এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • পিএম কেয়ার্স ফান্ডের ব্যাপারে ভারত সরকার কি আদালতে মিথ্যে হলফনামা দিয়েছে?

    রঞ্জন রায়
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৩ আগস্ট ২০২১ | ১৫৮০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • এই মাসের গোড়ায় সুপ্রীম কোর্টে দায়ের এক ‘স্পেশাল লীভ পিটিশন’ (এসএলপি) এমনই দাবি করছে। কোন এসএলপিতে যদি আইনের কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের ফয়সালা বা বড় অন্যায়-অবিচারের প্রতিকার চাওয়া হয় তবেই সুপ্রীম কোর্ট সেটা শুনানির জন্যে গ্রহণ করে।

    এই এসএলপি দায়ের হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারা আবেদনকারীদের একটি রিট পিটিশন খারিজ করার বিরুদ্ধে। ওই আবেদনের বক্তব্য ছিল, পিএম কেয়ার্স ফান্ড তার ট্রাস্ট ডীড বা রেজিস্ট্রেশনের সময় পেশ করা ওর গঠন সম্বন্ধীয় মূল দস্তাবেজের ভাষ্য অনুযায়ী – একটি বেসরকারী সংস্থা। অতএব এর গঠনের জন্য কোনও আইন পাশ করার দরকার নেই। এবং একই কারণে এর কাজকর্ম-আমদানি-খরচাপাতি সরকারি অডিট বিভাগের নাগালের বাইরে থাকবে, আর পাবলিক এ নিয়ে তথ্যের অধিকার আইন – ২০০৫ অনুযায়ী পিটিশন লাগিয়ে কোন তথ্য পেতে পারবে না।

    আবেদনকারীদের বক্তব্য হল – এসব সরকারের মুখের কথা।  হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে বলায় আদালত খতিয়ে না দেখে একতরফা ভুল রায় দিয়েছে। কারণ, বাস্তব পরিস্থিতি ঠিক উলটো। এটি সরকারের সর্বোচ্চ পদে আসীন মন্ত্রীদের দ্বারা পলিচালিত সরকারি সংস্থা। এরা তাদের ওয়েবসাইটে ভারত সরকারের এমব্লেম (তিনটে সিংহ) ব্যবহার করছে, সরকারী-তন্ত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারী ফান্ডের টাকা সরকারী হুকুমের জোরে এই ফান্ডে ঢেলে দিয়েছে। কলেজ, ব্যাংক, বীমা কোম্পানির ফান্ড এমনকি ভোপাল গ্যাসকাণ্ডের রিলিফ ফান্ডের টাকা – কিছুই ছাড়েনি।

    আবার, সরকারি নির্দেশে, দানদাতাদের আয়কর থেকে ১০০% ছাড় দিচ্ছে। নিজেরা বিদেশি দান নেওয়ার ব্যাপারে ‘ফেরা’ বা ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশনের নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে, অথচ নিজেদের ‘প্রাইভেট’ বলে হিসেব ও তথ্যের ব্যাপারকে আড়াল করে আদালতে মিথ্যে হলফনামা দিয়েছে। এগুলো একটাও কোনও ‘প্রাইভেট’ সংস্থা করতে পারে না, শুধু সরকারি ফান্ড হলে তবেই সম্ভব।

    কিন্তু সরকারি ফান্ড বললে আবার ‘সিএজি’ বা ‘ক্যাগ’ এর অডিট করাতে হবে এবং পদে পদে নাগরিকদের আরটিআই আবেদনের উত্তর দিতে হবে, সঠিক তথ্য জানাতে হবে।

    আবেদনকারীরা এলাহাবাদের বেশ ক’জন আইনজীবি। প্রশ্নটি, অর্থাৎ প্রাইভেট ও পাবলিক ফান্ডের আইনি বাধ্যতা এবং সীমারেখা, একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রশ্ন এবং সরকারের আচরণের স্বচ্ছতার নৈতিক, সাংবিধানিক এবং ব্যবহারিক প্রশ্ন। শেষ বিচারে আদালতকে রায় দিতে হবে, যে এই পিএম কেয়ার্স ফান্ডের গঠন ও পরিচালন আইনসম্মত এবং বৈধ কি না।  সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি শুনানির জন্যে গ্রহণ করেছে। আসুন, আমরা ততক্ষণ সুশীল নাগরিক হয়ে হিসেব মিলিয়ে বোঝার চেষ্টা করি – ব্যাপারটা কী?

    ১ পৃষ্ঠভূমি:

    গত বছর সরকারিভাবে ভারতে কোভিড সংক্রমণের ঘোষণা এবং প্রথম লকডাউন শুরু হবার পিঠোপিঠি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, যে ২৭শে মার্চ, ২০২০ তারিখে করোনাভাইরাস মহামারীর তাণ্ডবের মোকাবিলা করতে এবং ত্রাণ-সামগ্রী পোঁছাতে উনি একটি ‘প্রাইভেট ফান্ড’ শুরু করেছেন, যার সংক্ষিপ্ত ইংরেজি নাম হল পিএম কেয়ারস ফান্ড। এটি ভবিষ্যতেও অনুরূপ পরিস্থিতি সামলাতে কাজে আসবে।

    এর বৈশিষ্ট্য হল:


    • এটি সরকারি নয়, প্রাইভেট ট্রাস্ট পরিচালিত।
    • এর চেয়ারম্যান হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অন্য ট্রাস্টিদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, এঁরা থাকবেন এক্স-অফিসিও অর্থাৎ পদের হিসেবে, ব্যক্তি হিসেবে নয়। বাকি ট্রাস্টি কারা? ট্রাস্টের গঠন , পরিচালনের নিয়মাবলী, এসব? আমরা জানি না, কারণ ডকুমেন্ট পাবলিক ডোমেইনে প্রকাশ করা হল না।[1]
    • মোট কত টাকা নিয়ে এই ফান্ড স্থাপিত হল? কেউ জানে না। এর অডিট সরকারী অডিটর করবে না, প্রাইভেট অডিটর করবে। ফলে এর আয়-ব্যয়, কত টাকা কোন খাতে খরচ হল, তা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি এবং সিএজি অফিস (কন্ট্রোলার, অডিটস অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস জেনারেল) অর্থাৎ অন্য মেম্বার অফ পার্লিয়ামেন্টের নজরের বাইরে থাকবে।[2]
    • সরকারের বক্তব্য এটি প্রাইভেট ফান্ড, কাজেই স্বচ্ছতার আইন বা রাইট টু ইনফর্মেশন অ্যাক্ট, ২০০৫ এর আওতায় আসবে না।[3]


    1. আমার টীকা:  আরটিআই আইনের উদ্দেশ্য হল সরকারি সংস্থার কাজকর্মে স্বচ্ছতা আনা। তাই এই আইনের অধীনে শুধু সরকারি বিভাগের সম্বন্ধে কোন তথ্য জানতে চেয়ে আবেদন করা যায়, প্রাইভেট সেক্টরে এই আইন অচল। তাই পিএমকেয়ার নিজেদের প্রাইভেট ফান্ড বলে এই আইন বা স্বচ্ছতার ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে গেছে। এখানে সরকারের বড় বড় মন্ত্রীরা আছেন ব্যক্তি হিসেবে, তাঁদের ব্যক্তিগত ক্ষমতায় নন। বেশ কথা, কিন্তু তাহলে এই ফান্ড তাদের কাজকর্মে সরকারি আমলাতন্ত্র এবং ভারত সরকারের মোহর (এমব্লেম) কেন ব্যবহার করছে? এটা তো বে-আইনি !
    2. গতবছর সুপ্রীম কোর্টে একটি পিটিশন প্রশ্ন করে, যে কেন বে-আইনি ভাবে সরকারি মোহর ব্যবহার করার অপরাধে ফান্ডের কর্মকর্তাদের State Emblem of India (Prohibition of Improper Use) Act, 2005 আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে না?[4]  ডিসেম্বর ২০২০-এ ভারত সরকারে এর উত্তরে আদালতকে জানায়, যে পিএম কেয়ারস ফান্ড আসলে একটি ভারত সরকার পরিচালিত ‘পাবলিক ফান্ড’! কিন্তু এটি আরটি পিটিশন অনুযায়ী তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। [5] এভাবে ফান্ডটি গোড়া থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়ে।

    ২ নতুন ফান্ড কেন? পুরনো সরকারেরা কোন ন্যাশনাল ফান্ড বানায়নি?

    হরদম শোনা যায়, যে স্বাধীনতার পর থেকে সত্তর বছরে কিছুই হয়নি, সব হয়েছে গত সাত বছরে। কিন্তু ১৯৪৮ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুর সময়েই স্থাপিত হয়েছিল প্রাইম মিনিস্টার’স  ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ড (পিএমএনআর এফ) যার ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভয়ংকর বিপদ এবং দাঙ্গার সময় পীড়িত নাগরিকদের সাহায্য করা। এই ফান্ডেও দান দিলে আয়কর আইন ১৯৬০ থেকে ছাড় পাওয়া যায়। এবং মার্চ ২০২০তে এই পিএমএনআর এফ-এর তহবিলে খরচ না হওয়া টাকার পরিমাণ হল ৩৮০০ কোটি টাকা।[6]

    খেয়াল করার ব্যাপার হল, দু’টো ফান্ডেরই পরিচালনায় রয়েছে স্বচ্ছতার অভাব। দু’টো ফান্ডই জনতাকে তাদের দানদাতাদের নাম ও তাদের দেয় টাকার পরিমাণ প্রকাশ করে না। কিন্তু প্রথমটি সিএজির অফিস চাইলে খরচের তথ্য জানিয়ে দেয়।

    সরকারের তরফে প্রথমে বলা হয়, যে পুরনো ফান্ড অনেকগুলো বিপর্যয় সামাল দেয়ার জন্যে তৈরি, কিন্তু পিএম কেয়ার শুধু কোভিড মহামারীর জন্যে স্থাপিত হয়েছে, যাতে চটপট সরকারি লালফিতের ঝামেলা এড়িয়ে রিলিফ পৌঁছে দেওয়া যায়।

    দাঁড়ান দাঁড়ান, এই ধরণের বিপর্যয়কে সামলাতে আগে থেকেই আছে আর একটি ফান্ড – National Disaster Response Fund (NDRF), যা ২০০৫ সালে Disaster Management Act আইন পাশ করে স্থাপিত হয়েছে। তাহলে আর একটা ওইরকম ফান্ড তৈরির কী দরকার?

    এ’ নিয়ে সুপ্রীম কোর্টে কেউ দরখাস্ত দিলে সরকার জানিয়েছে যে আগের ফান্ডটি প্রাইভেট ডোনেশন নেয় না, কেবল সরকারের পয়সায় চলে। কিন্তু পিএম কেয়ার প্রাইভেট দান নেয়।  বিদেশি দান নেয়[7], ইনকাম ট্যাক্স আইনের ৮০ জি ধারা অনুযায়ী দানদাতাদের ১০০% ছাড় দেয়[8]। এদিকে বিদেশি দানের ব্যাপারে এই ফান্ডকে এফ সি আর এ’র বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, যদিও ফান্ড এই ছাড় পাওয়ার পূর্বশর্ত – ক্যাগ অডিট – পালন করে না[9]

    এছাড়া, প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের রয়েছে আলাদা আলাদা রিলিফ ফান্ড বা মুখ্যমন্ত্রী সহায়তা কোষ। কিন্তু কেন প্রাইভেট সংস্থা এবং কর্পোরেটদের কেবল পিএম কেয়ারে দান দিলে তবে আয়করে ১০০% ছাড় এবং করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির দায়িত্ব থেকে মুক্তি দেওয়া হবে? তাহলে ওরা মুখ্যমন্ত্রী সহায়তা কোষে কেন অর্থসাহায্য করবে? যদিও কোভিডের মোকাবিলা তৃণমূল স্তরে রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে? আর কোনও প্রাইভেট ট্রাস্টে দান করলে ১০০% আয়করে ছাড় দেওয়া হয় না, শুধু সরকারি ফান্ডে দান করলেই এটা সম্ভব। তাহলে পিএম কেয়ার্স প্রাইভেট না সরকারি ফান্ড?

    ৩ ডোনেশন বা দান: স্বেচ্ছায়, বাধ্যবাধকতায়, কত করে?

    • দশ টাকার থেকে শুরু। অনেক পাবলিক সেক্টর কোম্পানি সার্কুলার জারি করে তাদের কমর্চারিদের একদিনের মাইনে স্বেচ্ছায় দান হিসেবে কেটে নিলেন। অনেক কর্পোরেট হাউস এই দানে তাদের সহযোগ এবং সমর্থন ঘোষণা করলেন। ৩০ জুলাই, ২০২০র মধ্যে ফান্ডের আয়তন ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেল।[10]
    • কিছু সেলেব্রিটির দানের খতিয়ান দেখুন:

    লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (১৫০ কোটি), ইনফোসিস ফাউন্ডেশন, আদানি ফাউন্ডেশন, হিরো গ্রুপ, টাটা ট্রাস্ট, পেটেম, উইপ্রো, আজিম প্রেমজি ফাউন্ডেশন (১১২৫ কোটি), অক্ষয় কুমার (২৫ কোটি), দীপিকা পাডুকোনে ও রণবীর সিং, শাহরুখ খান, করণ জোহর । এ ছাড়া খেলার জগতের বিসিসিআই (৫১ কোটি) ও হকি ইন্ডিয়া (৭৫ লাখ)[11]

    • সরকারের শীর্ষপদের কিছু নাম: চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত প্রতি মাসে ৫০হাজার করে এক বছর অবধি দেবেন। রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি দেবেন একমাসের মাইনে[12]
    • পাবলিক সেক্টর ও তার কর্মীরা:

      • পাবলিক সেক্টরের ৩৮টি নবরত্ন ইউনিট তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) ফান্ড থেকে দিয়েছে ২১০৫ কোটি টাকা। যদিও এই ফান্ডের খরচ হওয়ার কথা তাদের ফ্যাক্টরি এলাকার আশেপাশে জনতার সামাজিক উন্নয়নে – যেমন স্কুল, হাসপাতাল ও রোজগারমূলক প্রোজেক্টে[13]
      • ১০১ টি পিএসইউ তাদের কর্মচারিদের বেতন থেকে দান হিসেবে ১৫৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছে[14]
      • রিজার্ভ ব্যাংক, জীবন বীমা ও ব্যাংকগুলোর থেকে এল ২০৫ কোটি[15]
      • সৈন্যবাহিনীর দৈনিক বেতন থেকে এল ২০৫.৬৭ কোটি টাকা[16]
      • আইআইটি, আইআইএম, এইমস, নবোদয় স্কুল – কেউ বাদ পড়েনি[17]
    • রাশিয়া গভর্নমেন্টের অস্ত্র রপ্তানীর ফার্ম  ‘রসোবেরওনো এক্সপোর্ট’ দিল ২ মিলিয়ন ডলার[18]

    ৪ দান সংগ্রহ কতদূর স্বেচ্ছায়: বিভিন্ন পাবলিক সেক্টর সংস্থা থেকে অভিযোগ

    ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা অগাস্ট ২০২০ থেকে বিভিন্ন পাবলিক সেক্টর ইউনিটে সূচনার অধিকার আইনের (আরটিআই) ভিত্তিতে পিটিশন দিয়ে জানতে পারে:

    • বিভিন্ন শিক্ষণ সংস্থা, যেমন NCERTBanaras Hindu UniversityAligarh Muslim University, and Central Sanskrit University, এবং 20 Indian Institutes of Technology তাদের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারিদের বেতন ফান্ড, পেনশন ফান্ড, রিসার্চ ফান্ড এবং স্টুডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা পিএম কেয়ারস ফান্ডে ট্রান্সফার করেছে[19]
    • বিগত ৩ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে দিল্লির এইমস (AIMS) হাসপাতালের ডাক্তারদের সংগঠন ম্যানেজমেন্টের সার্কুলার – যাতে সবাইকে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে জমা করার জন্যে একদিনের বেতন কেটে নেবার আদেশ ছিল – বাতিল করতে বলে। ম্যানেজমেন্ট ওই সার্কুলার ফেরত নিয়ে ডাক্তারদের নিজেদের পছন্দ মত যে কোনও রিলিফ ফান্ডে দান দেওয়ার অনুমতি দেয়। একই ঘটনা ঘটে সফদরজং, এভি বাজপেয়ী ইন্সটিট্যুট্‌, রামমনোহর লোহিয়া ও লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালে[20]
    • ১৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ঝাড়খন্ড হাইকোর্ট ৬ জন অভিযুক্তকে জামিন পাওয়ার শর্ত হিসেবে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে ৩৫ হাজার টাকা জমা করতে আদেশ দেয়। একইভাবে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ২০শে এপ্রিল আরেক অভিযুক্তকে জামিনের জন্যে ওই ফান্ডে ১লাখ টাকা জমা করতে বলে[21]
    • বিগত ১৯ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে সুপ্রীম কোর্টের রেজিট্রারের নোটিস অনুযায়ী, তাদের স্টাফকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে সমস্ত গেজেটেড অফিসারদের তিন দিনের বেতন, নন-গেজেটেডদের দু’দিনের বেতন এবং গ্রুপ-সি কর্মচারিদের এক দিনের বেতন পিএম কেয়ার্স ফান্ডে জমা করতে হবে। যারা ইচ্ছুক নয়, তাদের একদিনের মধ্যে আপত্তি জানাতে হবে, নইলে ধরে নেয়া হবে যে তারা ইচ্ছুক[22]
    • ১৯শে এপ্রিল, ২০২০ তারিখে বিত্ত মন্ত্রকের একটি সার্কুলারে বলা হয় ওই ফান্ডে দান হিসেবে সমস্ত কর্মচারিদের আগামী একবছর ধরে প্রতিমাসে একদিনের বেতন কেটে নেওয়া হবে। যারা ইচ্ছুক নয়, তাদের ‘অনিচ্ছা’ লিখিতভাবে নিজের ডিপার্টমেন্টকে জানাতে হবে। কর্মচারি ইউনিয়নের আপত্তি – ক) এভাবে ওদের বছরের ১২% বেতন সরকার নিয়ে নিচ্ছে। খ) তাদের অন্য রিলিফ ফান্ডে দান দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে[23]। একজন প্রাক্তন কন্ট্রোলার অফ ডিফেন্স জেনারেল বলেন, লিখিত অনিচ্ছা জাহির করলে ভবিষ্যতে চাকরিতে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা।
    • ২০ এপ্রিল, ২০২০ তারিখে দিল্লি ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত প্রতিবাদ করে, যে ওরা দান দিয়েছিল ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ডে, সেই টাকা কর্তৃপক্ষ কেন ওদের না জানিয়ে পিএম কেয়ার্সে ট্রান্সফার করেছে? জবাবে জানানো হয়, যে এটা Ministry of Human Resources Development এর আদেশে করা হয়েছে[24]

    ৫ ফান্ডের জমা-খরচ ও হিসেব পরীক্ষা:

    • কত জমা হয়েছে এভাবে? কেউ ঠিকঠাক জানে না। ডিসেম্বরে পিএম কেয়ার্সের সাইটে শুধু ৩১ মার্চ, ২০২০ – মানে ফান্ড শুরু হওয়ার চারদিনের পরের ব্যালান্স দেখানো হয়েছে ৩০৭৬.৬২ কোটি টাকা।  ১৯শে মে, ২০২০ নাগাদ টাইমস অফ ইন্ডিয়ার অনুমান হল ১০৬০০ কোটি টাকা। সম্ভবত এর ৫৩% দান এসেছে কর্পোরেট সেক্টর থেকে, ৪২% পাবলিক সেক্টরের কর্মচারিদের বেতন থেকে আর বাকি ৫% কিছু ব্যক্তিগত দান থেকে।
    • গত বছর ১৩ মে তারিখে জানানো হল, যে ওই ফান্ড থেকে আপাতত ৩১০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতে তৈরি ৫০,০০০ ভেন্টিলেটর কেনা, রাজ্যসরকারগুলোকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার মোকাবিলার জন্য ১০০০ কোটি টাকা দেওয়া, আর ১০০ কোটি টাকা খরচ হবে ভারত সরকারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার তদারকিতে কোভিডের ভ্যাকসিন তৈরির অনুসন্ধানে কেবল ভারতীয় প্রজেক্টকে সাহায্য করায়[25]। ২১শে জুন তারিখে বিজেপি’র প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা বললেন, যে জুনের শেষ নাগাদ পিএম কেয়ার্স ফান্ডের সহায়তায় ৬০ হাজার ভেন্টিলেটর বিভিন্ন রাজ্যে পৌঁছে যাবে[26]
    • বাস্তবে কী হল? ২৪ জুনে ভারত সরকার জানিয়ে দিল, যে ৫০ হাজারের জায়গায় মাত্র ২৯২৩টি ভেন্টিলেটর (৬%) পাওয়া গেছে এবং বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন পরে তার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে লাগল।

      • ভারত সরকারের নিযুক্ত দু’টো  ইভ্যালুয়েশন কমিটি স্টার্ট-আপদের থেকে কেনা ভেন্টিলেটরগুলোর স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে আপত্তি জানাল। একটি সাপ্ল্যায়ার জানায়, যে এই কাজের বরাত পাবার যোগ্যতা নিয়ে সরকারের কোন গাইডলাইন নেই[27]
      • অগাস্ট ২০২০তে একটি সূচনার অধিকার পিটিশনের জবাবে ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, যে দু’টো কোম্পানীর বানানো ভেন্টিলেটরের মডেল সরকারের টেকনিক্যাল কমিটির কোয়ালিটি টেস্টে ফেল করেছে। ওদের পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে ২২.৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেপ্টেম্বর মাসে হাফিংটন পোস্টকে  ট্রিভিট্রন হেলথকেয়ার নামের নির্মাতা জানায়, যে ওরা ১০ হাজার ভেন্টিলেটর বানানোর বরাত পেয়েছে। ওদের কোন পূর্ব -অভিজ্ঞতা নেই। বরাত পাওয়ার পর ওরা বেসিক প্রোটোটাইপ মডেল বানানো শুরু করেছে[28]
      • জুলাই মাসে দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতাল বলল, মাত্র ১০ থেকে ১৫% ভেন্টিলেটর রোগীদের দেওয়ার মত দেখা যাচ্ছে। পিজি ইন্সটিউট চন্ডীগড় এই ভেন্টিলেটরগুলো ব্যবহার করবে না বলে জানিয়ে দিল। আপত্তি তুলল সিভিল হাসপাতাল আমেদাবাদ, অভিযোগ এল কর্নাটক রাজ্য থেকে[29]
      • মহারাস্ট্রের বিজেপি নেতা প্রভাকর সিন্ধে, গত ১৬ জুলাই, ২০২০তে মুম্বাইয়ের মিউনিসিপ্যাল কমিশনারকে বললেন, যে সব অধিকারী পিএম কেয়ারে কেনা ভেন্টিলেটর ব্যবহার করছে না, তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হোক[30]
      • অনেকগুলো হাসপাতাল থেকে লাগাতার অভিযোগ পাওয়ার পর রাজস্থান সরকার এপ্রিল ২০২১ তারিখে ভারত সরকারকে পত্র লিখে জানিয়ে দিল, যে পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে কেনা ভেন্টিলেটারগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের এবং ত্রুটিপূর্ণ।[31]
      • গত অক্টোবরে ভারত সরকার টেন্ডার ডেকে ১৬২ অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপনের অর্ডার দেয়, যার ফান্ড পিএম কেয়ার্স থেকে দেওয়ার কথা হয়। কিন্তু তার বরাত সম্পর্কিত রাজ্য সরকারদের না দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে ‘সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস সোসাইটি’ নামের একটি  স্বতন্ত্র সংস্থাকে দেওয়া হয়। এপ্রিল ২০২১শে নিউজ ওয়েবসাইট ‘স্ক্রল’এর তদন্তে দেখা গেল, যে ১৬২ প্ল্যান্টের মধ্যে মাত্র ১১টি প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়েছে – যার মধ্যে মাত্র ৫টি চালু হয়েছে[32]
      •  ১৮ এপ্রিল, ২০২১ তারিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাল, যে ৩৩টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়েছে, কিন্তু তার মধ্যে ক’টি চালু হয়েছে তার কোনও উল্লেখ নেই[33]। আবার দিল্লি হাইকোর্টে ভারত সরকার স্বীকার করল, যে দিল্লির ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরির (এনসি আর) জন্য স্বীকৃত ৮টি অক্সিজেন প্ল্যান্টের মধ্যে সরকার শুধু একটিই বানাতে পেরেছে[34]
    • হিসেব পরীক্ষা:

      • ফান্ড শুরু হওয়ার সময় থেকেই এর অডিট, দায়িত্বভার ও স্বচ্ছতা নিয়ে নানান প্রশ্ন ওঠে। যদিও কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ক্যাগ) প্রাইম মিনিস্টার্স ন্যাশনাল রিলিফ ফান্ডেরও (পিএম এন আর এফ) সোজাসুজি অডিট করে না, কিন্তু খরচাপাতি নিয়ে হিসেব চাইলে সবসময় তথ্য দিয়ে দেয়, যেমন উত্তরাখন্ডের বন্যার সময় ( ২০১৩) হয়েছিল।
      • ভারত সরকার ৩০জুলাই, ২০২০ তারিখে ঘোষণা করল, যে ফান্ডের ট্রাস্টিরা স্বতন্ত্র অডিটর নিযুক্ত করে আয় ও ব্যয়ের অডিট করাবে, এবং এখন থেকে দানদাতাদের রসিদও দেওয়া হবে[35]
      • SARC & Associates নামের সিএ ফার্মকে জুন ২০২০ থেকে তিন বছরের জন্যে পিএম কেয়ার্স ফান্ডের অডিটর নিযুক্ত করা হল। এরা ২০১৯ থেকে আগের প্রাইভেট সিএর বদলে পিএমএনআরএফ ফান্ডের অডিট করছিল। এই ফার্মের মালিক সুনীল কুমার গুপ্তা আগে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রয়াস নিয়ে বইও লিখেছেন। দূরদর্শন ও জি-নিউজ চ্যানেলে বিভিন্ন সরকারি প্রোগ্রামের প্রচার করেছেন। পিএম কেয়ার্সের অডিটর চয়নের পদ্ধতি ও যোগ্যতার মাপকাঠি নিয়ে পাবলিককে কিছু জানানো হয়নি[36]

    ৬ পিএম কেয়ার্স ফান্ডের দায়িত্বভার, স্বচ্ছতা, এবং বাধ্যতামূলক দান নিয়ে মামলাগুলো:

    বাধ্যতামূলক দানের প্রতিবাদে মামলা:

    দিল্লি ইউনিভার্সিটির এক অধ্যাপকের পিটিশনের বক্তব্য ছিল, যে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের অনুমতি না নিয়ে তাদের বেতন কেটে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে জমা করে ভুল করেছে। কিন্তু হাইকোর্ট সেই পিটিশন ১৭ই জুন, ২০২০ তারিখে খারিজ করে বলে অধ্যাপকটি বড়ই ‘পাষাণ হৃদয়’[37]

    অ্যাপেলেট ট্রাইব্যুনাল (ইলেক্ট্রিসিটি) একটি মামলায় অভিযুক্তকে ফাইনের টাকা পিএমকেয়ার্স ফান্ডে জমা করার নির্দেশ দেয়। তখন অভিযুক্ত পালটা যুক্তি দেয়, যে এই টাকা কোন সরকারি ফান্ডে জমা হওয়া উচিত। কিন্তু পিএম কেয়ার্স তো ভারত সরকারের কথার হিসেবে ‘প্রাইভেট এনটিটি’, তাই এই ফাইন বরং ভারত সরকারের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ডে (এনডিআর এফ) জমা করার অনুমতি দেয়া হোক। ট্রাইব্যুনাল এই আর্গুমেন্ট মেনে নিয়ে অনুমতি দিয়ে দেয়[38]

    স্বচ্ছতা ও দায়িত্বভারের প্রশ্নে মামলা:

    হাইকোর্টে যে মামলাগুলো:

    ১৪ মে, ২০২০ তারিখে মুম্বাই হাইকোর্ট একজন পিটিশনারের পিএম কেয়ার্স ফান্ডে কত টাকা জমা হয়েছে তার হিসেব ফান্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার  দাবির ব্যাপারে ভারত সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করে[39]। পরে মামলা খারিজ হয়ে যায়।

    এই হাইকোর্টেরই নাগপুর বেঞ্চ ৩ জুন, ২০২০ তারিখে ফান্ড ও অডিটের ব্যাপারে উত্তর চেয়ে সরকারকে নোটিশ দেয়, কিন্তু পরে পিটিশন খারিজ করে দেয়[40]

    গত বছর ৪ জুন ও ১০ই জুন, দিল্লি হাইকোর্ট পিএম কেয়ার্স ফান্ডের স্বচ্ছতা এবং সূচনার অধিকারের এক্তিয়ার নিয়ে দু’টি জন-স্বার্থ মামলার শুনানি শুরু করে, সেই মামলাগুলো এখনও চলছে[41]

    এলাহাবাদ হাইকোর্টে খারিজ হওয়া মামলা নিয়ে বর্তমান লেখাটির গোড়াতেই বলা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে আবেদনকারীরা সুপ্রীম কোর্টে এই মাসে এসএলপি দায়ের করেছেন।

    সুপ্রীম কোর্টের মামলাগুলো:

    মনোহর লাল শর্মা সুপ্রীম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে পিএম কেয়ার্স ফান্ডের গঠনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। সর্বোচ্চ আদালত সেটিকে ‘মিসকন্সিভড’ আখ্যা দিয়ে এপ্রিল, ২০২০এ খারিজ করে দেয়[42]

    সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন নামক সংস্থা পিটিশনের মাধ্যমে চেয়েছিল, যে পিএম কেয়ার্স ফান্ডের টাকা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড নামের সরকারি ফান্ডে ট্রান্সফার করা হোক। সুপ্রীম কোর্ট এ বিষয়ে সরকারকে কোনও নির্দেশ দিতে অস্বীকার করে এবং বলে যে এটা সরকারের স্বাধীনতা, সে তার  নিজের হিসেবে এক ফান্ড থেকে অন্য ফান্ডে টাকা ট্রান্সফার করতে পারে এবং অগাস্ট, ২০২০ নাগাদ পিটিশন খারিজ হয়ে যায়। এই রায়ের বিরুদ্ধে একটি রিভিউ পিটিশন আজও আদালতে লম্বিত রয়েছে[43]

    সুপ্রীম কোর্টের উপর্যুক্ত রায়ের ভিত্তিতেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট পিটিশন খারিজ করে দেয়, যা নিয়ে এসএলপিতে বলা হয়েছে ভারত সরকারের ‘মিথ্যে’ হলফনামা (blatant lie) বিশ্বাস করে হাইকোর্ট ভুল রায় দিয়েছে।

    আমরা সাগ্রহে প্রতীক্ষা করব এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সুপ্রীম কোর্টে বিচারের এবং বিদ্বান ন্যায়াধীশদের রায়ের।




    [1] বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ২৯শে মার্চ, ২০২০।
    [2] ইকনমিক টাইমস, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [3] ফার্স্ট পোস্ট, ৩১ মে, ২০২০।
    [4] english.madhyamam.com , 18th December, 2020.
    [5] এনডিটিভি ডট কম, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২০।
    [6] দি হিন্দু, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [7] The Indian Express. 2 April 2020.
    [8] The Hindu @businessline. 31 March 2020.
    [9] ঐ, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০।
    [10] টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [11] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [12] দি হিন্দু,  ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [13] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ১৯ অগাস্ট, ২০২০।
    [14] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস , ৭ ডিসেম্বর, ২০২০।
    [15] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০।
    [16] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০।
    [17] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০।
    [18] দি হিন্দু,  ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [19] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০।
    [20] দি প্রিন্ট, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [21]  ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ৩০ জুলাই এবং ট্রিবিউন ইন্ডিয়া নিউজ সার্ভিস, ২২ অগাস্ট, ২০২০।
    [22] দি হিন্দু, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [23] দ্য ওয়্যার, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [24] দি হিন্দু, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [25] হিন্দুস্থান টাইমস, ১৫ মে, ২০২০।
    [26] সিএনবিসি টিভি ১৮ ডট কম, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [27] হাফপোস্ট, ২৪ জুন, ২০২০।
    [28] দি হিন্দু, ২২ অগাস্ট, ২০২০।
    [29] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ৩০ জুলাই ও ৭ অক্টোবর, ২০২০।
    [30] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ১৭ জুলাই, ২০২০।
    [31] স্ক্রল ডট ইন,২৫ এপ্রিল, ২০২১।
    [32] স্ক্রল ডট ইন,২৭ এপ্রিল, ২০২১।
    [33] দ্য উইক, ২৫ এপ্রিল, ২০২১।
    [34] ইন্ডিয়া টুডে, ২৫ এপ্রিল, ২০২১।
    [35] ইকনমিক টাইমস, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [36] দ্য ওয়্যার, ৩০ জুলাই, ২০২০।
    [37] দ্য হিন্দু ও পিটিআই, ১৭ এপ্রিল, ২০২০।
    [38]  www. Livelaw.in 22nd October, 2020.
    [39] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ৩ জুন, ২০২০।
    [40]  দ্য হিন্দু, ১৪ মে, ২০২০।
    [41] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ১০ জুন, ২০২০।
    [42] 13 April, 2020.
    [43] 22nd October, 2020.


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৩ আগস্ট ২০২১ | ১৫৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্যালারাম | ১৪ আগস্ট ২০২১ ০২:৪৪496743
  • লেখা নিয়ে তো তেমন কিছু বলার নেই - জ্ঞানার্জন হলো অনেক।


    যেটা বলার - যেহেতু জানি ঠিক কতটুকু সময়ে বানানো... ছবিটা খাসা হয়েছে!

  • Amit | 121.2.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২১ ০৫:৫২496744
  • মোদীজির তো এটাই সবথেকে বড়ো এচিভমেন্ট। জুডিশিয়ারি হোক কি অ্যাডমিন - সবকটায়  কি পরিমান হেট্ মঙ্গার গুলো আছে জানা যাচ্ছে। সব এতো বছর লুকিয়ে ছিল লজ্জায় বা  সুযোগের অভাবে,  এখন পুরো খুল্লম খুল্লা সামনে এসে গেছে। মিডিয়া তো ছেড়েই দ্যান। ডেমোক্রেসির সবকটা পিলার নেকডলি কম্প্রোমাইজেড। 


    যতই করাপশন হোক পিএম কেয়ারস ফান্ডে, একটা কেসও দাড়াবেনা শেষ অবধি। বরং পারলে এরা যাঁরা আরটিআই বা মামলা করছে তাদেরকে ইউএপিএ লাগিয়ে জেলে ভরবে হয়তো। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন