অনেকদিন বাদের কবির নতুন লেখা , একটু থেমে থেমে ধিরে ধিরে পড়ে ফেল্লাম
পাঠক আর প্রেমিক লেখা দুটো ব্যাপকতম । চারটে কবিতাই ভালো । প্রেম -মৃত্যু - দার্শনিকতা সম্পৃক্ত ও নান্দনিক ।
কবিতা সম্পর্কে মতামত দেবার আমার স্পর্ধা নেই। কবির কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। এখানে লিখেছি সঙ্গের ছবি সম্পর্কে মতামত দেবার জন্য, যেহেতু সেটাও এই পোস্টেরই অঙ্গ। ছবিটা অসম্ভব ভালো লেগেছে।
আহা ! এই সব লেখা পড়ার জন্যেই বোধহয় সাহিত্যে আসা, ভালোবাসা ।
কবি যত প্রাচীন হচ্ছেন তার শব্দের সংখ্যা তত কমে আসছে ..... বেড়ে চলেছে অভিব্যক্তির তীব্রতা .... এই তো চাই ।
'পাঠক' আর 'প্রেমিক' --- এই দুখানা লেখা খুব ভালো লাগলো । গ্রন্থ এই শিরোনামের লেখাটায় রয়েছে -- একটি মোমের মৃত্যুমুখী শিখায় / ঝরে পড়ছে অসংখ্য কাঁচপোকা । তাহলে কি গ্রন্থের আলোকশিখাটি মৃত্যুমুখী? অথচ আমরা তো একে মৃত্যুহীন বলেই ভাবি ! নাকি এখানে সত্যের আলোকবর্তিকার কথা বলা হয়েছে ? যার দিকে সত্যান্বেষীর মতো অসংখ্য বইই উড়ে যাচ্ছে । আর সেটাও মৃত্যুমুখী !! তাহলে এমনকী গ্রন্থকেও কবি টেম্পোরাল ভাবছেন ?
শিখা ভাবলেই কোনও পাঠকের মনে পড়ে যেতে পারে রবীন্দ্রনাথের সেই অমোঘ কল্পনা - আমি সন্ধ্যাদীপের শিখা / অন্ধকারের ললাট-মাঝে পরানু রাজটিকা ... কবি কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়-এর এই লেখাটি পাঠককে আহ্বান করে , তার কপালে ভাবনার অনন্ত টীকা এঁকে দেয় ।
ভালো লেখা । লেখা আরো পরিণত হয়েছে । চারদিকে প্রিয়জনের মৃত্যু । তারই মধ্যে কবি চেতনায় এক অন্য অনুভূতি পেলাম ।
আহা এই দুঃসময়ে বসে মনটাকে একটু শান্ত করা গেল...
পাঠক কবিতাটি ছাড়া আর সব কবিতাগুলিতেই মৃত্যুপ্রসঙ্গ উপস্থিত। স্বাভাবিকভাবেই বিষাদ আছে মৃত্যুর হাত ধরে। প্রেম জ্ঞান সৌন্দর্য --পাঠককে বাদ দিয়ে তিনের বীজমন্ত্র যদি এইভাবে সাজাই তাহলে দেখি প্রত্যেকটির অঙ্গে স্তরায়িত বিষাদ যা বিহবল করে।
এই তন্বী কবিতা চতুষ্টয়ের স্বল্প পরিসরে সুগভীর দার্শনিক প্রত্যয় এই প্রতীতী জন্মায় যে দুধজ্বাল দিতে দিতে ক্ষীর বানাবার প্রকৌশল এখন কবির আয়ত্ত্বাধীন, তিনি প্রাজ্ঞ হয়েছেন! তাঁকে অভিনন্দন !
যে লেখা,যার লেখা পড়লে ঈর্ষা হয়!
ভালো লাগলো