বিজ্ঞাপণ হয়তো আর কয়েক দশক বাদে,চারিদিক ছেয়ে যাবে বিজ্ঞাপনে,এখনের থেকেও বেশি,অনেক অনেক বেশি,প্রতিটা ঘরের দেওয়াল, রাস্তার পিচ,কংক্রিট বা মাটি কেউ বাদ যাবে না,বইয়ের পাতায় ফাঁকা অংশ,টাঁকলার টাঁক, লোমহীন বুক হাত পা,জামার কাপড় বিজ্ঞাপনে ভর্তি হবে,সাদা জামার দাম হবে বেশি,আর বিক্রির জিনিস,সে তো ইজ্জত থেকে শুরু করে আলপিন-চিনির দানা,সওওব বিক্রি হবে,মানুষের বিবেক,দয়া, মায়া এসবের দাম সবচেয়ে কম হবে,মরার পরে লাশও বিক্রি করবে আত্মীয়,দুটো টাকা বেশি পেলে,না কেনা গ্যাজেটটা কিনে নেবে হয়তো,লাশ তো সেই পচেই যাবে! বীর জাতির প্রতিনিধি আমার মৃত্যুর পরোয়ানা জারি হয়ে যাওয়ার পরেও,যখন আমি ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম প্রকাশ্য রাজপথে,ওদের কয়েকজন আমায় চিনতে পেরেছিল,কিন্তু বিশ্বাস করতে পারেনি।কি করে এমন দুর্বল জাতির এত বড়ো বুকের ... ...
একটা রাজহাঁস পুষেছি আমি।খুব সুন্দর।আমার জীবনে সুন্দরের খুব অভাব,তাই তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাই।সে আপত্তি করে,আমি ছেড়ে দিতে চাই -পারি না।আমি সুন্দর ভালোবাসি।তবে ভেবেছি,যদি কেউ সুন্দর আসে,যদি ভালোবাসে -ওকে সমাধি দেব আমি।আমাকে নিষ্ঠুর ভাবতে পারো তুমি।কিন্তু ভাবো -যে এতদিন ভালোবাসা পেয়ে এসেছে,সে যদি আজ অবহেলিত হয়,সহ্য করতে পারবে কি?তার সামনে অন্যজন অধীশ্বর বা অধীশ্বরী হয়ে উঠবে,পারবে চোখ চেয়ে দেখতে?তার চেয়ে ভালো,ও ফিরে যাক,মরে যাক।যতদিন বেঁচে ছিল,ভালোবেসেছিলাম ওকে আমি,ও আমায় ভালবেসেছিল। ... ...
After the hour hand struck four,I woke to an afternoon of drizzle.It fell like it would never end.The sky had lightened,but my faith in the weather was fading.I stood still beneath those drops,my vanity bruised.How could such tiny thingsmake me feel so obsolete?My sense of superioritywas buried beneath their unity.I was losing-according to me.They didn't care.The fire inside mewas now consuming me,smoke rising from my mortal shell.A glitch in my software-that’s what I called it.It made me fragile.But I wasn't ready to admit that.It was nothing-just the rain outside. ... ...
ওরা আরও নিয়ন্ত্রণ চায়,টুকে রাখে প্রতিটা পদক্ষেপ,একেকটা নিঃশ্বাসের শব্দ,ডাঁয়ে-বাঁয়ে ফেলা প্রতিটি চোরা চাহনির ছবি ভিডিও,তোমার আয়-ব্যয়,পছন্দ-অপছন্দ সব জানে ওরা,ওরা তোমার ঘরে বসে,তোমার রোজগারে,তোমার ভাগের খাবার খেয়ে,তোমাকেই বলে কি করতে হবে,তোমার ভাগ্য ওদের হাতেই,পরজীবীর মতো রক্ত শুষে ছিবড়ে করে তোমায়,ওরা মোটা হয়,তোমরা দলে ভারী,কিন্তু ওরা সংগঠিত,তোমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তোমরা ছিঁড়ে ফেলে ওদের,তোমাদের থেকে একজনকে বানাও আবার ওদের স্বরূপ,আবার সেই চক্র চলতে থাকে।আসলে তোমরা স্বাধীনতা চাও না,চাও না আবার বন্দি হতেও,তোমরা বন্দি থেকে স্বাধীনতার ভ্রমে বাঁচতে চাও। ... ...
এখানেও সকাল হয়,রক্ত মাখা রাস্তা ধুয়ে দেওয়া হয় সকালে,বড় বড় জল ট্যাংকি আসে,সরকারি তৎপরতায় কয়েকজন নাগরিকের অস্তিত্ব মুছে ফেলা হয়,চিরদিনের তরে।কেউ প্রশ্ন করে না। মা কাঁদে বুক চাপড়ে,বাপ থমথমে মুখে দাঁড়িয়ে থাকে,কিন্তু না,তারাও প্রশ্ন করে না।ভাবে সরকার করেছে,নিশ্চয় কিছু ভেবেই করেছে।অত বড় বড়,শিক্ষিত লোক সব,ওরা নীতি নির্ধারণ করে,ভুল কি করে হবে!বললেই হল আর কি ! আমি আর দুচারজন একবার প্রশ্ন করেছিলাম,"সত্যিই কি এমন নৃশংস গণহত্যা প্রয়োজন?বিকল্প তো কিছু থাকতেও পারে?"ওরা উত্তর দেয়নি,আমাদের গায়ে দাগিয়ে দিয়েছিল দেশদ্রোহী লিখে। আমাদের সাথে কেউ কথা বলে না তারপর,খেতেও পাই না আমরা,এখন গলা দিয়ে কেমন চিঁ চিঁ আওয়াজ বেরোয়।শুধু মাঝে মাঝে কয়েকজন আসে,আমাদের রক্ত নিয়ে যায়।খুব শুদ্ধ নাকি ... ...
আকাশে কুয়াশা,নীচে সবুজ বনে লুকিয়ে আদিম নৃশংসতা,এখনও ওখানে বাতির আলো নিভে যায়-নিয়ে গেলে মানুষ ভুলে যায় সভ্যতা কাকে বলে,আমি দেখেছি, আমার দাঁত-নখ বড় হয়ে গিয়েছিল,গায়ের বড় লোম আরো বড় হয়েছিল,আমি তিনটে পাখির গলা ছিঁড়ে রক্ত খেয়েছি সেদিন,ঘরে এসে মুখ মুছে প্রাণপণ চেষ্টা করেছি ভালোমানুষ সাজার,কিন্তু আমি নিজেকে কি করে মিথ্যা বোঝাব?তারপর নিজেই আবিষ্কার করেছি,"আমি তো ওদেরই একজন,শুধু ভান করেছি আলাদা হওয়ার।"এখানে আমি নিজেকে পেয়েছি নিজেদের মাঝে।আমি কুৎসিত,আমি বিকলাঙ্গ,কিন্তু ওরা ফিরিয়ে দেয়নি আমাকে,বরং উপহার দিয়েছে বর্বরতা, নৃশংসতা।আমি কৃতজ্ঞ সবার কাছে,এই বন, আকাশ,গাছপালা,পশুপাখি সবার।আমি ভুলে গিয়েছিলাম আমি যাদের প্রেমে পড়েছি আগে,যাদের ভালোবেসেছি-তারা কেউ নয়,আমাকে এখানেই মানায়,আমি এদেরই একজন।আমি থেকে যাব যতদিন বেঁচে ... ...
লোকটার নাম অতীন্দ্র বর্মন।গরীব লোক,ফড়িং খায়।ওর বাড়ি রাস্তার ধারে,এখান থেকে দূরের প্রাইমারি স্কুলটা আবছা দেখা যায়।কোনো কোনো গ্রীষ্মের দুপুরে,বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকলে বেশ স্পষ্ট দেখা যায়।ওখানে ওর মেয়েটা পড়ে।পড়াশোনায় ভালো নয় তেমন,কিন্তু খেলতে খুব ভালবাসে। অতীন্দ্রও বাসত,কিন্তু এখন আর পেরে উঠে না।পঁচিশ বছর একটা সিমেন্ট কারখানায় কাজ করার পর ফুসফুস সিমেন্টিভূত হয়ে গেছে।ডাক্তার বলেছে স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলেছে।তিনি একটা রাবারের গার্টার নিয়ে দেখিয়েছিলেন স্থিতিস্থাপকতা কী জিনিস।অতীন্দ্র আগেও দেখেছে,পাত্তা দেয়নি।কিন্তু এই সামান্য ব্যাপারটা যে ওর জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, তা আগে ভাবেনি কখনও।ওর গার্টারটাকে হিংসে হয়,মনে হয় কী অন্যায়!ওর দরকার,কিন্তু ওর ফুসফুসের স্থিতিস্থাপকতা নেই,আর এদিকে ওই গার্টারটর না হলেও চলে,কিন্তু.....একটা ... ...
আমার একপাটি দাঁত দরকার,নিখুঁত,নিটোল,সুন্দর ঝকঝকে মুক্তোর মতো দাঁত।একেবারে ঠিক টুথপেস্টের বিজ্ঞাপণে যেমন দেখায় না,ঠিক ওরকম সুন্দর।আমার নিজের দাঁত এতটা ফাঁকা ফাঁকা,মাংস খেলে মাংসের ছিবড়ে আটকে যায়,হাসতে লজ্জা লাগে।তাই খুব ধীরে ধীরে আমার একটা ফেটিশ গড়ে উঠেছে,সুন্দর দাঁতের উপর।আমি টের পাইনি,কিন্তু যখন পেলাম,ছাড়লাম না,ঝাড়লাম না।আমি প্রাকৃতিক উপায়ে খুব বিশ্বাস করি,আমি কোনোদিন মুখে কোনো ক্রিম,ফেসওয়াশ,এমনকি গ্রীষ্মকালে পাউডার পর্যন্ত মাখি না।নেহাত না দরকার হলে ওষুধ খাই না।কিন্তু আমি অনেকবার ভেবেছি,দাঁতটা ঠিক করাব।এক হারামজাদা আবার,ডুবসাঁতার দিয়ে ঠিক আমার সামনে ভেসে উঠেছিল।তার মাথা সজোরে ঠুঁকে গিয়েছিল আমার থুতনিতে।ব্যাস,একটা দাঁতের চোকলা উঠে গেল,আর বাকি কৃন্তক দাঁতগুলো গেল নড়ে।আমি দাঁত নিয়ে আরো লজ্জিত হয়ে পড়লাম।কদিন বাদে নড়া ... ...
আমি এইজন্যই এরকম লেখা লিখি না।আনন্দের,খুশির লেখা লিখলেই কেমন খেলো হয়ে যায়।যাদের পড়িয়েছি আমার লেখা,তাদের বেশিরভাগ বলে,তুই খুশির,আনন্দের কিছু লিখতে পারিস না? তাদের কী করে বোঝাই,এরকম অখাদ্য,ন্যাকামার্কা লেখা পড়লে ওদের বমি পাবে। তাহলে আজকে কেন পোস্ট করছি? আজকে খুব পোস্ট করতে মন চাইছিল কিছু।কিন্তু নতুন কিছু লেখার চেষ্টা করেও সারাদিন কিচ্ছু লিখতে পারিনি।লেখার মতো ব্যাপার ঘটেনি এমন নয়,কিন্তু সেগুলো থেকে কিছু সৃষ্টি করতে কিছুতেই পারছিলাম না।এই আমার দোষ,যখন আসবে ধারাস্রোতের মতো আসতেই থাকবে,যখন আসবে না, শত চেষ্টাতেও আসবে না। তাই শেষে হতোদ্যম হয়ে এটাই পোস্ট করে দিচ্ছি। একদিন খুব সকালে উঠে আকাশে একখানা পর্দা টাঙিয়ে বলব,"সূর্য আজ তুমি যতখুশি আলো দাও,একটুও রাগ করব না।"সেদিন ... ...
আমি গনেশ,পাগলা গনেশ।গরম রক্ত,নরম মন।সবকিছুতে যুক্তি খুঁজি,ঈশ্বরে বিশ্বাস মোটেই নেই।ওই যাকে বলে নাস্তিক,আমি তাই। একটু আধটু লেখালিখি করি,তবে ওটা শখের বশেই।ইচ্ছে তো আছে একদিন বিশাল নাম-যশ হবে,কিন্তু আমি মাত্রাতিরিক্ত কুঁড়ে আর ভাঁড়ারে আছে লবডঙ্কা।তাই..... আমি লিখি, মানে লেখার চেষ্টা করি,অনেকে বলবেন ডার্ক,ঋণাত্মক ইত্যাদি।তবে আমি তা বলি না।আমি বলি আমার দৃষ্টিভঙ্গি আপনাদের উপহার দিতে চাই মাত্র।জানাতে চাই এভাবেও দেখা যায়,লেখা যায়।তবে আমার দৃষ্টিভঙ্গি,আমার মতই যে একমাত্র মত,একমেবদ্বিতীয়ম পথ, তা মানি না। তারপর কী খাজা লেখা যে লিখি, তা তো আপনারা জানেনই। নিজের সম্বন্ধে সন্দিহান,একইসাথে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। মানে ব্যাপারটা এরকম,নিজের সম্বন্ধে কয়েকটা বিষয় খুব ভালো জানি,আবার কিছু জিনিস আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে।নাগাল পেতে চেষ্টা করি,কিন্তু কাঁটাতারের বেড়া।পশ্চিমবঙ্গ ... ...