এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভালোবাসা পেলে

    ফরিদা লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ | ১২৯৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • যেতে পাই না আসতে পাই না
    কাঁপন লাগে তাই
    চুল্লীর কাছে গত গ্রীষ্মের
    গল্প বলতে যাই......

    নেহাৎ কিছুই নেই এখন, না তাতে আক্ষেপ করছি না। বরং জানি এই না-থাকাটা অনেক জরুরী। একটা কাদার তাল, একটা সাদা পাতা, বেশ একটা মিনিট চল্লিশের নির্ঝঞ্ঝাট অবকাশের তুলনা কমই আছে। কিছু না থাকলেই সব থাকে, মানে যা খুশি তাই। মানে একটা শব্দ, যাকে কারও পাশে বসাই, যে কোনও চিন্তা ভাবনা ঘটকালি, কাঠপুতুল ঘরজামাই যেই হোক ভালো লাগে। তার আগে অবশ্য জানলা খুলতে হয়, হাওয়া আসতে দিতে হয়, ফুটতে দিতে হয় ভাবনার সম্পৃক্ত দ্রবণ, খুব ধীরে ধীরে রাতের বারান্দায়। ঝুল কালি তেল জমে চিমনিতে, দু-একটা শব্দদানা ফেলে দিলে তার আঙুল ধরে বুনে বুনে ওঠে বাকি শব্দরা। নিজেরাই গড়ে ওঠে। পাশাপাশি থেকে পরিচিত হয়, কেউ তেমন পরিচিত নন, হয়ত মফস্বলের, একটু দুরে চুপ করে রয়েছেন আনাড়ি পোশাকে – হয়ত বিয়েবাড়িতে কালো মাফলার। কেউ ঠাট বাট নিয়ে আসরে মধ্যমণিটি। তাকে ঘিরে অনেকের চটুল ফোয়ারা।

    চলতেই দেখি, জ্বলতেই দেখি, দু’একটা ফুলকি যে এসে লাগছে না রন্ধনপ্রক্রিয়ায় গায়ে – ঠিক তা নয়, অনেকটা অনেক পুরনো শব্দ এল যেন তার গায়ে পুরনো চেনা কোন এক মশলার ঘ্রাণ, যেন এক চেনা সুর, কোথায় শুনেছি যেন মনে পড়ছে না। বাংলা গান? হিন্দি? সলিল চৌধুরি? নাকি নতুন কেউ? চুপচাপ মুখ টিপে রহস্য হাসি হেসে চলে। শুধু জানি এই সুর শেষবার শুনেছিলাম প্রিয় নীল সোয়েটারে তার পড়ার টেবিলের ধারে।

    বরং কিছু থাকলে এসব কিছুই হয় না। সেইই সব আলো মনোযোগ টেনে নেবে। যা দেখাতে চাইবে তাই দেখতেই হবে। বেড়াতে টেড়াতে গেলে যা হয়। সবাই এক জায়গায় গোল হয়ে বসে কথা ছুড়ে ছুড়ে লোফালুফি খেলা চলছে। একটা সময় “দুত্তোর” বলে উঠে পড়ি। বাইরে অনেক তারা , কয়েকটি যেন জোনাকির ছদ্মবেশে রাত ফুলের গন্ধ শুঁকতে নেমে আসে।

    তোমার কি ছিল তাহলে? কীভাবে লিখতে তুমি? লিখে যেতে ওই ভিড়ে হৈ হৈ হট্টগোলে? যা খুশি তাই – বলে দিলে হল?

    অবশ্য তা পারো তুমি, পারতে, এখনও পার। জানি। লেখ না তা সে তোমার ইচ্ছে। জানি, লেখা হয় লেখা হচ্ছে, পাশাপাশি যে সব শব্দদের সঙ্গে দু-একটা যা কথাবার্তা হয় – ওরা ঠারেঠোরে সে কথা জানায়। কিন্তু কীভাবে লিখতে তুমি? যখন লিখতে শব্দেরা সারিবদ্ধ ছুটে ছুটে নিজে থেকে আসত কি রাজ সন্নিধানে? নাকি নিজেদের প্রিয় গান গাইতে গাইতে, মানে - সেও তো শৃঙ্খলাপরায়ণ হয়ে? মনে হয় খুব একটা লাফালাফি করতে হ’ত না তোমায়, নিখাদ ভালোবাসায় তারা ছুটে ছুটে আসত খেলতে খেলতে তোমার লেখার টেবিলে, বিছানায়, বাগানে বারান্দায় যখন দেখত তুমি সাদা পাতা নিয়ে বসে আছ – হয়ত সুঘ্রাণ অথবা স্বাদু ব্যঞ্জন আকাঙ্ক্ষায়। মাঝে মাঝে পালাতেও হ’ত তোমাকে, তা আন্দাজ করি। কখনও একলা নয়, প্রিয় বন্ধুবান্ধব নিয়ে বেড়াতে বেরোতে। সেখানে কি একলা হ’তে কখনও? মনে হয় একা একা শব্দ কুড়োতে প্রিয় গাছগাছালি থেকে, পাথরের কাছ থেকে স্বর তুলে নিতে।

    কুহক কবিতাগুলি যা তুমি পর পর লিখে যেতে শব্দদ্রংষ্টা হয়ে, একটা মাত্র নিলাম আজ। কাছ থেকে দেখি, পাশ থেকে আলোতে ধরে দেখে যেভাবে জহুরী, তা করতে গিয়ে মহা ভুল হ’তে পারে। জানি, তবু কবিতাটি প্রিয়, দোষ হলে হেসে উঠে ক্ষমা করে দিও।

    চতুর্দশপদী থেকে ৬৩ নম্বর কবিতার শুরুতে বলো “ভালোবাসা পেলে সব লণ্ডভণ্ড করে চলে যাব”। এখন “লণ্ডভণ্ড করে চলে যাব” জানি। লুডো খেলায় হেরে গেলে বোর্ড উলটেছি কখনও, এ-কথা নিশ্চিত জেনে বাকি খেলুড়েরা নিতান্ত আমার প্রতি ক্ষমাশীল। স্নেহ করে, ভালোও হয়ত বাসে টাসে। কিন্তু ওই “ভালোবাসা পেলে” র সঙ্গে বাকিটা মেলে না। এ আবার কী কথা? ভালবাসছে তোমায়, তুমি ভালোবাসা পাচ্ছ, তাও খেলা ভণ্ডুল করে দেবে?

    অবশ্য এই অষ্টক অংশ ছেড়ে বাকি অংশটা ধরা যাচ্ছে। সেটা শুরু হচ্ছে “ভালোবাসা পেলে জানি সব হবে।” - এইত, কেমন ঠিকঠাক কথা। এই অংশের যেটুকু ধরা গেল তাতে আগের অংশ টা আরও দূরে চলে যাচ্ছে - কেন বলা হচ্ছে “সব লণ্ডভণ্ড করে চলে যাব”? পরের লাইন বলছে “যেদিকে দুচোখ যায়” - বিবাগী? তারপরেই -”যেতে তার খুশি লাগে খুব।” এটা আবার কেন? বিবাগী হওয়া তো দু:খ থেকেই, তাই না? তখন আবার মনে পড়ে যায় “যে দু:খ পুরনো, তাকে কাছে ডেকে বসতে বলি আজ”। পুরনো দু:খ নাকি পুরনো বন্ধু? কিন্তু সে না হয় হল, কিন্তু বিবাগী, তার সঙ্গে খুশি হওয়া ও ভালোবাসা পাওয়া - তিনটেকে জোড়া দেয় কে?

    জোড়া গেল যখন ভালোবাসা পেল। খুব ভালোবাসা পেল- ভালোবাসতে ইচ্ছে হল। সেই খিদে পাওয়ার মতো ভালোবাসা পেলে লুডোর জেতা দানও ভণ্ডুল করা যায়। পরের লাইনগুলো এবার মিলে যাচ্ছে -

    “ভালোবাসা পেলে আমি কেন আর পায়সান্ন খাব
    যা খায় গরিবে, তাই খাবো বহুদিন যত্ন করে।
    ভালোবাসা পেলে আমি গায়ের সমস্ত মুগ্ধকারী
    আবরণ খুলে ফেলে দৌড় ঝাঁপ করব কড়া রোদে
    ‘উল্লুক’ আমায় বলবে -প্রসন্নতাপিয়াসী ভিখারী-
    চোয়ালে থাপ্পড় যদি কম হয়, লাথি মারব পোঁদে।”

    ঠিক এর পরের ষষ্টকে সেই ফিরে এল

    “ভালোবাসা পেলে জানি সব হবে। না পেলে তোমায়
    আমি কি বোবার মতো বসে থাকব? চিৎকার করবো না,
    হৈ হৈ করবো না, শুধু বসে থাকবো, জব্দ অভিমানে?
    ভালোবাসা না পেলে কি আমার এমনি দিন যাবে
    চোরের মতন, কিংবা হাহাকারে সোচ্চার, বিমনা-
    আমি কি ভীষণভাবে তাকে চাই ভালোবাসা জানে।’

    কবিতা নাকি ফুটবল? “পেলে” জায়গা বদলে বদলে খেলে কবিতাকে অপার্থিব ঐশ্বর্যমণ্ডিত করে দিল। পড়তে ভালো লাগা থেকে বারবার পড়া, এই বহুচর্চিত, বহুপঠিত কবিতাটি তোমার গলায় শুনতে ভালো লাগে বলে শোনা। তা ছাড়াও অনেক অনেক স্তর ধীরে ধীরে সামনে আসে, আবার চলে যায় বলে অনেকটা কাল ধরে রাখে। কতটা যে বাকি থাকে তা বোঝার জো নেই - “অনন্ত কুয়ার জলে চাঁদ পড়ে আছে”।

    পাতা উলটে যাই, বুঝতে চাই শব্দের রহস্যগুলি, কেন কীভাবে শব্দ আসা যাওয়া করত, এখনও করে দেখি কিছু কিছু লেখায়, কারও কারও লেখায়। জাদুমন্ত্র টন্ত্র বিশ্বাস করতে পারলে এতটা অন্তত অস্থির লাগত না, সেটা বলতে পারি। একলা খুঁজতে যাই, বারান্দায়, আকাশ দেখি রাতের শহরতলির। যদিও বারান্দা থেকে নক্ষত্র দেখি না আমি প্রায় কখনই আজকাল। হয়ত নক্ষত্র নেই। সব মরে গেছে বহুদিন আগে কোনও দেওয়ালিতে। বহুদিন সমুদ্রে যাই নি, মাঝে মাঝে আবোলতাবোল শিশু যদিও আজও চোখে পড়ে, চোখে পড়ে হেমন্তের ঝরা পাতা। দেখার কিছুই নেই, না থাকলে জানি শব্দরা আসে দল বেঁধে কখনও বা একা, চেনাশোনা তেমন হয়ে ওঠেনি বলে সেই ছন্দ শিখি নি যদিও। এতে দিব্য চলে যায় তবু, যদি থাকে একতাল মাটি, মিনিট চল্লিশের অফুরান অবকাশ আর সেলফোনের এক সাদা পাতা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ | ১২৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফরিদা | ***:*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:১৪60051
  • ২৫শে নভেম্বর। শুভ জন্মদিন, কবি।
  • Titi | ***:*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ০৫:২৭60052
  • ভালো লাগল..
  • aranya | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৩60053
  • কবে যার কার জন্মদিন, কবির জন্মদিন, মনেও থাকে না

    ভাল লাগল খুব, এই লেখা
  • pi | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১৯60054
  • এরকম কবির জন্মদিনে কবির এরকম উপহারই মানায়।
  • জারিফা | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:০৩60055
  • যথাযথ শ্রদ্ধা কবিকে। অসম্ভব ভাল লাগল।
  • Ramiz Ahamed | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:৩৭60056
  • ভালো লাগলো।
  • শিবাংশু | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৮60057
  • হেমন্ত এখানে স্থির
    -----------------

    স্থির থাকো কবি
    পুরোনো আসবাব যেমন
    কীটদষ্ট না হয়ে
    বার্নিশ জড়িয়ে সুখে থাকে

    সুখে থাকো
    বিজড়িত শীতঘুমে ঘেরা
    রাতশয্যার লীলাময়
    আসঙ্গবিহীন কুয়োতলা
    নারীরাও ততোটা উষ্ণ নয়
    যেমন প্রত্যাশিত
    যতোটা তোমার ওম

