...
ভালো লাগলো। সেই যে দিনগুলি...
সুন্দর
গবু ও অরণ্য দা কে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ বাকি সব পাঠদেরও।
জানি এ লেখার প্রতিক্রিয়া হয় না সেভাবে, আমাদের সবার মধ্যেই একটা বিশেষ জায়গায় চিরদিনের মতো থেকে যাবেন ফুটবলের রাজপুত্র। তাকে নিয়ে কাঁটাছেড়া আগেও হয়েছে, পরেও হবে, তার আলপাটকা সোজাসাপটা কথা, তার স্পর্ধা, তার জীবনযাত্রা - ঠিক স্বাভাবিক তো নয়ই কখনও। তাই তাঁর জন্য চিরকালীন অন্য বিশেষ আসন - তাতেই ভালোবাসা, আর ঠিক সে কারণেই উষ্মা ও কাঁটাছেড়া করে সাধারণের স্তরে নামানোর প্রয়াস কিছু অংশের।
এত অনায়াস লাগত খেলাটা - যখন মাঠে থাকতেন, ফুটবল মাঠ যেন শিল্পীর ক্যানভাস অথবা ব্যালে নাচের মঞ্চ। গোল বলটা যদি রঙ ছিটোতে পারত - ওই মুভগুলোতে কী যে আশ্চর্য ছবি তৈরি হ'ত ভাবতে চেষ্টা করি। শিল্পী যখন আঁকেন তখন ক্যানভাসের ঘর্ষণ বাধা দেয় বলেই রঙ ফুটে ওঠে ওতে। সেই বাধাটুকুই তাড়না - যাতে তিনি ছবি না এঁকে থাকতে পারেন না - মারাদোনাও - যতদিন ক্ষমতার আস্ফালন থাকবে, যতদিন লম্বা লম্বা প্রতিষ্ঠানের ঔদ্ধত্য থাকবে ততদিন মারাদোনার মতো মায়েস্ট্রো অনায়াস ভঙ্গীতে তাদের মাটি ধরিয়ে গোল করে যাবেন - নাকের ডগা দিয়ে তুলে নেবেন বিশ্বকাপ - আর থুতু গিলে হাততালি দিতে হবে নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করা প্রতিষ্ঠান কে।
জানি না, পৃথিবীকে আর কী দিতে পারতেন - যদি বাঁচতেন আরও বিশ ত্রিশ বছর - এর থেকেও বেশি কষ্ট পেয়েছিলাম ৯৪ এর বিশ্বকপে ওঁর নির্বাসনের খবরে। মনে হচ্ছে - এই ভালো, এভাবেই যাওয়া ভালো - সবকিছু তাচ্ছিল্য করে চুরুট মুখে একের পর এক টাকিলা শট খেতে খেতে গানের সুরে কোমর দোলাতে দোলাতে হঠাৎ একদিন - একদম মহানায়কোচিত.....
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে , কিছুটা স্মৃতিচারণ , কিছুটা মূল্যায়ণ আর অনেকটাই নিজের সাথে কথোপকথন , আমার যা মনে হল , আসলে এরকমই হয়
কোনো তুলনায় যাচ্ছি না , কিন্তু ওই খেলার মাঠে ছবি তৈরী করার কথায় আর একজন কে খুব মনে পড়ে , তিনি অবশ্য নিঃশব্দে অনেকদিন আগে চলে গেছেন ।..কৃশানু দে
এখনো মনে আছে আরারাত (খুব সম্ভবত তবে স্মৃতি বিশ্বাসঘাতক হতে পারে এতদিন বাদে ) , মাঝমাঠের ডানদিকে প্রথম বল স্পর্শ করার সাথে সাথে চার পাশের তিনজন জমি ধরে নিয়েছিল , একদম আক্ষরিক অর্থে
গতজন্মের কথা মনে হয় এ সব
আরারাত নয়, পি এস ভি আইন্ডহোভেন
ধন্যবাদ b
মারাদোনা, কৃশাণু এরা সেই গোত্রের খেলোয়াড় যারা বিপক্ষ দলে থাকলেও মন কেড়ে নেন। আদায় করে নেন সম্ভ্রম তাদের নিজস্ব শৈলীতে।
মারাদোনা কে দেখার আগে আমি ব্রাজিলকেই সমর্থন করেছি। পরেও করেছি, কিন্তু ওই মানুষটা মাঠে থাকলে অন্য কাউকে সমর্থন করা যেত না।
একই কথা প্রযোজ্য কৃশাণুর ক্ষেত্রে। ও যখন মোহনবাগান থেকে ইস্টবেঙ্গলে গেল, তারপর যতদিন ও ছিল খোলা মনে মোহনবাগানের জন্য গলা ফাটাতে বেধেছিল আমার।
খুব কম মানুষই পারেন এমন।
কতো বড়ো প্রতিভা হলে নিজের শেকল ছেঁড়া জীবন সেই জীবন ঘিরে নিন্দুকদের পাহাড় প্রমাণ কুৎসা--- এ সমস্ত কিছু পেরিয়ে পৃথিবী শুদ্ধু মানুষের ভালোবাসায় ভিজে রাজার মতো বিদায় নেওয়া যায়,তার একমাত্র নজির হয়ে রইলেন তিনি -- -- গোটা দুনিয়ার মানুষকে একই আবেগের ঢেউয়ে ভাসিয়ে....
অতনুদার অনুভব (আনন্দবাজার) nan