এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • Blank | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:০১ | 203.99.212.224
  • ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ খোলাটা কিন্তু পাবলিক ডিমান্ড ছিল। কাগজে বড় বড় করে ছাপা হতো প্রতি বছর কত ছেলে ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে ...
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫৮ | 61.95.144.123
  • ভাগ্যিস তুমি বলোনি ওটা "এইব্‌ল' হবে (হালকা করে আই, গাঁক গাঁক করে ইংরিজী);-)
  • siki | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫৭ | 203.122.26.2
  • আরে ইন্ডাস্ট্রি করতে অনেক হ্যাপা, তায় পল্যুশন হবে। ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজ করলে তো পল্যুশনও নেই, ভোট বাড়বে, ঘরে ঘরে ইঞ্জিনীয়ার।
  • siki | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫৫ | 203.122.26.2
  • সেন্ট জনস, ক্লাস নাইন। অনিল স্যার অঙ্ক করাতেন, তো সেদিন বাবুস্যার না আসায় তিনি ইংরেজি পড়াতে এসেছেন। কী একটা প্যারা পড়াবার সময়ে বারবার তিনি able কে অ্যাব্‌ল অ্যাব্‌ল করে উচ্চারণ করছেন। বার দুয়েক শোনার পরে আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম, স্যার, ওটা কি এব্‌ল হবে না?

    স্যার অত্যন্ত মর্মাহত হলেন। কিন্তু সরাসরি কনফ্লিক্টে গেলেন না। বললেন, আচ্ছা, আমি বাড়ি গিয়ে দেখব। আমি তো এত বয়েস পর্যন্ত অ্যাব্‌লই জানতাম।

    পরদিন অঙ্কের ক্লাসে এসে স্যার শুরু করলেন, আমি কাল বাড়ি গিয়ে অক্সফোর্ডের ডিক্‌শনারি খুলে দেখলাম। ওখানে সিলেব্‌ল ভেঙে উচ্চারণবিধি দেওয়া আছে; এ বি এল ই অ্যাব্‌ল হয়, এব্‌ল তো কোনওমতেই নয়। তো আমি ফাদারের (হেডু) সঙ্গে কথা বললাম আজকে, যে টিচারের মুখে মুখে তর্ক করার এই যে অভ্যেস কিছু ছেলের হচ্ছে (ট্যাক্টফুলি আমার নাম না নিয়ে, আমি তখনো ক্লাসের ফার্স্ট বয়) এটা কি ঠিক? ফাদার শুনে বললেন, কৃষ্ণেন্দু ( এ সেকেন্ড বয়) হলে কিন্তু কখনওই আপনাকে এইভাবে বলত না।

    আমার বাড়িতে সংসদ ছিল, অক্সফোর্ড ছিল না, আর হুমকিটাও পোস্কারভাবে বুঝলাম, তাই আর কথা বাড়ালাম না।

    এখন বুঝি, স্যারের বাড়িতেও অক্সফোর্ডের ডিকশনারি ছিল না। পাতি ঢপ মেরে নিজের ইগোটা কায়েম রেখেছিল।
  • sinfaut | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫২ | 165.170.128.65
  • অনেক ধন্যবাদ র-দা।
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৫০ | 61.95.144.123
  • ওই যে - সবেতেই অ্যাড হক মেন্টালিটি। সকালবেলা উঠে কোনো বড়কর্তার (মন্ত্রী বা আমলা) মনে হল এই দ্যাখো সবাই আইটি আইটি বলছে, চলো শ দুই কলেজ খুলে দিই। খুলে দেওয়া হল। পরিকাঠামোর কথা না ভেবে।

    সেই রকম সকালবেলা উঠে একদিন মনে হল আজ থেকেই ইংরিজী তুলে দিয়ে লার্নিং ইংলিশ চালু করি। কিন্তু তার জন্যে বাকি যা জরুরী সেটা আছে কিনা না দেখেই চালু হয়ে গেলো। যদিও, আজও, এখনও আমি ওই পদ্ধতিতে শেখানোর পক্ষপাতী।

    আরেকদিন সকালবেলা ট্রাফিক কমিশনারের মনে হল সায়েন্স সিটি আর রুবির গোলচক্করদুটোতে আইল্যাণ্ড কেটে ছোট করে দিলেই জ্যামের সমস্যা মিটে যাবে। দেওয়া হল, এখন গাড়ি ঢুকছে ছয় লেনে, বেরনোর সময় বটলনেক - কারণ সেখানে তিন লেন কোনোক্রমে। এবার মাঝের অংশ কেটে সামনের দিকটা চওড়া হচ্ছে - কিন্তু ভিতরে তো সেই আবার একই কেস হবে। অথচ রাস্তায় গাড়ির নিয়ম চালু করলে এত মেহনতের দরকার পড়তো না।

    হঠাৎ হঠাৎ ব্রেনওয়েভের ঠেলায় জেরবার।
  • Tim | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৪০ | 71.62.2.93
  • দমদি আর অজ্জিতদার কথা অনেকটাই ঠিক। আমারো প্রায় এরকমই অভিজ্ঞতা।
    সবথেকে বাজে ব্যাপার হলো যখন ব্যাঙের ছাতার মত ইনস্টিটিউট খুলে সেখানে বিসিএ, বিআইটি, বিবিএ ইত্যাঃ পড়ানো শুরু হলো। প্রচুর টাকা নিয়ে প্রথমে কিস্যু শেখানো হতো না, অ্যাফিলিয়েশান নিয়ে গোলমাল হতো, শেষে কোনোমতে একে তাকে ধরে পরীক্ষা দেওয়ানো হতো। এরকম কয়েক ঝাঁক ছেলেপুলেকে পড়াতাম। ওরা সত্যিই শিখতে চাইতো, কারন নইলে এরপর কিছু জুটবে না। খারাপ লাগত ওদের দেখে।
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩৭ | 61.95.144.123
  • ইলেক্ট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টটি স্থান-কাল-পাত্র-কলেজ-বছর নির্বিশেষে "জালি' বলিয়া পরিচিত। উক্ত ডিপার্টমেন্ট হইতে গ্র্যাজুয়েট সকলকে বিই কলেজে "জালি' উপাধি দেওয়া হইত। যদুপুরেও তাহা হইবে আশ্চর্য কি?

    ;-))
  • papiya | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩২ | 74.192.194.238
  • যাদবপুরে আমাদের সময় elect আর mech এর prof রা অতল ফান্ডার অধিকারী ছিলেন,যথেস্ট ভাল পড়াতেন, কিন্তু বাকি electronix আর maths এর সাব্জেক্ট গুলোতে চুড়ান্ত ফাঁকিবাজী চলত :P, তবে সমস্যা অন্য জায়গায়ঃ পাগলের মত সব কিছু গেলানো হত, outdated জিনিসপত্র পড়ানো হত, কোনো subject এর choice থাকতোনা ....... এবং এই ব্যাপার গুলো অনেকটা কম বলেই iit গুলোয় তুলনামুলকভাবে তেমন কিছু ভাল শিক্ষক না থাকলেও লোকে অনেক বেশী শেখে
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:২৯ | 61.95.144.123
  • আর ইউজির কথা না বলাই ভালো। কম্পিউটার অর্গানাইজেশন - হ্যামেচারের বই থেকে বোর্ডে টোকা চলতো, এগজাম্পল গুলো অবধি। তো একবার ম্যাডামের শখ হল ভাগটা নিজে করবেন, হ্যামেচারের এগজাম্পল ব্যাভার না করে। তার পর কি হল বলাই বাহুল্যঃ-)

    তবে এঁরা বহুত হেল্পফুল ছিলেন - মোটামুটি সকলেই আমার দিদি-সদৃশ, জিগ্গেস করলে মেহনত করে উত্তর দেবার চেষ্টা করতেন, এবং নিজ নিজ দায়িত্বে আমাকে "পড়াশোনা করতে' প্রচুর উৎসাহ দিতেন, প্রচুর জ্ঞান এবং সেন্টুসহকারে।
  • Arpan | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:০২ | 208.57.131.4
  • যাদবপুরে যে ক'জন আমাদের পড়িয়েছেন হাতেগোণা কয়েকজনকে বাদ দিলে তাঁদের প্রত্যেকে গভীর ফান্ডাবাজ ছিলেন। ক্লাসে এসে খেটে পড়াতেন। আমদের পাখা গজানোর খাতিরে আমরা পড়তাম না (স্টাডি লিভের সময়টুকু বাদ দিলে) সে অন্য কথা।

    গ্র্যান্ড ভাইভার সময় এঁরা প্রত্যেকে অনেক দুঃখ পেয়েছিলেন যে আমি কোর ইন্ডাস্ট্রিতে থাকছি না। বা মার্স্টার্স করছি না। সে আর কী করা যাবে। চোখে তখন আইটি দুনিয়ার রঙিন হাতছানি।
  • Blank | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:০২ | 203.99.212.224
  • ইস্কুলে তো, ওসব ইউনিক্স ছিলো না। যে মেশিনটায় উইন্ডোজ ছিল সেটাতে খালি হার্ড ডিস্ক ছিল। বাকি গুলোর ও তাও ছিল না। বড় সাইজের পত পতে ফ্লপি নিয়ে বুট করাতে হতো।
    কিন্তু স্কুলে যা শিখেছি, এই ইন্ড্রাস্ট্রি তে কাজ করার জন্য তার বেশী কিছু শেখার দরকার হয় না। কলেজ টা কিস্যু কাজে লাগে নি
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫৮ | 61.95.144.123
  • আমরা ল্যাবে কাজ করতুম ইউনিক্সে। একটা সার্ভারের সাথে ডাম্ব টার্মিনাল লাগানো ছিলো কিছু, একসাথে সবকটা চালালে টাইপিয়ে যাও, যাও - কিছু দেখতে পাবে না - তাপ্পর হুড়মুড় করে সবকিছু স্ক্রীনে এসে যেত। থার্ড ইয়ারে যখন পড়ি, তখন ইমপ্যাক্ট ল্যাব তৈরী হল - সেখেনে উইন্ডোজ 3.1, আর একটা ডিজিট্যাল ইউনিক্স, একটা সান স্পার্ক। প্রোজেক্টের বেশিরভাগ কাজ ওই সান মেশিনে। ডিসার্টেশন লেখা উইন্ডোজ "রাইট'-এ - ম্যাগো, আর কোনদিন ওরকম বাজে জিনিসে লিখিনি। তখন এডি (মানে আমাদের গাইড) অনেকবার বলেছিলেন লেটেক শিখে নিতে - ল্যাদে শিখিনি, কিন্তু সেই পরে ধেড়ে বয়সে শিখতে হল।

    দিদিরা কাজ করতো সেই আলমারির মতন সাইজের মেশিনে। আর বাড়িতে গোছা গোছা "কার্ড' আনতো - আউটপুট। আমি সেগুলো কেটে নানারকম জিনিস বানাতুম।
  • Blank | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫৪ | 203.99.212.224
  • বেসিক ভয়ানক ভাল। এক নস্টালজিক ল্যাঙ্গুয়েজ। প্রথম লেখা প্রোগ্রাম
  • shrabani | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫৪ | 124.30.233.111
  • আমি আমার ইউনিভার্সিটীর (রাঃ সাঃ কঃ) অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলিনি। সেই পাঁপড়ের মত হলুদ হয়ে যাওয়া পাতা থেকে রীড করে যাওয়া আর খ্যাসখ্যাস করে সবাই শ্রুতিলিখন করে যাচ্ছে....
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫৩ | 61.95.144.123
  • ** অ্যাণ্ড **

    আর এই CSI-তে ক্লাস নিতে গিয়ে আমাকে বেসিক শিখতে হয়েছিলো। বিচ্ছিরি।
  • Blank | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫২ | 203.99.212.224
  • win 95 বাজারে আসার অনেক দিন পরেও স্কুল কলেজে win 3.1 ই চলতো। আমি যখন প্রথম কম্পু দেখি, তখন ডসের যুগ, একটা মেশিনে খালি win 3.1 চলতো। সে এক পরম বিস্ময়ে দেখতাম আমরা
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫১ | 61.95.144.123
  • হ্যাঁ, প্রদীপ কুমার দাসই বটে। ভালো পড়াতেন, আর আমার বড় গাইড ছিলেন মাস্টার্সে, মানে আসল গাইড অনুপম সিনহা (পুরো ছক্কা পাগল পাবলিক, কাজ হয়তো জানতেন কিন্তু গাইড করতে পারতেন না, আর আসতেন খুব কম - আমার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিলো ফাইন্ড ইওর গাইড অন্দ রান আফটার হিম) - কিন্তু পিকেডি ওপর ওপর দেখতেন, আইডিয়া দিতেন। ওঁর ল্যাবেই কাজ করতুম তো।

    আমি এই ধেড়ে শিক্ষা - মানে DOEACC-র কিছু ক্লাস নিতাম - এ লেভেল, ও লেভেলের। RCC-তে। এখন তো RCC পাল্টে অন্য কিছু হয়েছে। জয়া দেবরায় তখন RCC-র হেড ছিলেন। টাকা পয়সা দিত বেশ - ক্লাসপিছু ২০০ টাকা করে - আমার মাঝে মাঝে মাসে হাজার তিনেকও হয়ে যেতঃ-) তখন CSI-তেও ডাক পড়তো - আর জয়াদি আমাকে ধরে বেঁধে পাঠাতেন। তো সেখানে কিন্তু অনেক বয়স্ক লোক দেখেছি - প্রথম প্রথম আমার লজ্জা করতো বেশ - পরে সয়ে গেসলো, আর ওঁদের অনেকেই চেষ্টা করতেন। নতুন কনসেপ্ট বলে অসুবিধা হত বটে, কিন্তু চেষ্টা করতেন।

    আমার বিরাট স্যাটিসফ্যাকশন আছে একটা দুটো ঘটনায় -

    সি-এর ক্লাস মাঝপথে ছেড়ে টিচার ভাগলবা। জয়াদি আমাকে ধরলেন। প্রথম ক্লাসের পর বাইরে দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছি, ছেলেমেয়েগুলো বাইরে এসে বল্ল "স্যার, আগের টপিকগুলোও এরকম সলিড করে দিন'। এরকম দু তিনবার হয়েছেঃ-)
  • h | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৫১ | 203.99.212.224
  • শ্রাবণী এসে আমার অমর সোশাল অ্যানালিসিস টা ঘেঁটে দিল !
  • sinfaut | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৪৮ | 165.170.128.65
  • Win 95 বাজারে আসবো আসবো করছে দিয়ে গুগল সার্চ করো।
  • h | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৪৭ | 203.99.212.224
  • এই অভিজ্ঞতা গুলো কে আমার অভিজ্ঞতার সঙ্গে মেলালে দুইটি মিল ও একটি অমিল পেলাম।

    প্রথম মিলটি হল, কেউ কেউ ভালো পড়াতেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পাগলাটে। বাকির খারাপ পড়াতেন ও পাগলাটে।

    দ্বিতীয়টি হল, এলিট ব্রাত্য নিরপেক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজে লাগার মত কিসু বিশেষ পড়ানো হত না।

    অমিলটি হল, আমি কোনো দিন যত্ন করে বা অযত্নে, ভালোবেসে বা গাল দিয়ে, কোন ভাবে পড়ানো কোন কিছুই কোনদিন আদৌ পড়তে চাই নিঃ-)
  • shrabani | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৪৬ | 124.30.233.111
  • সবাই এত শিকায়ত মোডে যে আমি ভাবছি একটু অন্য কথা লিখি। আমার কলেজের আমাদের সময়ে আমার সাবজেক্টে টীচাররা যা ছিল এ বলে আমায় দ্যাখ ও বলে আমায় দ্যাখ। অপছন্দের হাতে গোনা দুই। যা পড়িয়েছে লাইফটাইমের ফান্ডা। একমাত্র চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে শুধু ওর জোরেই আর দ্বিতীয় ইন্টারভিউ দিইনি কোনোদিন, ইউনিভার্সিটীর বছরগুলো শুধু ডিগ্রীর মূল্য, আসল শিক্ষাটা কলেজেই হয়েছে!

    এইসব টীচাররা প্রত্যেকেই মহিলা এবং অনেকেই রীতিমত ভালভাবে ঘরও সামলাতেন, তেমন কিছু হাঁকডাকের ছিলেননা। কিন্তু আশ্চর্য্যভাবে সাবজেক্টটাকে ভালবাসতে শিখিয়েছিলেন আর ক্লাসেই এমন পড়াতেন যে বাড়িতে বিশেষ না মেহনত করেও ( আমাদের অধিকাংশেরই প্রাইভেট টিউটরও ছিলনা যদিও লোকে প্রাইভেট টিউটর ছাড়া ভাল রেজাল্ট ফার্স্ট ক্লাস ভাবতেই পারতনা !)ভাল রেজাল্ট করতে বাধ্য হয়েছিল সবাই।
  • siki | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৪৪ | 203.122.26.2
  • এটা কোন সালের কথা, দময়ন্তী?
  • d | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৪২ | 203.143.184.10
  • আর ১টা কথা হল পিকেডি মানে প্রদীপ কুমার দাস কি? তাহলে উনি একজন ভাল লোক। আমার দেখা মুষ্টিমেয় ভাল লোকেদের মধ্যে একজন। ওঁকে আমি দেখেছি কনসালটেন্সীতে আসার পর।
  • d | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৩৬ | 203.143.184.10
  • কম্প সায়েন্সের কোন কোর্স নিয়ে কথা বলছ তোমরা?
    এটা "শিশু' নয়, বরং "ধেড়েশিক্ষা'র গল্প। আমি তখন সদ্য সদ্য একটা অতি ছ্যাঁচড়া ইনি্‌স্‌ট থেকে কম্পু শিখে অসেখানেই চাকরী পেয়েছি। সেই সংস্থাটি তখন বিভিন্ন কলেজের চত্বরের ভেতরে কম্পু শেখানোর সেন্টার খোলে। ৯০০, ১৫০০, ২৪০০ টাকা দিয়ে বিভিন্নপ্রকার কোর্স করায়। এরকমই এক মফস্বল কলেজের চত্বরের সেন্টারে গেলাম "সেন্টার-ইন-চার্জ' হয়ে। পদের নাম শুনতে যত চমৎকারই হোক না কেন, আসলে কাজ সেই সেন্টারের দরজা খোলা থেকে দরজা বন্ধ পর্যন্ত। সেই কলেজে সেই বছর থেকেই চালু হল পাস ও অনর্সে "কম্পিউটার সায়েন্স'। UGC এই বাবদে কোন অধ্যাপকপদ তখনও মঞ্জুর করে নি। কলেজেরই দায়িত্ব গরু ও রাখাল দুইই খুঁজে আনা। তো, গরু তো পালেপালে যোগাড় হয়ে আছে, রাখাল নাই। এই সংস্থাটিতে রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের কম্প সায়েন্সের ছেলেরা খেপ খাটতে আসত। কলেজের প্রিন্সি তাদেরই বললেন তোমারা ঐরকম চাট্টি খেপ খাটিয়ে জুটিয়ে দাও। প্রথমে বললেন ঐ সংস্থাটিকেই নাকি সেই সব পার্টটাইম লেকচারারদের পয়সাকড়ি দিতে হবে, নাহলে উনি ওদের চত্বরে ব্যবসা করতে দেবেন না। তো সংস্থাটা কিসব করেটরে যেন রাজি করাল যে লেকচারারদের পয়সাকড়ি কলেজই দেবে তবে ওরা রাঃ সাঃ কঃ থেকে খেপ খাটিয়ে ধরে এনে দেবে। এইসব "নেগোশিয়েসান' চলতে চলতে পার হয়ে গেছে ৭-৮ মাস। ফার্স্ট ইয়ার প্রায় শেষের মুখে। একদিন কলেজে কম্প সায়েন্সের ছেলেরা আন্দোলন শুরু করল। ১ দিনের স্ট্রাইক কল করল। ছাত্রস্বার্থে নিবেদিতপ্রাণ SFI এর বিরোধিতা করল, কারণ "এভাবে অন্য ছাত্রদের অসুবিধা করা ঠিক নয়'। CP দেখল এই সুযোগ, তারা মহোৎসাহে কম্প সায়েন্সের ছেলেদের পরামর্শদাতা বনে গেল। তালেগোলে হরিবোলে আরো মাস দেড় দুই কাবার। ফার্স্ট ইয়ারের পরীক্ষায় কম্প সায়ে্‌ন্‌সর ছেলেরা কেউ পরীক্ষার হলেই ঢুকল না। তাদের সেকেন্ড ইয়ারে তুলতেই হল, নাহলে ছেলেরা Statesman এর রিপোর্টার ডেকে আনবে বলে হুমকী দিল। ইতিমধ্যে ছেলেমেয়েগুলো বুঝে গেছে CP ও তাদের স্বার্থে কিছুই করবে না, তারা বরং যেন উৎসাহী যাতে এরা আদৌ বি এসসি পরীক্ষাই না দিতে পারে, তাহলে রাজ্যজুড়ে ব্যপক পাবলিসিটি পাওয়া যাবে। তারা এরপরে একদিন প্রিন্সিকে ঘেরাও করে ঐ রিপোর্টারের হুমকী আবার দিল। এবারে ২ জন পার্টটাইম যোগাড় হল। কিছুদিন বাদে তাদের একজন খসে গেল। অতদূর মফস্বলে সপ্তাহে ২-৩ দিন করে আসা সম্ভব নয় বলে।

    তা, এই পুরো কাহানী চলবার সময় প্রিন্সি ভদ্রলোক বহুবার আমাকে বলেছেন ক্লাস নিতে। প্রথমে তো প্রায় হুমকী দিয়ে, পয়সাকড়ি কিছু দেবেন টেবেন না বলে ---- পরে কিছু টাকা দেবেন বলেছিলেন। উনি খুব ভাল করে জানতেন আমার কম্প সায়ে্‌ন্‌স কোন প্রথাগত পড়াশুনো নেই। DOEACC র পরীক্ষা দিতাম বলে নিজের উদ্যোগে বেশ কিছু জিনিষ পড়তে হত। তার কিছুকিছু কখনও সখনও ঐ নিরুপায় ছাত্রগুলোকে বলতাম। প্রধানতঃ বইয়ের নাম বলে দিতাম। যাতে অন্তত নিজেরা কিনেটিনে পড়া শুরু করতে পারে। যাই হোক আমি ক্লাস নিতে কিছুতেই রাজী না হওয়ায় প্রিন্সি আমাদের সংস্থায় আমার নামে কমপ্লেইন করলেন। আমি ওঁদের জানালাম কোন ছাত্র বা তার অভিভাবক যদি আদলাতে গিয়ে "অযোগ্য অশিক্ষিত শিক্ষক' দিয়ে পড়ানোর অভিযোগে মামলা করে, কলেজ কিন্তু ওঁদের সংস্থার দিকে দেখিয়ে হাত ধুয়ে ফেলবে। আর আমি বলব, আমাকে ওঁরা বাধ্য করেছেন। আরও বললাম আমি ভাবছি আদালতে গিয়ে নিজে থেকেই এই মর্মে একটা হলফনামা দাখিল করে আসব। (যদিও জানি না আদৌ এরকম করা যায় কিনা ) তো ওঁরা এইবারে একটু ভয় পেয়ে বললেন যে থাক আমাকে ক্লাস নিতে হবে না। তবে আমি যেন ওদের ল্যাবগুলো একটু করিয়ে দেই। সাতপাঁচ ভেবে সেটায় রাজী হলাম। একে তো তখন মাস গেলে ১৫০০ টাকার ওপর আমার ও আমার পরিবারের নির্ভরশীলতা, চট করে ছেড়ে দেওয়া সম্ভবই না তখন। আর তাছাড়া অনার্স ও পাসের ল্যাবে টার্বো সি'তে প্রোগ্র্যাম থাকত। নতুন কিছু প্রোগ্র্যাম সলভ করতে পারব, অন্তত সুযোগ পাব, তাতে DOEACCর পরীক্ষায় একটু সুবিধে হবে, এইজন্যও বটে।

    এইবারে ইন্টারেস্টিং হল, কলেজের ফিজিক্সের দুজন প্রফ সেই ল্যাবগুলোতে দেখতে আসতেন সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা। আর সাথে সাথে নিজেরাও কিছু প্র্যাকটিস করবেন। তা, এঁরা প্রতি মুহূর্তে হাবেভাবে বুঝিয়ে দিতেন যে আমি খুবই নিকৃষ্ট একটি প্রাণী। আমাকে কিছু জিগ্যেস করা ওঁদের পক্ষে খুবই লজ্জার কথা। অথচ বয়সের কারণেই নাকি জানি না, এঁরা ২-৩ মাসেও সাধারণ ডস কমান্ডগুলো আয়ত্ত করতে পেরে ওঠেন নি। কাজেই এঁরা সর্বদাই বলতেন "আমরা মুখস্ত করতে চাই না, তাই হচ্ছে না।' তখন Windows 3.1 চলত, Win 95 বাজারে আসবো আসবো করছে। এই অ্যাত্ত বড় ফ্লপি ডিস্কে সব ডেটাপত্তর রাখতে হত, ছোট্ট ছোট্ট সাড়ে তিন ইঞ্চির ডিস্কগুলো সবে মার্কেটে এসেছে।

    এই হল গিয়ে ধেড়েশিক্ষা'র একটা খন্ডচিত্র।
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১২:১১ | 61.95.144.123
  • আমাদের ৮০৮৫-এ লোডার বানাতে হয়েছিলো, এবং সেই লোডার লোড করে তারপর তাই দিয়ে বাকি প্রোগ্রাম লোড করতে হয়েছিলো।

    আর ইলেক্ট্রনিক্স না বোঝার দুঃখ তো আগেই বলেছিলুম - প্রথম বেসিক ইলেক্ট্রনিক্স ক্লাস, ফার্স্ট ইয়ারে। এইচ এসে পড়েছি ডায়োড আর ট্রায়োড। তো প্রথম ক্লাসে জাঁদরেল টিচার পিকে সিনহারয় ঢুকলেন - ইটিসির হেডডিপ - এসেই বোর্ডে একটা শোয়ানো ট্রায়াঙ্গল আঁকলেন, তার দুটো ঠ্যাং - অপ-অ্যাম্প। বাস্‌ - সেই থেকে ইলেক্ট্রনিক্স গুবলেট হয়ে গেলোঃ-(
  • Arpan | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:৪৯ | 208.57.131.4
  • তখন বেশির ভাল লোকে হার্ডওয়্যার মানে বুঝত লোহা, চুন, সুরকি ইত্যাদি। ঃ)
  • Arpan | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:৪৮ | 208.57.131.4
  • হে হে, আমরা আইসি বলতে বুঝতাম ইন্টার্নাল কম্বাশ্চন ইঞ্জিন। ;)
  • Blank | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:২৮ | 203.99.212.224
  • অজ্জিত দার কথায় মনে পরলো, আমি ফোর্থ ইয়ারে উঠে জেনেছিলাম যে সব আই সি গুলোতে আলাদা করে পাওয়ার দিতে হয়। সেটা দিতাম না বলে কোনোদিন কোনো সার্কিট কাজ করতো না ল্যাবে। তবে তার জন্য গ্রাফ আঁকতে বা নাম্বার পেতে অসুবিধে হয় নি।
  • Tim | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:২০ | 71.62.2.93
  • ঃ)
  • aja | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:১৪ | 71.106.244.161
  • তবে এক এক জন প্রফেসরের মাথায় মাঝে মাঝে ছিট হত আর অ্যাসইনমেন্টে মাথা খারাপ করে দিতেন।

    দুটো অ্যাসাইনমেন্ট জীবনে ভুলবো না।

    ১। আইএসআই-তে। ৮০৮৬ অ্যাসেম্বলিতে এভিএল ট্রি ইমপ্লিমেন্ট কর।

    ২। আম্রিকাতে। একটি ৪-বিট সিপিইউ চিপের লেআউট তৈরী কর (মানে অ্যাকচুয়াল সিলিকনে মেটাল এবং ডোপিং কেমন হবে ছবি আঁক)। কোন টুল নেই, পুরো ম্যানুয়ালি। তারপর ঐ বস্তুটি একটি অ্যানালগ সিমুলেটরে ঢুকিয়ে দেখাও কাজ করছে।
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০৭ | 61.95.144.123
  • ব্যাচেলরসে অনেক ভালো টিচার পড়ান। মোহিত রায় শুনেছি ভালো পড়ান (রিটায়ার করেছেন কিনা জানি না)। সুরঞ্জন ঘোষ অসাধারণ পড়ান - লাকিলি এঁকে আমরা মাস্টার্সে পেয়েছি - আর্কিটেকচার সম্পর্কে তাই ধারণাটা মোটামুটি পোক্ত। শিবাজিদা ডেটাবেজটা খুব খারাপ পড়াতেন না, তবে একটু বেশি ওপর ওপর। বেস্ট লাগতো পিকেডি। অপারেটিং সিস্টেমস যে বুঝি তার জন্যে দুজনকে ক্রেডিট দেবো - বিইকলেজে সোমনাথ পাল, আর যদুপুরে পিকেডি।

    এম্নিতে মাস্টার্সের ছাত্রগুলো হল যাকে বলে সৎ ছেলে/মেয়ে - মানে সেরকম ভাবে দেখতো তখন। ওই একজন দুজন ভালো পেয়ে গেসলুম। বাকি সব তো হয় নোট নয় বই মুখস্থ। ইমেজ প্রসেসিং নিয়ে ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেল্লুম অভিজিত করের ক্লাস করে - মানে গোটা সেমিস্টারে আড়াইখানা ক্লাস (চব্বিশের মধ্যে)। শালা।
  • Tim | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০৬ | 71.62.2.93
  • আরো বড়ো প্রহসন হলো, তিন বছর ধরে মাথায় ঝামা ঘষে অপারেটিং সিস্টেম, গ্রাফ থিওরি, ডেটা স্ট্রাকচার, কম্পাইলার ডিজাইন শেখার পরে, পাশ করে দেখা যেত ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি নেই, কারন ""তোমাদের যা শেখানো হয়েছে তা নিতান্তই গবেষণাধর্মী কাজের জন্য""।
    আর রিসার্চের দিকে যেতে গেলে দেখা হতো ডিগ্রিটা কি, ""সত্যিকারের বি-ই, না ইকুইভ্যালেন্ট?""। ঃ)
  • Blank | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০২ | 203.99.212.224
  • বিশেষ করে চাকরির বাজার ভাল থাকে যে সব বছরে সে সব বছরে গেট ক্লীয়ার খুব ই সহজ
  • Blank | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০০ | 203.99.212.224
  • যদু পুরের ব্যাচেলর ডিগ্রিতে কেমন পড়ায় জানি না। মাস্টারসটা ভয়ানক বিরক্তিকর। যে অল্প কয়েক মাস পড়েছি, তাতে বিরক্তি ছারা কিছু আসে নি। (অবশ্য তখন তো কনসালটেন্সি কি জিনিস জানতুম না, জানলে অত বিরক্তি আসতো না)
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১১:০০ | 61.95.144.123
  • ধুস্‌স গেট ক্লিয়ার কত্তে গেলে অত কিছু না শিখলেও চলে - অ্যাটলিস্ট ভালো করে বুঝে না শিখলেও চলে। কিন্তু ভিতটা তো কাঁচা রয়েই গেলো। আমি আজ পড়াতে গেলে কি ওই সাবজেক্টগুলো পড়াতে পারবো? থিওরেটিক্যাল কম্পিউটিং-এর ছায়া থেকে দূরে থাকতে হবে আমাকে।
  • Tim | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৫৬ | 71.62.2.93
  • এখন তো অবস্থা অনেক আলাদা, এতগুলো কলেজ, অনেক সিট। আগে তো এরকম ছিলোনা। অনেককেই প্রথমে এম এ আই ই বা ডোয়েক থেকে বি ই ইকুইভ্যালেন্ট কিছু একটা করে তারপর গেট দিতে হতো। তাদের এই কঠিন পেপারগুলো শিখতেই হতো, নচেৎ পাশই করবে না! কিন্তু শিখেটিখেও কোনো দাম পেতোনা অনেকেই।
    অথচ এই কোর্সগুলো ডিজাইন করাই হয়েছিলো সম্ভবতঃ ভালো লেকচারার তৈরী করার জন্য। বেশ খাটনির ব্যাপার ছিলো (অনেকটা সিএ'র মত) যার জন্য ৫% পাশ করতো ফি বছর।
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৫১ | 61.95.144.123
  • এবং আমাদের এক এক জন কিভাবে পড়াতেন তার ডেসক্রিপশন যদি দিই, আরো প্রমাণ হবে যে আমরা চার বছরে গণ্ডমুর্খের বেশি কিছু হইনি। মাস্টার্সের সময় যাদবপুরেও প্রায় এক অভিজ্ঞতা - তবে তুলনামূলকভাবে কম।

    আমি আজও বুঝি না ট্রানজিস্টর কি ভাবে কাজ করে। পাওয়ার সিস্টেমের ফীডব্যাক লুপ বুঝি না। সার্কিট বুঝি না। অথচ এগুলো সব সিলেবাসে ছিলো। ডিজিট্যাল লজিক লেভেলের নীচে কিছুই বুঝি না। আর ওদিকে অংকের ব্যথা - অ্যানালিসিসে, গ্রাফ থিওরীতে - সে তো আছেই।
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৪৩ | 61.95.144.123
  • আমাদের তো সরকারি কলেজ, কিন্তু তাও হাতেগোনা কয়েকজন ছিলেন যাঁদের ক্লাসে কিছু শিখেছি - মাইক্রোপ্রসেসর, সিস্টেমস প্রোগ্রামিং, অপারেটিং সিস্টেমস ইত্যাদি। কিন্তু সিলেবাসের দিক দিয়ে দেখলে অনেক গ্যাপ দেখা যায় - যেমন অংক, গ্রাফ থিওরি - এগুলো আমরা সেভাবে পড়িইনি। সিলেবাসে ছিলো না, যেটুকু ছিলো সেটা দায়সারা ভাবে পড়ানো হত। এদিক থেকে আবার যাদবপুর এগিয়ে - তখনই, মানে ১৯৯১-৯৫ সালে ওদের এই অ্যালগরিদম ইত্যাদি অনেক অন্যভাবে পড়ানো হত। এখন তো আরো অনেক নতুন জিনিস পড়ায় ওখানে। আমাদের জরুরী ছিলো অংকটা, কিন্তু সেটা কখনো শিখলাম না। জোর করে গেলানো হল ইলেকট্রিক্যাল মেশিন, বা ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং - জীবনে কাজে আসবে না সেসব।
  • Tim | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৩৩ | 71.62.2.93
  • অজ্জিতদা,
    প্রায় সব বেসরকারী ইঞ্জিঃ কলেজেই ( ২০০৩-০৪ অবধি) কম্পিউটার সায়েন্সের বাঁশ পেপার গুলো পড়ানোর ঠিকঠাক লোক পাওয়া যেত না। ছেলেমেয়েরা প্রচুর কাঠখড় পুড়িয়ে নিজে নিজে শিখতো, বা কাটিয়ে দিতো। সেই সময় অনেকেকি চেয়েছিলো পাশ করে ডেটা স্ট্রাকচার/ডিস্ক্রিট ম্যাথ/আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পড়াবে। পরে চাকরি করার সময় দেখা গেল, কে কত জানে , বা কেমন পড়ায় সেটা বিবেচ্য নয়; কে কোথা থেকে পাশ করেছে সেটাই আসল। আমি অন্তত তিনজনকে জানি, যারা তথাকথিত ""ভালো"" জায়গা থেকে পাশ করেনি বলে কম মাইনে এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর ট্রিটমেন্ট পেতো।
    বলা বাহুল্য, এরা সবাই অ্যাকাডেমিয়া ছেড়ে নিজের নিজের মত কাজ করছে, অথবা প্রাইভেটে পড়াচ্ছে আজ। আমাদের সিস্টেম ভালো শিক্ষক ডিজার্ভ করে না, এটাই বাস্তব। উপায় না থাকলে কেউ অপমান সহ্য করে পড়াবে না, সুতরাং আমরা পিছিয়েই থাকবো। সরকারী কলেজের কথা জানিনা ভালো, তবে খুব একটা আলাদা ছিলো বলে মনে হয় না।
  • Tim | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১০:১৫ | 71.62.2.93
  • দমদিকে জানিয়ে গেলুম যে বেঁচে আছি। ঃ)
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:৪০ | 61.95.144.123
  • কেউ স্কোলারি আর জিন হ্যাকম্যানের ফটো পাশাপাশি দেখেছ? http://www.nufc.com-এ দিয়েছে - মানে খোরাক করে, এবং মাইরি - দুজনের মধ্যে প্রচুর মিলঃ-)
  • Arijit | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:৩৯ | 61.95.144.123
  • এবার মাইক্রোসফটের দৌলতে যারা করে খাচ্ছিলো - মানে নর্টন ইত্যাদি - তারা অ্যান্টিট্রাস্ট মামলার শরিক হবে দ্যাখো।
  • Arpan | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৫:৫০ | 65.194.243.232
  • এই পোড়া দেশের ইংরেজি আমি এই জেবনে আর বুঝতে নারলাম।

    একজন লিখে পাঠিয়েছেন - Please replace ?binary? with ?LOCSITE TRAIL? command in your FTP control member

    আমি দিব্যি "LOCSITE TRAIL" ইউজ করলাম। অবধারিত ভাবে জব ফেল করল।

    তিনি ফোং করে বললেন তিনি তো মেল করে জানিয়েছিলেন কী করতে হবে। ইত্যাদি।

    **@[*[%##$%@
  • arjo | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:৩০ | 168.26.215.13
  • http://www.anandabazar.com/20cal2.htm

    মনে পড়ে গেল। একবার দমদম থেকে ঝুলে উঠেছিলাম। ট্রেন যখন দমদম আর বেলঘরিয়ার মাঝে তখন মনে হচ্ছিল পড়ে যাব, তারপর এই খুঁটি, কোনোরকমে প্রাণে বেঁচে বেলঘরিয়ায় ট্রেন ছেড়ে দিয়েছিলাম। তখনো হাত পা কাঁপছিল। খুব সম্ভবত পলতাতেও এমনি একটি বিপজ্জনক খুঁটি আছে।
  • Arpan | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ০৩:২৯ | 216.52.215.232
  • অঃকোঃ দের মজার রাত হল শুক্র আর শনি।
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত