এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • আজাদি হয়নি আজও তোর?

    সোমনাথ রায়
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৬ আগস্ট ২০২১ | ৩২০৬ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • লেনিন পার্লামেন্টকে শুয়োরের খোঁয়াড় বলেছিলেন। গান্ধীজি কী বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন পার্লামেন্ট হল বেশ্যা এবং বন্ধ্যা। বেশ্যা, কারণ এক একবার এক একদলের প্রধানমন্ত্রীর হয়ে পার্লামেন্ট কাজ করে, তার আনুগত্য একের প্রতি নয়। এবং প্রধানমন্ত্রী জনগণের হয়ে কাজ করেন না, নিজের পার্টির হয়েই কাজ করেন। তাই ‘পার্লামেন্টের ভাগ্যে বেশ্যার দুর্গতি সর্বদাই লেগে আছে’। আর বন্ধ্যা, কারণ সে লোকের হিতের জন্য নিজের থেকে কোনও কাজ করে না। যদিও বা কিছু করে, তা বাইরের চাপ পড়লেই করে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সম্বন্ধে তিনি এই কথা বললেও, মোটের উপর সেই ধাঁচে গড়া সমস্ত বহুদলীয় সংসদীয় ব্যবস্থা সম্বন্ধে এই কথা প্রযোজ্য ছিল। তিনি বলেছিলেন,পার্লামেন্ট ব্যবস্থার ব্যর্থতা সাতশ বছরে প্রমাণিত হয়েছে। ভারত যদি ব্রিটিশের পার্লামেন্ট ব্যবস্থা অনুসরণ করে, তবে হিন্দুস্থান ধ্বংস হয়ে যাবে।

    আমরা জানি ভারত কার্যতঃ ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি ব্যবস্থাই অনুসরণ করেছে। এইদেশের ব্যাপকবিস্তৃত গণতন্ত্রে প্রতিটি সাবালক নাগরিক ভোটদানের অধিকারী। তাদের অধিকাংশই এই ব্যবস্থায় অংশ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক ভাগ্য ঠিক করেন। কিন্তু, এই রাজনৈতিক স্বাধীনতা কি এদেশের পরাধীন মানুষের কাঙ্ক্ষিত ছিল? না হলে, তার কী চাইতেন- স্বাধীনতার হীরকজয়ন্তীর প্রাক্কালে সেইসব একটু আলোচনা করি।

    এই দেশের ইতিহাস যদি আমরা দেখি, সাধারণ মানুষ রাজনীতি-বিমুখ ছিলেন। রাজনীতি অর্থে আমরা রাষ্ট্রপরিচালনা বা শাসনের পরিসরটিকে যদি ভাবি, খুব বিরল ক্ষেত্রেই সাধারণ লোক সেখানে মাথা গলাতে গিয়েছেন। এরকম নয় যে রাজার শাসন নিয়ে সমস্যা থাকলে তাঁরা বিদ্রোহী হন নি। বিদ্রোহ হয়েছে, সামাজিক আন্দোলন হয়েছে, রাজ-অত্যাচার নেমে এসেছে বা রাজার নীতির পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু, রাজাকে সরিয়ে আরেকজনকে রাজা করার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মাথাব্যথা খুব কমই থেকেছে বলে মনে হয়েছে। সামরিক যোগ্যতা বা পারিবারিক অধিকারে যিনি রাজা হয়েছেন, তিনি প্রজাপুঞ্জের চাপে নীতি বদলেছেন এ ঘটনা অশোক থেকে হুসেন শাহ সকলের ক্ষেত্রেই হয়তো সত্যি। কিন্তু, রাজ্যশাসনে কে থাকবে, রাজ্যশাসনের পুঙ্খানুপুঙ্খ নীতি নিয়ে প্রজার মতামত খুব কম উঠে এসেছে, বা হয়ত থাকে নি। তার বদলে এদেশের প্রজা কী করেছে? সে তার নিজের আঞ্চলিকতায় এক মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন নিয়ে সন্তুষ্ট থেকেছে। যে স্বায়ত্তশাসনের নিদর্শন হিসেবে, রাজার অধিকারের বাইরে প্রজার সমাজের হাতে থেকেছে উৎপাদন-বিনিময়-বণ্টনের অনেকখানি অধিকার। রাজাকে বস্তুত কর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পল্লী উন্নয়নের ব্যাপারেও প্রজার সামাজিক কর্তৃত্ব বেশি জায়গা নিয়েছে। যদিও বড়সড়ো পরিকাঠামো, যেমন রাজপথ (নামটা দ্রষ্টব্য), বৃহৎ সেচব্যবস্থা, বড়ো বাজার- এইসব রাজার ভাগে ছিল।

    আমরা যদি, ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭-র আগে অবধি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন লড়াই দেখি, তার বেশিরভাগই ছিল সামাজিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে। ইংগ আফগান যুদ্ধ নিয়ে সিদোকানহোর কোনও বক্তব্য ছিল না; কিম্বা প্রেসিডেন্সিগুলিতে পুলিশ বিভাগ গড়ে উঠবে কী না, তাই নিয়ে বিদ্রোহী পাইকরা চিন্তিত ছিলেন না। অর্থাৎ, যেটা বক্তব্য, এই লড়াইগুলি রাজনৈতিক ছিল না, টিপু বা মারাঠাদের ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধ রাজনৈতিক ইস্যুতে যেমনটা ছিল। রাষ্ট্রের শাসক বদলানোর ইচ্ছা প্রথম দেখা যায় ওয়াহাবিদের মধ্যে। সারাদেশজুড়ে ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ের এক সংগঠন গড়ে তোলেন সৈয়দ আহমেদ বেরিলভি। তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা নির্মিত হয়েছিল ইসলামের একটি বিশেষ ধারার মতানুসারে। ব্রিটিশদের প্রথম রাজনৈতিক বিদ্রোহ সামলাতে হয়। সৈয়দ আহমদের সংগঠন এতটাই বিস্তৃত ছিল যে বাংলা থেকে বিদ্রোহীরা উত্তর পশ্চিম সীমান্তে লড়াই করতে যেত। ওয়াহাবিদের দ্বীপান্তরের জন্যই আন্দামানে জেল চালু করা হয়। ভাইসরয়কে হত্যা করার কৃতিত্বও একমাত্র ওয়াহাবিদের। যাই হোক, ওয়াহাবিদের পিছনে জনসমর্থন থাকলেও, ইসলাম অনুসারীদের একটা খুব ছোট অংশের লড়াই এটা। আমরা দেখি, ওয়াহাবিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশরা অন্যধারার সুন্নি পণ্ডিতদের ফতোয়া জোগাড় করছেন। গণমানুষ প্রথম রাজনৈতিক লড়াইয়ের একটা আবছা চেহারা দেখান সিপাহি বিদ্রোহে, যদিও তার মধ্যে স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনের দাবি বা এরকম এক শাসন পুনরায় ফিরে পাওয়ার ইচ্ছা (মুঘল শাসন) যেখানে সমাজগুলি পুরোনো স্বাধীনতা পাবে সেই আকাঙ্ক্ষা প্রবলতর ছিল। সিপাহি বিদ্রোহের পরেই দেশে গণরাজনীতির পরিসর তৈরি হতে থাকে। কিন্তু তা স্বত্তেও রাজনীতিতে প্রথমদিকে যাঁরা আসতে থাকেন, তাঁরা মূলতঃ ব্রিটিশ কর্মচারী, সিভিল সার্ভিস অফিসার বা উকিল। রাষ্ট্রপরিচালনার পরিসরে যাঁরা পেশাগতভাবে উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ লোক রাজনীতিতে সহজে ঢোকেন না। ১৯০০ সাল নাগাদ শিক্ষিত যুবকরা দেশের কাজে আসার কথা ভাবতে শুরু করেন। এইসময়ে দুটো ঘটনা ঘটে, যা রাজনীতির ক্ষেত্রটাকে জনমানসে আরও উন্মুক্ত করে। বোম্বেতে প্লেগ নিয়ন্ত্রণের নামে সরকারি অত্যাচার শুরু হয়, যার ফলে প্লেগ কমিশনার র‍্যান্ডকে হত্যা করা হয়। আর ইউরোপের গুপ্ত সমিতির অনুপ্রেরণায় বাংলায় ও পশ্চিমভারতে গুপ্ত সমিতিগুলি গড়ে ওঠে, যেগুলি অ্যানার্কিস্ট ও ইতালি-জার্মানির জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল। তৃতীয় যে ঘটনা ঘটে, যা দেশে সম্ভবতঃ প্রথম প্রকৃত গণরাজনীতির সূচনা করে, তা হল বঙ্গভঙ্গ। নির্দিষ্টভাবে একটি সরকারি পলিসির বিরুদ্ধে এই প্রথম বৃহৎ আন্দোলন হয় (যদিও তা মূলতঃ কলকাতাভিত্তিক), কিন্তু এর পর থেকেই জাতীয় আন্দোলনের একটি নতুন বিকাশ ঘটে।

    স্বাধীনতা আন্দোলনের এই পর্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ভারতের জাতীয়তা নির্মানের প্রশ্ন। দ্বিতীয় সমস্যা ছিল, বহুবিভক্ত দেশের মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী বিভিন্ন অ্যাসপিরেশনকে এক জায়গায় আনা। কিন্তু, একটা জায়গায় প্রায় সকলেই (অরবিন্দ, দেশবন্ধু, গোখলে, মতিলাল, রবীন্দ্রনাথ, তিলক, আলি ভাইয়েরা প্রমুখ) যে জায়গাটাকে গান্ধীজি হিন্দ-স্বরাজে খুব জোর দিয়ে বলেছেন, ব্রিটিশ চলে গেল কিন্তু ব্রিটিশের শাসন কাঠামো থেকে গেল, এমন স্বরাজ তাঁরা চান না। উপরে যাঁদের নাম করলাম, তাঁদের মধ্যে অনেকেই প্রথমবারের মতন একটা কাজ করে উঠতে পেরেছিলেন, যা হল ব্যাপক মানুষকে স্বাধীনতা সংগ্রামে আনা। সেই কাজটার জন্যে, যে শব্দ তাঁরা মানুষের কাছে নিয়ে গেছিলেন, তা ছিল- স্বরাজ। স্বরাজ শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, স্বরাজের নিশ্চিতভাবে একটা আধ্যাত্মিক অংশ ছিল। তার প্রতিফলন হত কেন্দ্রিভূত শাসন ব্যবস্থার বিকল্প কোনও ব্যবস্থায়, যা ব্যক্তির নিজের কাছে নিজের রাজত্বের জায়গাটা রাখবে। এই আধ্যাত্মিকতা, পার্লামেন্ট-বহির্ভূত শাসন, এসবের বিরুদ্ধে তৎকালীন যুগনায়কদের যাঁরা বেশ দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতেন, তাঁদের একজন মহম্মদ আলি জিন্না। অসহযোগ আন্দোলনের অসংসদীয়তা তাঁর মনঃপূত হয় নি। তবে গান্ধীযুগের প্রারম্ভে কংগ্রেসে জিন্নার ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, শুধু হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের রাজদূত হিসেবে তাঁকে শ্রদ্ধা করা হয়, যিনি সদ্যগঠিত মুসলিম লিগকে বারবার অনুরোধ করেন স্বাধীনতা সংগ্রামে আসতে। যাই হোক, এইটা বলার যে স্বাধীনতা আন্দোলন গণ-আন্দোলন হয়ে ওঠার যে মূল সূত্র, তা ছিল স্বরাজ- বিকেন্দ্রিভূত শাসন এবং রাষ্ট্রের হাত থেকে সমাজ বা ব্যক্তির হাতে বেশিতর ক্ষমতা আসার ধারণা। শক্তিশালী রাষ্ট্রের ধারণা তখনও সুদূর পরাহত। স্বরাজ্য পার্টি গঠন করে দেশবন্ধু-মতিলাল যখন পার্লামেন্টারি পদ্ধতিতে পুনরায় ঢুকছেন, তখনও কিন্তু তাঁরা স্বরাজের কাজই মূল কাজ, এইগুলি অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ, এই কড়ারে ভোট চাইতে নামছেন। ১৯২৮ সালে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হয়ে মতিলাল নেহরু বলছেন স্বাধীন দেশে যে ব্যবস্থা চলবে তা ব্রিটিশ পার্লামেন্টীয় পদ্ধতি নয়, তার মধ্যে ব্রিটিশ ব্যবস্থার কোনও ছাপ এসে পড়তে পারে, কিন্তু ভারতীয় নিজস্ব শাসন কাঠামো গড়ে উঠবে। আরও আকর্ষণীয়, কংগ্রেসের পরবর্তী কর্মসূচী হিসেবে তিনি কোনও রাজনৈতিক কর্মমাণ্ডের রূপরেখা দিচ্ছেন না, বলছেন অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ, পল্লীগঠন, নিজস্ব ছোট শিল্প গড়ে তোলা ইত্যাদির কথা। অর্থাৎ, গণসংগঠন হিসেবে কংগ্রেসের কর্মসূচী সামাজিকই থাকছে।

    এইসব বিচার করলে মনে হয়, রাষ্ট্রের হাত থেকে সমাজের হাতে ক্ষমতা পুনর্ন্যাস্ত করা স্বরাজের মর্মবস্তু ছিল এবং দেশব্যাপী কংগ্রেসের সংগঠন ও তাদের বিশাল আন্দোলনগুলি গড়ে উঠেছিল সেই প্রতিশ্রুতির উপরেই। কিন্তু, ১৯৪৭-এ আমরা যে স্বাধীনতা দেখলাম, তা রাষ্ট্রের উপরেই বেশি ভরসা করছিল। এমন কী স্বরাজে তুলনায় অনাস্থাশীল জিন্না যখন দেশভাগের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলএর ফেডারেশনের কথা বললেন, রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়বে, এই আশংকায় কংগ্রেস তাতে রাজি হল না। ১৯৪৭-এর স্বাধীনতা স্বরাজের প্রতিশ্রুতিকে ব্যর্থ করেছে বলেই বোধ হয়। স্বাধীনতার পরে গান্ধীজির সঙ্গে ভারত সরকারের সংঘাত হয়, তিনি সরকারি নীতির বিরুদ্ধে অনশন করেন। তবে,রাজনৈতিক ভাবে তাঁকে এত নিঃসঙ্গ লাগে, স্বরাজকে পুনরায় অ্যাসার্ট করার ক্ষমতা তাঁর আর ছিল কী না সন্দেহ হয়। গান্ধীজির মৃত্যুর কিছুদিন আগে লেখা ‘শেষ উইল’-এ কংগ্রেস ভেঙে দেওয়া, দলীয় রাজনীতির বদলে পঞ্চায়েতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া ইত্যাদিতে সেই স্বরাজের কিছু ছায়া যেন দেখা যায়। কিন্তু গণ-আন্দোলনের আঙিনা থেকে স্বরাজ সরে গিয়ে পার্লামেন্টারি রাজনীতি কীভাবে মান্যতা পেল, রাষ্ট্র বিভাজনের বিনিময়েও কীভাবে তা গৃহীত হল, এই নিয়ে অনুসন্ধানের দরকার আছে মনে হয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৬ আগস্ট ২০২১ | ৩২০৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইতি - Ankan Chakraborty
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 122.164.***.*** | ১৬ আগস্ট ২০২১ ১০:৩৫496817
  • "গান্ধীজি কী বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন পার্লামেন্ট হল বেশ্যা এবং বন্ধ্যা। বেশ্যা, কারণ এক একবার এক একদলের প্রধানমন্ত্রীর হয়ে পার্লামেন্ট কাজ করে, তার আনুগত্য একের প্রতি নয়"


    গান্ধিজি সত্যি এরকম ​​​​​​​বলেছিল ​​​​​​​নাকি? ​​​​​​​কি ​​​​​​​অসহ্য ​​​​​​​বাজে ​​​​​​​সেক্সিস্ট ​​​​​​​আর ​​​​​​​নীচ ​​​​​​​মানসিকতা! ​​​​​​​

  • santosh banerjee | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:০১498109
  • গান্ধী জী বলে না থাকলেও ওটা মিথ্যে নয়, বরং তীব্র সত্য, লেনিন যা বলেছেন তাও সত্য প্রমাণিত। প্রমান ২০১৪ থেকে আজকের দিন পর্যন্ত। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন