এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • বিপথে ভোট রাজনীতি

    Bhattacharjyo Debjit লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৩ মে ২০২৪ | ৮১৫ বার পঠিত
  • "আমার মরদ বিয়ের সময় নেয় পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ। বিয়ের দুদিন পর থেকে গা'য়ে হাত তোলা শুরু করে। ধীরে ধীরে ওর বাড়ির লোকও আমার গায়ে হাত তোলে। ওরা আমাকে ঠিকভাবে খেতে দিত না। কারোর সাথে কথা বললে সন্দেহ করতো। ঘরে বন্দী করে রাখতো সারাদিন। আর কাজ করাতো। এই অসহ্য নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এখন আমি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি। ওদের নামে আদালতে মামলা করেছি। উকিলের পরামর্শে শ্রীরামপুর ওমেন্স থানাতে গিয়েও এফআইআর(৮.৪.২০২৪) করেছি। 
    পুলিশ জানালো, 'ভোটের আগে কিছু হবে না'। ওদের পরিবার এখন আমাকে শাসকদলের এক আঞ্চলিক নেতার ভয় দেখিয়ে খুন করার হুমকি দিচ্ছে। আমি এখন কোথায় যাই, কী করি?"

    এ বয়ান এক সংখ্যালঘু পরিবারের চটকল শ্রমিকের সদ্য বিবাহিতা উনিশ বছরের মেয়ের। সে আশা করে ছিল, বিচার পাবে খুব শীঘ্রই। পুলিশ গ্রেফতার করবে অপরাধীদের। কিন্তু সে পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো ভোট, শাসকশ্রেনীর ভোট-রাজনীতি। এরপর, সেই মেয়ে পাড়ার শাসক-বিরোধী উভয়দলের সঙ্গে দেখা করে, সেখানেও কোনরকম সু-বিচারের আশা মেলেনি। ভোট রাজনীতির চাপে কেউ নির্যাতিতা মেয়ের পুরো কথা শোনার সময়টুকু পাননি। অবশেষে উকিল জানালেন, ভোটের আগে কিছু হওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ, মেয়েটির শ্বশুরবাড়ির লোকেরা শাসকদলের আঞ্চলিক নেতার ঘনিষ্ট।

    আজ এমন অবস্থা কেবল এই ছোট মেয়েটির তা নয়। রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে নির্যাতন-অত্যাচারের শিকার মেয়েরা, শ্রমজীবী মায়েরা। এর থেকেও ভয়ংকর ফ্যাক্টর, এখনের রাজ্য-রাজনীতির পরিবেশ। এই রোমহর্ষক ঘটনাগুলি ধরে শাসক-বিরোধী প্রতিটি দলের প্রত্যহ নিয়মতান্ত্রিক নোংরা ভোট রাজনৈতিক অনুশীলন। এ রাজ্যে শেষ এবং সব থেকে বড় ঘটনা সন্দেশখালি। সামনে এসেছে শাসকদলের নেতাদের একের পর এক কুকীর্তি। যেখানকার নির্যাতিতা মেয়েদের জমি, শ্রমশক্তি লুঠের সুবিচারের প্রহসনের আদলে শাসকশ্রেনীর অস্ত্র অতীব নিম্নমানের কুৎসিত ভোট রাজনীতি। যার থেকে নিঃসন্দেহে ইঙ্গিত মেলে এ সমাজ বিপথে চালিত হওয়ার।
     
    এই সমাজের নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতির শিকার রাজ্যের সিংহভাগ শ্রমিকেরা। যাঁদের ন্যূনতম রাজনৈতিক-গণতান্ত্রিক অধিকারগুলি হরণ হয় প্রতিদিন। এবারের ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে(৩রা জানুয়ারি ২০২৪) 'কাজের বোঝা' বেড়ে যাওয়া ও মজুরি কমে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ চটকলগুলি শ্রমিক বিক্ষোভের সম্মুখীন। ফলে, মালিকপক্ষ বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের দাওয়াই দিতে 'গেট বাহির' করছেন। বজ্জাত শ্রমিককে ছাঁটাই করতে ঘনঘন 'ডোমেস্টিক এনকোয়ারি' বসিয়েছেন। শ্রমিকেরা কাজের আশায় ছুটছেন, থানা, ডিএলসি, শাসক-বিরোধী দুই পক্ষের দুয়ারে। শ্রমিকের কথা শাসকের শোনবার সময় নেই। আর, বিরোধী রাজনৈতিক দল শ্রমিকের কথা শুনে, এক এক জনের খুলি ধরে ভোটের অঙ্ক কষতে ব্যস্ত। আশ্বাস, তাঁদের দলের এমপি এবারেও মন্ত্রী হয়ে ফিরে এলে শ্রমিকেরা কাজ পাবেন, চটকলের সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে। অথচ, সেই রাজনৈতিক দলের এমপিদের চটকল চত্বরে গত পাঁচ বছরে দেখা মেলেনি। পুলিশ-প্রশাসন ঘুরিয়ে নাক ধরবার নিদানে হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিককে, ভোটের আগে কোনরকম আন্দোলনে না যাওয়ার। 
    একদিন কাজ না পেলে শ্রমিকের ঘরের উনুনে আগুন জ্বলে না, একথা কারোর অজানা নয়। পরিবারের ছয় থেকে আটটা চোখ ড্যাব-ড্যাব করে চেয়ে থাকে একজনের মুখের দিকে, সে-ই হল চটকলের শ্রমিক, সংসারের প্রথম এবং শেষ রোজগারের ব্যক্তি। যাঁদের ভোট শেষ হওয়ার অপেক্ষায় ধৈর্য্য ধরে বসে থাকবার উপায় নেই! এমনই বিপথে ভোট রাজনীতি, সমাজ - যেখানে নির্যাতিতা মেয়ে, শ্রমিকের ন্যূনতম রাজনৈতিক-গণতান্ত্রিক, মৌলিক অধিকারগুলি রক্ষার কোন রক্ষাকর্তা নেই। নেতা, সমাজের রক্ষা-কর্তারা সামগ্রিকভাবে বুঝিয়ে দেন, আগে ভোট পরে অধিকার, আগে ভোটের রাজনীতি পরে সামাজিক সুবিচার। এ বিষয়ে শ্রমিক সংগঠনগুলিও আজ প্রশ্নহীন। এর ফলে ক্ষতি আখেরে কার, কেবলই সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের? রাজনৈতিক দলগুলির কী নয়? 

    এবারের তিন দফা ভোট অতিক্রান্ত। প্রথম দফায় ভোট পড়েছে, ৮১.৯১ শতাংশ যা ২০১৯ সালের লোকসভার থেকে ২.৮৮ শতাংশ কম (জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার)। দ্বিতীয় দফায় ৪.০৪ শতাংশ কম। দুই দফার পরে বিভিন্ন রাজনৈতিকদল, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে অনুমান করা হয়েছিল, গরমের কারণে ভোট দিতে আসছে না বহু সাধারণ মানুষ। তাই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে তৃতীয় দফায় প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে জল, ওআরএস, ভোটারদের মাথার উপরে ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তার পরেও তৃতীয় দফায় গড়ে পাঁচ শতাংশ ভোট কম পড়েছে(মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে), মোট দুই লক্ষ তিরানব্বই হাজার ভোটারের অনুপস্থিতি। অর্থাৎ মূল ক্ষতি রাজনৈতিক দলগুলির, এ সমাজের। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন জানালেন, দুটি কারণ; এক, রাজ্যের অনেক পরিযায়ী শ্রমিকেরা ভোট দিতে আসেননি। দুই, নির্বাচনের প্রতি সাধারণ মানুষের অনীহা ক্রমশ বাড়ছে।

    এত বছর ধরে ভোটের আগে নেতা-মন্ত্রীদের আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি ও ভোটের পরে ন্যূনতম অধিকারগুলি হারানোর গোলক ধাঁধায় চক্কর খেয়ে মানুষ আজ ক্লান্ত। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলির রাজনৈতিক সাংস্কৃতি, রাজনৈতিক প্রচারের হিসেব-নিকেশ দেখে ভোট দিয়ে পরিবর্তনের আশা ক্রমাগত হারিয়ে ফেলছে মানুষ। তবে এই নির্বাচনে কেবল ভোটের হার কমছে যে, এমনটা নয়। 'নতুন ভারত'-এর অষ্টাদশ লোকসভার সময়ে এসেও গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকা, রাস্তা তৈরি না হওয়া, জল না আসায় পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা জেলার কয়েকটি গ্রামের বহু শ্রমজীবী-কৃষিজীবী মানুষেরা একত্রিত হয়ে এবারের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন না করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, 'ভোট বয়কটে'র ডাক দিয়েছেন।

    আজ শাসক-বিরোধী দলগুলির ভোট রাজনীতি সমাজের একটি অংশের মানুষের জন্যে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, যাঁদের আছে ভুরিভুরি সম্পত্তি। তাই শাসকশ্রেণীর রাজনীতিতে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের জীবনমানের ন্যূনতম উন্নতির কথাগুলিও হারিয়ে যেতে বসেছে। শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই এখন 'লাভজনক' রাজনৈতিক এজেন্ডার বাইরে যেতে নারাজ। তাই তাঁদের রাজনৈতিক প্রচারের মুখ্যে স্থায়ী রুজি-রুটির কথা নেই, যা সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের মনে এক প্রকারের রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি করছে। ফলে 'সর্ববৃহৎ গনতান্ত্রিক' এ দেশে বিপথে ভোট রাজনীতি, এ সমাজ। এর শেষ কোথায়? কংগ্রেস নেতা নভোজ্যৎ সিং সিধু গতবছর একটি জনসভা থেকে বিজেপি সরকারের দেওয়া ভুয়ো প্রতিশ্রুতিগুলিকে আক্রমন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি'র উদ্দ্যেশে বলেছিলেন, "আবকি বার! বাস কার ইয়ার!" আগামীতে এ কথা প্রতিটি রাজনৈতিকদলকে শুনতে হবে নাতো? মানুষের মন কিন্তু সমস্ত হিসেব কড়ায়গন্ডায় গুছিয়ে রাখবার আলমারি।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৩ মে ২০২৪ | ৮১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ভূতো | 223.223.***.*** | ১৩ মে ২০২৪ ২৩:৫৮531690
  • ভোট বয়কট করে কী লাভ? বয়কটে তো শাসন বদলায় না।
  • Bhattacharjyo Debjit | ১৪ মে ২০২৪ ০০:৪৬531691
  • কী করে কী লাভ সে কথা পরের বিষয়। প্রাথমিক বিষয় হল, মানুষ অসন্তুষ্ট এবং বিকল্প খুঁজছে, তাই যে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যা সিস্টেমের বিরুদ্ধে। এবার আসি, ভোট বয়কট প্রশ্নে - লাভ কী; ভালো প্রশ্ন। এক্ষেত্রে লাভ তখনি যখন এটা সংগঠিতভাবে হয় এবং যে সংগঠন এই কল দেয়, তখন তাঁর কিংবা তাঁদের আঞ্চলিক ক্ষমতা থাকে বিকল্প রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবার। অথবা করে থাকে।
    মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে এই পন্থায় যায় কেবলই শাসকশ্রেণীকে ধাক্কা দিতে, নজরে আসতে। ভোটের প্রধান দিক যে রকম ভাবে শাসকশ্রেনী আমাদের বোঝাতে চায় যে, কে বদলাবে আর কে থাকবে কে যাবে, এমনটা কী আদেও? আমার তা রাজনৈতিকভাবে মনে হয় না। আমি বুঝেছি, ভোটের প্রধান দিক রাজনৈতিক প্রচার যা সামাজিক চেতনার বৃদ্ধি ঘটায় সাধারণের। অর্থাৎ এই বয়কট আজ না সেভাবে কোন কাজে লাগলেও বড় কাজ দিতে পারে ভবিষ্যতে এবং ওখানকার সমস্যাও এর থেকেই প্রচারে উঠে আসবে, অবশ্যই তা যদি রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ নেয় তাহলে আরো পরিপক্ব হ্য়েই উঠে আসবে।
  • Bhattacharjyo Debjit | ১৪ মে ২০২৪ ০০:৫০531692
  • আর হ্যাঁ, সমস্যা শাসন বদল কিংবা বদলাবার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সমস্যা শাসকশ্রেণীর রাজনৈতিক অর্থনীতির। যেটার বদল ঘটলে সমাধান আসবে যা এই ঘষামাজা এক-গোয়ালির "বদলে" চক্কর কাটাতে নেই। 
  • Ranjan Roy | ১৪ মে ২০২৪ ১০:২৭531717
  • "সমস্যা শাসকশ্রেণীর রাজনৈতিক অর্থনীতির। যেটার বদল ঘটলে সমাধান আসবে"।
     
    - তাই নাকি?
    তাহলে লাইনে আসুন। আপনার কাছে বিকল্প "রাজনৈতিক অর্থনীতি"র কী সর্বরোগহর বটিকা রয়েহে -- সেটা বাতলে দিন।
    কিছু মনে করবেন না। এই "শাসকশ্রেণীর রাজনৈতিক অর্থনীতির বিকল্প"  ডায়লগ সেই ষাট-সত্তরের দশক থেকে শুনে  শুনে ক্লান্ত হয়ে গেছি। এখন কোন ধর-তক্তা-মার-পেরেক গোছের চটজলদি লিনিয়ার সমাধান শুনলে সন্দেহের চোখে দেখি।
    সেটা উনিজীর হোক বা কিষেণজীর।
     
    হয়তো আপনার থেকে নতুন কোন বিকল্প পাব এই আশায় অনুরোধ করলাম।
  • Kishore Ghosal | ১৪ মে ২০২৪ ১৬:১৬531727
  • তার থেকেও বড়ো কথা, এসব আলোচনা করছি - আমরা -  উচ্চবিত্ত এলিট নাগরিক সমাজ - আমাদের ভোট দেওয়া - না দেওয়ায় আহা মরি তেমন ফারাক হয় না বারবার ক্ষমতায় আসতে চাওয়া শাসক গোষ্ঠীর।  তারা নির্ভর করে নিম্নবিত্ত, দরিদ্র, হতদরিদ্র মানুষদের ওপর - যাঁদের সংখ্যা আমাদের তুলনায় অনেক-অনেক বেশি। তাঁরাই শাসক গোষ্ঠীর ভোট ব্যাংক। তাঁদের জন্য ফ্রি রেশন থেকে শুরু করে (কন্যা, লক্ষ্মী, স্বাস্থ্য, সাইকেল, জুতো, মোবাইল ফোন, বিবাহ)শ্রী প্রকল্প সমূহের ব্যবস্থা আছে।  দেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, এবং জাতির মেরুদণ্ড, ন্যায়-নীতি, দুর্নীতি নিয়ে তারা গভীর আলোচনা পড়বে কখন,  আর ভাববেই বা কেন?
    রইল বাকি  বড়ো ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিগণ -   যারা শাসককে স্পনসর করছে...তারা নিজের পায়ে কুড়ুল মারতে যাবে কেন?
     
    অতএব আলোচনা চলুক, বিতর্ক চলুক, ভালোই লাগে এসব পড়তে। 
      
  • Bhattacharjyo Debjit | ১৪ মে ২০২৪ ২৩:১৪531741
  • কিশোরবাবু বিভিন্ন "ফ্রি" দেওয়া পত্রিয়াটা তৈরি সাম্রাজ্যবাদীদের। এগুলি মূলত দেওয়া হয়, পশ্চাদপদ দেশগুলিতে। যার ডাল-পালা অনেক কিছু রয়েছে, তবে মূল কারণ সস্তার মজুর প্রস্তুত রাখাটাই। শাসকশ্রেণীর কাছে তাঁদের ভোট ফ্যাক্টর তাই তাঁরা ফ্রি দেয়, এটিও একটি শাসকশ্রেণীগুলির  তৈরি করা প্রপাগান্ডা। এই ব্যবস্থা কোন রকমভাবে ডুবিয়ে রাখবার জন্য। 
     
    এবার আসি রনজয়বাবুর কথাতে - বিকল্প রাজনৈতিক অর্থনীতি প্রসঙ্গে; এর প্রধান ও প্রাথমিক কাজ হবে সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীগুলির সাথে বিভিন্ন ধরনের লুঠেরা ছুক্তিগুলি ছিন্ন করা। যেগুলি এদেশের পুঁজি বিকাশ রোধ করে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নি পুঁজির প্রসার ঘটিয়ে উন্নয়নের আমাদের দেশকে লুঠছে। এরই সাথে যেহেতু এটা কৃষি ভিত্তি দেশ সেহেতু শ্রম বাজার মূলত ওটার উপরে দাঁড়িয়ে। তাই ওতেই জোর দেওয়া। 
  • রঞ্জন | 171.79.***.*** | ১৫ মে ২০২৪ ২২:৩৬531769
  • একটু কংক্রিট উদাহরণ দিয়ে  বোঝান -- কোন কোন সাম্রাজ্যবাদী দেশ? তাদের সঙ্গে আমাদের কী লুঠেরা চুক্তি হয়েছে?
    অন্ততঃ একটা উদাহরণ দিন।
    যেমন, চীন আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যেসব চুক্তি করেছে, কারিগরি এবং পুঁজি নির্মাণের জন্য আর্থিক সাহায্য দিচ্ছে, সেগুলোকে কী বলবেন?
     
     
    2 ভারতের কৃষিতে প্রতি একর উৎপাদন কমছে, জলের স্তর দ্রুত নীচে নেমে যাচ্ছে। রাসায়নিক সারের ব্যাপক ব্যবহার জমির উর্বরতা কমিয়ে দিচ্ছে।
    তারপর আছে জমিতে অত্যধিক মানুষের চাপ। ফলে ছদ্ম বেকার বেশ বেড়েছে। শ্রমের প্রান্তিক উৎপাদকতা কমেছে।
     
    এসবের সমাধান কোন পথে?
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন