এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  অন্যান্য  মোচ্ছব

  • দেবী পক্ষ 

    Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | মোচ্ছব | ০৩ মার্চ ২০২৩ | ৯৩৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • | | | |
    # দেবীপক্ষ

    শৈব্যাকথন/ জয়া মিত্র।

    কেবল দুঃশাসনকে দুষলে হবে? দুর্যোধনকে পাপিষ্ঠ বললে হবে? যুধিষ্ঠিরের ত্রুটি ধরলে হবে? আর রাজা হরিশ্চন্দ্র? যিনি অন্তঃপুর থেকে শৈব্যাকে টেনে নিয়ে এসেছিলেন অজস্র লোভী পুরুষদের চোখের সামনে? 

    সেই শৈব্যার চোখে সমাজব্যবস্থা। এক অসামান্য নির্মাণ ও বিনির্মাণ। কি বলছেন শৈব্যা?

    " কিন্ত এখন প্রতিদিন ঐ সৈরিন্ধ্রীদের সামনে লজ্জায়, সংকোচ আমি ভিতরে ভিতরে  কুঁকড়ে যাই। যেন প্রতিদিনের ওই ব্যবহৃত দাগযুক্ত উত্তরচ্ছদ সকলকে বলে দেয় আমিও একটি উত্তরচ্ছদ ছাড়া, সুখশয্যার অংশ ছাড়া আর কিছুই নই। না, আমি হয়তো তার চেয়ে একটু বেশি আমি। ব্যবহৃত শয্যা বা উত্তরচ্ছদের কোনো বিক্রয়মূল্য থাকে না, আমার বিক্রয়মূল্য ছিল। এবং কম নয় সে মূল্য- চার সহস্র স্বর্ণমুদ্রা।" 

    বড় মর্মান্তিক, বাস্তব উপলব্ধি। হয়তো গালবের মাধবীও এমনি ভেবেছিলেন। কিংবা দ্রৌপদী। অথচ হরিশ্চন্দ্র পুণ্যবাণ।

    এক আশ্চর্য মরমিয়া কলমে শৈব্যা প্রতিভাত। শাস্ত্রে পন্ডিত স্বামী তাকে শুনিয়েছেন জ্ঞানগর্ভ বাণী। মহারাজ তাকে শুনিয়েছেন, "তোমার ভরণপোষনের দায়িত্ব আমার, তাই তুমি আমার ভার্যা।পত্নীর গর্ভে পুত্ররূপে স্বয়ং পতি জাত হয় বলে পত্নীকে জায়া বলে"। 

    কতটা বদলেছে সমাজ? এখনও কন্যাদান হয়। সুপাত্র সন্ধান করে ফেরেন অভিভাবক। আর কন্যাটি ক্ল্প রাজ্যে বাস করে, কোন নবীন ঘোড়সওয়ার এসে তাকে নিয়ে যাবে স্বপ্নের দেশে। শৈব্যাও কি তেমনি ভেবেছিলেন! 

    অযোধ্যাপতি হরিশ্চন্দ্রের রাণি শৈব্যা।

    হরিশ্চন্দ্র যখন নিশ্চিন্ত শয়নে, তখন শৈব্যার চোখে ঘুম নেই।

    "যে কোনো প্রভুর মতো, সুখী গৃহস্থের মতো, ঘুমোতে যাবার আগে এসেছেন প্রতিশয্যিকা। মনোযোগী সম্ভোগশেষে উঠে নিজের রাজকীয় শয্যায় গিয়ে শুয়েছেন আর তিনটি নিঃশ্বাস টানার আগেই ডুবে গেছেন গভীর ঘুমে। প্রতিশয্যিকা মহারাজের মতো সমৃদ্ধ, সৌভাগ্যশালী পুরুষদের নিদ্রার আসন নয়। সম্ভোগ শয্যা অপবিত্র, শুচি ব্যক্তিরা সেখানে রাত্রি যাপন করেন না। সেই অপবিত্র ক্রিয়ার জন্য যে প্রবল আগ্রহ তা পৌরুষ বলে কথিত হয় এবং সে কারণে অভ্যস্ত কোমল, সুখপ্রদ শরীরটি সেই প্রতিকাশয্যাতেই শয়ান থাকে অবশিষ্ট রাত্রি। দেবপ্রিয় মহারাজের শয্যা সর্বজয়া, সর্বতোভদ্রা কথিত সুলক্ষণযুক্ত, শুভ কাষ্ঠ নির্মিত, সমৃদ্ধিকারী পরিমাপসম্পন্ন। সেখানে তিনি নিদ্রা যান একা।" 

    এই হল রাণি শৈব্যার আত্মকথন। কী গভীর মর্মান্তিক বিশ্লেষণ! প্রতিশয্যিকার ধারণাটি কী জান্তবভাবে নিষ্ঠুর! 

    নগরের রাজমহিষী। রাজপুত্রের জননী। অর্থাত সে যুগে বা এ যুগে নারীকে যে যে কারণে সৌভাগ্যশালিণী বলা হত, তার সব কিছুর অধিকারিণী শৈব্যা। অনায়াসে হরিশ্চন্দ্র তাঁকে এবং তাঁর "নিশ্চিত, সুশৃঙ্খল, তরঙ্গরহিত" জীবনকে ভিড়ের মধ্যে নিয়ে গেলেন।

    "এই শৈব্যাকে আমি বিক্রয় করছি।"

    শৈব্যার মনে হয়েছিল দ্রৌপদীর অপমানের কাহিনী। 

    হরিশ্চন্দ্র শুধু তাঁর রাণিকে বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেননি।নির্ধারণ করে রেখেছিলেন বিক্রয়মূল্য। 

    শৈব্যা বলছেন, নাগরিক গণ দাঁড়িয়ে দেখলেন এক রমণীর ধর্ষণ।

    "যে সমাজপতিগণ রমণীদের এজন্যই অবরোধে, সুশৃঙ্খল শীলতার রক্ষা করে থাকে যাতে তারা সহজেই, যে কোনো পরস্ত্রীকে, যে কোনো কুলনারীকে লঙ্ঘণ করার সুখ লাভ করতে পারে।" 

    একটি অসাধারণ বিশ্লেষণ লিঙ্গ রাজনীতির। নারীকে অবরুদ্ধ করা হয়। বিভাজিত করা হয়। অতঃপর পিতৃতন্ত্র পায় লঙ্ঘনের সুখ! মহাভারতের কথা ভাবি। কোন নারীটি সুখী ছিলেন? সত্যবতী? অম্বা? অম্বালিকা? কে সুখি ছিলেন? নিয়োগপ্রথা কোন নারী খুশি মনে মেনে নিতে পারতেন, কোন নারী স্বেচ্ছায় যেতেন বিবাহ বহির্ভূত ঔরসের সন্ধানে? কেউ ভয়ে চোখ বুঁজে ফেলেছেন। কেউ ভয়ে পান্ডুর হয়ে গেছেন। কেউ সন্তান সন্ধানে গেছেন ধর্ম বা পবন বা ইন্দ্র নামে কোনো পুরুষের কাছে। নারী অর্থাত গর্ভ। গর্ভ অর্থাত নিষিক্ত। পুংসন্তান এবং রাজ্যবিস্তার।
    ফলত সুরক্ষিত ভাবা হত যে নারীকে তাকে লঙ্ঘন করার অধিকারকে পুরুষ মনে করতো পৌরুষ।

    পৌরুষ ও স্বামীত্ত্বের যে অধিকারে যুধিষ্ঠির দ্রৌপদীকে পাশা খেলায় বাজি রাখেন, রাম অগ্নিপরীক্খা দাবি করেন, সেই অধিকারেই হরিশ্চন্দ্র মুদ্রার বিনিময়ে শৈব্যাকে তুলে দেন ধনদাতা ব্যক্তির হাতে। রোহিতাশ্বর কান্নায় শৈব্যা কেঁদে উঠলেন। ধনদাতা ব্যক্তি শৈব্যার দেহের গঠন দেখে তাকে নির্বাচন করেছেন।হায়রে নারীদেহ! বরাঙ্গী ও রাজমহিষী শৈব্যা গৃহীত হয়েছেন। কিন্ত তার পুত্রটি মায়ের সঙ্গেস্থান পাবে কি?সে কোথায় যাবে? তবু সঙ্কুলান হয়।প্রয়োজনের চেয়ে কম চাল। অর্ধভুক্ত থাকে মা ও শিশু। পদ্মমাধবের গৃহে দাসীর জীবন। সব খুলে দিয়েছেন শৈব্যা। ললন্তিকা। ঊরঃসূত্রিকা, কেয়ূর, প্রকোষ্ঠে মঙ্গলমালা। উর্মিকা। তটিঙ্ক। অবশেষে কল্যাণী নারীর হাতের মঙ্গলবলয়দুটি।

    তবে কি পড়ে থাকল শৈব্যার? জাগতিক যা কিছু, তা তো গেছে। মানসিক ভাবে ধর্ষিতা তিনি। সখ্য প্রণয় দাম্পত্য সব কি ভ্রম ছিল! সমৃদ্ধ পুরুষের প্রথাসিদ্ধ সামাজিক অভ্যাস? লেখক শৈব্যাকে একটি সংবেদনশীল মনন দিয়েছেন। তাই শৈব্যা এই গোটা সামাজিক ব্যবস্থাকে নৈর্ব্যক্তিক ভাবে দেখতে চায়। তাঁর মনে পড়ে মহারাজের প্রপিতামহীর কথা। শুক্রাচার্যের কন্যা তিনি। শৈব্যাকে বিস্তারিত বলেছেন। হরিশ্চন্দ্র তাঁর বলাৎকারজনিত সন্তানের পুত্র। রাজকুমার দন্ড দেহপরায়ণ। সে অবিবাহিত নারীকে রমণযোগ্য মনে করে।দন্ডের অপরাধে অব্জার জীবন অন্ধকার। তার গর্ভে ধর্ষনের সন্তান।দন্ডকে হত্যা করেছেন শুক্রাচার্য। কিন্ত অব্জার বেদনা নিবৃত্ত হয়নি। তাঁর পুত্র হারীতের পৌত্র হরিশ্চন্দ্র। শৈব্যা তাঁর একাকিনী সময়ে সেই বৃদ্ধার কথা ভাবেন। 

    পদ্মমাধবের গৃহে পরিচারিকার কাজ করাকালীন রাজমহিষী শৈব্যার জীবনে আসছে কঠিন থেকে কঠিনতর অভিজ্ঞতার ঢেউ। আর আমরা দেখছি এক অদ্ভুত ভগিণীবলয়। এই গৃহে রাজপুত্রের আহার শুধু তন্ডুল ও নূন। একটি ব্যঞ্জন দিয়ে যায় রাঁধুনি। পদ্মমাধবের অসুস্থ পত্নী সেটি পাঠিয়েছেন। রাঁধুনি হরিশ্চন্দ্র সম্পর্কে যে কটুক্তি করে তা শৈব্যার কাছে অসহনীয়। কিন্ত লেখক তাকে একটি নিরপেক্ষ বিচারশক্তি দিয়েছেন। তাই শৈব্যা বোঝে, এ সমস্ত কথা সে সমস্ত বিবাহিত পুরুষদের সম্পর্কেই বলছে। সে সমস্ত মন্তব্য কটু। অশ্রাব্য। কিন্ত পদ্মমাধবের পত্নী কৌশিতকীর প্রতি তার একজাতীয় স্নেহ আছে। একজন নারী বুঝতে পারে নারীর যন্ত্রণা। কৌশিতকী যখন উপলব্ধি করতে পারেন যে শৈব্যার জন্য তাঁর দাম্পত্য জীবনে নতুন কোনো সমস্যা হবে না, তখন থেকে শৈব্যার প্রতি তাঁর ব্যবহারের কাঠিন্য কমে আসে। কী আশ্চর্য মনস্তত্ত্ব। প্রথমে সে শৈব্যাকে তার প্রতিদ্বন্দিনী মনে করতো। কৌশিতকী ও শৈব্যার প্রথম দেখাটি পড়ে রবীন্দ্রনাথের  'দুই বোন' বা ' মালন্চ' মনে পড়ে যায়। যৌবনের প্রতি কী অসহায় ক্রোধ শয্যাশায়ী নারীর! নীরজা যেন কৌশিতকীর উত্তরসূরী। অথবা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসে লম্বোদর পত্নী বান্ধুলি। রোগশয্যায় পতিত স্ত্রী। অশক্ত। অথচ শৈব্যাতে আছে এক ভিন্ন মনন। বোধ।

    "উত্তরকালে আমাদের মধ্যে একপ্রকার দুঃখ-বন্ধনজাত সখ্য গড়ে ওঠে। বয়সে সে আমার জ্যেষ্ঠা হলেও সে এত রুগ্না ও অসুখী যে তার প্রতি স্নেহ না হওয়াই কোনো নারীর ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক"। সিস্টারহুড।

    শৈব্যার প্রবল প্রজ্ঞা। তবু তিনি অসহায়। কৌশিতকী ও রাঁধুনির স্নেহ তাকে কিছুটা আশ্বস্ত করে প্রভুগৃহে।

    পদ্মমাধবের গৃহে সে সদা শঙ্কিত। যদি ধর্ষিত হতে হয়! দাসীধর্ষণের খবর পল্লবিত হলে প্রভুর কিছু নিন্দা হবে মাত্র। কিন্ত প্রকৃত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না। শৈব্যা ভাবেন। একজন অভিজাত পুরুষের ইন্দ্রিয় সংযমের কোনো অনুশাসন নেই। লালসার আত্মসংবরণ করার দায়িত্ব নেই। নিজ দাসীকে ধর্ষণ করলে প্রভু তাকে একটি নতুন পরিচ্ছদ দেবেন। অন্যের দাসীকে ধর্ষণ করলে সেই দাসীর প্রভুকে কিছু অর্থ দেবেন। সমাজের এই ভয়ঙ্কর বৈষম্য এবং নিদানসমূহ উঠে এসেছে শৈব্যার চিন্তনে। নারীকে নিষ্পেষিত করার যে সব হাতিয়ার ব্যবহার করেছে পিতৃতন্ত্র, তার সম্মুখীন হয়ে শৈব্যা বুঝতে পারছেন নারী অস্তিত্বের যন্ত্রণা। যুক্তিনির্ভর নারী তিনি।স্নিগ্ধ অথচ বলিষ্ঠ। তাই একের পর এক বাস্তব সত্য উন্মোচিত হচ্ছে তাঁর সামনে। পাঠক হিসেবে বারবার মুগ্ধ হচ্ছি। মানুষ হিসেবে শিহরিত হচ্ছি বেদনায়। কিন্ত এ বেদনা তো শুধু সেকালের নয়। একালের নারীর অসম্মান, বিক্রয়মূল্যে নির্ধারণ না হলেও পণের মূল্যে নির্ধারণ হওয়ার নিদর্শন তো নেহাত কম নয়!

    শৈব্যা ভাবেন, প্রবলের পালনীয় বিধি কি সহায়হীনাকে সত্যি সুরক্ষা দেয়? গাঢ়যৌবনা, বয়স্কা দাসীরা কোথায় যায়।

    "পত্নী তো সহধর্মিণী। সর্বার্থে রক্ষণীয় ও পালনীয়, তাহলে কেন আমি এই ভোগী, অর্থলোভী ব্রাহ্মণের গৃহসম্মার্জনে রত রয়েছি? "

    মিথের বিনির্মাণ হয়েছে বুদ্ধিদীপ্ত মননের মাধ্যেমে। অতএব শৈব্যার সমস্ত বক্তব্য মর্মে প্রবেশ করে। ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে এসে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ তিনি। আরো বেদনা আরো বেদনা, প্রভু দাও মোরে আরো চেতনা। 

    শৈব্যা দাসীবৃত্তিকালে অনুধাবন করেছেন অনেককিছু। শৈব্যা উপলব্ধি করেন যে দানবীর বলে খ্যাত ব্যক্তিরা নিজেদের ঔদার্যের অহমিকা পূরণের জন্য নির্ভরশীল দুর্বলতর জনকে ঠেলে দেন সীমাহীন দুঃখে। টমাস বেকেটের শেষ প্রলোভন যেন শৈব্যা দেখে ফেলেছেন।

    শৈব্যা লক্ষ্য করেছে যে সকলের দ্বারা সম্মানিত ব্যক্তিটিও নিজগৃহে একটি নারী ও শিশুকে অর্ধভুক্ত রাখে। সেইজন্য কেউ তার নিন্দা করে না। পদ্মমাধব রোহিতাশ্বকে শিশু শ্রমিক বানাতে চেয়েছিলেন। শৈব্যা রাজি হন নি।

    কিন্ত নিম্নবর্ণের মানুষদের প্রকৃতি ভিন্ন। গোপালকটি গোবৈদ্যও বটে। সে না ঘুমিয়ে পশুর চিকিৎসা করে। রাজপুরীতে কর্মচারীরা স্ত্রী পুরুষে প্রণয় করে, 'নারী নরকের দ্বার' এই শাস্ত্রবাক্য তারা মানে না। উভয়ের মিলিত চেষ্টার ফলে তাদের সংসার চলে, তারা কলহ করে আবার বৃদ্ধদের যথাসাধ্য যত্নও করে।

    পদ্মমাধব প্রভৃতি ধনীদের জটিলতাপূর্ণ জীবনকে শৈব্যা বলেছেন কৃত্রিম, অসহজ। তাদের ব্যবহৃত কাপড় পর্যন্ত যজমানদের দেওয়া। সমাজ দর্পণ ও দর্শন যেন ফুটে উঠেছে। শ্রেষ্ঠীরা এত ধন কোথায় পান? প্রয়োজনের অতিরিক্ত সামগ্রী পড়ে থাকে। ব্যবহার হয় না ধনীগৃহে। শৈব্যা যেন প্রকারান্তরে পিতৃতান্ত্রিক পুঁজিবাদের আসল চেহারাটি দেখে ফেলেছেন। এমতাবস্থায় মহারাজের কথা চিন্তা করতেও তার মন চায় নি।

    অতঃপর শৈব্যার একমাত্র চিন্তা, রোহিতাশ্ব কোন পথে যাবে?

    জেন্ডার সেনসেটাইজেশনের সূত্রপাত হল কি?

    জয়াদির লেখা নিয়ে আমার কথা বলা দুঃসাহস। কিন্ত  'শৈব্যা' এমন এক চিরকালীন সমাজদর্পণ ও বিশ্লেষণ হয়ে উঠেছে, যে এই দুঃসাহস করতেই হল। কী প্রাচীন অথচ কী আধুনিক! কী নৈপুণ্যে মেলবন্ধন! 

    ' হন্যমান' পড়ে কাঁদতাম একসময়।

    ' শৈব্যা' ও কাঁদায়। অন্যভাবে। অন্তরে রক্তপাত ঘটায়। অনাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে ভারতের নারী চরিত্রগুলির পদযাত্রা আরো একটি নাম যুক্ত হয়। শৈব্যা। 

    লেখককে প্রণাম। প্রণাম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | |
  • অন্যান্য | ০৩ মার্চ ২০২৩ | ৯৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩৭516948
  • পড়তে পড়তে গা রি রি করছিল। কারা যেন ​​​​​​​বলে ​​​​​​​ভারতে ​​​​​​​মেয়েদের ​​​​​​​ভারী ​​​​​​​সম্মান ​​​​​​​ছিল প্রাচীনকালে! ​​​​​​​
    পড়তে হবে বইটা। 
  • kk | 2601:14a:500:e780:54a8:fea8:7dbc:***:*** | ০৩ মার্চ ২০২৩ ২১:০৬516952
  • মেয়েদের সম্মান কোথাওই ছিলোনা, কোনদিনই না। নিজের ও অন্যের দাসী ধর্ষণের অংশটা পড়তে পড়তে 'গসফোর্ড পার্ক' সিনেমাটার কথা মনে পড়ছিলো। অন্য কালের গল্প, অন্য দেশ, অন্য কালচার। কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন নেই। আর সেটা যেন খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কারুর কিছু যায় আসেনা। সত্যি, গা রি রি ই করে। বই আর পাঠ-প্রতিক্রিয়া দুইয়ের লেখককেই ধন্যবাদ। বইগুলোর কথা সামনে আনার জন্য।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন