এই সাইটটি বার পঠিত
অবশেষে এসে পড়েছে গুরুর নিজস্ব ঠেক ও ঠিকানা - ১৫ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার! ফোন/ হোয়াটসঅ্যাপঃ +৯১৯৩৩০৩০৮০৪৩
- হরিদাস পাল অন্যান্য মোচ্ছব
-
দেবী পক্ষ
Anuradha Kunda লেখকের গ্রাহক হোন
অন্যান্য | মোচ্ছব | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১২৩৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন) - মেয়েদের লেখালেখি
দেবীপক্ষে মেয়েদের বই। মেয়েদের লেখা। একটু ভাগ করে নেওয়ার পালা। উৎসব মানেই তো তাই। আজ প্রথম দিন লীলা মজুমদার। শিশু সাহিত্যিক বলে যাঁকে একটা চিহ্ন দিয়ে রাখা হল সবদিন। অথচ মেয়েদের সমস্যার কথা, যন্ত্রণার কাহিনী তাঁর বইয়ের পাতায় পাতায়। আর প্রতিবাদ। প্রতিরোধ। সোচ্চার।
সেইরকম একটা বই। "আমি নারী"। নামকরণের মধ্যেই স্থিতিশীলতা এবং আত্মবিশ্বাসী। কুন্ঠা, লজ্জা, ভয়ে সিঁটিয়ে থাকা মেয়ে নয়, আত্মপ্রতিষ্ঠায় তৎপর বলিষ্ঠ ঘোষণা। "আমি নারী"। কোনও ক্লিশে "সব পারি" এর পিছনে নেই। সাধারণ মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত জীবনের মেয়েরা। প্রতিকূলতা আর সংঘর্ষের গল্প। লীলা মজুমদারের মিষ্টি মিষ্টি অথচ দিব্যি শক্তপোক্ত ভাষায়।
এ বইয়ের প্রথম গল্প হল "কেষ্টদাসী"। যে কিনা মণিদিদির ঘরদোর আগলায়। একটা নিটোল গল্পের মধ্যে কত যন্ত্রণার কথা। সে কেবল মেয়েরাই জানে। তখন তো "মি টু" আসে নি। তবু কেষ্টদাসীরা তাদের কষ্টের কথা বলেছে। কেমন করে চোদ্দ বছর বয়সে হাড়হাবাতে বুড়োর সাথে তার বিয়ে হল। মার সহ্য হল না যেদিন কেষ্টদাসী কেটে পড়লো। বেশ করলো। তার মনে ছ্যাঁকার দাগ। মনের ছ্যাঁকা কি যে সে কথা? কিন্তু কেষ্টদাসী মুখ বুঁজে পড়ে থাকেনি। সে পালিয়েছে। মোদো মাতাল স্বামীর ঘর করেনি।
আশ্চর্য ভাবে প্রতিটি উপন্যাস মেয়েদের সসম্মানে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। মনিব মণিদিদি কেষ্টদাসীর পা ঝামা দিয়ে ঘষে দিয়ে বললো "তুই আর আমি সমান হয়ে গেলাম।" এই তো সিস্টারহুড। মণিদিদি কেষ্টদাসীকে শিখিয়েছে, পরনিন্দা পরচর্চা করে সময় নষ্ট করতে নেই। সেই সময়টা জ্যাম জেলি বানিয়ে বিক্রি করো। নকশা আঁকো। হাতে দুপয়সা আসবে। মণিদিদি কখনও কেষ্টদাসীর বাবার নাম জানতে চায়নি। বাবা তো কোনওকালে ছিলই না কেষ্টদাসীর। ইস্কুলে দুপুরবেলা ডাল, ভাত আর দুটো করে ইজের দিত বলে ওরা ইস্কুলে যেত। সেই কোন আমলের কথা।
কেষ্টদাসীর কৃষ্ণমণি হয়ে ওঠা একটা জার্ণি। হ্যাঁ, লীলা মজুমদারের নারীরা বেজায় মাল্টিটাস্কার, মাঝেমাঝে একটু বর্ণবাদ আছে বৈকি, বিশেষ করে "কালোকিষ্টি" বিশেষণটি বিশেষ ভালো নয়, কিন্ত সব মিলিয়ে যে মায়া, তা সময়ের নিরিখে ঐসব কিছু ভুলিয়ে দেয়।
এতটাই সৎ। স্বচ্ছ। সাহসী। পায়ের যত্ন যে মেয়ে করে সে নিজের যত্ন করে আর মেয়েরা নিজেরা নিজেদের যত্ন না করলে কেউ উপযাচক হয়ে আদর করবে না। আত্মসম্মানের পাঠ দিয়েছেন তিনি।
লীলা মজুমদার কোনো আমূল বিপ্লব ঘটান নি লেখাতে। কিন্তু ঐ মণিদিদির পাশে কেষ্টদাসীর অবস্থান যে কতবড়ো নিঃশব্দ বিপ্লব তা বলে দিতে হয় না।
ওমনি আরেকটা উপন্যাস হল "পাখি"। একা মেয়ের জীবনের কথা। লড়াই। মিষ্টি কথা সে বেশি শোনেনি জীবনে। তাই সে লড়াকু আর মেয়ে হয়েও বাড়ির একমাত্র পুরুষমানুষ। সে পাখি। যখন যেখানে থাকে সেটাই তার বাড়ি। এ উপন্যাসে মেয়েদের কত যন্ত্রণা হীরে জহরতের মোড়কে গাঁথা। মিনাকারী। জ্বালা যন্ত্রণা অতিক্রম করেও যত্ন করে চুল বাঁধে মেয়েরা। অন্যকেও বেঁধে দেয়।
পরমা সুন্দরী বড়মা। যার স্বামী তাঁর চোখের ওপর দিয়ে আরেকটা সংসার পাতেন। আর বড়মা হয়ে যান মানসিক রোগী। গোটা জীবন ধরে কী যুদ্ধ। জোনাস বলে "বড়মা বড় বেশি আদর্শবাদী ছিলেন। আদর্শবাদীদের নাকি ছেলেপুলেও হয় না, স্বামীরাও বেশিদিন ভালবাসে না।" এতবড় অন্যায় মেয়েরা সহ্য করেছে। কিন্তু স্বামী বা ভাইকে আদর্শচ্যুত হতে দেখে রেগে আগুন হয়ে যেতেন যে বড়মা তাঁকেও এই সমাজচিন্তার বিরুদ্ধে লড়তে হল। বড়মা জানতেন রূপ থাকলে মেয়েদের আর কিছু দরকার হয়না। চুরচুর হয়ে তাঁর সেই ধারণা একদিন ভেঙে গেল। তাঁর স্বামী দুনো বাড়িতে শম্পার সঙ্গে ঘর বাঁধলেন। ছেলে মেয়ে হল দ্বিতীয় পক্ষে। রাগে যন্ত্রণায় বড়মা কী করলেন, সে এই কাহিনীর অন্ধকার রহস্য কিন্ত তাঁর যন্ত্রণাটুকু দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
"অন্তরা"তে সুমতি তাই আগে থেকেই জানে "নিজের যত্ন নিজে না করলে কে করবে?"। হক কথা। প্রত্যেকটি মেয়ে যেন নিজের যত্ন নিজে করে। নারী স্বাধীনতার এটা গোড়ার কথা। নিঃশব্দ বিপ্লব। কালীঘাটের বিয়ে বিয়েই নয়, কাজেই বরের ওপর দাবী নেই কোন। অবনীশ এই বলে বিনিপিসিকে ফেলে চলে গেছিল। কিন্ত সুমতি তো জন্মেছিল। শুধু বিনিপিসিকে "মা" ডাকতে পারেনি। এমন কতো বিনিপিসি আর সুলতার গল্প লীলা মজুমদার এই উপন্যাসে ধরে রেখেছেন!
তাঁর লেখার ধাঁচ মিষ্টি। কলমে মধু। তাই বলে বিষয়ে বিদ্যুতের অভাব নেই! এ বইতে মেয়ে একা। স্বামী পরিত্যক্তা। অনাথ। সম্পত্তি নিয়ে নানাবিধ সমস্যা। সামান্য চাকরি করে তবু তারা স্বয়ম্ভর। দু ঘরের বসতিকে মনের মতো সাজায়। দেওয়ালে ছবি। ঘরে বই। শ্বেতপাথরের জলচৌকিতে কালো ফুলদানিতে রজনীগন্ধার ছড়া।
একা থাকে। তবু সাজে। সাজায়। পাউরুটিতে একটু বেশি করে মাখন মাখায়। চায়ের কাপে একটু বেশি দুধ ঢালে। বেশ করে।
রূপ না থাকলো তো বয়ে গেল!
মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার প্রেরণা। প্রথম পাঠ। আত্মমর্যাদা। আর অনেকটা ভালবাসা। নিজেকে। অপরকে। তবেই তো ভালবাসা ছড়িয়ে পড়ে।
"আমি নারী" এক প্রিয় বই। প্রতিটি উপন্যাসের লড়াই চেনা। হয়তো সব অনুভূতিকে, সবকিছু কে অন্তর্গত করেন নি। কিন্তু বেসিক জায়গাটি ধরা আছে মোক্ষম। "মি টু"র মতোই জোরালো। রুখে দাঁড়ানো আছে। ছিঁড়ে বেরোনো আছে। আবার সংসার বলতে গতানুগতিক যা বোঝায়, তার বাইরেও সেই নিটোল গুছানোপনার সংসার আছে। সময়কেও মাথায় রাখতে হবে এ বই পড়তে হলে। আত্মসম্মানের একটি প্রবল পাঠ। খুব ভালবাসার বই।
(মিত্র ঘোষ)
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত। - আরও পড়ুননেক - মোহাম্মদ কাজী মামুনআরও পড়ুনআমেরিকার নির্বাচন! - কিংবদন্তিআরও পড়ুনঅভিমানীনি - Partha Neogyআরও পড়ুনডিটেক্টিভ বিপ্লবী - Biplabi Rayআরও পড়ুনডাংকি! - কিংবদন্তিআরও পড়ুনকুকুর পাঁচালী - সমরেশ মুখার্জীআরও পড়ুনআমেদাবাদ - পাপাঙ্গুল
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
-
দ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৫৭516866
- আহা লীলা মজুমদার যে কি প্রিয়। মিত্র ও ঘোষের বইটার নাম লিখে দেবে গো।
প্রতিভা | 203.163.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:০৩516868- যোগাড় করতেই হচ্ছে
- kk | 2601:14a:500:e780:59ce:b513:4adf:***:*** | ০১ মার্চ ২০২৩ ০৪:৪৭516872
- 'আমি নারী' বইটা পড়িনি। কিন্তু এই গল্পগুলো আলাদা করে অন্য অন্য জায়গায় পড়েছি। অসম্ভব প্রিয় সব লেখা। 'লীলা অমনিবাস' বইয়ে ঐ পাখী গল্পটাও ছিলো, আর আরো একটা খুব সুন্দর গল্প ছিলো 'ঝাঁপতাল'। সেখানেও কয়েকজন নারীর আলাদা আলাদা অবস্থান থেকে সেই সেই রকম লড়াই আর চাপান-উতোর এর গল্প। এই উপন্যাস আমার পড়া সবচেয়ে ভালো দশের মধ্যে থাকবে।
-
সুদীপ্ত | ০১ মার্চ ২০২৩ ১৭:১২516877
- লীলা মজুমদারের 'আমিও তাই' বলে একটা সংকলন আছে, যেটা আনন্দ-র বই, পঞ্চাশটি লেখার বা নাতিদীর্ঘ গল্পের। তাতেও কেষ্টদাসী রয়েছে, আর কেষ্টদাসী সেখানে রাঙাপিসির ঘরকন্না সামলায়, সেখানে মণিদিদি নেই, কিন্তু মণিরাম আছে। এবং দুই কেষ্টদাসীর গল্পের অদ্ভুত মিল। একইরকম গল্প বা চরিত্র দুটো বইতে, সেটা দেখে অবাক হলাম। আর এটাও নারীমুক্তি সংক্রান্ত গল্পেরই সংকলন। হয়ত একই গল্প দুটো বইতেই রয়েছে। বইটা আবার বের করে দেখে নিলাম। 'আমি নারী' মানে উপরের বইটা যদিও পড়ি নি।
- Swati Ray | 2402:3a80:1cd1:ce9d:18ec:1bda:5c57:***:*** | ০১ মার্চ ২০২৩ ১৮:৪৩516880
- এই লীলা মজুমদারের বড়দের লেখা নামের স্বর্ণ খনির সন্ধান তোমাদের থেকেই পেলাম। অজস্র ধন্যবাদ। সত্যি বলতে এঁর ছোটদের গল্প আমার ছোটবেলায় একেবারেই ভাল লাগত না। এক পদী পিসি ছাড়া। গুপীর গল্প আমার খুব অপছন্দের । কেন যে ভাল লাগে না সেটাই আমার কাছেও রহস্য। কিন্তু তাই বিশেষ কৌতূহল ছিল না। নতুন করে তোমরা চেনালে।
- মতামত দিন
-
বিষয়বস্তু*:
-
গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন
কোনোরকম কর্পোরেট ফান্ডিং ছাড়া সম্পূর্ণরূপে জনতার শ্রম ও অর্থে পরিচালিত এই নন-প্রফিট এবং স্বাধীন উদ্যোগটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গুরুচণ্ডা৯-র গ্রাহক হোন।
- ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
এই সাইটটি
বার পঠিত
- বুলবুলভাজা : সর্বশেষ লেখাগুলি
পরীক্ষার বন্ধু : শুভাশিস পাল(লিখছেন... Madhabi Bijuli, কৌশিক চট্টোপাধ্যায় , guru)
পুজোর ভিড়ে ছনেন্দ্রনাথ : রমিত চট্টোপাধ্যায়(লিখছেন... ., সুবর্ণরেখা, Sukdeb Chatterjee)
হাঙ্গেরি এক : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... মোহাম্মদ কাজী মামুন, হীরেন সিংহরায়, রমিত চট্টোপাধ্যায়)
কাদামাটির হাফলাইফ - ইট পাথরের জীবন : ইমানুল হক(লিখছেন... কৌতুহলী, Eman Bhasha, কৌতূহলী)
বিপ্লবের আগুন - পর্ব ত্রিশ : কিশোর ঘোষাল(লিখছেন... )
- হরিদাস পালেরা : যাঁরা সম্প্রতি লিখেছেন
নেক : মোহাম্মদ কাজী মামুন(লিখছেন... )
আলোক পাঠ - পর্ব দুই : হীরেন সিংহরায়(লিখছেন... শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় , Debanjan Banerjee )
তোমার বাস কোথা যে...- ২৫ : Nirmalya Nag(লিখছেন... )
অর্থনীতির নোবেল, ২০২৪ : Anirban M(লিখছেন... Ranjan Roy, Debanjan Banerjee , যদুবাবু)
ছত্তিশগড়ের গেঁয়ো ব্যাংকঃ স্মৃতির কোলাজ (৩) : Ranjan Roy(লিখছেন... Pad Gaon, Ranjan Roy, হীরেন সিংহরায়)
- টইপত্তর : সর্বশেষ লেখাগুলি
একটি দুর্ঘটনা ও কিছু কথা : দীপ(লিখছেন... )
এবার ঝাড়গ্রামে চিকিৎসকের আত্মহত্যা : দীপ(লিখছেন... )
কবি ও সন্ন্যাসীর দৃষ্টিতে শক্তিতত্ত্ব : দীপ(লিখছেন... )
আমেরিকান নির্বাচন ২০২৪ : X(লিখছেন... X, X, পাপাঙ্গুল)
বেসরকারি পরিষেবার মহিমা! : দীপ(লিখছেন... )
- কি, কেন, ইত্যাদি
- বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
- আমাদের কথা
- আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
- বুলবুলভাজা
- এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
- হরিদাস পালেরা
- এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
- টইপত্তর
- নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
- ভাটিয়া৯
- যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
- টইপত্তর, ভাটিয়া৯, হরিদাস পাল(ব্লগ) এবং খেরোর খাতার লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই। | ♦ : পঠিত সংখ্যাটি ১৩ই জানুয়ারি ২০২০ থেকে, লেখাটি যদি তার আগে লেখা হয়ে থাকে তাহলে এই সংখ্যাটি সঠিক পরিমাপ নয়। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত।
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত