আবার বৃষ্টি শুরু হল।হালকা ঝিরঝিরে বৃষ্টি, তার সাথে এলোমেলো বাতাস। বৃষ্টির ফোঁটাগুলি যেন মসলিনের একটা পর্দা জানালার বাইরে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। বাতাসে সেই পর্দা মাঝে মাঝে ছিঁড়ে গিয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসছিল। রবিন জনসনের ড্রয়িং রুমের বড় ফরাসি জানালাগুলো জলের নাজুক ফোঁটায় ভরে উঠেছিল। সেগুলোর ওপারে, বাগান যেন সবুজ ও ধূসর রঙের অস্পষ্ট এক স্বপ্নের মতো ঢেকে ছিল।আজহার চৌধুরী হলুদাভ গরম আলোর মধ্যে বেজ রঙের নরম সোফায় বসেছিলেন, দুই হাতের আঙুলে দার্জিলিং চায়ের কাপটিকে ধরে তার উষ্ণতাটা নিচ্ছিলেন। তার সামনে, রবিন একটি খোদাই করা সেগুন কাঠের সোফায় বসে স্বচ্ছ কাঁচের গ্লাসে দামী স্কচ হাতে নিয়ে দোলাচ্ছিলেন। গ্লাসের ভেতর বরফগুলো অস্থিরভাবে ... ...
ধরা পড়ে ছেলেটা বারবার মিনতি করছিল,"বিশ্বাস করুন আমার মোটেও খিদে ছিল না,আমি শুধু থালাটা মাথায় চাপা দেব বলে নিয়েছিলাম,ওতে খাবার ছিল,সেটা কি ফেলে দেব?বাড়ির আছে বলতে এই শিক্ষাটুকুই তো!বাকি সব তো সরকার আর কোম্পানি ভাগ করে খেয়েছে।" আমি যখন কাছে পৌঁছলাম,ওরা প্রায় শেষ করেই এনেছে ছেলেটাকে,বিশ্বাস করুন ছেলেটা পুরো মানুষের মতোই দেখতে,ওরা কেন যে ওকে ' কুত্তার বাচ্চা,শুয়োরের বাচ্চা 'বলে গাল দিচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম না।যখন ওই 'কুত্তার বাচ্চা '- টা মারা গেল,উল্টে পাল্টে দেখে আমি আশ্চর্য হলাম,দেখলাম,ওর মধ্যে একটুও কুকুরসুলভ কিচ্ছু নেই।শুধু ওর গোপনাঙ্গটা কুকুরের মতোই লুকানো।তাহলে কি তাই! আমি এখন দেখি প্রতিদিন,বলছে নাকি তালিবানরা জঙ্গী, হামাসও।তামিল এলমকেও বলত,নকশালরাও তাই।কিন্তু কোনো দেশের ... ...
আজ চারিদিকে যেখানে চোখ যায় প্রায় সবাই বিকারগ্রস্ত, পাগল, মাতাল, খ্যাপা। তার মাঝে একজন আমাকে ডেকে গেল, "ওই খ্যাপা।" আমি চারিদিকে তাকিয়ে দেখি, কেউ কোথাও নেই; আমি আর লোকটা ছাড়া, আমারও কদিন সন্দেহ হচ্ছিল নিজের অবস্থা নিয়ে, এই যে স্রোতে গা ভাসাতে পারছি না আগের মতো, যুক্তি খুঁজছি, এসব তো আগে হতো না! মাস গেল, একটা গোটা বছরও, রোগ বেড়ে গেল, ডাক্তার বলল, "এ ব্যাধি দুরারোগ্য।" আমি আর ভাবিনি চিকিৎসা নিয়ে, নিজেকে সুস্থ প্রমাণ করতে লাগলাম প্রানপণে, দল গড়লাম, নাম দিলাম 'অমুক', দলে দলে লোক যোগ দিল ... ...
In a quiet town where whispers flew,Lived a boy who feared what words could do.Not sticks or stones, but syllables long,Would send him running from a song. He’d shiver at words like “onomatopoeia,”And tremble when someone reads an encyclopedia.But worst of all—oh, what a phobia!—He suffered from Hippopotomonstrosesquipedaliophobia. Then came a nanny, floating on the breeze,With words like magic and manners with ease.She danced and sang with a radiant glow,And shouted a word we all now know: “Supercalifragilisticexpialidocious!”A word so bold, yet strangely precocious.It made the boy laugh, then clap and cheer,And suddenly... he lost his fear! Now he speaks with joy, without hesitation,Words ... ...
ধরা পড়ে ছেলেটা বারবার মিনতি করছিল,"বিশ্বাস করুন আমার মোটেও খিদে ছিল না,আমি শুধু থালাটা মাথায় চাপা দেব বলে নিয়েছিলাম,ওতে খাবার ছিল,সেটা কি ফেলে দেব?বাড়ির আছে বলতে এই শিক্ষাটুকুই তো!বাকি সব তো সরকার আর কোম্পানি ভাগ করে খেয়েছে।"আমি যখন কাছে পৌঁছলাম,ওরা প্রায় শেষ করেই এনেছে ছেলেটাকে,বিশ্বাস করুন ছেলেটা পুরো মানুষের মতোই দেখতে,ওরা কেন যে ওকে ' কুত্তার বাচ্চা,শুয়োরের বাচ্চা 'বলে গাল দিচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম না।যখন ওই 'কুত্তার বাচ্চা '- টা মারা গেল,উল্টে পাল্টে দেখে আমি আশ্চর্য হলাম,দেখলাম,ওর মধ্যে একটুও কুকুরসুলভ কিচ্ছু নেই।শুধু ওর গোপনাঙ্গটা কুকুরের মতোই লুকানো।তাহলে কি তাই!আমি এখন দেখি প্রতিদিন,বলছে নাকি তালিবানরা জঙ্গী, হামাসও।তামিল এলমকেও বলত,নকশালরাও তাই।কিন্তু কোনো দেশের ... ...
আমার ঘরের নিয়ম বড় কড়া,দরজায় শয়ে শয়ে দারোয়ান,ঘরের ভেতর আনাচে-কানাচে, অলিতে-গলিতে প্রহরী।মাছিটিও ঢুকতে পারে না তাদের পেরিয়ে। তাহলে?তাহলে আমি কোন রোগে ভুগছি,আমি মরে যাচ্ছি কেন? আমার প্রহরীরা খুব কড়া,প্রতিদিন আমার শরীর থেকে রক্ত বের করে দেয় বিশুদ্ধতার নামে,আমার গায়ের চামড়া তুলে দেয়,পুরোনোটা নোংরা হয়ে গিয়েছিল বলে। আমি আস্তে আস্তে মরে যাচ্ছি;কিন্তু ওরা তাতে আরো চিন্তিত।এখন রক্ত বের করে নেওয়ার প্রক্রিয়া বারে বাড়ছে,চামড়ার সাথে মাংসের স্তরের পুরুত্ব বাড়ছে প্রতিবারে। আমি ওদের কাছে আমার মৃত্যু ভিক্ষা করি,কিন্তু ওরা বিরক্ত হয়—'কি শিশুসুলভ বায়না!''মরার জন্যই কি ওরা এত সদাসতর্ক, শশব্যস্ত?' কিন্তু আমার জীবনীশক্তি ক্রমশ কমে আসছে,আমি আর এই অত্যাচার সইতে পারছি না।ওরা এখন আমাকে হাঁটতে সাহায্য করে, খাইয়ে দেয়।সেদিকে ... ...
আমার মৃত্যুর কারণ জানলে তুমি অবাক হবে।আমি এমনি এমনি মরিনি, আর দশটা লোকের মত না—আমি শিল্পীর মৃত্যু মরেছিলাম। তখন আমার বয়স ত্রিশ হবে।তবে আর সবাই যেমন হয়, তেমন নয়—আমি শিল্পী ছিলাম তো! খেতে পেতাম না,পায়খানায় যেতাম না টানা একমাস।পেট আর পিঠের মাঝে এক ইঞ্চি ফারাক ছিল।খিদে লাগত খুব,কিন্তু না-খেয়ে থাকাটাকেও আমি শিল্প বলে চালিয়েছিলাম।আমি তো শিল্পী—আমার সবকিছুই শিল্প।তবে জানতাম, তার দাম আমি পাব না।আমার কৃচ্ছসাধনের লাভ যাবে এক কঞ্জুস ব্যবসায়ীর পকেটে। তবু স্বীকার করতে পারিনি।আমি শিল্পী তো! একদিন খুব খিদে পেয়েআমার হাতের বুড়ো আঙুলটা চিবিয়ে খেলাম।তার আগে তিন রাত ধরে ভেবেছি—কোনো আঙুলটা সবচেয়ে কম দরকারি?বুড়ো আঙুল, কেবল টিপছাপ আর ফোন লক খোলে।কড়ে আঙুলে নাক ... ...
আমি সম্পূর্ণ কুসংস্কারমুক্ত, বিজ্ঞানমনস্ক। এমন কিচ্ছু নেই, যা আমার সামনে ঘটেছে বা আমার সাথে সম্পর্কিত অথচ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজিনি। ওটা আমার অসহায়তা। সে যে কী জিনিস, যে না জানে বুঝতে পারবে না। আমদের প্রত্যেকের এক বা একাধিক অ্যাজেন্ডা থাকে(অবশ্যই যারা একটু ভাবে), আমরা সারাজীবন আমাদের আশেপাশের লোকেদের সমর্থন পেতে এবং নিজের দলে টানতে চেষ্টা করি। বেশিরভাগই সমর্থ হই না। তার কারণ, হয় আমাদের অ্যাজেন্ডা সময়োপযোগী নয়, বা হলেও তা লোকের কাছে ঠিকঠাক তুলে ধরতে পারি না। আমার দমবন্ধ লাগে, রাগ হয়;এরকম কত মত ছিল, যারা জনসমক্ষে আসতে পারেনি। অথচ যদি তারা দিনের আলো দেখত, পৃথিবী কত বছর এগিয়ে যেত। আমিও একটু একটু ভাবার চেষ্টা করি, ভুল বললাম বোধহয়;আমি সারাদিন শুধু ভাবি। এলোপাথাড়ি, একনাগাড়ে, নিরন্তর - শুধু ভেবেই চলি। যেটুকু আমি লিখছি ... ...
আমি, আমি এত আত্মবিশ্বাসহীন, যে আমার মুখে করুণ ভাবটা ফুটিয়ে করো সহানুভূতি পাব, তাও হয় না। হাস্যকর হয়ে পড়ে। প্রেম পাইনি সেটা আমার দুঃখ নয়, আমার দুঃখ আমি কোনোদিন পাব না। জীবনের এই মোড়ে দাঁড়িয়ে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার সেই যোগ্যতাই নেই। আমি মনে যা ভাবি, তার গভীরতা সাগরপ্রতিম, আকুলতা এক আকাশ। কিন্তু তা যখনই মুখে প্রকাশ করার বেলা আসে, আমি কেমন দিকশূণ্য হয়ে যায়, ভাষা যোগায় না মুখে। সবচেয়ে বড় কথা আমি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি না। যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি ভাবি আজ গিয়ে এটা বলব, বলবই। কিন্তু সামনে যে থাকে, সে এত বেশি সপ্রতিভ, আমি কেমন যেন মিইয়ে যাই, আর বলা হয় ওঠে না। আমি আবার হাসির পত্র হয়ে যাই, জোকার হয়ে যাই। এমনকি আমার সমস্যা, কষ্ট, বেদনা, যন্ত্রণা সব মজার জিনিস হয়ে যায়। আমি ভাবতাম, হয়তো ... ...
আমার মৃত্যু আসছে, সেই রাস্তা দিয়ে, যেখান দিয়ে আমি আসি-যাই। খুব ধীর পায়ে, তবে আসবে নিশ্চিত। আমি প্রতিদিন দেখি যাওয়া আসার সময়, ও একটু একটু করে আমার বাসার দিকে রওনা হচ্ছে, প্রতিদিন একটু করে এগিয়ে যায়। আমার বুক ধড়ফড় করে, আমি ভয় পাই। কখনো ভীত বিড়ালছানার মতো গুটি পাকিয়ে শুয়ে থাকি, করণ কান্নায় ঘরের বাতাস ভারী করে তুলি। আমায় মরতেই হবে, এর থেকে বড় সত্য আর কিছু নেই, আমি ভয় পাই না মৃত্যুকে। কিন্তু মৃত্যুযন্ত্রণা তা তো ভীষণ - তাকে ভয় পাই আমি। ... ...