সমরেশ চোখ খুলে দেখল, সিলিং ফ্যানটা ঘুরছে। ঘুরছে, ঘুরছে ক্রমাগত ঘুরেই চলেছে। সে বেশ অনেকক্ষণ দেখল ফ্যানের ঘোরাটা। একই ছন্দে কতক্ষণ ধরে ঘুরছে, কোনো ক্লান্তি নেই, নিঃসঙ্গতার বোধ নেই, ভালোবাসা বা মনোযোগ পাওয়ার ইচ্ছা নেই, কি সুন্দর! নেশা ধরে গেল। কিছুক্ষণ এভাবে কাটার পর ও একটা নতুন খেলা আবিষ্কার করল। ফ্যানের ঘোরা গুনতে চেষ্টা করল, একবার, দুবার, তিনবার.... হারিয়ে ফেলল। আবার চেষ্টা করল, একবার, দুবার, তিনবার, চারবার, পাঁচবার..... আবার হারিয়ে ফেলল। এরকম করে বারবার হারিয়ে ফেলে ওকে ... ...
আমি.......আমি হরিদাস পাল। মানে যেই হরিদাস পালের কথা শুনে এসেছেন আপনারা সে নই।এবার প্রশ্ন হচ্ছে তবে আমি কে?আমি মনে করুন একটা টেবিল,কিংবা একটা টিপট,যাকে বাড়িতে কুটুম এলে বের করা হয়।কিংবা একজন চলচ্ছক্তিহীন কিশোর কিংবা যুবক,যার কিনা সারাটাদিন বিছানায় শুয়েই কাটে।হতে পারি আমি কনজেনিটাল বা জন্মগত পঙ্গু,অথবা কোনো দুর্ঘটনায় চলচ্ছক্তি হারিয়েছি আমি।আমি ভাবছি জন্মগত চলচ্ছক্তিহীন যুবকটাই ভালো হবে।তাহলে গল্পটা সাজানো যাবে বেশ।অন্যান্য লেখকরা তো আপনাকে প্রথম থেকেই বিশ্বাস করাতে চেষ্টা করেন এটা সত্যি কথা,আমি নাহয় আপনাকে স্বাধীনতা দিলাম এটাকে গল্পই ধরুন।নিছক নিষ্কর্মা মনের 'নট সো উর্বর' কল্পনা।ছাড়ুন ওসব;জানেন আমার খুব মন খারাপ হয় মাঝে মাঝে,মেনেই নিয়েছি নিজের ভবিতব্য।জানি সারাটা জীবন আমাকে ... ...
আমার পূর্বপ্রকাশিত ' দণ্ড ' ছোটগল্পটি ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করছি।এটা যতটা না প্রকাশের উদ্দেশে,তার থেকেও বেশি এটা জানার জন্য,যে অনুবাদ ঠিকঠাক হয়েছে কিনা। যদি কোনো ভুল চোখে পড়ে,নিশ্চয় বলবেন।সবার জন্য অবারিত দ্বার রইল। ভয় আরও এইজন্য লাগছে এর আগে কোনো অনুবাদ করিনি।নিজের লেখা বলে সাহস হল। Roshan’s world turned completely upside down the day his mother—his own mother—picked him up and dropped him into the pot of water.So let’s start from the beginning.Roshan was an average boy who earned his living doing delivery work. Most of the time, he delivered things around his own neighborhood, but sometimes he had to go ... ...
রোশনের দুনিয়া সেদিন পুরো উল্টে গিয়েছিল,যেদিন তার মা,তার নিজের মা,তাকে তুলে জলের হাঁড়িতে ফেলে দিল।তাহলে শুরু থেকেই শুরু করা যাক।রোশন একজন মোটামুটি কাজ করে খাওয়া ছেলে। ও বিভিন্ন জিনিসপত্র ডেলিভারি দেয়।প্রধানত নিজের এলাকায় দিলেও,মাঝে মাঝে ওকে জিন আর পরীদের মহল্লায় দিতে হয়। তা অবশ্য সবসময় নয়।যখন ওর মায়ের ওষুধের খরচ বেড়ে যায়, আর কিছু উপায় থাকে না,শুধু তখনই।ওর এখানে কাজ করতে যে কোনো সমস্যা আছে তা নয়,তবে ওদের অনেক ঝামেলা।হিন্দু জিন -পরীরা হালাল ট্যাগ দেখলেই ওকে মারতে ছুটে আসে,মুসলমানদের দেখলেই ওর কেমন ভয় ভয় লাগে।ওদের চোখে সুরমা,গায়ে আতরের গন্ধ, হাতে তসবিহ।বাপরে সে কী ভয়ঙ্কর!আর ওদের কসাইগুলো,বাপরে!এখনই খুন করে ফেলবে যেন।তবে ... ...
আবার বৃষ্টি শুরু হল।হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি, তার সাথে এলোমেলো বাতাস। বৃষ্টির ফোঁটাগুলি যেন মসলিনের একটা পর্দা জানালার বাইরে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। বাতাসে সেই পর্দা মাঝে মাঝে ছিঁড়ে গিয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসছিল। রবিন জনসনের ড্রয়িং রুমের বড় ফরাসি জানালাগুলো জলের নাজুক ফোঁটায় ভরে উঠেছিল। সেগুলোর ওপারে, বাগান যেন সবুজ ও ধূসর রঙের অস্পষ্ট এক স্বপ্নের মতো ঢেকে ছিল।আজহার চৌধুরী হলুদাভ গরম আলোর মধ্যে বেজ রঙের নরম সোফায় বসেছিলেন, দুই হাতের আঙুলে দার্জিলিং চায়ের কাপটিকে ধরে তার উষ্ণতাটা নিচ্ছিলেন। তার সামনে, রবিন একটি খোদাই করা সেগুন কাঠের সোফায় বসে স্বচ্ছ কাঁচের গ্লাসে দামী স্কচ হাতে নিয়ে দোলাচ্ছিলেন। গ্লাসের ভেতর বরফগুলো অস্থিরভাবে ... ...
ধরা পড়ে ছেলেটা বারবার মিনতি করছিল,"বিশ্বাস করুন আমার মোটেও খিদে ছিল না,আমি শুধু থালাটা মাথায় চাপা দেব বলে নিয়েছিলাম,ওতে খাবার ছিল,সেটা কি ফেলে দেব?বাড়ির আছে বলতে এই শিক্ষাটুকুই তো!বাকি সব তো সরকার আর কোম্পানি ভাগ করে খেয়েছে।" আমি যখন কাছে পৌঁছলাম,ওরা প্রায় শেষ করেই এনেছে ছেলেটাকে,বিশ্বাস করুন ছেলেটা পুরো মানুষের মতোই দেখতে,ওরা কেন যে ওকে ' কুত্তার বাচ্চা,শুয়োরের বাচ্চা 'বলে গাল দিচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম না।যখন ওই 'কুত্তার বাচ্চা '- টা মারা গেল,উল্টে পাল্টে দেখে আমি আশ্চর্য হলাম,দেখলাম,ওর মধ্যে একটুও কুকুরসুলভ কিচ্ছু নেই।শুধু ওর গোপনাঙ্গটা কুকুরের মতোই লুকানো।তাহলে কি তাই! আমি এখন দেখি প্রতিদিন,বলছে নাকি তালিবানরা জঙ্গী, হামাসও।তামিল এলমকেও বলত,নকশালরাও তাই।কিন্তু কোনো দেশের ... ...
আজ চারিদিকে যেখানে চোখ যায় প্রায় সবাই বিকারগ্রস্ত, পাগল, মাতাল, খ্যাপা। তার মাঝে একজন আমাকে ডেকে গেল, "ওই খ্যাপা।" আমি চারিদিকে তাকিয়ে দেখি, কেউ কোথাও নেই; আমি আর লোকটা ছাড়া, আমারও কদিন সন্দেহ হচ্ছিল নিজের অবস্থা নিয়ে, এই যে স্রোতে গা ভাসাতে পারছি না আগের মতো, যুক্তি খুঁজছি, এসব তো আগে হতো না! মাস গেল, একটা গোটা বছরও, রোগ বেড়ে গেল, ডাক্তার বলল, "এ ব্যাধি দুরারোগ্য।" আমি আর ভাবিনি চিকিৎসা নিয়ে, নিজেকে সুস্থ প্রমাণ করতে লাগলাম প্রানপণে, দল গড়লাম, নাম দিলাম 'অমুক', দলে দলে লোক যোগ দিল ... ...
In a quiet town where whispers flew,Lived a boy who feared what words could do.Not sticks or stones, but syllables long,Would send him running from a song. He’d shiver at words like “onomatopoeia,”And tremble when someone reads an encyclopedia.But worst of all—oh, what a phobia!—He suffered from Hippopotomonstrosesquipedaliophobia. Then came a nanny, floating on the breeze,With words like magic and manners with ease.She danced and sang with a radiant glow,And shouted a word we all now know: “Supercalifragilisticexpialidocious!”A word so bold, yet strangely precocious.It made the boy laugh, then clap and cheer,And suddenly... he lost his fear! Now he speaks with joy, without hesitation,Words ... ...
ধরা পড়ে ছেলেটা বারবার মিনতি করছিল,"বিশ্বাস করুন আমার মোটেও খিদে ছিল না,আমি শুধু থালাটা মাথায় চাপা দেব বলে নিয়েছিলাম,ওতে খাবার ছিল,সেটা কি ফেলে দেব?বাড়ির আছে বলতে এই শিক্ষাটুকুই তো!বাকি সব তো সরকার আর কোম্পানি ভাগ করে খেয়েছে।"আমি যখন কাছে পৌঁছলাম,ওরা প্রায় শেষ করেই এনেছে ছেলেটাকে,বিশ্বাস করুন ছেলেটা পুরো মানুষের মতোই দেখতে,ওরা কেন যে ওকে ' কুত্তার বাচ্চা,শুয়োরের বাচ্চা 'বলে গাল দিচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম না।যখন ওই 'কুত্তার বাচ্চা '- টা মারা গেল,উল্টে পাল্টে দেখে আমি আশ্চর্য হলাম,দেখলাম,ওর মধ্যে একটুও কুকুরসুলভ কিচ্ছু নেই।শুধু ওর গোপনাঙ্গটা কুকুরের মতোই লুকানো।তাহলে কি তাই!আমি এখন দেখি প্রতিদিন,বলছে নাকি তালিবানরা জঙ্গী, হামাসও।তামিল এলমকেও বলত,নকশালরাও তাই।কিন্তু কোনো দেশের ... ...
আমার ঘরের নিয়ম বড় কড়া,দরজায় শয়ে শয়ে দারোয়ান,ঘরের ভেতর আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে প্রহরী।মাছিটিও ঢুকতে পারে না তাদের পেরিয়ে। তাহলে?তাহলে আমি কোন রোগে ভুগছি,আমি মরে যাচ্ছি কেন? আমার প্রহরীরা খুব কড়া,প্রতিদিন আমার শরীর থেকে রক্ত বের করে দেয় বিশুদ্ধতার নামে,আমার গায়ের চামড়া তুলে দেয়,পুরোনোটা নোংরা হয়ে গিয়েছিল বলে। আমি আস্তে আস্তে মরে যাচ্ছি;কিন্তু ওরা তাতে আরো চিন্তিত।এখন রক্ত বের করে নেওয়ার প্রক্রিয়া বারে বাড়ছে,চামড়ার সাথে মাংসের স্তরের পুরুত্ব বাড়ছে প্রতিবারে। আমি ওদের কাছে আমার মৃত্যু ভিক্ষা করি,কিন্তু ওরা বিরক্ত হয়—'কি শিশুসুলভ বায়না!''মরার জন্যই কি ওরা এত সদাসতর্ক, শশব্যস্ত?' কিন্তু আমার জীবনীশক্তি ক্রমশ কমে আসছে,আমি আর এই অত্যাচার সইতে পারছি না।ওরা এখন আমাকে হাঁটতে সাহায্য করে, খাইয়ে দেয়।সেদিকে ... ...