    তাহাদের দেহাতুর
    সাবানের গন্ধ
    তাহাদের মৌন রূপটান
    হেমন্তপ্যাস্টেলে স্থির তপ্ত ত্বক
    তাহাদের বিলোল মলাটমূর্তি
    কটাক্ষে ডেকেছো

    শেষবার সর্ষেখেত
    কবে দেখেছিলে কবি
    কাজের বাড়িতে ভীত শিশু হয়ে
    লুকিয়ে রয়েছো

    এখনও কি দেখো
    চুপচাপ ধানে দুধ এলো
    হেমন্ত অসুখে কেমন কেঁপেছে
    ঝাঁপঘর
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৪৮60058
  • তুমি কেবলই লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে যাও!
  • kumu | ***:*** | ২৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:০০60059
  • যিনি অঞ্জলি দিলেন ও যাঁকে দিলেন,এই দুই কবিই আসলে খুব উদাসী বাউল,ছদ্মবেশে থাকেন।
  • কুশান | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:০০60063
  • দারুণ তর্পণ, ফরিদা।
    এমন কাব্যিকতা।
    শক্তি দেখলে খুশি হতেন।
  • ফরিদা | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:৪৩60060
  • জন্মদিন।
    কিছুক্ষণ বাইরে থাকুক, উত্তাপ পাক।
  • ন্যাড়া | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৬:৪৭60061
  • ভাল লেখা।
  • প্রতিভা | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ১১:২০60062
  • এ রহস্য ভেদ হবার নয়। শুধু মুগ্ধতা !
  • hu | ***:*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ১১:৫৭60064
  • উঁহু, বিবাগী হওয়া, সে তো শুধু দুঃখ থেকে নয়। ভালোবাসা পেয়ে গেলে আর কিই বা চাওয়ার থাকে! পায়সান্নে মোহ কি থাকবে তখনও? ইচ্ছা হবে না সমস্ত দুনিয়াকে লন্ডভন্ড করে দিয়ে সেই প্রচন্ড উল্লাসকে ছড়িয়ে দিতে? ভালোবাসা পাওয়া হয়ে গেলে আর কিসের বাধা চলে যেতে? এর চেয়ে বেশি আর কি পাওয়ার আশা করবে মানুষ? তাই তো "যেতে তার খুশি লাগে খুব"।

    -- আমি এভাবে পড়ি। ফরিদার লেখায় টিপ্পুনি কাটা দুঃসাহস। তাও আবার এত ভালো লেখায়। তবু .. লিখেই ফেললাম আর কি!
  • Kakali Sinha Roy. | ***:*** | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:২১60066
  • খুব ভালো লাগল। কবির জন্মদিনে অপূর্ব শ্রদ্ধাঞ্জলি।
  • Tim | ***:*** | ২৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৭60065
  • ভালো লাগলো, ফরিদা।
  • ফরিদা | ২৫ নভেম্বর ২০২০ ১২:৪৯100636
  • ২৫ নভেম্বর ২০২০


                                                    

    আজ কী লিখতে তুমি - 

    যখন ঘরের বাইরে পা ফেলতে মুখ ঢাকতে হয়

    হুট বলতে বেরোনর উপায় নেই সহজে, 

    আড্ডাতেও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হয়? 


                                                                                 

    মেনে নিতে বিধিনিষেধ গুলি? 

    নাকি তুমি যতদিন ছিলে

    এইসব ছোঁয়াছুঁয়ি খেলার অসুখ 

    ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে লুকিয়েই থাকত, 

    মানুষ এত চমৎকার হাসত, মিশত বলে 

    অসুখেরা ম্লান হ'ত ভালোবাসার দাপটে?


                                                                                 

    আরও মনে হয়, তুমি নেই বলে 

    এ পৃথিবীর প্রতি অরণ্য নদী নালা পাহাড়ের 

    প্রতিটি জীব যাদের নিজস্ব নামে চিনতে তুমি

    যেন বড় বেশি দূরে চলে যাচ্ছিল অভিমানে

    অসুখ বিসুখেরা সেই পথে এল যখন 

    তাদের অত কাছ থেকে কেউ ভালোবাসছিলনা -


                                                                                  

    মনে হয় কবি, তুমি আজ থাকলে 

    পৃথিবীর এ  দিন দেখতে হ'ত না। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন