এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  পুজো ২০১০

  • পশুর মৃত্যু

    অনিন্দ্য রহমান
    ইস্পেশাল | পুজো ২০১০ | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৬১২ বার পঠিত


  • প্রলগ

    মাথার ভিতরে কিছু হাত-পা উল্টানো মৃত দেখতে পোকা ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না যদিও সেই পোকা হাত-পা ঠিকঠাক করে উড়ে যায় সেপ্টেম্বরে দুপুরে।

    সম্পাদক হুড়া দিলে আমি সেপ্টেম্বরে দুপুরে রিকশায় উঠি তাড়াতাড়ি বাসায় যাব বলে।

    হুড়া দিল, বলল পশু নিয়ে ভাবো, এবং যেহেতু বুদ্ধিগিরি করো লিখেটিখে রাখ। পথে রিকশায় অ্যারিস্টোটলের সাথে শলা করি, সে আমার পুরাতন মিত্র হয়। বলি পশু নিয়ে কী লিখা যায়, যদি কিছু মাথায় আসে তো বলো। তখন জ্ঞআমার বিখ্যাত কথা তো জানো, মানুষ প্রাকৃতিকভাবে রাজনৈতিক পশুঞ্চ সে বলে। আমি জানাই, সবিনয়ে, এইকথা আমার অনেক জানা। তুমি বলো, গল্প সাজানোর তরিকা। সে 'মধ্য শুরু শেষ এই তিন থাকলেই গল্প হয়' বলে রিকশা থেকে নেমে যায়। এতৈ সহজ যদি হয়, তাহলে এখনই শুরু করা যায়। গল্পের নাম পশুর মৃত্যু।

    বাসার দিকে রিকশাকে যেতে হয় সোজা লম্বা পথ, যাতে হাতিরপুল, কাঁটাবন আর নীলক্ষেত পড়ে পরপর। এরাই যথাক্রমে গল্পের শুরু মধ্য শেষ। আমি আমার পাশবিক গল্প শুরু হয়।

    হাতিরপুল বাজার

    হাতিরপুল বাজার যেখানে শেষ হয় তার একটু পরে ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাইয়ের বড় গেটের ভিতরে একদিন রাতের বেলা আমি দেখি একটা কুকুরকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটায় অনেকগুলা মানুষ। কুকুর পাগল হয়ে যাওয়াতে ইলেক্ট্রিক সাপ্লাইয় কর্তৃপক্ষের এই তড়িৎ ব্যবস্থা, যদিও তারা সবাই কর্তৃপক্ষ কিনা জানা যায় না। কুকুর মারতে পারায় কর্তৃপক্ষের গৌরবের খোঁজ পাওয়া যায়, পাগল কুকুর। আচ্ছা, কুকুর এমনিতে যেইসব শব্দ করে, মরার আগে সে ভিন্ন শব্দ করে। বিশেষত একদম মরার আগে সেই কুকুর মৃদু কুইকুই আওয়াজ দেয়, যেন সে মায়ের কাছে যায়। এইভাবে হাতিরপুল বাজার পার হলে আমার কুকুরের অভিব্যক্তি-বৈচিত্র সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা জন্মায়। কুকুর সহজেই মারা যায় বলে কুকুর সহজেই মারা যায়।



    কাঁটাবন মার্কেট

    হাতিরপুর শেষ হলে কাঁটাবন ক্রসিং। ১৯৯২ সালে কাঁটাবনে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেট' হলে এখানে প্রতিষ্ঠানিক পশু-পাখি বেচাকেনা শুরু হয় সেটা আমি জানি। এখানে কুকুর বিষয়ে গল্পটাকে আরো কিছু দূর টানাটানি করি, কাঁটাবন মার্কেটে।

    ঢাকায় কুকুরক্ষম মানুষ বাড়ির ছাদে এবং গ্যারেজে প্রধানত, এছাড়া প্রত্যেক শুক্রবার করে বড় রাস্তায় হাঁটিয়ে আনে তাদের কুকুরসমূহকে। তাদের প্রিয় জার্মান কুকুর। পশু-পাখি মার্কেটে লভ্য, শেফার্ড, ডোবারম্যান, স্পিচ, লাছা, বুলডগ ইত্যাদি। কোনো কোনো কুকুর ৮ হাজারে বিক্রি হয়, যদিও তাদের দাম ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার পার্সিয়ান ক্যাটের চেয়ে বেশ অনেক কম। তবে তাগড়া ল্যাব্রাডর সবাইকে বিশেষভাবে ছাড়িয়ে যায় কারণ সেগুলো কিনতে লাগে ৫০ হাজার টাকা প্রতি পিস। আমার ভাবতে ভালো লাগে অত্যন্ত যে দেশের সুদক্ষ যৌথবাহিনীর ডগ স্কোয়াডে অধিকাংশই এই উচ্চমূল্যের ল্যাব্রাডর। তারপর আমি কথা বলা কাকাতুয়া দেখতে থাকি। ইত্যাদি ইত্যাদি।

    বলতে বলতে এইভাবে গল্পের মধ্যভাগ ঝুলিয়ে দিয়ে আমি চলে হঠাৎ আসি ক্লাইমেক্সে। কাঁটাবন মার্কেট পর্বের শেষে যৌথ বাহিনীর ডগ স্কোয়াডের কথা বলি, মনে থাকার কথা। এখন খতম করে দেয়া যায় এই গল্প যদি এই ডগ স্কোয়াড নিয়ে কিছু একটা বানিয়ে বলতে পারি।

    নীলক্ষেতের মোড়

    কিন্তু ঝামেলা হচ্ছে নীলক্ষেত এসে ডগ কিংবা ডগ স্কোয়াডের সাথে মিলিয়ে বলার মতো কিছু যুতসই পাই না। তবে যৌথবাহিনীসংক্রান্ত একটা কাহিনীই বলি এই স্থানে। দর্শক ধরে রাখতে একটু ভিন্ন জায়গা থেকে শুরু করি।

    ফ্ল্যাশব্যাক

    একদা নীলক্ষেতের বাকুশাহ মার্কেটে আমার এক পরিচিত আবার আসলে তেমন পরিচিত না ধরণের লোক তসু মিয়ার ব্যানারট্যানার লিখার ছোটখাট দোকান ছিল যে দোকানের নাম জ্ঞরংধনু আর্টসঞ্চ শখ করে রাখা। কাঁটাবন মার্কেট যখন পুরাটা বানানো হয়ে যায় এবং এর ফুল, পশুপাখি, প্রেস আর মটরপার্টসের দোকানগুলূ বরাদ্দ হয়ে যায় তসু মিয়া আবিস্কার করে মার্কেট এবং পাশ্ববর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার এ এফ রহমান ছাত্রহলের প্রভোস্ট মহোদয়ের বাংলোর দেয়ালের মাঝখানে বিদ্যমান একটা ১২ ফিট লম্বা অথচ সাড়ে ৩ ফিট প্রশস্ত জায়গা।



    তসু ১৯৯২ সাল থেকেই এই জায়গাটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে বরাদ্দ নেয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে যে সূত্রে আসলে তার সাথে আমার পরিচয়। সে আসত, এসে তার তৈলাক্ত মাথা নত করে বসে থাকত যদিও তাকে সাহায্য কেউ করেনি কারণ আরো জরুরি কাজ ছিল। তসু হাতজোড় করে বসে থাকত কারণ সেও জানত এ বড় কঠিন ও কিছুটা অন্যায় আব্দার। কিন্তু সে ছিল নাছোড়বান্দা এবং তার চোখ বিশেষত মনে পড়ে মুখে লেগে থাকা হেঁ হেঁ হাসির থেকে দীর্ঘ দূরত্বে দুখি।

    এখানে এসে, সম্পাদক হুড়া দেয়। ঐ মিয়া পশু কই? পশু বাদ দিয়া তসু কেন হে? আমি বলি রসু রসু। শোনৈ না। শেষ পর্যন্ত ঐ প্রশস্ত স্থানে ময়লা কাপড় আর কুকুরের বিষ্ঠা (পশু মিলল তো?) জমতে থাকে ২০০২ এর নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ অবধি। তারপরের কাহিনী বড়ৈ রোমাঞ্চকর। ক্লাইমেক্সের জন্য বেশ ভালো।

    ক্লাইমেক্স

    এতক্ষণ ভালৈ যাচ্ছিল কিন্তু ক্লাইমেক্সে এসে স্ক্রিপ্টে ৩ টা অপশন পেলাম এখন দর্শককে বাছাই করতে দেয়া যায়। মিত্র অ্যারিস্টোটল বলেছিল গল্পের ঘটনাপ্রবাহ সূর্যের এক আবর্তনের মধ্যে শেষ করলে ভালেআ, তবে নিয়মটা একালের স্মৃতিপ্রতিবন্ধী মানুষের পক্ষে শিথিলযোগ্য আশা করি। এদিকে সেও হুড়া দেয়।

    আগের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশের চৌকষ যৌথবাহিনী এϾট্র নেয় ক্লাইমেক্সে। নভেম্বরের ১৯ তারিখ ২০০২ সালে এই বিরক্তিকর বেঁটে ছাপোষা তসুকে ধরে নিয়ে তারা। এখন অপশনগুলো দেয়া যাক।

    (ক) যে সামরিক সদস্যরা তসুকে আটক করেন তরা তার সহযোগী আরজু, কিরন ও সাজুকেও আটক করেন নভেম্বরের ১৯ তারিখ। তারা তসু ও তার দলকে নিয়ে যান আজিমপুর বটতলায় অবৈধ অস্ত্রের খোঁজে। এই সময় অসুস্থ বোধ করতে থাকা তসু কাতর হয়ে এক গ্লাস পানি চায়। রাত ৪ টার দিকে এক আর্মি অফিসার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা দেয়। কিন্তু তসু মিয়ার স্ত্রী বলে সে, অর্থাৎ তসু, কোনো অভিযুক্ত অপরাধী না। তসুর বিরুদ্ধে কখনো কোথাও কোনো মামলাও হয় নাই। সে বলে তার স্বামীকে অমানবিক নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়। তসুর বডিতে পরিস্কার আঘাতের চিহ্নের দেখা মিলে। তসু মিয়ার শিশু কন্যা ইতি সাংবাদিকদের তার বাপের মৃতদেহে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্নগুলো প্রদর্শন করে। (২২ তারিখের প্রথম আলো ও দৈনিক সংবাদ)

    নারী ও শিশুর চেঁচানি ফ্যাচফ্যাচানি ও তজ্জনিত হাঙ্গামা এড়াতে এই ক্লাইমেক্সটা বাদ দেয়া হয়। ২য়টা দেখি।

    (খ) আটকের একদিন পর আর্মি ক্যাম্পে মারা গেল ৪৫ বছরের তসু। সামরিক বাহিনীর দাবী একটা যাত্রীবহনকারী বাসের চাকার তলে পরে তসু অক্কা যায়। (এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের বুলেটিন, ১৪ জানুয়ারি ২০০৩)

    এই ক্লাইমেক্সটা ভালৈ ছিল কিন্তু নিলাম না কারণ মিত্র অ্যারিস্টোটল বলে গেছে ক্লাইমেক্সে ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপ না ঘটানৈ স্বাস্থ্যকর। তাই ৩য়টায় মনযোগী হই।

    (গ) অভিমানী আর্মি সূত্র জানায় রাত ৩টায় যখনো অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে তসুকে নিয়ে তারা কাঁটাবনের হাজির হয় তসু এক তাজ্জব কাণ্ড ঘটায়। সে যৌথবাহিনীকে বলে এই ম্যানহোলের নিচে অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, বলে একটা ম্যানহোল দেখায়, তার ঢাকনা খুলে, এবং তড়িৎ সেখানে আগে থেকেই লোড হয়ে অপেক্ষারত রিভলবার দিয়ে দায়িত্বরত সেনাকর্মকর্তার দিকে গুলি ছুঁড়ে। গুলি সেনা কর্মকর্তা ভীষণ আহত হন। এ কী করল তসু, তিনি ভাবেন। অন্যদিকে তসু তখন এই দৌড়ে রাস্তা ক্রস করতে গিয়ে পরে একটা দ্রুতগামী পিক-আপ ভ্যানের তলে। এবং ভোর ৪ টার দিকে আর্মিসদস্যগণ তাকে হাসপাতালে নিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সবাইকে ব্যর্থ করে দিয়ে তসু মারা যায়। (২২ তারিখের দি ডেইলি স্টার)

    এই ক্লাইমেক্সটা কিন্ত ভালো। কিন্তু সমস্যা হলো পশু নিয়ে গল্প পশু নিয়ে শেষ হলো কি? কী করা যায় কী করা যায় ভাবতে ভাবতেই তসুকেই, হয়ত এতক্ষণে আন্দাজ করেওছেন, একটা পশু বানিয়ে দেয়ার চম্‌ৎকার আইডিয়া আসে। যদিও এই আডিয়াটা মৌলিক না, তাই দু:খ পাই। ২০০২ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ২০০৩ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা টানা ৮৫ দিনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে তসুর মতো আরো ৪৫টি পশুর মৃত্যু ঘটে।

    ১০ বছর চেষ্টা করেও ১২ ফিট লম্বা অথচ সাড়ে ৩ ফিট চওড়া একটা প্রশস্ত জায়গা দখল করতে না পারা ব্যানার শিল্পীর ছদ্মবেশধারী একটা ভয়ংকর পশুকে সশস্ত্র ৫০ হাজার সদস্যের চৌকষ যৌথবাহনী গাড়িচাপার হাত থেকে বাঁচাতে পারে নাই। পশুর মৃত্যু ঘটিলে, মিত্র অ্যারিস্টোটল বলে উচ্চশ্রেণীর নায়কভিন্ন ট্রাজেডি হয় না, অতএব তুমি কমেডি ফাঁদিয়াছ (টু বি কন্টিনিউড ...)

    ।। অসমাপ্ত।।

    ছবি- অনিন্দ্য রহমান
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৬১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন