এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দ্য রমস্তনকি গেজেটিয়ার-২

    পাগলা গণেশ লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ জুলাই ২০২৪ | ২৫৯ বার পঠিত
  • 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16
    পয়লা জুন, ২০১৩

    গত কদিন কোনো ডায়েরী লিখিনি, কারণ আমার মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছিল। তার সাথে সাথে মনে হচ্ছিল যেন কে খুব মৃদু কিন্তু গুরুগম্ভীর স্বরে কী যেন বলছে! আমি ঘরে কাউকে বলিনি। ভয় হচ্ছিল, যদি বকে! তার উপরে আমার মায়েরও শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। খাবার টেবিলে বলছিল শুনলাম, যে গ্যাংলিয়ন সিস্ট না কি হয়েছে যেন। তাই সারাদিন তিনিও কিছু কাজ করতে পারছেন না, অথচ সাহায্য করারও কেউ নেই। তাই প্রচণ্ড বিরক্ত আর রেগে আছেন। আমি তো এমনিতেই সামনে যেতাম না, আরো যতটা পারি লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করছি।

    তবুও একদিন সকালে আমি বসে আছি আমার রুমে, মাথাও যন্ত্রণায় মনে হচ্ছে যেন ফেটে যাবে মাথাটা; এমন সময় মা এলেন আমার ঘরে। হাতে ঝাঁটা, এসেই গজগজ করতে করতে ঝাঁট দিতে লাগলেন। যদিও আমি প্রতিদিন সকালে উঠেই ঝাঁট দিয়ে দিই, মায়ের ভয়েই। আর গত ছ’বছর মা আমার ঘরে ঝাঁট দেনও না। কিন্তু সেদিন বোধহয় যাকেই রাগ দেখাচ্ছিলেন সেই ঘুরে রাগ দেখিয়ে দিচ্ছিল, তাই তিনি আমার উপর রাগ ঝেড়ে নিজের রাগ শান্ত করতে এসেছিলেন।

    এসেই দরজার ঘিরে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ালেন। ডান হাতে ঝাঁটাটা ধরা। কোমরের কাছ থেকে ঝুলছে, বাঁ হাতটা মুঠো করে কোমরে রাখা। বললেন, "দেখো দেখো কে বসে আছেন! যেন রুদ্রদমন বাচস্পতি! পড়াশুনো তো গাছে উঠেই গেছে, তা এখন মাথায় হাত দিয়ে বসে কী ভাবছেন?" 

    আমি ভয়ে কুঁকড়ে গেছি। কিন্তু সেটা তো ভিতরে। বহিরঙ্গে যে সেটার প্রকাশ বেশ ভালোরকমেরই হয়েছে, সেটাও বুঝতে পারলাম। নইলে মা হয়তো আর দুচারটে কথার পর থেমে যেতেন। যাকে যন্ত্রণা দিচ্ছ সে যদি না কাতরায়, তবে যন্ত্রণা দিয়ে কি আর সুখ হয়? মা এর পরে একের পর এক বাক্যবাণ দেগেই যেতে থাকলেন। 

    আমি ভয়ে সাদা হয়ে গেলাম, চোখ দিয়ে ঝরঝর করে জল পড়তে লাগল। তা দেখে তিনি যেন আরো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। একবার তো দু ঝাঁটা বসিয়েই দিলেন। এভাবে ঘন্টাখানেক কাটার পর তিনি গেলেন। আমি আবার আমার মাথার যন্ত্রণা টের পেলাম। এতক্ষণ অন্য অনুভূতিগুলো এত প্রবল ছিল, যে আমি মাথার যন্ত্রণাটা ভুলেই গিয়েছিলাম।

    বেশ কদিন এভাবে চলার পর বাবা একদিন আমার ঘরে এলেন। সেটা বোধহয় ঊনত্রিশে মে! সেদিন মাথার যন্ত্রণা এত বেড়েছিল, যে আমি আর বসে থাকতে না পেরে শুয়ে পড়েছিলাম। তারপরেও যন্ত্রণায় এদিক ওদিক করছিলাম। মায়ের কথা মনে পড়ছিল। যদি তিনি আর একবার এসে অমন অপমান করতেন, তাহলে হয়তো মাথার যন্ত্রণাটার হাত থেকে সাময়িক হলেও মুক্তি পাওয়া যেত। কিন্তু ডাকার সাহস হচ্ছিল না। বাবাও হয়তো আসতেন না, কিন্তু আমি দরজাটা বন্ধ করে রেখেছিলাম, যাতে কেউ দেখতে না পায়। 

    বাবা আমার দরজার পাশে দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন। দেখলেন দরজা বন্ধ। আজ সকালে খাবার টেবিলেও যাইনি। অন্য সবাই উদাসীন হলেও, তাঁর উদাসীন হলে চলে না, তিনি গৃহকর্তা, সব দিকে তার কড়া, সতর্ক নজর। আর আমার টিউশন টিচারও বলেছিলেন, "ছেলে কদিন পড়তে আসছে না কেন বলুন তো?" 

    দরজায় ঠকঠক করে আওয়াজ হল। আমার মাথায় যেন হঠাৎ বাজ পড়ল। আবার একবার আওয়াজ হল। আমি ভাবলাম ওটা বুঝি আমার মাথা ভিতর থেকেই আসছে। আমি আরো জোরে মাথা চেপে ধরলাম। কিন্তু এবার দরজায় টোকার সাথে একটা পরিচিত আওয়াজ পেলাম, "রমু।" আমি প্রথমে বুঝতে পারলাম না আওয়াজটা কোন দিক থেকে আসছে। আবার আওয়াজ হল, "রমু।" 

    আমি তড়াক করে লাফিয়ে উঠলাম; এ তো বাবার আওয়াজ! আমি দরজা খুললাম। বাবা কিছু না বলে সোজা ভিতরে চলে এলেন। বিছানায় বসে বললেন, "দরজা লাগিয়ে দাও। এখানে এসে বোসো। তোমার সাথে কথা আছে আমার।" 

    আমার বুক ধক করে উঠল। কী কথা? আমি দরজা লাগিয়ে ভয়ে ভয়ে এসে বসলাম তার পাশে। তিনি আমার মাথায় হাত বোলালেন। আমার মনে হল যেন স্বর্গ থেকে পুষ্পবৃষ্টি হল। আমার মনে হল, আমিই যেন রুদ্রদমন বাচস্পতি। 

    আমি স্বপ্নে হারিয়ে গেলাম। দেখলাম, "একটা দিগন্তবিস্তৃত মাঠ। তাতে বিরাট বিরাট বৃক্ষ, আর তলা বিছিয়ে ফুল পড়ে আছে। আর বাকি যে অংশটা, তাতে সব ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ। তার ফুলটা এত সুন্দর, যেন মনে হল পারিজাত এর থেকে সুন্দর হতে পারে না। পৃথিবীতে যে ইন্দ্র বলে দেবতাকে মানে, তার স্ত্রী শচীরানীকে যদি এখানে আনতে পারতাম, দেখাতাম, পারিজাত আছে বলে গর্ব করো? এ ফুল দেখেছ কখনো?"

    আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। বাবা বললেন, "কী হয়েছে তোমার? কদিন নাকি ঠিকমতো খাচ্ছ না, সেদিন তোমার মা তোমায় মেরেছিলেন?" আমি বাবার দিকে তাকাইনি, কিন্তু বুঝতে পারলাম, তিনি আমার প্রতি স্নেহ দেখানোর পুরো চেষ্টা করছেন, কিন্তু পারছেন না। এতদিনের ঘৃণা, বিরক্তি কি একদিনে যায়? 

    তিনি আমার গায়ে হাত দিয়ে আছেন বটে, কিন্তু সরাতে পারলেই বাঁচেন। তার আঙুলের ছটফটানি স্পষ্টতই সেই ইঙ্গিত করছে। আমি মৃদু স্বরে বললাম, "আমার প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা করছে।" এত আস্তে বললাম কথাটা, যে তিনি শুনতেই পেলেন না। গলায় বিরক্তির একটা দমকা এসে গেল, তিনি বললেন, "কী?" 

    কিন্তু পরক্ষণেই সামলে নিয়ে, স্নেহ মাখিয়ে নিয়ে বললেন, "কী হয়েছে?" আমি ঘাবড়ে গিয়েছিলাম, একটু দম নিয়ে ধাতস্থ হতে বললাম, "আমার কদিন প্রচন্ড মাথা যন্ত্রণা করছে।" তিনি বললেন, "আচ্ছা। কাল সকালে ডাক্তার দেখাতে যাব তৈরি থেকো।"

    পরের দিন সকালে আমি পাঁচটায় উঠে তৈরি হয়ে বসে থাকলাম। তিনি সকালে বলেছেন, কিন্তু কটায়, সেটা তো বলেননি! আমি জানি তিনি সাতটার আগে উঠেন না। কিন্তু যদি উঠে পড়েন! তখন আমাকে না পেলে তো প্রচন্ড রেগে যাবেন আবার। আমার জন্য সবারই রাগ যেন বেশি। আমি কি রাগ অ্যামপ্লিফায়ার!

    বাবা যথারীতি সাতটায় উঠলেন। প্রাতঃকৃত সেরে, ব্রাশ করে, খবরের কাগজ পড়তে পড়তে চা খেলেন। আজকে আমার মাথার যন্ত্রণাটা একটু কম। তাই আমি নিজের ঘরে বসে একটা বই পড়ছি। মন কিন্তু বাইরেই পড়ে আছে, এই বুঝি বাবা ডাকলেন। বাবা সাড়ে আটটার সময় এসে ডাকলেন। আমি তৈরিই ছিলাম, বেরিয়ে গেলাম। বাবার হোভারসাইকেলে উঠে বসলাম। অ্যাসক্লেপিয়াস ব্লকের দিকে চলল। সেখানে ডাক্তার দেখিয়ে বাবা আমার হাতে দশ টাকার একটা নোট দিয়ে বললেন, "স্টেশনে গিয়ে মেট্রো ধরে চলে যাও। তোমাকে ছাড়তে গেলে আমার অফিসে পৌঁছতে দেরি হয়ে যাবে।" 

    বাড়ি ফিরতে প্রায় এগারোটা বেজে গেল।

    ওষুধটা কিন্তু কাজ দিল খুব তাড়াতাড়িই। খাওয়ার পর থেকেই মাথার যন্ত্রণাটা কমতে লাগল। সবার আগে গেল ওই ফিসফিসে আওয়াজটা। ওটা মাথার যন্ত্রণার থেকেও যন্ত্রণাদায়ক ছিল। আমার হঠাৎ মনে হল, "আহ, কী শান্তি!"
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৫ জুলাই ২০২৪ ২০:৪৩534222
  • মাঝে মাঝে কিছু টুকরো ছবি আমরা পাচ্ছি যেখানে মনে হচ্ছে হয়তো এটা নিকট ভবিষ্যতের গল্প (আসলে নয় কারণ ডেট 2013 লেখা) বা আমাদের পৃথিবীর মতো নয়, কিছুটা সাই ফাই এলিমেন্ট আছে। কিন্তু বাকি অংশটা তার সাথে যেন মিলছে না। এত রাগ আর ঘৃণার কারণটা এক্ষুনি বোঝা যাচ্ছে না, হয়তো পরে যাবে।  পড়ছি লেখাটা।
     
    আরেকটা অনুরোধ প্রত্যেক পর্বের শিরোনামে পর্ব সংখ্যা উল্লেখ করে দিলে বুঝতে সুবিধা হয়।
  • পাগলা গণেশ | ০৫ জুলাই ২০২৪ ২১:২২534223
  • সব বলে দিতে মন যাচ্ছে,কিন্তু তাতে লেখার প্রতি আর কোনো আগ্রহ থাকবে না।
    তবু একটু ক্লু দিচ্ছি।
    টোপান,আক্রোপোলিস,অ্যাসক্লেপিয়াস।
    গুগলে সার্চ করে দেখলে কিছুটা আন্দাজ পাবেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন