এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  অর্থনীতি

  • সাম্রাজ্যবাদ: যুদ্ধই ইতিহাস, বর্তমান, ভবিষ্যৎ

    Bhattacharjyo Debjit লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | অর্থনীতি | ২৪ মে ২০২৪ | ৪০৩ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে ছিলেন লেনিন ১৯১৫-১৬ সাল নাগাদ। সেসময় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের নেতা কাউটস্কি দেখিয়েছিলেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা 'অতি-সাম্রাজ্যবাদ'-এর দিকে এগিয়ে চলেছে, যে অবস্থায় বিশ্বে একটি স্থায়ীত্ব আসবে এবং যুদ্ধের কোন ঝুঁকি থাকবে না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরিণাম তা বাস্তবে ভুল প্রমাণিত করলো। মার্ক্সবাদী অর্থনীতিবিদ লেনিন কাউটস্কির তত্ত্বকে সমালোচনা করে দেখালেন, সাম্রাজ্যবাদ হল, একচেটিয়া পরজীবী মৃতপ্রায়-পুঁজিবাদ অর্থাৎ পুঁজিবাদ যখন মৃত্যুশয্যায়। সাম্রাজ্যবাদের প্রাথমিক অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য হল, মুক্ত প্রতিযোগিতাকে একচেটিয়া কারবারের সাহায্যে স্থান চ্যুত করা। আর এর স্বার্থেই সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থায় বারেবারে ফিরে আসে যুদ্ধ। 

    পুঁজির উৎস এবং বিকাশ পর্ব-
    কার্ল মার্ক্সের পুঁজির ধারনাটি ছিল ধ্রুপদী অর্থনীতির থেকে সম্পূর্ন আলাদা। তিনি 'পুঁজির আদিম লুণ্ঠন' পর্বে দেখিয়েছিলেন, উৎপাদককে উগ্র বল প্রয়োগের দ্বারা উৎপাদনের উপকরণ থেকে বিযুক্ত করার মধ্য দিয়ে পুঁজির সৃষ্টি হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তৈরি হল নতুন দ্বন্দ্ব; একদিকে পুঁজি অপরদিকে শ্রম; লুণ্ঠিত উৎপাদনের উপকরণ সৃষ্টি করলো পুঁজির যা উৎপাদনের উপকরণ থেকে বিযুক্ত নিঃস্ব মানুষকে শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য করলো। ইউরোপের সমাজ বিকাশের ধারায় যোগ হল নতুন পর্ব, পুঁজিবাদী উৎপাদন সম্পর্ক। এর থেকে এলো পণ্য, দাম, মুনাফা, বাজার, বর্ধিত পুনরুৎপাদন ইত্যাদি। পণ্য উৎপাদনের সার্বিক প্রয়োজনীয়তা এবং শ্রমশক্তির পণ্যে রূপান্তর হল পুঁজিবাদী সম্পর্কের দুটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য। প্রথমে বণিক-পুঁজির পণ্য থেকে শুরু করে হস্তশিল্পের গিল্ড পর্ব তার পর ম্যানুফ্যাকচারিং পার হয়ে পুঁজিবাদ পৌঁছালো কলকারখানা ভিত্তিক বৃহৎ শিল্পে। জন্ম নিল সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের নেতৃত্ব প্রদানকারী সর্বহারাশ্রেনী। এই শ্রেনীকে গোড়া থেকে খতম করতে পুঁজিপতিশ্রেনী দায়িত্ব সহকারে জন্ম দিল সংশোধনবাদের। তখন পুঁজির একাধিপত্যের স্বার্থে পুঁজিবাদ ছুটলো সরল পুনরুৎপাদন থেকে বর্ধিত পুনরুৎপাদনের দিকে। প্রতিষ্ঠিত হল পুঁজিপতিশ্রেনীর অতি-মুনাফার খেলা, বাজার দখলের প্রতিযোগিতা ও পুঁজির উপরে একচেটিয়া কেন্দ্রীভবন। এ ধরনের শিল্পোন্নত, শক্তিশালী পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের ভেতরে ব্যাংক ও শিল্প পুঁজির মেলবন্ধনে তৈরি হয় বিপুল পরিমাণে লগ্নি পুঁজি। যার নিয়ন্ত্রক মূলত শিল্পোন্নত রাষ্ট্রের কিছু মুষ্টিমেয় বৃহৎ পুঁজিপতিশ্রেনী। সূচনা হল সাম্রাজ্যবাদের। তাই লগ্নি পুঁজির গর্ভে বেড়ে ওঠলো ফ্যাসিবাদও। 

    সাম্রাজ্যবাদী লুণ্ঠন-
    অসম বিকাশের সুযোগে সাম্রাজ্যবাদী একচেটিয়া বৃহৎ পুঁজিপতিশ্রেনীর বাজার দখল ও অতি-মুনাফার খেলায় লগ্নি পুঁজির বিপুল রপ্তানির প্রয়োজন হয়ে পড়ে অন্যান্য পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে। ফলে রোধের মুখে পড়ে সেই দেশগুলির দেশীয়-পুঁজির বিকাশ এবং এই সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজির লুণ্ঠনের স্বার্থে লগ্নি পুঁজি এবং সেই দেশগুলির সামন্তশ্রেনীর মিলিত বন্ধনে পিছিয়ে পড়া দেশ তথা উপনিবেশ, আধা উপনিবেশগুলিতে জন্মালো এক নতুন ধরনের দালাল বুর্জোয়া, আমলাতান্ত্রিক মুৎসুদ্দী পুঁজিপতিশ্রেনী(যারা সাম্রাজ্যবাদ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত)। এর পর সাম্রাজ্যবাদী একচেটিয়া বৃহৎ পুঁজিপতিশ্রেনীর অতি-মুনাফা ও বাজার দখলের খেলায় বাঁধলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, বিকশিত হল ফ্যাসিবাদের প্রয়োজনীয়তা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। তার পরেও পুঁজিবাদ ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টায় বর্ধিত পুনরুৎপাদনের মধ্যে দিয়ে আরো এক নতুন অধ্যায় সূচিত হল, বিশ্বায়নের। 

    বিশ্বয়ন-পরবর্তী সাম্রাজ্যবাদ-
    এ পর্বে সারা বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজি বৃহৎ গোষ্ঠীগুলির বিভিন্ন ধরনের একচেটিয়া জোট ও তার দ্বারা নিয়ন্ত্রণের মধ্যমে ফুলে-ফলে বিকশিত হওয়ার ফলে সাম্রাজ্যবাদী লুণ্ঠন চূড়ান্ত পর্যায় ধাবিত হল। এ পর্বের শুরুতেই একচেটিয়া লগ্নি পুঁজির কারবারিরা ঝুঁকে পড়লো কম বিনিয়োগকারী লগ্নির মাধ্যমে স্বল্প মেয়াদী সময়ে অতিরিক্ত মুনাফা লুটের নেশায়। বাজারে এলো 'শেয়ার-হোল্ডার পুঁজিবাদ'। এই সময় থেকে একচেটিয়া পুঁজিপতিশ্রেনীর 'পুঁজির আদিম লুণ্ঠন' প্রক্রিয়ার নয়াপর্ব চালু হল। এবারে কেবল উৎপাদনের উপকরণ বা শ্রম লুট নয়, লুট হতে থাকলো মানুষের সঞ্চিত টাকা, ছোট-মাঝারি ব্যবসাদারদের পুঁজি, শেয়ারে মাধ্যমে। ফলত, বৃহৎ লগ্নি পুঁজি গোষ্ঠীগুলি গ্রাস করতে থাকলো সর্বত্র একচ্ছত্র, একচেটিয়া ভাবে। এর ফলে পুঁজিবাদের বুনিয়াদি সংকট ও দ্বন্দ্বগুলি আরোও প্রকট আকার ধারণ করলো। লগ্নি পুঁজি বৃহৎ গোষ্ঠীগুলি গ্রাস করতে শুরু করলো ছোট, মাঝারি পুঁজিকেও। তাই এখনো লেনিনের সংজ্ঞাই যথার্থ,  “সাম্রাজ্যবাদ হচ্ছে পুঁজিবাদী বিকাশের সেই স্তর, যেখানে একচেটিয়া কারবার ও লগ্নি পুঁজির প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত, যেখানে পুঁজি রপ্তানি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক ট্রাস্টগুলির মধ্যে বিশ্বে ভাগবাটোয়ারা শুরু হয়েছে এবং বৃহত্তম পুঁজিবাদী শক্তিগুলির মধ্যে ভূগোলকের সমস্ত অঞ্চলের বাটোয়ারা সমাপ্ত হয়েছে।” 
    এই পর্বকে পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ রূপ সাম্রাজ্যবাদ তথা সাম্রাজ্যবাদের সব থেকে কুৎসিত, লগ্নি পুঁজির-নয়া উদারবাদী পর্যায় বলা যেতেই পারে। যেখানে লগ্নি পুঁজির প্রসারের স্বার্থে ফাটকা মাধ্যমগুলি সারা বিশ্বে ব্যাপক আকারে খুলে যায়। এই সময় যে কোন সমষ্টি গত মালিকানা, রাষ্ট্রের অধীনে থাকা দেশীয় সম্পদ সব পরিণত হয় সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজির বৃহৎ গোষ্ঠীগুলির কারবারিদের ব্যক্তি মালিকানায়। ফলে রাষ্ট্রের অধিকার ক্রমশই সংকুচিত হয়ে ঠেকে কেবলই, লগ্নি পুঁজির স্বার্থ রক্ষার্থে। তাই উত্তর-আধুনিক তাত্ত্বিকেরা বলেন, লগ্নি পুঁজির এই প্রসারের পথ বিস্তৃত আকারে খুলে যাওয়ার ফলেই সাম্রাজ্যবাদের যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। আগে সাম্রাজ্যবাদ যে কাজটি করতো যুদ্ধের মাধ্যমে এখন সে করে, বহুজাতিক কোম্পানি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও তার নীতিমালা, বিধিবিধান, চুক্তি এবং বিজ্ঞান–প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। অর্থাৎ তারা বোঝাতে চান এই যে, সাম্রাজ্যবাদ আগে যে কাজটি করতে ব্যবহার করতো কামান–বন্দুক, এখন সে কাজটি করে জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, ব্রিকস, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক প্রভৃতির মাধ্যমে। কিন্তু এই কারণে কী সাম্রাজ্যবাদের যুদ্ধে প্রয়োজনীয়তা কখনোই ফুরাতে পারে!

    বর্তমানের যুদ্ধের পরিবেশ-
    বিশ্বায়নের সময় জুড়ে পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে লগ্নি পুঁজির ফাটকা প্রসারের হাত ধরে এবং সামন্তশ্রেনীর অংশের মিলিত বন্ধনে গড়ে উঠেছে নব্য আমলাতান্ত্রিক মুৎসুদ্দী পুঁজিপতিশ্রেনী। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, এদেশের আম্বানি-আদানি গোষ্ঠীদের। যাঁদের দ্বারাই আজ মূলত তৃতীয় বিশ্বে(এ দেশে) সাম্রাজ্যবাদীদের একচেটিয়া লগ্নি পুঁজির লুণ্ঠন অব্যাহত। তবে যেহেতু এই সময় সাম্রাজ্যবাদ স্বল্পমেয়াদি সময়ে একচেটিয়া ফাটকা মুনাফার উপরে বেশি ঝুঁকে পড়ে সেহেতু উৎপাদন - উৎপাদনশীলতা বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে কমতে থাকে যা পুঁজিবাদী উৎপাদন সম্পর্কে মূলে ধাক্কা দেয়(যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বহু পুঁজিবাদী অর্থনীতিবিদেরা)। ফলে অতি-মুনাফার লোভ, বাজার দখলের প্রয়োজনে পুঁজির বর্ধিত পুনরুৎপাদনের স্বার্থে যুদ্ধ প্রায়শই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তবে এ পর্বে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি সবসময়ই তৃতীয় বিশ্বের ঘাড়ের উপরে বন্দুক রেখে যুদ্ধ চালাতে চায় এবং নিজেরা সরাসরি সেই যুদ্ধে যুক্ত না হয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যান্য পিছিয়ে পড়া দেশের 'পুতুল' সরকারের মাধ্যমে যুদ্ধ পরিচালনা করতেই তদপর হয়ে উঠে। তাই আমরা দেখতে পাই, এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকায় প্রায় সময়ই যুদ্ধ চলে। লগ্নি পুঁজি প্রসারে স্বার্থে এ যুদ্ধ কখনো রাষ্ট্র জনগণের উপরে নামিয়ে আনে, আবার কখনো সাম্রাজ্যবাদীদের বাজার দখলের প্রতিযোগিতার খেলায় দুই পড়শী দেশের মধ্যেও চলে। তাই সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থায় ইউরোপে যুদ্ধ বাঁধলে তা বন্ধ করবার যতটা তৎপরতা দেখা যায় তেমনটা দেখা যায় না মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে। 

    প্রধান বিপদ সংশোধনবাদ ও ফ্যাসিবাদ-
    সংশোধনবাদকে পুঁজিবাদ শুরুর সময় থেকেই লালন-পালন করেছিল, সর্বহারাশ্রেণীর বিপ্লবকে গোড়া থেকে ধ্বংস করবার জন্যে। আর লগ্নি পুঁজি গর্ভে বেড়ে উঠেছিল ফ্যাসিবাদ যা লগ্নি পুঁজির পথ প্রসারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিকভাবে প্রধান ভূমিকা পালন করছে, বিশেষত নব্বইয়ের দশক থেকে। এখন আমরা দেখতে পাই যে, নয়া ঔপনিবেশিক বিশ্বব্যবস্থায় পরিচালিত নানান দেশেই ফ্যাসিবাদী ও সংশোধনবাদী শাসকের উদ্ভব হয়েছে। এই দুই শক্তির মধ্যেকার দ্বন্দ্ব ও বোঝাপড়ার ঠেকনার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজির পথ-প্রসার বিস্তৃত আকারে চলছে, কখনো তা চরম ভাবে আবার কখনো তা নরম ভাবে কিছু আর্থিক সংস্কার, সামাজিক প্রকল্পের মাধ্যমে। মূলত এই দুই শক্তি যুগল বন্দী হয়ে সাম্রাজ্যবাদের অস্তিত্বকে আগলে রেখেছে। সংশোধনবাদ যদি হয় পুঁজিবাদের নিকৃষ্টতম-আদি রূপ, তবে ফ্যাসিবাদকে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজির একচেটিয়া গোষ্ঠীগুলির লুণ্ঠনের সব থেকে হিংস্রতম-ভয়ংকর ও চূড়ান্ত পর্যায় বলা যেতে পারে।

    যুদ্ধই ভবিষ্যৎ-
    বিশ্বায়ন পরবর্তী পৃথিবীতে, সাম্রাজ্যবাদের এই কুৎসিত পর্বে যুদ্ধের শেষ নেই। কিন্তু তাতে সাম্রাজ্যবাদী দুই শক্তির সরাসরি যোগাযোগ খুব কম লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু অতি-মুনাফার ঝোঁকে সাম্রাজ্যবাদের মূলগত সমস্যা দেখা দেয়, উৎপাদন-উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার ফলে(নেট ওয়ার্থ অনুযায়ী অ্যাপল, অ্যামাজন, গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, টেনসেন্ট এবং আলিবাবা বর্তমান পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রক, যাঁদের উৎপাদনের সাথে তেমন কোন সংযোগ নেই।)। এর ফলে পুঁজিবাদী উৎপাদন সম্পর্কে মূলগত ভীতে ধাক্কা লাগে, যা বিশ্ব-পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার বুনিয়াদের মূলগত জায়গায় সপাটে আঘাত করে। তাই সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজির একচেটিয়া গোষ্ঠীগুলির নতুন করে বৃহৎ শিল্পকে ক্ষুদ্র আকারে ভেঙে-ভেঙে পুঁজির পুনরুৎপাদনের মধ্যেমে নতুন উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু করবার স্বার্থে শ্রমের বাজার একচেটিয়া দখলের তোড়জোড় পুনরায় জোরকদমে শুরু হয়েছে। যার ফলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির মধ্যেকার বোঝাপড়া ক্ষয়ের দিকে এবং সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বার আশঙ্কা ক্রমাগত বাড়ছে। তাই এখন পিছিয়ে পড়া দেশে আর সস্তার শ্রমিক-বাহিনী মজুত রাখা নয়, নানা সাম্রাজ্যবাদী জোটের মাধ্যমে অস্ত্র-শস্ত্র সহ যুদ্ধের চুক্তিভিত্তিক ভাড়াটে সেনাবাহিনী-ও মজুত রাখা ভালো মাত্রায় শুরু হয়েছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৪ মে ২০২৪ | ৪০৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন