আফগানিস্তান, বেলারুশ, বুরনিকা ফাসো, মিয়ানমার, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, হাইতি, ইরান, ইরাক, লেবানন, লিবিয়া, মালি, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, সিরিয়া, ইউক্রেন, ভেনেজুয়েলা এবং ইয়েমেন। এই দেশের নাম গুলোর সাথে এখন বাংলাদেশ! কিসের তালিকা এইটা? এইটা হচ্ছে আমেরিকা তার নাগরিকদেরকে এই সব দেশে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখানে এতদিন বাংলাদেশ ছিল না। মাশাল্লাহ এক মাসে বর্তমান সরকার কৃতিত্বের সাথে এই তালিকায় নাম লেখিয়ে ফেলতে পারছে। আমি গত এক মাস ধরেই এই প্যাঁচাল লিখে যাচ্ছি যে দেশে আইন শৃঙ্খলা বলতে কিছু নাই। আমেরিকা তাদের সতর্কবার্তায় লেখা হয়েছে, "বেসামরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন না। সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে সতর্ক করে মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশ্যে এতে আরও বলা হয়, এই সময় স্বল্প বা আগাম সতর্কতা ছাড়াই সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে। বিশেষ করে পর্যটন গন্তব্য, বাস–ট্রেন স্টেশন, বাজার বা শপিংমল, রেস্তোরাঁ, ধর্মীয় স্থান, স্কুল ক্যাম্পাস এবং সরকারি স্থাপনা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।" এমন পরিস্থিতিতে সরকারের জবাব তৈরিই আছে, সব আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র! তারাই দেশেকে অস্থিতিশীল বানাচ্ছে। এদিকে চোখের সামনে বিএনপির নেতাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ। এক মাসের মধ্যে এইটা কী চাইছিলাম আমরা বলা শুরু হয়ে গেছে।
এমন নিষেধাজ্ঞা আমার কাছে একটু বেশি কিছু মনে হচ্ছে না। কারণ এই না যে আসলেই দেশে এখন জা ইচ্ছা তাই হতে পারে, দেখার কেউ নাই। বরং তারচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এইসবের সাথে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসীরা বুক ফুলিয়ে জেল থেকে বের হয়ে আসছে। সুইডেন আসলামের মতো নামকরা সন্ত্রাসী জামিনে বের হয়ে আসল। এই লোক বিএনপি আমলেই জেলে ঢুকছিল। নয়টা সরাসরি খুনের সাজাপ্রাপ্ত! তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে ও হচ্ছে কোন রাজনৈতিক পরিচয়ের লোক না, নিখাদ সন্ত্রাসী। ওর আমলে ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করত ও। রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা পরিবর্তন হত, তারাই বরং ওকে সামলে সুমলে চলত! যখন ধরা পড়ল তখন এইটা বিরাট খবর ছিল। এমন এক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিল!
আইন যে নাই এর একটা বড় প্রমাণ দেখলাম নিজের শহরেই। আমারই পরিচিত একজন। ওর মাথা একটু ক্র্যাক আছে! এমনে ভালোই কিন্তু যারা জানে ওরা জানে যে ওর মাথা ক্র্যাক আছে। ওর বউকে কে কি বলছে, ভরা দুপুর বেলা কোপ মেরে প্রায় মেরেই ফেলছে ওই ছেলে। ময়মনসিংহে পাঠায় দিছে এখান থেকে। আমি শুনে তো ভয়ে শেষ। ভাবছি এই পরিস্থিতিতে ওর অবস্থা তো খারাপ হয়ে যাবে। একদিন পরে দেখি বাজার করে বাড়ি যাচ্ছে! কোন হেলদোল নাই ওর! কী কাহিনী? বেশি বাড়ছিল, দিলাম একটু সাইজ করে! বলে চলে গেল। আমি তখন বুঝলাম যে এতদিন যে বলছি এখন কোন একটা কিছু হয়ে গেলে কেউ দেখার নাই, বলার নাই, তার জ্বলন্ত প্রমাণ সামনে দিয়ে হেঁটে গেল। কোন মামলা নাই, পুলিশ নাই, কিচ্ছু নাই। যে কোপ খাইছে ও এখন বেঁচে থাকলেই হয়। এ ছাড়া আর কিছু করার নাই আর।
চলছে এক অদ্ভুত এক সময়। বিশ্বখ্যাত প্লাস্টিক সার্জন ডাঃ সামন্ত লাল সেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিয়েছে কে বা কারা! এই লোকটা একজন অসাধারণ লোক। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কেউ আর আসে নাই। একক প্রচেষ্টায় তিনি আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীদের জন্য তৈরি করেছেন বিশ্ব সেরা এক প্রতিষ্ঠান। শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটকে বলা হয় পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। এই লোক কাজ পাগল একজন লোক। এবার তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছিল আওয়ামীলীগ সরকার। এখন দেওয়া হল হত্যা মামলা! দারুণ না?
আর কী লিখব? দেশের একটা অংশও যদি কাজ করত ঠিকঠাক! গোলাম আজমের পুত্র কই থেকে বের হয়ে আসছে। এসে দাবি করছে তাকে আয়নাঘরে বন্দি করে রাখছিল। আট বছর কাওকে দিনের আলো দেখতে না দিলে, সর্বক্ষণ এক জায়গায় বন্দি করে রাখলে একজন মানুষের শরীরের যে ধরনের পরিবর্তন হওয়ার কথা গোলামের পুত্রের তেমন কিছুই দেখা যায়নি। তিনি একটা গামছা দেখিয়ে বলেছেন এই একটা গামছা দিয়ে চোখের পানি মুছতেন, অজু করে হাত মুখ মুছতেন, এইটা বিছিয়েই নামাজ পড়তেন! যে কেউ এক নজর তাকালেই বুঝতে পারবে এই গামছা মোটেও আট বছর পুরাতন কোন গামছা না! এখন দাবি করলে কী করা যাবে? আয়নাঘরের গল্প সবাই খেয়ে বসে আছে। এখন পর্যন্ত তিন জন দাবি করেছে যে তাদেরকে আয়নাঘরে রাখা হয়েছে। একজনের বর্ণনার সাথে আরেকজনের কথা মিলে না। এবং কাওকেই মনে হয় না যে তারা আট বছর আলো দেখা ছাড়া, অন্ধকার কোন ঘরে দিনের পর দিন কাটিয়েছেন।
গোলামের পুত কেন আল্লাই জানে নিজের দুঃখের কথা বলেই বলা শুরু করে দিল সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা ত্রিশ লক্ষ না, এই বিকৃত ইতিহাস ঠিক করতে হবে এবং জাতীয় সংগীত পরিবর্তন করতে হবে! আশ্চর্য! এতক্ষণের আলাপে যদি কারও মনে সমবেদনা জেগেও থাকে তার মনে হবে না কিসের মধ্যে কী? ত্রিশ লক্ষ শহীদের ইতিহাস ভুল, কেন? বঙ্গবন্ধু ছাত্র খারাপ ছিলেন, তিনি তিন লক্ষ বলতে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ মানে থ্রি মিলিয়ন বলে ফেলছেন! এই হচ্ছে যুক্তি উনার। আমাদের জাতীয় সংগীত বঙ্গভঙ্গের সময়ে লেখা, এইটা আমাদের দেশের কথা বলে না, তাই এইটাকে বদলাতে হবে। এইটা হচ্ছে আসল কথা, জাতীয় সংগীত বদল করতে হবে!
ফেসবুক যোদ্ধারা যথারীতি ভাগ হয়ে গেছে। অনেকেই চায় বদল করা হোক। অনেকেই বলছে সুর পছন্দ না, সুর চুরি করা, বঙ্গভঙ্গ রধ আমাদের জন্য ক্ষতিকর ছিল, সেই সময় নিয়ে লেখা কোন সংগীত আমাদের জাতীয় সংগীত হতে পারে না। ঠিক কী সমস্যা আমাদের জাতীয় সঙ্গীতে? বা আমাদেরটা পছন্দ না তাহলে কোন দেশের জাতীয় সংগীত পছন্দ আমাদের? মানে কয়টা দেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে আমরা দেখছি যে অমুক দেশের জাতীয় সংগীত কত দারুণ! দেখছি আমরা? জানি কয়টা? আমিও জানি না। আকবর আলি খান জানেন। লম্বা একটা উদ্ধৃতি দিচ্ছি দুর্ভাবনা ও ভাবনা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বই থেকে। তিনি দশটা মুসলিম দেশের জাতীয় সঙ্গীতের ইংরেজি অনুবাদ দিয়ে পরে লিখেছেন -
"মুসলিম দেশসমূহের যেসব জাতীয় সংগীত উদ্ধৃত করা হয়েছে, এদের প্রতিটিতেই স্বদেশ (Homeland), মাতৃভূমি (Motherland) অথবা দেশের (Country) বন্দনা করা হয়েছে। এ ধরনের বন্দনাকে পৌত্তলিকতা মনে করা হয় না। অধিকাংশ জাতীয় সংগীতে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা করা হয়েছে। মিসরের জাতীয় সংগীতে নীল নদের সৌন্দর্যের বর্ণনা করা হয়েছে এবং প্রাচীন সভ্যতার পীঠস্থান হিসেবে মিসরকে সব দেশের মা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সৌদি জাতীয় সংগীতে রাজা, পতাকা ও স্বদেশের দীর্ঘ জীবন কামনা করা হয়েছে। সিরিয়ার জাতীয় সংগীতে মুসলিম খলিফা ওয়ালিদ ও হারুন অর রশিদের স্বর্ণযুগকে স্মরণ করা হয়েছে। ইরাক ও ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় সংগীতে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের উল্লেখ রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় সংগীতে মাতৃভূমিকে মা হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার জাতীয় সংগীতে দেশ ও রাজার বন্দনা করা হয়েছে। ইরানের জাতীয় সংগীতে ইমামের বন্দনা করা হয়েছে। তুরস্কের জাতীয় সংগীতে তাদের পূর্বপুরুষদের শৌর্য-বীর্যের কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতে পাকিস্তানকে একটি পবিত্র ভূমি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ভাবের দিক থেকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের বক্তব্য অন্যান্য মুসলমান দেশের জাতীয় সংগীতের সঙ্গে তুলনীয়। তবে দুটি বিষয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত অন্যান্য মুসলমান দেশের জাতীয় সংগীতের চেয়ে শ্রেয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত একজন বিখ্যাত কবির লেখা। এ গানে বাংলাদেশের প্রকৃতির যে ধরনের কাব্যিক বর্ণনা করা হয়েছে, সে ধরনের বর্ণনা অন্য মুসলিম দেশের জাতীয় সংগীতে দেখা যায় না। দ্বিতীয়ত বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য মুসলিম দেশে জাতীয় সংগীতের কথা ও সুর দুই ব্যক্তি লিখেছেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের কথা ও সুর দুটিই রবীন্দ্রনাথের। ভাব ও সুরের যে অসামান্য মিলন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে হয়েছে, এ ধরনের সমাহার পৃথিবীর খুব কম দেশেই দেখা যায়।" এই প্রসঙ্গে মনে হয় আমার আর বলার কিছু নাই।
সুরের ব্যাপারে বলা হচ্ছে এইটা চুরি করা। আমাদের দেশে তো রবীন্দ্রনাথ তার সমস্ত মান সম্মান খুঁয়ে বসেছেন বহু আগেই। এখন চুরির অপবাদও দেওয়া হচ্ছে বেচারাকে। আচ্ছা রবীন্দ্রনাথ কোথাও কখনও বলেছেন গগন হরকরাকে চিনেন না, তার কথা কোথাও অস্বীকার করেছেন? বরং আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি যারা গগন হরকরা বলে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন, আপনি কীভাবে চিনেন গগন হরকরাকে? জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে রবীন্দ্রনাথ। তিনি গল্প লিখেছেন, প্রবন্ধ লিখেছেন, অকুণ্ঠ চিত্তে প্রশংসা করেছেন গগনের। শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে গগনের গানের আসর বসিয়েছেন। আজকে যারা গগন হরকরার নাম জানেন তা রবীন্দ্রনাথের জন্যই।
এগুলা বলে অবশ্য লাভ নাই। কারণ যারা এর বিপক্ষে তারা আমার এই সব কথায় মতামত পরিবর্তন করে ফেলবে এমন আমি আর আশা করি না। আশা করা বাদ দিয়েছি। এখন আর আশা দেখি না আমি। যার পিতা স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী, যিনি মুক্তিযুদ্ধের পরেও চেষ্টা করে গেছেন স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে, যিনি বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে দেশে ফিরতে পারেন নাই, তার সন্তান আজকে বলছে ত্রিশ লক্ষ শহীদ হয়নি তিন লক্ষ হতে পারে! আর এই কথা শুনে যারা হ হ, হতেই পারে! শর্মিলা বসুও তো লিখছিল বলে ঢলে পরেন আবেগে তাদেরকে আমার মতো কেউ লিখে বুঝায় ফেলবে এইটা আমি আর আশা করি না। চিকিৎসার ঊর্ধ্বে এখন আমাদের জনগণ। সামনে নিকষ কালো অন্ধকার শুধু।
জামাত বিএনপি একে অপরকে গালি দিচ্ছে, এ ওর দোষ ধরছে, কথার জবাব দিচ্ছে, ও একই কাজ করছে। হুট করেই একই বৃন্তে দুই ফুল আলাদা হয়ে যাচ্ছে কেন? আমার কাছে মনে হচ্ছে এইটা ইচ্ছা করেই করছে। সামনে যেদিনই নির্বাচন দেওয়া হোক, চেষ্টা থাকবে আওয়ামীলীগকে নির্বাচনের বাহিরে রাখা। এখন আওয়ামীলীগ যদি নির্বাচনের বাহিরে থাকে তাহলে সেই নির্বাচনের চেহারা কেমন হবে? এবার বিএনপি ছাড়া আওয়ামীলীগ যেমন নির্বাচন করেছে তেমনই হবে! এইটা আবার দেখতে খুব খারাপ দেখা যাবে। তাই আমার ধারণা একই বৃন্তে দুই ফুল এবার আলাদা হয়ে নির্বাচন করবে। ইতোমধ্যে চরমনাইয়ের পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম জামাতের সাথে জোটের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইসলামি দল গুলো মিলে জোট করে যদি নির্বাচনে যায় আর এদিক থেকে বিএনপি যদি আসে তাহলে নির্বাচন জমে ক্ষীর হয়ে যাবে। আর চিন্তা কী! তারেক রহমান সুন্দর সুন্দর তত্ত্ব দিচ্ছে দেশ চালনার। আর তো কোন চিন্তা থাকলই না।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, স্বাধীনতা নিয়ে, জাতীয় সংগীত নিয়ে, জাতীয় পতাকা নিয়ে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত মিথ্যাচার করবে, যত এগুলাকে অস্বীকার করার চেষ্টা করবে কেউ তত আওয়ামীলীগের জন্য ভালো হবে। এখন আজকে আপনে খুব শক্তিশালী, আপনি যা ইচ্ছা তাই করলেন। কিন্তু এই ভূখণ্ড যদি বানের জলে ভেসে না যায়, যদি বিস্ফোরণ হয়ে ধ্বংস না হয়ে যায়, যদি এই ভূমি টিকে থাকে তাহলে মুক্তিযুদ্ধ টিকে থাকবে, স্বাধীনতা টিকে থাকবে, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবে। আর তাই যদি হয় তাহলে আজকে আপনে যা করবেন তা একদিন ক্যাশ করবে আওয়ামীলীগ। এবার সুযোগ ছিল মুক্তিযুদ্ধকে, বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামীলীগের ভিতর থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার। তোমরা নেতৃত্ব দিয়েছ, খুব ভালো কিন্তু তোমরা বড় অন্যায় করছ, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান আমরা দিব এখন থেকে। কিন্তু তা হল না। পুরনো ফাঁদেই পড়ল সবাই। আওয়ামীলীগকে অস্বীকার করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে বসে রইল! আর ঘুরেফিরে লাভ হল আওয়ামীলীগেরই। আওয়ামীলীগ এখন আরও জোর গলায় বলবে তোমাদের হাতে গেলে দেখ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কী হাল হয়! যে চেতনার ব্যবসা আওয়ামীলীগ এতদিন করে আসল তাতে আরও পুঁজি জমা করে দিল বর্তমান সময়ের মহান নেতারা। সামনে যদি সেই চেতনার ব্যবসা আবার শুরু করে আওয়ামীলীগ কেউ দোষ দিতে পারবে কি?
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।