ধরা যাক আলিপুরদুয়ার জেলার একটি গ্রাম। সুপুরি আম কাঁঠালে ঘেরা। বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে থামতে চায় না। টিনের চালা থেকে গড়িয়ে নামা জলকে কখনো হাতির শুঁড়ের মতো মোটা দেখায়। কখনো চার পাঁচদিন এমন কি একনাগাড়ে সাতদিনও বৃষ্টি চলে। ফলে এই মে মাসেও সেখানে ভেজা ভেজা আবহাওয়া। ভোরের দিকে কম্বল গায়ে দিতে হয়।
বাসিন্দারা অধিকাংশ কৃষিজীবী। সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবনে শহুরে প্রভাব পড়লেও এখনো মানুষ অনেক অন্যরকম। পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রামটিতে এবং আরো অনেক এইরকম গ্রামে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে তাদের মধ্যে প্রধান হচ্ছে আশাকর্মী এবং তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করা এএনএম (Auxiliary Nursing Midwifery) কর্মীরা। আশাদের পোশাক বেগুনী, এএনএমদের গোলাপি। হলুদ পোশাক পরিহিতরা আবার কন্ট্রাকচুয়াল এএনএম। এদের সুপারভাইজারদের পরণে সবুজ শাড়ি বা সালোয়ার কুর্তা। ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে সুবিধা হবে বলে পোশাক নিয়ে এতো কথা লিখলাম। এরাই আছে গোটা ভারতের স্বাস্থ্যব্যবস্থা পিরামিডের একেবারে ভিত্তিমূলে। এদের কাজ এতোরকম যে এদের বহুমুখী স্বাস্থ্যকর্মী বলা যেতে পারে।
সহসা করোনা দানবীর প্রবেশ এবং এদের কাজের রুটিন সময় জীবনের অন্যান্য দিকে চূড়ান্ত বিপর্য্যয় নেমে এলো। এমন নয় , যে এরা সুখশান্তির স্বর্গে বাস করছিলো। যেহেতু আলোচনাটি উত্তরবঙ্গেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছি তাই সেই প্রেক্ষাপটকেই টেনে এনে বলি। যারা জেলাশহর বা সদরে পরিবারের সঙ্গে বাস করে তাদের রোজ দীর্ঘ জার্ণি, এমনিতেওকাজের লম্বা সময়, ওষুধ পত্রের অপ্রতুলতা ছাড়াও অন্যন্য হাঙ্গামাও পোহাতে হয়। যেমন নিবিড় গ্রামে রোগী দেখতে যাবার সময় হাতির পথ জুড়ে দাঁড়ানো বা পাহাড়ি ঝোড়ায় হঠাত হরপা বান আসা। এ ছাড়া অশিক্ষা ও নানা কুসংস্কারের সঙ্গে লড়াই। এই সবটা এরা করে বর্তমান সময়ের নিরিখে অতি অল্প টাকার বিনিময়ে। যেমন আশাকর্মীরা প্রতিমাসে ফিক্সড স্যালারি পায় ৩৫০০ টাকা। তারপর কিছু ইন্সেন্টিভ আছে, যেমন গর্ভিণীকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে কেস প্রতি ৩০০ টাকা পায়। এ এন এম রা আরো কিছু বেশি পেলেও পরিশ্রমের তুলনায় কিছুই না।
অথচ আশাদিদিদের সহায়তায় গ্রামে গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থা চালায় কিন্তু এই ANM রাই। প্রতি ৫০০০ গ্রামবাসী নিয়ে এক একটি সাব সেন্টার। সেখানে একজন ফার্স্ট ANM, একজন সেকেন্ড ANM আর ৫ জন আশা থাকে। সাব সেন্টারে পপুলেশন বেড়ে গেলে আশাকর্মীর সংখ্যা বাড়ে, কিন্তু ANM একই থাকে। এই জেলাতেই অনেক সাবসেন্টারে একজন আশা কর্মীও নেই, কিন্তু ANM দুজনই সমস্ত ডিউটি করে চলেছে। বীরপাড়াতেই এমন সাব সেন্টার আছে যেখানে ANMদের সহায়তায় ১২০০০ এর বেশি গ্রামবাসী উপকৃত হয়।
যাহোক এদের মাইনেপত্র বা দাবীদাওয়া নিয়ে এইখানে কিছু বলার নেই। শুধু এই পরিমাণ টাকার জন্য আশা ও এএনএম স্টাফের পৈত্রিক প্রাণ নিয়ে কেমন টানাটানি চলছে সেটাই উপপাদ্য। করোনা অতিমারীর আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই একেবারে ফ্রন্টে থাকা এই স্বাস্থ্যকর্মীরা কী বিপদের মধ্যে গিয়ে পড়েছে তা উত্তরবঙ্গের এই একটি জেলা থেকে আসা অভিযোগের পাহাড়ই বুঝিয়ে দেবার পক্ষে যথেষ্ট।
এই কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল হয়েছে। এমনকি ন্যাশনাল হলিডেও। বিশ্রামের বালাই নেই। এই জরুরী পরিস্থিতিতে হয়তো সেটাই স্বাভাবিক। আরো স্বাভাবিক কাজের জায়গায় গিয়ে থাকতে বলা। তাতে সময় বাঁচে এবং এনার্জিও। কিন্তু কোথায় থাকবে তার মাথাব্যথা কার ? এই মাইনেতে আলাদা বাড়ি ভাড়া করা সম্ভব না। প্রত্যন্ত গ্রামে ভাড়ার উপযোগী বাড়ীও পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও সংক্রমণের ভয়। যেন হাসপাতালে থেকে ফেরা মানে সারা গায়ে করোনার জীবাণু বহন করে নিয়ে আসা। খোদ কলকাতা শহরে দেখা যাচ্ছে নার্স বা ডাক্তারদের ভাড়া বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নানাভাবে হ্যারাস করা হচ্ছে।
যেহেতু দুই ধরণের স্বাস্থ্যকর্মীরা সবাই মহিলা, সঙ্গে ছোট বাচ্চা থাকতে পারে। কারো বৃদ্ধ বাবা মা বা শ্বশুর শাশুড়ি মেয়েটির ওপর হয়তোএকান্ত ভাবে নির্ভরশীল। তার নিজেরও নিরাপত্তার ব্যাপার আছে। মহিলারা তো আর হুট বলতে গাছতলায় গিয়ে থাকতে পারেনা। থাকার জায়গা থেকে কাজের জায়গায় যাবার যানবাহনের ব্যবস্থা নেই। ধরা যাক বীরপাড়ার ভেতরে একটি মেয়ে কোনভাবে বাসস্থান ঠিক করল। দু কিলোমিটার ভেতরে। সোশাল ডিস্ট্যান্সিং ইত্যাদির বালাই না রেখে যে ছোট গাড়ি তাকে নিতে আসবে তা আসবে বীরপাড়ার মেইন রোড অব্দি। তারপর দু কিমি বা তারও বেশী রাস্তা রাতবিরেতে সে কী ভাবে যাবে তা স্বাস্থ্যকর্মীটির একার চিন্তা।
সম্ভাব্য রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা, তার শারীরিক সান্নিধ্যে আসতে হচ্ছে, অথচ পিপিই চাইলে শুনতে হচ্ছে দেবার নিয়ম নেই। গ্লাভস পাতলা প্লাস্টিকের আছে কনুই অব্দি ,আর গুলো সাদা প্লাস্টিকের। সবই ডিস্পোজেবল। কিন্তু বলা হচ্ছে ধুয়ে ব্যবহার করতে।ধুয়ে পাউডার লাগিয়ে। মাস্ক সবই জ্যালজেলে কাপড়ের। এন৯৫ এর কথা তুললে বলা হচ্ছে নাকি ,ওসব লাগে না। এদিকে ছবি গুলো দেখলেই বোঝা যাবে কোটা থেকে ফেরা ছাত্রের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা,রাস্তায় ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভারের জ্বর দেখা ইত্যাদি তো বটেই ,তার মাঝে মাঝে এদের দেখতে যেতে হচ্ছে সদ্যোজাত বাচ্চার স্বাস্থ্য এবং আসন্নপ্রসবা মাকেও। অই একই পোশাকে এবং একই মাস্কে। এসিম্পটোম্যাটিক রোগীর তো অভাব নেই। এই পরিস্থিতিতে নিজে সংক্রামিত হওয়া এবং অন্যকে সংক্রামিত করা ঠেকানো যাবে কী ভাবে?
মাস্কের কী অবস্থা ছবিতে তো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। অভাবে রুমালেও মুখ ঢাকতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলে দিয়েছে পেশেন্টের বিপি মাপবার সময় মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখতে বলতে। তাতেই নাকি করোনা আক্রমণ ঠেকানো যাবে। কোটা থেকে যে ছাত্রদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে বিভিন্ন ব্লকে ভাগ করে তাদের কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে। বীরপাড়ায় একটি লজে নীচ তলায় ছাত্ররা, ওপরতলায় স্বাস্থ্য কর্মীরা। তফাত শুধু একটি তলার এবং মুখের ওপর ফিন়্ফিনে মাস্কের। ILI বা ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস দেখা দিলেই ওইটুকু দূরত্ব ঘুচিয়ে ছুটে যেতে হচ্ছে। প্রথমে সেন্টার থেকে ব্লকে, ব্লক থেকে শ্বাসকষ্ট থাকলে তোপসিখাতা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তারপর কোভিড পজিটিভ হলে শিলিগুড়িতে চ্যাং সাহেবের নার্সিং হোমে। এরমধ্যে নেগেটিভ পজিটিভ এসিম্পটোম্যাটিক জানার তো কোনো উপায় নেই। ব্যক্তিগত সুরক্ষার আশ্বাস যা দিতে পারে সেই সেফটি ইকুইপমেন্টও এদের দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আর ছুটি ক্যান্সেল করবার অর্ডার ছাড়া আর সব অর্ডারই নাকি মৌখিক। লিখিত অর্ডার ঐ একটিই।
ফল যা হবার তাইই হচ্ছে। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের এক ANM নিজের সাব সেন্টারেই আত্মহননের চেষ্টা করে। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। দুই স্বাস্থ্যকর্মীর চাকরি গেছে বলে সংবাদপত্রের খবর। তারা উপযুক্ত পোশাক ছাড়া কোয়ারিন্টিন সেন্টারে ডিউটি করতে যায়নি বলে অভিযোগ। ঐ কোয়ারিন্টিন সেন্টারে নিজামুদ্দিন ফেরত একজন এবং তার সংস্পর্শে আসা আরো ১৭ জনকে রাখা হয়েছিল। ( দ্য ওয়াল ব্যুরো, আলিপুরদুয়ার)
এই অবস্থা শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, এ দেশের সর্বত্র। কোথাও করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য এদের ঠিকঠাক ট্রেণিং বা সেফটি ইকুইপমেন্ট দেওয়া হয়নি। উপরন্তু অল ইন্ডিয়া কোওর্ডিনেশন কমিটি অফ আশা ওয়ার্কার্সের মুখপাত্র রঞ্জনা নিরুলা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের বলা হয়েছে নিজেদের সেফটি ইকুইপমেন্ট নিজেদের কিনে নিতে। মাইনের পরিমাণ তো আগেই বলেছি। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা কি চ্যারিটি ওয়ার্ক করতে এসেছে? না ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে?
যতো টাকায় হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টির ব্যবস্থা হল ,সেই টাকায় পিপিই হয়ে যেতো না? টাকার অঙ্ক তো কম নয়। একেবারে ৬৭৯ কোটি টাকা। হাততালি দেওয়াও বেশ ভালো। কিন্তু সেটা কি দেওয়া হয়েছে এদের দুর্দশা দেখে খুসী হবার জন্য? কোনো স্বাস্থ্যকর্মী যদি এই ফিকিরে ভোলেন, ফেসবুকের আবেগঘন পোস্ট পড়ে জীবন সার্থক ভাবেন তাহলে তার সেফটি ইকুইপমেন্ট নিয়ে আরো ভাবা উচিত। প্রাণ চলে গেলে ফুলের পাপড়ি দিয়ে কী হবে! তাও সেগুলো বেছে বেছে ফেলা হলো কলকাতার দু একটা হাসপাতালে।
তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলে থাকার, স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মান প্রদর্শনের আড়ালে তাদের এইভাবে চরম বিপদের মধ্যে ঠেলে দেবার এই ফিকির দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসন এতো চমৎকার আয়ত্ত্ব করলো কী করে !
এই হচ্ছে ইনক্রেডেবল ইন্ডিয়ার শেকড় সংবাদ!
আর হেলিকপ্টারে পুষ্প বৃষ্টি? সেটা ভোটের রাজনীতি, ফুটেজ।
যথার্থ লিখেছে।
বলার ভাষাই খুঁজে পাচ্ছিনা। আপনি
যে ছবিটা তুলে ধরেছেন সেটা কোন সভ্য দেশের বলেই বিশ্বাস হয়না। বিদেশে হলে কি বলত বা কি করত সেটাই ভাবছি। ধন্য হলাম আমরা মোদীর রাজত্বে পাশবিকতায়। মাথা হেঁট হয়ে যায় লজ্জায়।
কেউ কথা রাখেনা। আসলে সত্যি সত্যিই সবার ভালো করার চিন্তা কারো নেই, নিজের ভালো হলেই হল।
কি সুন্দর আমাদের দেশ!
লেখাটা পড়ে রাগে গা পুড়ছে। শাসক এতটা নির্লজ্জ!
পাশাপাশি আশাদিদিদের জন্য গর্বও হচ্ছে। মেইনস্ট্রিমে যে ভাবনা আসে!
অথচ তিক্ত বাস্তব হল: জিডিপিতে ২ শতাংশের কম স্বাস্থ্যখাতে খরচ হয় যে দেশে, সে দেশে এমন ভয়াবহ ছবি দেখতে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। আরও পরিস্থিতি যে খারাপ হয়নি তার মূলে রয়েছেন সেই নিম্ন আয়ের লড়াকু স্বাস্থ্যকর্মীরা। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে তারা বারবার পথে নেমেছেন, আন্দোলন করেছেন মাইনে বাড়ানো নিয়ে, চাকরির স্থায়ীকরন নিয়ে; তারপরই চলে এল এই সাংঘাতিক বিপদ।
ছাপ্পান্ন ইঞ্চির বক্ষধারীর ৫ ট্রিলিয়ন ইকোনমির ভাব-বেলুন ফুটো করে রাজাকে ন্যাংটো করে সবার সামনে পেশ করেছে এই করোনা দানবী। পেটোয়া প্রচারমাধ্যম ক্রমাগত 'ভাল খবর' প্রচার করে এই ন্যাংটো রাজার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি মেরামত করে যাচ্ছে। সঙ্গে দোহার দিচ্ছে 'হিন্দুরাষ্ট্র' ইউটোপিয়ায় সাত-খুন মাফ মানসিকতার নেটপাড়ার লোকজন। থালাবাসন বাজানো, মোমবাতি জালানো, হেলিকপ্টারে পুষ্পবৃষ্টি সবই তাদের কাছে ভক্তির বিষয়।
সব ধরণের লড়াই এই ভক্তরা কমজোর করে দেয়, ভগবানের সমালোচনার চল নেই এদেশে। ভক্তদের বুঝতে হবে ভগবানের মুখোশে কে মহাভন্ড।
পূজার ছলও দরকার পড়ে না আমরা এমনিই ভুলে থাকি নহলে এরকম একটা ধূর্ত কি করে দেশচালক থাকে!
বেঁচে থেকে মরার দেশে তোমার রাজ্য রাখা
লজ্জা ও ঘেননা - কিছু আর বলার নেই । ছি:
সরকারের উচিৎ ইমিডিয়েটলি কোন একটা অলাভজনক মেডিসিন কোম্পানি লিজ নিয়ে রেমডেসিভির সরকারী ভাবে উৎপাদন করা। বেক্সিমকো এক শিশির দাম রাখছে ৬ হাজার টাকা। Full course ১১ শিশি লাগতে পারে। জাস্ট মেডিসিনের পিছনে ৬৬ হাজার টাকা খরচ করা এই দেশের ৯০ পারসেন্ট পাবলিকের জন্য ইম্পসিবল। এখনই লাগবে এটা করা, এখনই।
দেশের মেডিসিন কোম্পানি গুলা নিজেরা কিছুই ইনভেন্ট করেনা, ম্যাক্সিমাম কপি পেস্ট ফরমূলা ইউজ করে মেডিসিন বানায়। তাহলে মেডিসিনের এত দাম কি করে রাখতে চায়? বাংলাদেশ গরীব দেশ দেখে বাংলাদেশের মেডিসিন কোম্পানি গুলা পেটেন্ট ছাড়াই এইভাবে কপি পেস্ট ফরুমূলায় মেডিসিন বানাইতে পারে। এই সুবিধার লক্ষ এই দেশের গরীবের জীবন বাচানো। আর সেই গরীবের পকেট কাটবে কেউ সেটা হতে পারে না।
জঘন্য ব্যবস্থা
এরপরেও দিদি একটাই প্রশ্ন মনে জাগে কোন গরুর গোবর প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর অনুচ,, স্তাবকদের মাথায় পোরা? এনার ভক্তকুলের মধ্যে সাম্প্রতিক কালে শিক্ষিত ইংরাজি জানা কিছু বলদের এলিবাই তৈরির চেষ্টা দেখলে গা রাগে জ্বলে যায়। এই সব অসামান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের অনায়াসে এই বাজারে এই টাকা তুলে দেওয়া যেত। ফুল ছড়িয়ে উৎসাহ কি ভাবে হবে মায়হায় ধুকলনা। সময় সময় মনে হয় এই দেশটা একটা পাগলের হাতে পড়েছ।। সব ছিবড়ে করে তারপর শান্ত হব।।