একটা জিনিস এরা পুরো ইগনোর করে যাচ্ছে। বাংলা শেখানো মানে শুধু বাংলা শেখানোর প্রথম ছমাস না। চার বছরে অক্ষরপরিচয়ে বর্ণপরিচয় কি সহজ পাঠ না হয় তোমরা না পড়ালে। এমন তো না যে তার ছমাসের মধ্যেই পড়ানোর প্রয়োজন ফুরিয়ে ছানারা দিগগজ হয়ে যাচ্ছে। বছর খানেক পরে যখন ঝুমঝুমি শেখানো হয়ে গেছে, তার মানেই তো আর শব্দ শেখানো শেষ হয়ে যায়নি - নেক্স্ট স্টেজে জ দিয়ে জাঁতি পড়াতে সমস্যা কি ? সেটাও প্রচন্ড কঠিন?
r | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:৩২ | 198.96.180.245
সিঁফো, আমরা থোড়ি বুঝি। কিন্তু বর্ণপরিচয় নিয়ে আমার মেয়ের অজস্র অভিযোগ শুনে অনুভব করি। সহজ পাঠ নিয়ে অভিযোগের মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম। সবথেকে এনজয় করে হ য ব র ল, কারণ ননসেন্সে প্রত্যেকেই নিজেদের মত রিলেট করতে পারে, স্থান-কাল-পাত্রের অত দাবী থাকে না।
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:৩০ | 61.95.144.123
পমকিন
r | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:২৯ | 198.96.180.245
বে থের কেস হল- আমি পড়াবার সময় বর্ণপরিচয়ের ধারকাছে দিয়ে যাই না, কিন্তু চান্স পেলে বর্ণপরিচয় দিয়েও দেখিয়ে দেব। ;-))))
sinfaut | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:২৮ | 165.170.128.65
আমার অত নস্টালজিয়া নেই। বর্ণপরিচয় পড়েচি আর সহজপাঠ পড়িচি। বন্নপরিচয় পড়তে মোটেই ভালো লাগতো না। গোপালের কতা শুনলেই আশঙ্কা হতো আমাকেও অমন হতে হবে জাতীয় দাবিটাবি আছে নাকি বাপমায়ের। আরও অখাদ্য লাগতো ছবিগুলো (তখন থেকেই শিল্পচেতনার অঙ্কুর প্রস্ফুটিত হতে লক্ষিত হয়েচিল আরকি)। সহজপাঠ অপেক্ষাকৃত সহজ আর ছন্দগুলো ভাল্লাগতো বলে দুলে দুলে পড়তুম। ঐ "দিঘী তার মাঝখানটিতে" জাতীয় ইমেজগুলো অত ছোটো বয়েসে বোঝা যায় না, তবে মনে একটা ছাপ রেখে যায়। তাই আর কয়েকবছর পরেই আবার করে পড়তে গিয়ে বেশ ভালো লাগে। ভাষা শেখার জন্য তাই বর্ণপরিচয়ের থেকে আরও সায়েন্টিফিক বইয়ের দাবী। কিন্তু একবার মোটামুটি পড়তে শিখে গেলে, বাচ্চা কিসে রিলেট করবে আর কিসে করবেনা সেই অন্তর্ভেদী গবেষনা না করে সহজপাঠ, কঠিন পাঠ সব কিছু পড়ানোই ভালো, মানে বাচ্চাকে চাপে না ফেলে। একটা বাচ্চার কাছে কী প্রাসঙ্গিক আর কিসে সে রিলেট করতে পারে সে আমরা কী করে বুঝবো? আমি তো এমন দেখিনি যে বাচ্চা বয়সে খুব রূপকথা পড়ে পরে পঃবঃ তে থাকতে কারও অসুবিধা হয়েচে বলে। ;-)
r | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:২৭ | 198.96.180.245
থার্ড লাইনে লাউকুমড়ো মনে পড়ল, তার আগে ইংরিজি শব্দটা কি ছিল?
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:২৭ | 61.95.144.123
স্যানের কেসটা তো বেথে সেমসাইড করে চুরমার করে দিয়েছে;-)
স্যান - বাচ্চাদের কল্পনার জগতটা তৈরী হয় আশেপাশে যা দেখে সেগুলোকে ঘিরে। সেটা ডাম্বোর মতন উড়ন্ত হাতি হলেও, একটা হাতি। ম্যামথ নয়। ইতিহাসের সাথে প্রথম কনসেপ্টকে গুলিয়ে ফেলছো।
r | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১৮ | 125.18.104.1
স্যান আবার প্রাইমার আর বই-কে গুলিয়ে একসা করছে। ইকোনমিক্সের সিলেবাস পাল্টানো মানে কি কেইন্সের জেনারেল থিওরি ব্যান করে দেওয়া? আমরা কি কেইন্স পড়ে ম্যাক্রো আর স্যামুয়েলসনের ফাউন্ডেশন পড়ে মাইক্রো শিখেছি?
sinfaut | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১৮ | 165.170.128.65
দেকেচো দেকেচো আবার বই ধরাচ্চে। এদিকে বর্ণপরিচয় না লেটার্ল্যান্ড তার সুরাহা হল না।
r | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১৫ | 125.18.104.1
না বুঝলে ক্ষতি কি জানতে হলে আপনি রাজনারায়ণ বসুর আত্মজীবনীটা পড়ে দেখুন। ধরুন, তখন ঘোষিয়ে ইংরিজি শেখানো হত। ডিকশনারি মুখস্থ করা ছিল ইংরিজি শেখার রাস্তা। সেই ঘোষানোটা এখন পুরোটা মনেও পড়ছে না- "...প্লৌম্যান চাষা....কিউকাম্বার শশা"। এখন ওভাবে শেখালেই বা ক্ষতি কি?
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১৫ | 220.227.64.98
এক কাজ করা হোক সব রূপকথাও তুলে টুলে দেওয়া হোক। আফটার অল ওখানে যা যা থাকে কেউ চোখে দেখেনা, গ্রামে শহরে বস্তিতে মাল্টিস্টোরিডে কোথাও না। তো 'ভিসুয়ালাইজ' করবে কিকরে, 'রিলেট' করবে কিকরে ? তাছাড়া 'দরকার' টাই বা কি ?
দ্যাখো অরিজিত বাচ্চারা যা যা চোখের সামনে দেখতে পায় , শুদ্ধু তার বাইরে কিছু পড়ানো মানেই এত চাপ? কল্পনার জগৎ বলেও তো একটা ব্যাপার থাকে। ঝুমঝুমি আর হাঁস দেখছে অতএব আমরা ঝুমঝুমি আর হাঁসের বাইরে কোন শব্দ শেখাবোনা। আহা - ওইটুকু ছানা, সে 'কল্পনা' করবে কি করে ?
stoic | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১৪ | 160.103.2.224
আমার সেই পথের পাঁচালির সিন টা মনে পড়ছে। তুলসী চক্রবর্তী দোকানে বসে, কাস্টোমার সামলাতে সামলাতে বলছেন "....... জলস্থল মধ্যবর্তী ", আর ছেলেগুলো রিপিট করছে ...... ঃ-)
b | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১৩ | 203.199.255.98
* আমরাও, *ওটা, * না বুঝলেই, *বইটা
Arjiit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১৩ | 61.95.144.123
কি মুশকিল!!! সীতা যে জ্যেঠামশাই হতে চল্ল;-)
b | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১১ | 203.199.255.98
অরিজিত, আম্রাও তো ওতা ৫ বছর বয়সেই পড়েচিলম, না বুজে্হ্লই বা কি ক্ষতি? প্রমথ বিশীর রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন বৈট একবার উল্টে পাল্টে দেখুন না।
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১১ | 61.95.144.123
বেথে - আই রেস্ট মাই কেস। এটাই বলার ছিলো।
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১০ | 203.122.26.2
অজ্জিত,
ঝ দিয়ে আমাদের মাথায় প্রথম এসেছিল, ঝাড়ু, ঝুলা (দোলনা)।
আমরা ঠিক বর্ণপরিচয়ের এক্সাম্পলগুলো দিয়ে যাচ্ছি না। অক্ষর পরিচয়টা করাচ্ছি, আর ঐ অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া শব্দ মাথা খাটিয়ে বের করে শেখাচ্ছি, এমন জিনিস যা ও দেখেছে, চিনতে পারে। যেমন অ দিয়ে অভিজিৎ (ওর বন্ধু), আ দিয়ে আম, আটা, আলো, ই দিয়ে ইঁদুর, ইস্ত্রি। এই রকম।
আমিও এইভাবেই শিখেছিলাম। ঐ বয়েসে ঝঞ্ঝা আমিও জানতাম না। মা বলে দিয়েছিল ওর মানে ঝড়, আর আমি ঝড় হতে দেখেছিলাম। আমার মেয়ে এখনও ঝড় দ্যাখে নি।
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১০ | 61.95.144.123
এটা এভাবে লিখলে ম্যানিফেস্টোটা দাঁড়াত - "এইশব আলচোনা না কড়ে আমাড় শাথে...' ইত্যাদি;-)
r | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০৯ | 125.18.104.1
ঝাঁকামুটে বা জাঁতি জানার দরকার অবশ্যই আছে- ইতিহাস হিসেবে। যেভাবে সিন্ধুসভ্যতা বা গুপ্তযুগ না জানলে শিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
কিন্তু মাতৃভাষার শিক্ষা আর ইতিহাসের শিক্ষা এক নয়। মাতৃভাষা শিখলে প্রথম যে জিনিষটা হয় তা হল, যা ভাবছি এবং যা বলছি তা কিভাবে লিখব এই শিক্ষাটা তৈরি হওয়া। অর্থাৎ মস্তিষ্ক থেকে জিহ্বা এবং জিহ্বা থেকে লেখনীতে পৌঁছাবার যে রাস্তা আছে সেটা তৈরি করা। মূলতঃ কমিউনিকেশনের শিক্ষা, যা পরে অনেক কাজে লাগে। একই ভাবে যারা ইংরিজিতে ভাবে ও ইংরিজিতে কথা বলে, তাদের কাছে ইংরিজিশিক্ষা হল কমিউনিকেশনের শিক্ষা।
Blank | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০৮ | 203.99.212.224
এই সব আলোচনা না করে আমার সাথে হাত মিলিয়ে বাংলা ভাষা ও বানান নীতির নতুন দিগন্ত খুলতে এগিয়ে আসা কি ঠিক নয়? একদিন তাহলে ইতিহাসের পাতায় আমার সাথে তোমাদের নাম ও স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে। বিপ্লবের রাস্তাই একমাত্র রাস্তা।
Arjiit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০৭ | 61.95.144.123
মাইরি - চার বছর বয়সে একটা বাচ্চা ঝাঁকামুটে বোঝে, না ঝুমঝুমি? ঝাঁকামুটে কি সেটা যদি চার বছর বয়সে বোঝাতে হয় তাইলে তাইলে চার বছরে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণই বা কেন বিশ্লেষণ করবে না?
h | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০৫ | 203.99.212.224
সহজ পাঠ আর বর্ণপরিচয় পড়লেই লোকে প্রচুর বাঙালা ভাষাপ্রেমী হয়ে উঠছে কি? নাকি কর্মজগতে হু হু করে বাঙলা র প্রচার বেড়ে যাচ্ছে? স্যানের এই লাস্ট পোস্ট কমপ্লিটলি অর্থহীন, পাতি খচে গিয়ে বলা।
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০৪ | 61.95.144.123
স্যান রেগে গিয়ে পড়ছেও না। "বর্ণপরিচয় নয়, অন্যকিছু দরকার' - মানে অন্য কোনো অল্টারনেটিভ বই/ছবি/ছড়া।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০৩ | 220.227.64.98
যে সেন্সে ঝাঁকামুটে বা জাঁতি জানার দরকার নেই, সেই সেন্সে ভাবতে গেলে, বাংলা শেখানোর দরকারটাই আগে আমাকে বুঝিয়ে বলা হোক। বলতে পারলেই তো হল সে মনে হয় এমনিতেই পারবে। না পারলেই বা কি।
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০৩ | 61.95.144.123
ছায়ার ঘোমটা মুখে টানি আছে আমাদের পাড়াখানি দীঘি তার মাঝখানটিতে শালবন তার চারি ভিতে।
ছায়ার ঘোমটা? ভিতে? এই কনটেক্সট পাঁচ বছরের বাচ্চা বুঝবে?
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০২ | 220.227.64.98
শুধু 'দরকার' হিসেবে শেখানোর কথা হচ্ছে? তো বাংলা শিখিয়ে ওর এবং অন্যদের সময় নষ্ট কেন করবে? ছেড়েই দাও না।
h | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০১ | 203.99.212.224
ঃ-)))
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০০ | 61.95.144.123
শমীক - পাঁচ বছরের বাচ্চাকে "ছায়ার ঘোমটা মুখে টানি' মানে বোঝানোর চেষ্টা করে দেখো তো। বা "নাম তার মোতিবিল'-এর শেষের দুটো প্যারার।
r | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৯ | 125.18.104.1
ঐতিহাসিক বাংলা ও বাংলা প্রাইমার - দুটো সম্পূর্ণ আলাদা। বর্ণপরিচয় তো থাকল- বড়ো হলে পড়ার জন্য ও জাতির ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করার জন্য। ঃ-)
বাই দ্য ওয়ে, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও বাংলা প্রাইমারের তুলনাটা আমার মাথাতেই আসে নি। ;-)))
d | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৮ | 203.143.184.10
স্যান ও সিকিকে দেখে আমি টিউশনি করবার উপযোগীতা বুঝতে পারলাম। মানে ভাগ্যিস করতাম এককালে।
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৮ | 203.122.26.2
আমি গ্রামে থেকেছি। প্রথম গ্রামের আইডিয়া আরেন্টি নয়, বন্দে আলি মিঞার কবিতা দিয়ে।
আমাদের ছোট গ্রামে ছোট ছোট ঘর থাকি সেথা সবে মিলে, নাহি কেহ পর।
তারপরে উপেন্দ্রকিশোরের রচনাবলীতে টুকটাক গ্রামের রেফারেন্স। রবি ঠাকুরের বন্ননা ছিল যদ্দূর মনে পড়ছে, আমাদের ছোট নদী চলে আঁকেবাঁকে আর ছায়ার ঘোমটা মুখে টানি আছে আমাদের পাড়াখানি।
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৮ | 61.95.144.123
তাইলে চার বছরে ঝাঁকামুটে বা জাঁতি জানার দরকার নেই এটা স্যান মেনে নিলো। এর মানে চার বছর বয়সে প্রথম বাংলা অক্ষরপরিচয়ের জন্যে বর্ণপরিচয় নয়, অন্য কিছু দরকার। মানেটা তাই দাঁড়ায় তো?
অচল বল্লে নস্টালজিয়া এবং ঐতিহ্যে ধাক্কা লাগছে। তো থাকছে তো মিউজিয়ামে, এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বও কেউ অস্বীকার করছে না। কোনো এক সময় জেনে যাবে;-)
d | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৭ | 203.143.184.10
কিন্তু শিবাজীবাবুর বইগুলো বেশ ভালভাবে শুরু হয়ে মাঝপথে আধখ্যাঁচড়া হয়ে থেমে যায়।
shrabani | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৭ | 124.30.233.111
আচ্ছা "কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ী" এটা কোন বইয়েতে ছিল?
শমীক বাচ্চারা কি ভিজুয়ালাইজ করে বা করতে পারে তা বাচ্চারাই জানে, সে জগতে বড়দের না ঢোকাই ভাল। একটা লাইনের একই ছবি ভিন্ন বাচ্চাদের কাছে ভিন্ন এবং এটা এভাবেই হওয়া উচিত। যদি বাচ্চাকে লাইনের মানে বলে ছবিটাও তুমি দেখাতে যাও, তাহলে তখনই তার কাছে শেখাটা বোরিং হয়ে যাবে।
h | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৭ | 203.99.212.224
বুইলে, আমি সর্বশিক্ষা অভিযানের আমলে গ্রামে পড়াতে যেতাম। একটা বুড়োদের(মানে বেসিকালি বয়স্ক মাতালদের) আর আরেকটা এই ধর তিন থেকে পনেরো র ব্যাচ। আমি লিটেরালি যা চোখে পড়তো তাই দিয়ে একেবারে গুড়ি গুলো কে শেখাতাম। দিব্য শিখেছিল। একটু বড় রা যাদের স্কুল আর আমার দুটো টেকনিক হ্যান্ডল করতে হচ্ছিল তাদেরি অসুবিধে হচ্ছিল।
একেবারে বড় দের কোনৈ প্রবলেম ছিলনা। যাঁরা মাতাল অবস্থাতেও গপ্পটা করতে পারতেন, তাঁরা দিব্য শিখছিলেন। স্লো কিন্তু ফাইন।
অনেকদিন করেছিলাম। বই গুলো খারাপ ছিল না।
লাস্টে, আমার ধারণা টম অ্যান্ড জেরি দেখে দেখে আমার মেয়েটা এইরকম গুন্ডা মত হয়ে যাচ্ছে ঃ-) হেবি ক্যালায় সকলকে। আজকাল যাতায়াতের পথে ঝাঁটা লাঠি ধরে হোঁচোট ও খাওয়াচ্ছে।
r | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৫ | 125.18.104.1
বে থে তাহলে বর্ণপরিচয় দিয়ে বাংলা শেখাক। আমি শেখাব না। আমাদের কেস হল- শিখাচ্ছি এবং ঝাড় খাচ্ছি, তাই বলছি। বে থের কেসটা পুরো কনফিডেন্স ও শ্রদ্ধা। ভাবলেও ভালো লাগে। ;-)))
d | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৪ | 203.143.184.10
চাদ্দিকে পোচুর মায়োপিক লোকজন।
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৪ | 61.95.144.123
ওক্কে। একটা প্রশ্ন করি - শমীক ভেবে উত্তর দাও। ঝ দিয়ে প্রথম শব্দ তোমার কি মনে আসতে পারে? একটা চার পাঁচ বছরের বাচ্চা হিসেবে ভাবো। ঝঞ্ঝা? না ঝুমঝুমি?
যদি প্রথমটা হয়, কিছু বলার নাই, তবে আমি সিরিয়াসলি বিশ্বাস করি না এটা সম্ভব। আর দ্বিতীয়টা হলে বলবো - দ্যাটস অল মি লর্ড।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৪ | 220.227.64.98
ওটাই তো। বড় হোক না। যত বেশি এক্সপেরিমেন্ট হয় হোক। নতুন সামাজিক কনটেকস্টে নতুন পদ্ধতিতে শেখানোর জন্য বই লেখা হোক। খুব ভালো। তবে বর্ণপরিচয় সহজ পাঠ কে অচল নাই বললে। নাহয় তারা লেটারল্যান্ডের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো-ও জানলোই - যে কিছু লোকের বাড়ির মাথায় খড়ের চাল থাকে, আগেকার দিনে জাঁতি বলে বা ঝাঁকামুটে বলে কিছু ব্যাপার থাকতো - কি ক্ষতি হয়ে যাবে জানলে? নয় চার বছরে নাই জানলো - কোন এক সময়ে ? গল্পচ্ছলে?
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫৪ | 203.122.26.2
ঐতিহ্য ছাড়তে হলে রবীন্দ্রসঙ্গীতও অবসোলিট করে বলিউড কি চন্দ্রবিন্দুর গান থেকে চুজ করা হোক জাতীয় সঙ্গীত টঙ্গীত। পুরো গীতবিতান তো ভরা ঐ সব পুরনো আজকের-নিরিখে-ভুল বানান দিয়ে আর একেবারে রিলেট করতে পারা যায় না এমন সব বাক্যবন্ধ দিয়ে।
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৫২ | 203.122.26.2
টুনটুনিয়ে টুনটুনালো সাত রাণীর নাক কাটালো
প্রথম লাইনটা পড়েই বা বাচ্চা কী ভিশুয়ালাইজ করবে? কিংবা
আমরা রবীন্দ্রনাথ পড়ে গ্রাম শিখেছি এটাও একটা প্রবলেম। পুরুলিয়া-বীরভূম-বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাচ্চাদের কাছে রবীন্দ্রনাথের গ্রাম একইরকম দূরবর্তী গ্রহ। বরং রিলেট করাতে হলে, প-এ পঞ্চায়েত, ফ-এ ফলিডল, ব-এ বাসগাড়ি, ভ-এ ভিডিও হল শেখান হোক।
আবোল তাবোল টুনটুনির বই কথামালা ছিল ছোটবয়েসের সাইড স্টাডি। যেই বাংলা লিখতে পড়তে শিখে গেল, এইবার ওকে এইসব বই দাও, ও আপসে শিখে যাবে কলোকুয়াল বাংলা কেমন হয়, একটা শব্দের দুরকম বানানও হয় ইত্যাদি।
h | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৪৯ | 203.99.212.224
শিক্ষার্থীর প্রয়োজনে অসংখ্য বই থাকা দরকার। একটা টেকস্ট বইএর আমাদের দেশের বিচিত্র রিয়েলিটির দেশে অবাস্তব। এন বি টির বই গুলো একটা গুড এফর্ট। আরো প্রচুর প্রচুর দরকার।
shrabani | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৪৯ | 124.30.233.111
ধেড়েরা তো রিয়েলিটী শিখে শিখে একেবারে স্বর্গ উদ্ধার করছে, কচিকাঁচাগুলো নাহয় একটু রূপসী বাংলার রূপকথা নিয়েই থাকল। ফেয়ারী টেলও তাহলে উঠিয়ে দিক আর কার্টুন গুলো?
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৪৭ | 203.122.26.2
ভাষা বানানবিধি পাল্টায় সেটা আমি একবারও অস্বীকার করি নি, এ ব্যাপারে আমি অজ্ঞও নই। কিন্তু বর্ণপরিচয়কে "অচল' বলতে রাজি নই। ঐ বই দিয়ে আজও বাংলা শেখানো যায়। মোটামুটি বাংলা বাক্যগঠন করে লিখতে পড়তে শিখলে তারপরে বানানবিধি ইত্যাদি নিয়ে জ্ঞান একটু উঁচু ক্লাসে দিলেও চলে। কিন্তু বাংলা ভাষা বাংলা অক্ষর সম্বন্ধে প্রাথমিক আইডিয়া করার জন্য ও বই আজও অচল নয়।
sinfaut | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৪৫ | 165.170.128.65
আমার বাড়ির আশেপাশে কোতাও বার্ড স্যাংচুয়ারি নাই। তবু আমি বাড়ির ছাত থেকে বুলবুল, বেনেবৌ, হলুদ ওরিয়ল, কাক, চড়াই তো ছেড়েই দাও, এমনকি নাইট হেরন, তিন রকমের মাছরাঙা, শঙ্খচিল, টিট, আয়োরা আর আরও দুয়েকটার নাম মনে পড়ছেনা এইসব দেখেচি।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন