একটু বড় যারা (মানে বছর পাঁচ/ছয় বয়স) তাদের সিবিবিজ ওয়েবসাইটটা চিনিয়ে দাও, আর বিবিসি বাইটসাইজ-ও (http://www.bbc.co.uk/schools) - খেলতে খেলতে অনেককিছু শিখে যাবে। সিরিয়াসলি।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:২৭ | 220.227.64.98
কি মুশকিল, নিজেকে বার খাওয়ানো সক্কলের জন্মগত অধিকার। ব্যক্তিস্বাধীনতা বা গ্রুপস্বাধীনতা হোয়াটেভার। সেইটা তোমরা কেড়ে নিতে পারোনা। তাছাড়া আবাপ তো মূলত প্রপার নাউনের বানান নিজেদের মত লেখে নয়কি? এটা জিগ্গেস করছি, শিওর নই, অন্য বানান কি পাল্টে লেখে?
Sudipta | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:২৬ | 122.169.158.54
সহজপাঠ, কিশলয় তো খুব সুন্দর গল্পের বই-এর মত-ই পড়তে লাগত! ওগুলো যে তেমন পদের নয় এটা-ও আগে জানতুম না! কিশলয় ক্লাস ফোর-এর পর তেমন ভালো ছিল না, সেটা বয়স বাড়ার ফল হতে পারে বা সত্যি-ই কিশলয়ের স্ট্যান্ডার্ড পড়ে যাচ্ছিল এমন হতে পারে, কিন্তু ক্লাস টু অবধি কিশলয়, সহজপাঠ যথেষ্ট ভালো ছিল। সবার ভালো লাগতে হবে এমন কথা নেই যদিও...
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:২৩ | 203.122.26.2
সেম হিয়ার। সিবিবিজের নেশায় স্কুল যেতে পর্যন্ত অনীহা দেখায় ঃ-)
Arpan | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:২৩ | 208.57.131.4
ডিঃ (মঃ)
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:২৩ | 61.95.144.123
আবাপ-র দায়িত্ব হল বঙ্গীয় ভাষা/সংস্কৃতি/শিক্ষার একমাত্র গার্ডিয়ান হিসেবে নিজেদের বার না খাওয়ানো।
Arpan | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:২৩ | 208.57.131.4
পেশীও বোধহয় সংরক্ষণের আওতায় চলে গেছে। পেশী আউট, পেশি ইন। ;)
Sudipta | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:২২ | 122.169.158.54
এত ঝামেলার কি আছে? যে বাবা-মার বর্ণপরিচয় পছন্দ তারা সেখান থেকেই ছেলেপুলেকে পড়াক, আর যাদের পছন্দ নয় তারা অন্য পদ্ধতিতে পড়াক; কথা হল, শেষ অবধি সেই পড়ার মূল্য কতটা থাকছে? মানে এই বাংলায় মাঝে মাঝে দু-চার লাইন লেখা, বা বাংলা বই ভালোবেসে পড়া ইত্যাদি; বাংলা বলার জন্যে কি বাংলা পড়ার দরকার হয়? সহজপাঠ, বর্ণপরিচয় এগুলো এক একটা স্ট্যান্ডার্ড, তো সেই স্ট্যান্ডার্ড চিরকেলে হয়ে থাকবে এমন তো কেউ বলে নি; দু-তিনশো বছর আগে তো বেদ, স্মৃতি, ন্যায় অনেক কিছু সিলেবাসে ছিল, এখন নেই, তো তাতে কি সেগুলো বাজে হয়ে গেল? বই ভালো না খারাপ সেসব তো পাঠক কে আর কিভাবে পড়ছে বা পড়ানো হচ্ছে তার ওপর নির্ভরশীল, তাই না?
Arpan | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:২১ | 208.57.131.4
সিবিবিজ চ্যানেলটা হেব্বি ভাল। আমার মেয়ে সারাদিন হাঁ করে দেখে।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:১৯ | 220.227.64.98
মানে অভিধান টভিধান থাকবে নির্ঘাৎ। কিন্তু আশাকরি সংসদের অভিধান নিয়ে লোকে নার্সারিতে পড়াতে আসবেনা।সেই বইটা কি ?
h | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:১৯ | 203.99.212.224
আর আবাপর দায়িঙ্কÄ হল যখন তখন যেকোনো বানান লিখে পেশী প্রদর্শন না করা ঃ-)
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:১৮ | 220.227.64.98
বাংলা একাডেমি স্কুলের শিক্ষকদের রেফারেন্সের জন্য কি বই রেখেছে? মানে নতুন বানান পদ্ধতি চালু হবার পরে ?
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:১৬ | 61.95.144.123
এটা মনে হয় আগে একবার বলেছিলুম - যদি অনেক পয়সা থাকতো, সিবিবিজের মতন একটা বাংলা চ্যানেল আর ওয়েবসাইট বানাতুম, আর বাচ্চাদের বাংলা বইয়ের পিছনে ইনভেস্ট করতুম - লেডিবার্ড সিরিজের মতন।
h | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:১৫ | 203.99.212.224
টেক্সট বই গুলো নিয়ে এত সেন্টু খাওয়ার কি হল? মহৎ লোকেরা তখন শিশুশিক্ষাতেও হাত দিয়েছিলেন, কারণ কবি বা সমাজ সংস্কারক দের সকলকেই তখন জাতীয় শিক্ষা ব্যাপারটা দাঁড় করাতে হচ্ছিল।
বহুদিন ধরেই নতুন বই দরকার। কিছু হয়েছে। কিছু ভালো কিছু মন্দ। আরো দরকাঅর। এটা কখনো সংরক্ষণ এর ফোকাস হতে পারে না। ভাষাও তো বদলাচ্ছে। বদলানো ই মঙ্গল।
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:১৫ | 203.122.26.2
একাডেমির নতুন বানানবিধি প্রকাশ এবং প্রচার করার একমাত্র উপায় কি আনন্দবাজার পত্রিকা? স্কুলে স্কুলে গিয়ে সেই বানানবিধি ফলো করানোর দায়িত্ব কি একাডেমি বা সরকারের নয়?
baps | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:১৪ | 203.199.41.181
'অ এ অজ্গ্র' তা তো অবোসোএ হাতানো উচিত। সেই জে শালা অজ্গ্র নামোক পোরাসোনার সাপ তা পিচোনে পোরে তার্পোর সারা জীবোন তারিএ বেরাএ।
r | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:১২ | 125.18.104.1
বাংলা বানানের ক্ষেত্রেও এখন বর্ণপরিচয় রেফারেন্স নয়। সহজ পাঠ তো অবশ্যই নয়। বাংলা একাডেমির বানানপদ্ধতি প্রায় সর্বত্র স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ব্যবহৃত। অতএব, শিক্ষকদের জন্যও বর্ণপরিচয় অপরিহার্য নয়। কেউ বাংলা প্রাইমারের ইতিহাস লিখতে হলে অবশ্যই বর্ণপরিচয় ব্যবহার করবেন।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:০০ | 220.227.64.98
সব্বাই এত্ত এত্ত স্মৃতিচারণ কচ্ছে, আমার নিজের কথা কিস্যুই মনেনেই। মা কে ফোন করলাম। মিটিং থেকে বার করে আনিয়ে বললাম আমি কি বই পড়তাম প্রথম বাংলা শিখতে ,বর্ণপরিচয়, না সহজ পাঠ, না হাসি-খুশি? মা বলল, মেঝেতে ছবি এঁকে এঁকে শেখাতাম, কেন, কি কি বাদ পড়ে গেছে ? ;-)
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:০০ | 61.95.144.123
না। স্যান বলেছে "যারা শেখাবে তাদের জন্যে বর্ণপরিচয়' - মানে কি দাঁড়াল?
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫৯ | 61.95.144.123
অক্ষর পরিচয় - কাঠের ব্লক, তাপ্পর "অ-য় অজগর' - বর্ণপরিচয়ের চেয়ে ঢের সোজা। বর্ণপরিচয়ে ঝ দিয়ে ঝঞ্ঝা না কি যেন আছে - মাইরি, কি সোজা শব্দ!!! অ-য়-অজগরেরও হয়তো অল্টারনেটিভ সম্ভব - আরো সোজা শব্দ আর সুন্দর ছবি দিয়ে।
এগুলো বিলেতে করে লেটারল্যাণ্ড বা সিমিলার পদ্ধতিতে। এর পরে সোজা বই ধরিয়ে দেয় - লেডিবার্ড লেভেল ওয়ান, টু করে। তার আগের লেভেলেরও আছে। বাচ্চাগুলো ঠেকে ঠেকে পড়ে - কিন্তু পড়তে শিখে যায় চট করে। বাংলায় এই রকম বইও অল্প কয়েকটা আছে।
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫৬ | 203.122.26.2
অরিজিৎ, স্যান বোধ হয় তা বলে নি। টিচারদের রেফারেন্স হল সঠিক বাংলা ব্যাকরণ। ণত্ববিধি ষত্ববিধি জ্ঞান। বর্ণপরিচয়টা প্রাইমারদের জন্যেই। সে অচল বলো, লেস এফিশিয়েন্ট বলো ... সে তক্কো আলাদা।
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫৪ | 203.122.26.2
সহজ পাঠ, বলা যেতে পারে বর্ণপরিচয়ের অংশবিশেষের সাবস্টিট্যুট। পুরো বর্ণপরিচয়ের সাবস্টিট্যুট নয়। প্রথম তো অক্ষর পরিচয়টাই দরকার, যেটা প্লাস্টিকের খেলনা দেখে বা বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগের পাতা দেখেই শিখতে হবে। তার পরে না সহজ পাঠ! অক্ষর না চিনিয়ে একেবারে "ছোটো খোকা বলে অ-আ শেখেনি সে কথা কওয়া' কেউ কোনওদিন শুরু করতে পেরেছে?
Tim | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫৪ | 71.62.2.93
ব্ল্যাংকিই ঠিক কইসে। আমি জোরে জোরে (যাতে বেশ ব্যাথা হয়) ব্ল্যাংকির পিঠ চাপড়ে সাপোট কল্লুম। ঃ)
নাহ্, য্যাই। ঃ(
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫২ | 61.95.144.123
তার মানে বর্ণপরিচয় বাচ্চাদের জন্যে আদর্শ নয়, ওটা টিচারদের রেফারেন্স। তো আম্মো তো তাইই বলছি - যে ওটা বাচ্চাদের জন্যে নয়।
আমার মেইন আপত্তিটা তো বল্লাম। কোনকিছুই ঈশ্বর নয় - কোন একটা বই বা পদ্ধতি অ্যাবসল্যুট নয়। নতুন পদ্ধতি বেরোবে, দু বছর পর আবার অন্য কিছু বেরোবে। কনস্ট্যান্ট রিফাইনমেন্ট!!! (ম্যাড আইয়ের মতন করে বল্লুম)
দুনিয়া এইভাবে চলে। আর আমরা শালা ঐতিহ্য ধুয়ে খেয়ে চলি।
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫১ | 203.122.26.2
স্যান ঠিক কইসে। যে শেখাবে সে যেন মাণিক্য শেখাতে গিয়ে মানিক্য না শেখায়।
আর বাঙালির বাচ্চা কি চার বছরেই সবকিছু শেখে নাকি? চার বছরে তো অক্ষর পরিচয় হয়! ঐক্য বাক্য মাণিক্য ঐরাবত গোপাল রাখাল ভুবন আছে দ্বিতীয় ভাগে, সেটা বাচ্চারা শেখে পাঁচ-ছ বছর বয়েসে গিয়ে। ততদিনে তার বাংলা ভোক্যাব্স কতো বেড়ে যায় বলো তো!
Tim | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫১ | 71.62.2.93
না, ইনস্যান! ঃ-))))))
r | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫১ | 125.18.104.1
অরিজিৎ যা বলছে একদম ঠেকে শেখা অবজার্ভেশন। আমরাও এখন হাড়ে হাড়ে বুঝছি। বর্ণপরিচয় ও সহজ পাঠ- দুটি বইই ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান এবং মিউজিয়ামে ভালো করে সংরক্ষণ করা উচিত। বাচ্চাদের বাংলা শেখানোর জন্য নতুন বই দরকার। বস্তুতঃ, রবীন্দ্রনাথের আমলেই বর্ণপরিচয়ের উপযোগিতা ফুরিয়েছিল। যে কারণে সহজ পাঠ লেখা। এখন রবীন্দ্রনাথ নিজে বেঁচে থাকলেও বাচ্চাদের জন্য নতুন বাংলা প্রাইমার লিখতেন।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫০ | 220.227.64.98
চার বছরের বাচ্চা আবার ওইসব শিখে কি করবে কি আশ্চর্য? আমাকে কি ইনসেন মনে হয় ????
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪৯ | 203.122.26.2
তখন প্লাস্টিক খুব একটা চলতও না।
অর্পণের "লোকটা কেমন কৃশ' শুনে আমান্নিজেরো একটা কেস মনে পড়ে গেল। ক্লাস টু-তে ছিল বোধ হয় কিশলয়ে, উপেন্দ্রকিশোরের "টুনটুনি আর বিড়ালের গল্প'। সহজ পাঠ তো সাদাকালো, কিন্তু কিশলয় রঙীন, তাই আইডিয়া তৈরি করার ক্ষেত্রে কিশলয় অদ্বিতীয় ছিল।
গল্পটা শুরু হয়েছে "গৃহস্থের বাড়ির পেছনে একটা বেগুনগাছ ছিল ...' এইভাবে। পাশে লালচে রঙ্যের ছবি, একটা কুঁড়েঘর, পাশে একটা গাছ, তাতে টুনটুনির বাসা। তো আমার সেই থেকে ধারণা হয়ে গেল ঐ রকম ঘরে যারা থাকে, তাদের গৃহস্থ বলে। আমরা গৃহস্থ নই। কারণ আমাদের ঘর ঐ রকম নয়।
বিকেলে প্যারেড করতে যেতাম ফাঁসীতলায় অগ্নিফৌজ অ্যাথলেটিক ক্লাবে। এক শীতে ক্লাবে যাবার পথে নিজের হনুমান টুপিটা হারিয়ে ফেললাম। ক্লাবের একটু আগেই ঐ রকম একটা কুঁড়েঘর ছিল, সামনে নিকনো উঠোন, একপাশে একটা গাছ ইত্যাদি। রাস্তায় টুপিটা নিয়ে লুফতে লুফতে যাচ্ছিলাম, বোধ হয় কখন পড়ে গেছে ওখানেই, আমি খেয়ালও করি নি।
বাড়ি এসে মা যখন বেশ ঝাড়ছে, কোথায় ফেলে এসেছিস বল্, মনে করার চেষ্টা কর, আমি অম্লানবদনে বলে দিলাম, বোধ হয় গৃহস্থদের বাড়ির সামনেটায় পড়ে গেছে। মা তো হুব্বা! গৃহস্থটা আবার কে রে ভাই!! তারপরে লোকেশন আর রেফারেন্স বুঝিয়ে বলতে বাবা মায়ের সে কী হো হো করে হাসি।
সেই গৃহস্থরা আমার টুপিটা কুড়িয়ে রেখে দিয়েছিল, সেদিন সন্ধ্যেতেই আবার গিয়ে খোঁজ করাতে পাওয়া গেছিল।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪৮ | 220.227.64.98
ধুত্তোর। আমি কি বললাম ? যারা শেখাবে তাদের জন্য বর্ণপরিচয় থাকা দরকার।যারা শিখবে তাদের জন্য নয়।
মানে যে শেখাবে তার যেন ণত্ব-ষঙ্কÄ জ্ঞান থাকে।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪৬ | 220.227.64.98
আমি ব্ল্যাংকিকে টেবিল চাপড়ে সাপোর্টালুম।
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪৬ | 61.95.144.123
ইয়ে - স্যান চার বছরের বাচ্চাদের ণত্ব বিধান শেখাবে? খাইসে।
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪৪ | 61.95.144.123
ঋক তো বর্ণপরিচয় বাদ দিয়েই শিখলো/শিখছে। ওদের স্কুলে সহজ পাঠ, সহজ পড়া, আবোলতাবোল আর টুনটুনির বই। আর আমি ঈশ্বরবাবুকে কোনো দোষ দিই না, আমি ওঁর পদ্ধতিকেই ঈশ্বর মনে করে পূজোর বিরুদ্ধে। এবং মনে হয় সহজ পাঠ বা হাসিখুশিরও বিকল্প খোঁজা প্রয়োজন - ওগুলোরও বয়স একশো হতে চললো। এবং এটা প্রমাণ করে যে এই বর্ণ বা অক্ষরপরিচয় বা ভাষাশিক্ষা নিয়ে বাঙালীদের মধ্যে কোন চিন্তাভাবনা নেই। এইটে হল সবচেয়ে আপত্তিজনক (বোল্ড/আণ্ডারলাইন)।
Blank | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪২ | 203.99.212.224
পড়াশুনো তুলে দিলেই হয়। বড়ই খারাপ জিনিস ...
Arpan | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩৮ | 208.57.131.4
প্লাস্টিকের নয়, তবে ওইরকম কাঠের রঙচঙে অ-আ-ক-খ আমারো ছিল এক বাক্স। পরে বাড়ি পাল্টানোর সময় সেগুলি কাউকে দিয়ে আসা হয়েছিল।
তো, সেইটাও বেশ কাজের হবে।
Arpan | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩৩ | 208.57.131.4
রাইটো। ওয়ান আর টু তে দুটৈ পড়েছিলাম।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩১ | 220.227.64.98
আমার মনে হয় ভাষা শেখানোর এটাই অপটিমাম পদ্ধতি বলে কিছু হয়তো হয়না। বর্ণপরিচয় মুখস্ত করেও লোকে শেখে, বা খেলতে খেলতেও শেখে। কোনটাতেই খারাপ শেখে তা নয়। বর্ণপরিচয়ের ক্ষেত্রে আমি বলবো, ওই অর্পণ যেমন গল্প বলল, ওরকম কিছু মজা হয়, কিন্তু আবার শিখেও যায় , বাচ্ছাদের গ্রহণক্ষমতা অনেক অনেক বেশি আমাদের চেয়ে। আবার খেলতে খেলতে শেখানো হলে হয়তো বেশি মজাসে শিখবে, এবং নট নেসেসারিলি খারাপ শিখবে - কিন্তু সেক্ষেত্রে যারা শেখাবে তাদের দক্ষতা একটা জায়গায় যেতে হবে যেটা আমাদের দেশে, আচ্ছা পঃ বঙ্গেই ধরো, লার্জ স্কেলে আছে বলে আমি মনে করিনা। কারা নার্সারিতে বাংলা পড়ায় এখানে ? কজন ছোটদের পড়াতে ভালোবাসে তাই পড়ায়, আর কজন নিজেরা বাংলা বানান টানান ব্যাকরণ বই না দেখেই নির্ভুল লেখে এ নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। গিভন অল দিস কনস্ট্রেন্টস, একটা স্ট্যান্ডার্ডাইজড বই ধরে অন্তত নিখুঁত বাংলা শেখানোটা খুব একটা খারাপ কথা বোধয় নয়।
হ্যাঁ , ঠিকঠাক পরিকাঠামোয় বই-বিহীন শেখানো আমি সাপোর্ট করবো। তার আগে বই-টই, বিশেষতঃ স্ট্যান্ডার্ডাইজড বই তুলে দিতে গেলে ভয় পাবো।
Blank | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:২১ | 203.99.212.224
অর্থাৎ আমি সিকির সাথে এক ই ইয়ার, অর্পন দা টা জুনিয়ার, নতুন যুগের ...
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:২০ | 203.122.26.2
আমার বাচ্চা হাসিখুশিই রেফার করছে বটে, তবে আগের বার বাড়ি গিয়ে প্লাস্টিকের অ-আ-ক-খ কিনে এনেছিলাম, আমরা মূলত সেইগুলোই রেফার করছি, মানে সেটা বর্ণপরিচয়েরই অন্য রূপ আর কি। সাথে ছড়াগুলো শেখাচ্ছি মনে রাকহে্ত পারবে বলে। এখনও সিকোয়েন্স রপ্ত হয় নি। কিন্তু স্কুলে ইংরেজি শেখাচ্ছে বিগিনিং লেটার দিয়ে। গার্ল কী দিয়ে শুরু হয়? জি দিয়ে। ডগি কী দিয়ে শুরু হয়? ডি দিয়ে। আমরাও সেই মেথডেই কাকাতুয়া কী দিয়ে শুরু হয়? ক দিয়ে। সেইভাবেই কাকাতুয়ার মাথায় ঝুঁটি খরগোশটা পালায় ছুটি ইত্যাদি শেখাচ্ছি। মানে মিশ্র পদ্ধতি আর কি। তবে কাকাতুয়া বা খরগোশের ছবি দেখানোর দরকার পড়ছে না। ক, খ, এগুলো বড় হরফে দেখিয়েই শেখানোর চেষ্টা করছি।
আর অর্পণ, আমরা তো কিশলয় আর সহজ পাঠ একসাথে পড়েছিলাম ওয়ান টু তে। সহজ পাঠ উঠে গেছিল কি কিশলয় আসার সময়ে?
Blank | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:১৯ | 203.99.212.224
সজহ পাঠ তুলে দিয়ে কিশলয় নাকি? আমি তো দুটো ই পড়েছি
Arpan | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:০৭ | 208.57.131.4
আমার নিজের বর্ণপরিচয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল অনেক পরে। কিন্তু সেটা ভুলে গেছিলাম। এইবার বাড়িতে মাকে জিগ্যেস করে জানলাম হাতেখড়ির সময় হাসিখুশি দিয়ে অক্ষর পরিচয় হয়েছিল। বেশ ভাল ভাল ছড়া আর ছবি ছিল। ওয়ানে ওঠার এক বছর আগে বোধহয় বর্ণপরিচয় দ্বিতীয়ভাগ পড়ি গল্পের বইয়ের মত করে। যেখানে ছিল গোপাল একটি সুবোধ বালক। অথবা যতীন ও তার মাসির গল্প। বুঝতে তো কোন অসুবিধা হয়নি। খালি মনে আছে বাটী মানে জানতাম না। ঃ)
ক্লাস ওয়ানে সহজ পাঠ পড়লাম। দাড়িদাদুর লেখা প্রথম পড়ে চমৎকার লেগেছিল। সেটা তুলে কিশলয় চালু করেছিল, কিন্তু সেটা সহজপাঠের ধারেকাছে আসত না।
বাপু অরিজিৎ, কেউ তো মাথার দিব্যি দেয়নি বর্ণপরিচয় দিয়েই শিশুর হাতেখড়ি করাতে হবে। হাসিখুশি পড়াও। না হলে সহজ পাঠ পড়াও। আরো অন্যকিছুও এখন থাকতে পারে। ঈশ্বরবাবুকে একটু রেহাই দাও।
Blank | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:০৪ | 203.99.212.224
হে হে
Arpan | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫৮ | 208.57.131.4
এই প্রসঙ্গে আমাদের পাশের বাড়ির বাচ্চাটার কথা মনে পড়ে গেল। তখন সদ্য বর্ণপরিচয়ই পড়ছে বোধহয় সে। মাকে বলেছিল, মা, ওই লোকটা কী কৃশ!
চারপাশের লোকে হেসে আর বাঁচে না।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫৮ | 220.227.64.98
হ্যাঁ বোঝে। আমরা সক্কলে বুঝতাম।
san | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫৬ | 220.227.64.98
পদ্ধতি পাল্টানো নিয়ে আমি তোমার সঙ্গে। ছোটদের পাঠ্যবই-বিহীন শেখানোতেও একমত। কিন্তু যারা শেখাবে, তাদের জন্য একপিস বর্ণপরিচয় থাকলে আমি খুশি হব। এখন বানান-বিপ্লব এসে গেলে আলাদা কথা, কিন্তু তার আগে অব্দি আমি ণত্ব-ষত্ব-জ্ঞান পছন্দ করি।সেটার জন্য.....
Arpan | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫৫ | 208.57.131.4
সব জায়গায় দ্যাখো অরিজিত লড়ছে। বাপ্পো। কী প্রাণশক্তি!
ধুর মাইরী - একটা চার বছরের বাচ্চা ঐক্য বাক্য মাণিক্য ঐরাবত - এই সব শব্দ শিখবে? ওরা এগুলো বোঝে? রেগুলার ব্যাভার করে? অ-আ দিয়ে সহজ, ছোটদের ভোকাবুলারিতে রয়েছে, এবং মজার জিনিস - এই ধরণের শব্দ দরকার। লেটারল্যাণ্ডের বইগুলো দ্যাখো - ওরা কিভাবে বাচ্চাদের আলফাবেটে ইনট্রোডিউস করে।
Arijit | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৪৯ | 61.95.144.123
এবং আরো একটা ব্যাপার আছে - বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আমি যে কোন পাঠ্যবইয়ের বিরোধী। প্রাইমারি এডুকেশনের ব্যাপারে আমি একশো ভাগ ইউকে-র পদ্ধতির পক্ষপাতী, অন্ততঃ ওদের Key Stage 2 অবধি তো বটেই।
siki | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৪৯ | 203.122.26.2
অরিজিতের পয়েন্টগুলো বঃপঃ দ্বিতীয় ভাগের জন্য অনেকটাই সত্যি। কিন্তু প্রথম অ আ শিখতে গেলে আউটডেটেড ভাষা বা বোরিংনেস কোথায় আসছে? টেক্সটগুলো অবশ্যই একটু খটোমটো, গম্ভীর সাধুভাষায় লেখা। কিন্তু ঐক্য বাক্য মাণিক্য লেহ্য উহ্য এর কোন শব্দটা আউটডেটেড?
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন