকাট্য সত্য নয়।
বেশ! গান্ধী নিয়ে প্রবন্ধ ফেঁদেছেন আপনি আর রেফারেন্স চাইছেন আমার থেকে!! তা আপনি নিজে লেখাটায় কতগুলো রেফারেন্স দিয়েছেন?!!!
প্রথমত গান্ধীর অছিতত্ত্ব --- My attitude would be to convert the better-off classes into trustees of what they already possessed. That is to say, they would keep the money, but they would have to work for the benefit of the people who procured them their wealth. And for doing this they would receive a ‘commission’. তাহলে কারা অছি হবেন? বিড়লা-সারাভাই-বাজাজরাই তো? একটু জানাবেন ঠিক কী কারণে আমেদাবাদের বস্ত্রশিল্প চূড়ামণি আম্বালাল সারাভাই-এর কাছ থেকে সবরমতী আশ্রম মোটা আর্থিক অনুদান পায়? কিংবা কেন ১৯২১ সালে গান্ধী যখন ‘তিলক স্বরাজ তহবিল’-এর জন্য ১ কোটি টাকা চাঁদা তোলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেন, তার মধ্যে কেবলমাত্র বোম্বাইয়ের অবদান কম করেও সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা থাকে? এই টাকাগুলো সাধারণ মানুষের দান ছিল বুঝি? সেই কারণেই ১৯২২ সালের বারদোলি প্রস্তাবে তিনি দলিতদের উন্নয়নের ভার পুরোপুরি হিন্দু মহাসভার হাতে সঁপে দিয়েছিলেন!
দ্বিতীয়ত সাভারকর --- বেশ, তার মানে আপনার কথানুযায়ী ১৯২৭-এর পর থেকেই তাঁর সঙ্গে গান্ধীর সম্পর্ক মধুর নয়। অ! তাই পুণা চুক্তিতে সই করা লোকদের অন্যতম প্রধান তিন ব্যক্তি ছিলেন মদনমোহন মালব্য, সাভারকর ও ঘনশ্যামদাস বিড়লা! রেফারেন্স নিজেই খুঁজে নেবেন বলেছেন, তাই আর ও ঝামেলায় গেলাম না।
তৃতীয়ত গান্ধী বাহিনী - আরে শুধু গান্ধী কেন, নেহরুর নামেও একটা বাহিনী ছিল না? সফল হলে যাতে তাঁরা তাঁকে অ্যাকসেপ্ট করেন খোলা মনে সেটাই সিম্পল কারণ ছিল। নতুবা দেশত্যাগের পূর্বে নেহরুর সঙ্গে সুভাষের কত মধুর সম্পোক্কো ছিল সেসব রুদ্রাংশু মুখার্জি লিখে ফেলেছেন ডিটেলে। ওটাকেই রেফারেন্স ধরুন।
চতুর্থত গান্ধীর হিন্দুপ্রীতি --- আচ্ছা তার মানে আম্বেদকর গান্ধীবিরোধী বলে তাঁ কথার মূল্য নেই। বেশ। তাহলে একই কথা যেহেতু জিন্না এবং সাভারকরও বলেছেন, নিশ্চয়ই তারও গুরুত্ব নেই? বেশ। কিন্তু স্বয়ং গান্ধী বললে মানবেন?
তো এই নিন - ১৯২৫ সালের ৭ মে কলকাতায় বুদ্ধজয়ন্তী উপলক্ষে গান্ধীর ভাষণ : It is a very strange thing that almost all the professors of great religions of the world claim me as their own. The Jains mistake me for a Jain. Scores of Buddhist friends have taken me for a Buddhist. Hundreds of Christian friends still consider that I am a Christian. … Many of my Mussalman friends consider that, although I do not call myself a Mussalman, to all intents and purposes, I am one of them; … and still something within me tells me that, for all that deep veneration I show to these several religions, I am all the more a Hindu, none the less for it.
গান্ধীর উক্তিগুলো আমার স্বকপোলকল্পিত মনে হলে বলতে দ্বিধা করবেন না। তখন খণ্ড, পৃষ্ঠাসংখ্যা - সব দিয়ে দেব।
এলেবেলেবাবু, আপনার সাথে তর্ক চালানোর মানে হয় না বিশেষ।
কেননা, যে উদ্ধৃতি আপনি দেন, তার অর্থই আপনি বোঝেন না।
আমার লেখার কোনো অংশেই গান্ধীজিকে অহিন্দু বলে দাবী করিনি। হিন্দু হওয়া বা মুসলমান হওয়া বা বৌদ্ধ কি শিখ বা জৈন অথবা ক্রিশ্চান হওয়া কোনো অপরাধ নয়। এবং তার অনিবার্য অর্থ সাম্প্রদায়িক হওয়া, এমনও নয়।
আম্বেদকার তো রাজনীতির সাথে বৌদ্ধধর্মকে মেলানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাহলে তিনি ভয়ানক সাম্প্রদায়িক নিশ্চয়ই? তাঁর লেখা The Buddha & His Dhamma পড়েছেন? দেখেছেন, বুদ্ধের বাণীকেও তিনি ঠিক কেমন করে reinterpret করেছেন? প্লীজ, পড়ে দেখুন - এবং ওপরচালাকির নজরে উপর উপর পড়া নয়, পড়ার সাথে সাথে একটু ভাবতেও থাকুন।
আপনার আগের উদ্ধৃতিটিতে তো আম্বেদকার হিন্দুধর্মের একটা অসম্ভব সঙ্কীর্ণ অর্থ করে নিজের পার্সোনাল অ্যাজেন্ডা মিটিয়েছেন। আপনার স্টাইলে গোলপোস্ট বদলে সে নিয়ে হ্যাজাতেই পারতাম - কিন্তু, ওই আলোচনা এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
গান্ধীজির যে কথাটুকু আপনি উদ্ধৃত করেছেন, সেটা নিজে পড়েছেন? পড়লেও বোঝেন নি, নিশ্চিত। অসাম্প্রদায়িক ও পরমতসহিষ্ণু হতে হলে ধর্মহীন হওয়া জরুরী নাকি? কেন?? এত বছর ধরে পাশাপাশি সহাবস্থানের জন্যে ধর্ম ত্যাগ করতে হয়েছিল নাকি তামাম ভারতবাসীকে? হিন্দু (বা মুসলমান বা বৌদ্ধ/জৈন-শিখ/…) হয়ে পরধর্মে শ্রদ্ধাশীল থাকা যায় না, এমনটা কেউ পড়িয়েছে নাকি আপনাদের??
অসম্পূর্ণ তথ্যের তাত্ত্বিক বদহজম হলে এমনটাই মনে হয় - আর সেই বদহজমের চোঁয়া ঢেঁকুর উঠতে থাকলে আপনার পর্যায়ের মন্তব্যের গন্ধ আসে। তখন হিন্দু আর হিন্দুত্ব গুলিয়ে যায়, বা দ্বিতীয়টিকে প্রথমটির অনিবার্য এক্সটেনশন মনে হয়। নাকি গুলিয়ে যাওয়া নয়, ডেলিবারেটলিই গুলিয়ে দিতে চাইছেন??
এনিওয়ে, অনেকখানি সময় আপনার ভুলভাল উত্তর দিতে গিয়ে ব্যয় করলাম। যে প্রশ্নের উত্তর চাইলাম, রেফারেন্স-সহ তার কোনোটিরই উত্তর পেলাম না - উল্টে গণ্ডা গণ্ডা অপ্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি ভেসে এল - এবং কিছু নিজস্ব বক্তব্য, যার অন্তঃসারশূন্যতা ঢাকার চেষ্টা হয়েছে শ্লেষে।
যাক গে, আপনার উত্তরে আমার এটিই শেষ মন্তব্য। "এ মা পালিয়ে গেল, দুয়ো দুয়ো" বলে একধরণের তৃপ্তি পেতে চাইলে, পেতে পারেন। আমার তরফে প্রত্যুত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব না।
এসবের ফাঁকে সময় পেলে পুণা চুক্তি কখন কোন পরিস্থিতিতে হয়, স্বাক্ষরকারী কে কে হবেন, সেটা কারা ঠিক করেন, এবং কে কে কাদের প্রতিনিধি হয়ে স্বাক্ষর করেন শেষমেশ, সেটা পড়ে নেবেন - খামচেখুমচে নয়, স্ট্যান্ডার্ড কোনো ইতিহাস বই থেকেই।
ভালো থাকবেন। উদ্ধৃতি দেওয়ার আগে তার মর্মার্থ বোঝার অভ্যেস করুন - টোকা বিদ্যা দিয়ে মেরে দেওয়ার ইশকুলজীবনের অভ্যেস কাটিয়ে উঠুন, এই শুভেচ্ছা রইল।
পুনঃ - মূল নিবন্ধে প্রতিটি উদ্ধৃতির পাশে তথ্যের উৎস দেওয়া ছিল। তার বিপরীতে তথ্য দেওয়ার সময় সূত্রের উল্লেখ করতে গায়ে ছ্যাঁকা লাগে কেন?? না হয় গুগল সার্চ বলেই মেনশন করতেন।
ওঁর ম্যাগনাম ওপাসটি https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=13686
বুঝলাম বড্ড গায়ে লেগেছে এবং মুখোশটি খসে পড়েছে! তো আম্বেদকরের What Congress and Gandhi Have Done to the Untouchables সবই গপ্পো বলুন? মানে ওই পুণা চুক্তি নিয়ে যা যা বলেছিলেন? ওটাকে আপনার ভাষায় 'স্ট্যান্ডার্ড কোনো ইতিহাস বই' বলা যাবে? আজকাল উপরি রোজগার কি শ্যালদা স্টেশনের সামনে টিয়াপাখি নিয়ে বসে করছেন? মানে যে হারে ভবিষ্যৎবাণী বিলোচ্ছেন তাতে মনে হল আর কি। যাক, ভালো থাকুন আর সাপ্তাহিক পোবোন্দো বমন করতে থাকুন।
ওই ছাতার হাজার শব্দের পোবোন্দোওলার অত ডাঁট দেখানো আমার পোষায় না। আপনি একাই পণ্ডিত, বাকিরা সবাই...। হে হে নিন একটি স্যাঙাত জুটে গেছে। লেগে পড়ুন পরের পোবোন্দোটির জন্য। শুধু খেয়াল রাখবেন ফেকু ফেসবুক কালচার সাইটে চলে না আর কি।
@ ঘোঁতন, অনেক ধন্যবাদ অমন মাস্টারপিস-এর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।
@ ঘোঁতন, অনেক ধন্যবাদ অমন মাস্টারপিস-এর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।
@ ঘোঁতন, অনেক ধন্যবাদ অমন মাস্টারপিস-এর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য।
দেকুন আমাদের এলেবেলেবাউ হলেন গিয়ে দশহাজারী পোবোন্দো লেখক আর আপনি সেখানে একহাজারী। ওঁর ম্যাগনাম ধপাসটির মর্ম উদ্ধার কোর্তে আপনাকে অন্তত সাতহাজারী হতেই হবে। একহাজার তো ওনার খন্ড, পৃষ্ঠাসংখ্যার লিস্টি কোর্তেই লেগে যায়। ছোঃ!
dc-বাবু, গান্ধীঠাকুরের জয়গান আমার উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু, তাঁর বেশ কিছু কথা সবসময়ই প্রাসঙ্গিক - এখন যেন আরো বেশী করে। আবার বেশ কিছু কথা খুবই বোকা বোকা, এ নিয়েও সংশয়ের কারণ দেখি না। কথাটা হল, গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোও উড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে।
ক্লাস টেন অব্দি প্রকৃতিবিজ্ঞান পড়ে কোয়ান্টাম তত্ত্বের মূল্যায়ন করতে গেলে সেই তাত্ত্বিক মূল্যায়ণকে কতোখানি গুরুত্ব দেবেন? যদি না দেন, সেই একই যুক্তি হিউম্যানিটিজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না কেন??
নাকি হিউম্যানিটিজ কোনো সুলভ শৌচালয়, যেখানে সকলের মলমূত্র-ত্যাগের সমান অধিকার?
ইতিহাসের তথ্য চারপাশেই থাকে। চ্যালেঞ্জটা হল তাকে ইন্টারপ্রেট করার জায়গায় - আর সেখানেই ইতিহাস-শিক্ষা জরুরী (যেমন করে উচ্চস্তরের বিজ্ঞান আলোচনার জন্যে বিজ্ঞানশিক্ষার একটা ধাপ অব্দি এগোনো জরুরী)। তা না হলে, ওই ক্লাস টেন অব্দি পড়ার বিদ্যে দিয়েই পিএইচডি পর্যায়ের থিসিস নামাতে গেলে শুধু কিছু তথ্য আর তার বদহজমের চোঁয়া ঢেঁকুরের বাইরে কিছু হয় না।
এটা অবশ্য চারপাশেই চলছে - এবং ইতিহাস নিয়ে মন্তব্য করার জন্যে তথ্যের অতিরিক্ত কোনো বিশেষ জ্ঞানগম্যির প্রয়োজন হয় না এই ধারণায় সিলমোহর দেওয়ার সুবাদে যেমন খুশী ইতিহাস গিলিয়ে দেওয়ার সুযোগটাও তৈরী হয়েছে।
আমার লেখাটুকুতে ইতিহাসের গভীর কোনো পাঠ নেই। কেননা, আমি সচেতন, সে যোগ্যতাই আমার নেই। আমার লেখাটুকু আইকন-দের সুবিধেমতো ব্যবহার করা নিয়ে।
আর লক্ষ্য করে দেখুন, শুরুর ঘটনার প্রসঙ্গটাই এনেছি তো গান্ধীকে ঠাকুর বানানোর বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে। গান্ধীর ভাবাদর্শের সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে তাঁর ব্যবহৃত জিনিস কিনে তাঁকে পুজো করা ইত্যাদি ইত্যাদি...
খরচা না করে সঞ্চয় করতে করতে সম্পত্তির পাহাড় বানাতে বলেছেন গান্ধিজী, এমন কিন্তু নয়। বলেছেন, প্রয়োজনটা কমাতে। এবং সকলের দৈনন্দিন চাহিদা যাতে পূরণ হয়, সেটা নিশ্চিত করতে। প্রত্যেকের দৈনন্দিন চাহিদা (যে চাহিদা বিলাসের চাহিদা নয়, ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানোর চাহিদা) মেটানোর জন্যে নিশ্চয়ই অর্থ ব্যয় হবে - এবং মানি সার্কুলেটেডও হবে। তাই না?
মানি সার্কুলেশন হতে থাকলেই সেই সার্কুলেশন সর্বময় ব্যাপ্ত হয়ে যায়, এমন যে নয়, এ তো চারপাশে তাকালেই বোঝা যায়।
আপনি পয়সা খরচ করা বলতে যেটা বলছেন, সেটা কনজিউম করা অর্থে - যে কনজিউম করার খাঁই মেটাতে গিয়ে মনুষ্যপ্রজাতিটিই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার পথে। চলতি লব্জে যেটি সেভ দ্য আর্থ, সেটি আদতে সেভ দ্য হিউম্যান স্পিসিস - কেননা আর্থকে নিশ্চিহ্ন করার ক্ষমতা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটি প্রজাতির নেই।
এর বিপরীতে গিয়ে সাস্টেনেবল লিভিং-এর যে কটি মডেল রয়েছে, তারই মধ্যে গান্ধীবাদ।
যেহেতু আপনি ঘোষিত ভোগবাদী, সেক্ষেত্রে আপনার কাছে এ ধারণা গ্রহণযোগ্য হবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে, সেই কথাটাকে "এটা আমার মতে মেলে না" বলাটাই সমীচীন - "এসব একেবারে ভুল বলেছেন" বলাটা একটু ইয়ে... কেননা, আপনার মতটি শাশ্বত সত্য, এমন তো নয়, তাই না?
ইকোনমি বা ইকোনমিক্স, দুই নিয়েই এমন অশিক্ষিত আমি - সেখানে আপনার সাথে তর্কে যেতে চাইছি না আর।
কিন্তু, সম্পদ কয়েকজনের হাতে কুক্ষিগত করে রেখে তারা ঢালাও বিলাস-ব্যসনে খরচা করতে থাকলেই ইকোনমির উন্নতি হয়, এটাও কি "সাধারণভাবে ইকোনমিস্টদের মত"?
আবারও মনে করিয়ে দেওয়া যাক, অর্থনীতির কিছুই আমি বুঝি না। কিন্তু, একটা কমন সেন্সের প্রশ্ন, সমাজের সকলের হাতে যদি দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের মতো অর্থ থাকে এবং তাঁরা চাহিদা পূরণ করতে সেই অর্থ খরচ করলে মানি সার্কুলেটেড হবে না? নাকি শুধুই লাগামছাড়া কনজিউম করার মাধ্যমেই মানি সার্কুলেটেড হতে পারবে??
আমিও, ভোগবাদী কিনা জানি না, তবে ভোগ বিলাস প্রমোদ ইত্যাদি খুব ভালোবাসি।
কিন্তু ইকনমিক অ্যাকটিভিটি, টাকার সার্কুলেশন - ইত্যাদি বাড়তেই হবে কেন তা বুঝি না। এসব না হলে কি সব মানুষের জন্যে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিশ্চিত করা এক্কেবারে অসম্ভব? বা, গ্রামীন অর্থনীতিতেই বা সমস্যা কী? (আমি অবশ্য গ্রামীন এ শহুরে অর্থনীতিতে, কী তফাত, বা শহুরে অর্থনীতি বলে আদৌ কিছু হয় কিনা তাও জানি না।)
তো, ওইসব হওয়ার পর হুরাকান বজরা টমটম পিনিস যে যা খুশি চড়ুন না, আপত্তি কী।