ধরা পড়ে ছেলেটা বারবার মিনতি করছিল,"বিশ্বাস করুন আমার মোটেও খিদে ছিল না,
আমি শুধু থালাটা মাথায় চাপা দেব বলে নিয়েছিলাম,
ওতে খাবার ছিল,সেটা কি ফেলে দেব?
বাড়ির আছে বলতে এই শিক্ষাটুকুই তো!
বাকি সব তো সরকার আর কোম্পানি ভাগ করে খেয়েছে।"
আমি যখন কাছে পৌঁছলাম,
ওরা প্রায় শেষ করেই এনেছে ছেলেটাকে,
বিশ্বাস করুন ছেলেটা পুরো মানুষের মতোই দেখতে,
ওরা কেন যে ওকে ' কুত্তার বাচ্চা,শুয়োরের বাচ্চা 'বলে গাল দিচ্ছিল বুঝতে পারছিলাম না।
যখন ওই 'কুত্তার বাচ্চা '- টা মারা গেল,
উল্টে পাল্টে দেখে আমি আশ্চর্য হলাম,
দেখলাম,
ওর মধ্যে একটুও কুকুরসুলভ কিচ্ছু নেই।
শুধু ওর গোপনাঙ্গটা কুকুরের মতোই লুকানো।
তাহলে কি তাই!
আমি এখন দেখি প্রতিদিন,
বলছে নাকি তালিবানরা জঙ্গী, হামাসও।
তামিল এলমকেও বলত,
নকশালরাও তাই।
কিন্তু কোনো দেশের সেনাবাহিনীকে তো জঙ্গী সংগঠন বলে না,
তাহলে কি একদল মানুষ মারে,আর একদল কুকুরের বাচ্চা!
ক্ষুদিরাম স্বাধীনতা সংগ্রামী তো এখন,
তখন তো সেও জঙ্গী ছিল,
তখনও তো সরকারী সংবাদমাধ্যম ওদের কুত্তার বাচ্চাই বলত!
কী জানি আমি তো নতুন,
আমার মনে হয়,আমার আয়ুটা যদি পাঁচশ বছর হত,
তাহলে দেখতাম,
কী করে কুকুরের বাচ্চাগুলো মানুষ হয়,
আর মানুষের বাচ্চাগুলো কুকুর।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।