অসাধারণ হয়েছে!
সকালে উঠেই এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। আচ্ছা ওই যে লিখেছেন That proces... starts upon the supposition that when you have eliminated all which is impossible then whatever remains, however, impossible, must be the truth." শেষের দিক থেকে চতুর্থ শব্দটা কি improbable হবে?
@অরিন,
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
@Ujjwal Sen, একদম ঠিক। ওটা improbable হবে। অনেক ধন্যবাদ। ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্যে।
হোমসের টুপি, ফেল্ট হ্যাট নয় ডিয়ার স্টকার, ক্লথ ক্যাপ। যদিও ইনফর্মাল ইংরেজিতে ক্যাপকেও হ্যাট বলে।
খুব সুন্দর লাগল। একই সঙ্গে, ফেলুদাকে (বা সত্যজিৎকে) আপনিও চমৎকার আত্তীকরণ করেছেন এটা বলতেই হচ্ছে। আপনার এই প্যাসটিশটিও সার্থক
স্টোনম্যানের অপেক্ষায় রইলাম
এইরে আপনার নামটা কী করে লিখবো? তা সে যাক।
:)) বাবু, ঠিক বলেছেন। 'ডিয়ার স্টকার হ্যাট' হবে। তোপসেটা মহা বদমাশ। ঠিক্করে শোনেনি।
রৌহিনবাবু, অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়তো আপনাকে হতাশ হতে হবে। স্টোনম্যান আসবে ...
পড়ে অসাধারণ লাগল। হোমস আর ব্যোমকেশের মধ্যে আমিও এরকম মিল পেয়েছিলাম। ডয়েলকে অনুসরণ অনেকেই করেছেন, কিন্তু সাহিত্যে রিয়েলিস্ট পারস্পেকটিভ থেকে সমালোচনার ক্ষেত্রে আমি ডয়েলকে শরদিন্দু, সত্যজিত সবার থেকে এগিয়ে রাখব। কেন? কারণ ডয়েল তার চরিত্রের কাজগুলোর সাথে তার সাইকোলজিকাল প্রোফাইলের সামঞ্জস্য এনেছিলেন, যেটা অধিকতর রিয়ালিস্টিক বা বাস্তব ছিল। আমার জানামতে অন্য কেউই তা সেভাবে দেখাতে পারেননি।
শার্লক হোমসের চরিত্র দিয়েই শুরু করা যাক। ওয়াটসন বলছেন হোমস তার লাইফস্টাইল ও হ্যাবিটে বোহেমিয়ান ধরণের, অর্থাৎ তার লাইফস্টাইল আনকনভেনশনাল। হোমসের অড বিহ্যাভিয়রের কারণে তিনি তাকে একসেন্ট্রিক বলছেন, বলছেন তিনি খুব এলোমেলো ধরণের, ঘর অগোছালো, পারিপাট্যের কোন বালাই নেই.... "The Adventure of the Musgrave Ritual" এ ওয়াটসন তার সম্পর্কে বলছেন, "in his personal habits one of the must untidy men that ever drove a fellow-lodger to distraction. [He] keeps his cigars in the coal-scuttle, his tobacco in the toe end of a Persian slipper, and his unanswered correspondence transfixed by a jack-knife into the very centre of his wooden mantelpiece. ... He had a horror of destroying documents.... Thus month after month his papers accumulated, until every corner of the room was stacked with bundles of manuscript which were on no account to be burned, and which could not be put away save by their owner."
তিনি বলছেন, সাধারণ সময়ে হোমস ঠাণ্ডা আর উত্তেজনাহীন থাকেন, এদিকে ইনভেস্টিগেশনের সময় সাংঘাতিক সতেজ ও উত্তেজিত হয়ে যান। তার মধ্যে শোম্যানশিপ আছে, ইনভেস্টিগেশনের সময় তিনি তার মেথড, এভিডেন্সগুলো থেকে তার ডিডাকশন লুকিয়ে রাখেন, পরে শেষে সেটা বলে অবজার্ভারদেরকে ইমপ্রেস করেন। নৈতিকভাবে জাস্টিফায়াবল মনে হলে তিনি পুলিসকে মিথ্যা বলেন, এভিডেন্স লুকিয়ে রাখেন, অনুমতি ছাড়া কোন বাড়িতে ঢুকে পড়েন, ক্লায়েন্টকে প্রোটেক্ট করতে তিনি নিয়মও ভঙ্গ করেন (এই দিকগুলো কেবল হোমসের মধ্যে না, অন্য অনেকের মধ্যেই দেখা যায়, এগুলো অন্য একটা বিষয় আনার জন্য নিয়ে আসছি।)
ওয়াটসন ছাড়া হোমস অন্য কারও সঙ্গ এড়িয়ে চলেন। গ্লোরিয়া স্কটের কাহিনীতে তিনি বলেছিলেন, গত দুই বছরে তিনি কেবল একজনকেই বন্ধু বানিয়েছেন... "I was never a very sociable fellow, Watson ... I never mixed much with the men of my year"
স্টিমুলেশন বা উদ্দীপনা সৃষ্টি করা কেস না পেলে তিনি হোমস সেই উদ্দীপনার অভাব মেটানোর জন্য ড্রাগ গ্রহণ করেন। কখনও কখনও মরফিন, এমনকি কোকেইন পর্যন্ত ব্যবহার করেন ( দুটোই ১৯ শতকের ইংল্যান্ডে বৈধ ছিল)। ফিজিশিয়ান হিসেবে ওয়াটসন তাকে কোকেইন নিতে নিষেধ করতেন, আর তার এই ড্রাগ ব্যবহারে অতিশয় বিরক্ত ছিলেন। কেস না পেলে তার ক্ষেপাটে হওয়া, ড্রাগ নেয়া ছাড়াও সারাদিন শুয়ে থাকা, ঘুমের কথাও বলা হয়েছে। (শরদিন্দুর লেখায়ও ব্যোমকেশের চা ও সিগরেটের প্রতি আসক্তি ধরা পড়ে, তবে এগুলো ড্রাগের কাছে কিছুই না)।
নারীর প্রতি হোমসের বিশেষ কোন অনুরক্তি ছিল না, ওয়াটসন বলছেন তিনি ব্যাবেজের ক্যালকুলেটিং মেশিনের মত, আর একেবারেই প্রেমে পড়ার মত ব্যক্তি নন। তার কিছু কোটেশন দেখে তাকে নারীবিদ্বেষীও মনে হতে পারে, সেগুলো এখানে আনছি না, সেগুলো ১৯শ, ২০শ শতকের লেখকদের নারীবিদ্বেষ টাইপ আলোচনা বা, লিটারারি ওয়ার্কের ফেমিনিস্ট পারস্পেক্টিভের আলোচনায় আসতে পারে, কিন্তু আমার আগ্রহ এখন কেবলই রিয়ালিস্ট পারস্পেকটিভে।
আরেকটা জিনিসকে আনতেই হবে, সেটা হল তার সিলেক্টিভ নলেজ আর স্কিলের ব্যাপারটা। লিটারেচার, ফিলোসফি, অ্যাস্ট্রোনমি বিষয়ে তার সাধারণ জ্ঞানটুকুও নেই। এমনকি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে তাও জানেন না। পলিটিক্সের জ্ঞান খুবই কম। বোটানির জ্ঞান ভেরিয়েবল, প্র্যাক্টিকেল গার্ডেনিং সম্পর্কে ধারণা নেই, কিন্তু বেলাডোনা, আফিম সহ বিভিন্ন বিষের ব্যাপারে অনেক জানেন। জিওলজির জ্ঞান প্র্যাক্টিকেল কিন্তু সীমাবদ্ধ, মাটি দেখেই কালার, টেক্সচার বুঝে নিয়ে লন্ডনের কোন অঞ্চলের মাটি বলে দিতে পারেন। ব্রিতিশ ল নিয়ে নলেজ ভালো; কেমিস্ট্রি, অ্যানাটমি, সেন্সেশনাল লিটারেচার নিয়ে জ্ঞান অগাধ। ভাল ভায়োলিন বাজাতে পারেন, ভাল সিঙ্গলস্টিক খেলুড়ে, বক্সার ও সর্ডম্যান।
যাই হোক, হোমসের এই চারিত্রিক দিকগুলো আমি আনছি তার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্তে আসার জন্য। তার মধ্যে অড, এক্সেন্ট্রিক বিহ্যাভিয়র দেখা যায়, সামাজিকতার অভাব দেখা যায়, এমপ্যাথির অভাব দেখা যায়। এগুলো তার সোশিওপ্যাথি, এন্টিসোশ্যাল বিহ্যাভিয়রকে চিহ্নিত করে। অন্যদিকে তার শোম্যানশিপ, ড্রাগ ইউস, উত্তেজনাপূর্ণ কিছুর অভাগ, কেস পেলে উত্তেজিত হয়ে যাওয়া, না পেলে ড্রাগ নেয়া, ঘুমিয়ে থাকা, এসব তার ইম্পালসিভনেস আর নার্সিসিজমকে ইঙ্গিত করে। আর মজার ব্যাপার হল শার্লক হোমসের অত্যধিক অ্যানালাইটিকাল ব্রেইন ও ইন্টেলিজেন্সের সাথে এই দুটো ট্রেইটই ভীষণভাবে মেলে।
এটাও একটু স্পষ্ট করা দরকার। আধুনিক বিজ্ঞান অনুসারে মানুষের মস্তিষ্কে দুই ধরণের নেটওয়ার্ক থাকে, টাস্ক পজিটিভ নেটওয়ার্ক আর ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্ক। ২০১০ এর একটা গবেষণায় পড়েছিলাম, বেশিরভাগ মধ্যেই ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্কই প্রধাণত কাজ করে, তবে কম মানুষের ক্ষেত্রে কাজ করে প্রধাণত টাস্ক পজিটিভ নেটওয়ার্ক। ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্কটা সাধারণ বলা যায়, এই নেটওয়ার্কটা কাজ করার সময় যুক্তিত বদলে মানুষ এমপ্যাথি বা সহমর্মিতা - এসব বেশি কাজ করে। তবে তাদের মধ্যে ক্ষেত্র বিশেষে টাস্ক পজিটিভ নেটওয়ার্কও শক্তিশালী হতে পারে। অন্যদিকে যাদের মধ্যে মূলত টাস্ক পজিটিভ নেটওয়ার্ক কাজ করে তাদের চিন্তাধারাই মূলত অ্যানালাইটিকাল। এদের মধ্যে এমপ্যাথি, সাজেস্টিবিলিটি, বিভিন্ন রকমের বায়াস খুব একটা কাজ করে না। অ্যানালাইটিকাল ব্রেইনের জন্য হাই ইন্টেলিজেন্স এদের একটা ভাল দিক বটে, তবে খারাপ দিকটা হচ্ছে এদের এমপ্যাথির অভাব। সহমর্মিতা খুব কম থাকে বলে এরা খুব একটা সামাজিক হয় না। হোমসের মধ্যে এই নেটওয়ার্কের উপস্থিতি স্পষ্ট, এটা এক দিকে তার মধ্যে এনে দিয়েছে প্রচণ্ড বিশ্লেষণী দক্ষতা ও ইন্টেলিজেন্স, অন্যদিকে কেড়ে নিয়েছে তার সহমর্মিতা, সামাজিকতাকে।
অন্যদিকে তার নলেজ আর স্কিলের যে বৈশিষ্ট্যগুলো দেখলাম তার জন্য আসলেই ভাল ইম্পালসিভনেস দরকার, তার জ্ঞানগুলো সব ভাল ডিটেকটিভ হবার জন্য দরকারী। যার দরকার নেই তার ন্যুনতম বিষয়ও তিনি জানেন না। এক্ষেত্রে তিনি বলেন গার্বেজ দিয়ে মাথার জায়গাকে পুরণ না করে দরকারী জিনিস দিয়েই জায়গা পুরণ করা উচিৎ। এই টাইপের সিলেক্টিভ জ্ঞান না থাকলে তিনি ভাল ডিটেক্টিভ হতেও পারতেন না, আর এর জন্য এরকম ইম্পালসিভনেস দরকার। ঘুরিয়ে বললে তার মধ্যে এরকম ইম্পালসিভনেস ছিল বলেই তিনি নিজেকে এভাবে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু এটা সেই সাথে তার মধ্যে অনেক নেতিবাচক বিষয়ও এনে দিয়েছেন। একটি হল তার শোম্যানশিপ, নার্সিসিজম, আর একটি হল উত্তেজনাকর কেস না পেলে তার ড্রাগ নেয়া, অলস জীবন কাটানো।
আর্থার কোনান ডয়েল হোমসের চরিত্রটি তৈরি করার সময় কেবল কেসের প্রয়োজনে দরকারী বৌদ্ধিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলিই নায়কের মধ্যে প্রবেশ করান নি, সেই সাথে সেইসব গুণাবলি আসার জন্য সেই চরিত্রটির মধ্যে কী কী নেতিবাচক গুণও প্রবেশ করবে, তা তার জীবনধারার অন্যান্য বিষয়গুলোতে তা কিরকম প্রভাব ফেলবে সেই বিষয়েও চিন্তা করেছেন। সেই সময় সাইকিয়াট্রি আজকের দিনে এতটা উন্নত ছিল না, তারপরেও ডয়েল এরকম চরিত্র তৈরি করতে পেরেছেন তার অসাধারণ অবজার্ভেশন স্কিলের কারণেই, হয়তো তিনি নিজে একজন ডাক্তার ছিলেন বলেই তা করতে পেরেছিলেন, ডাক্তার ছিলেন বলে তাকে মানুষের ব্যক্তিত্ব, মানসিক অবস্থা নিয়েও জানতে হয়েছিল, স্টাডি করতে হয়েছিল, অবজার্ভ করতে হয়েছিল, আর তাই তার কারণেই তিনি শার্লক হোমসের মত একজন বাস্তব চরিত্রকে তৈরি করতে সক্ষম হন। অন্য অনেকেই তাকে নকল করেছেন, আত্তীকরণ করেছেন, অনুসরণ করেছেন, কিন্তু তাদের সেই নায়কের চরিত্রটি শার্লক হোমসের মত বিশ্লেষণী দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা পেলেও তার হোমসের নেতিবাচকতাগুলো খুব একটা পায়নি, তাই তারা হোমসের মত বাস্তবও হতে পারেন নি, সেই সব চরিত্রস্রষ্টা লেখকরাও ডয়েলের থেকে রিয়ালিস্ট ক্রিটিকে পিছিয়ে পড়েন, তারা ডয়েলের মত করে চরিত্র নির্মাণ করতে পারেন নি বলেই ডয়েলের মহত্ব ও গুরুত্বটা বোঝা যায়।
যাই হোক, বিবিসি Sharlock নামে ২০১০ সালে শার্লক হোমসের একটা মডার্নাইজড অ্যাডাপ্টেশন বের করা শুরু করে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত তারা মোট ১৩টি এপিসোড বের করেছিল। বেনেডিক্ট কাম্বারবাখ শার্লকের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন। আর মূল শার্লকের বৈশিষ্ট্যগুলোও তিনি তার চরিত্রে খুব সুন্দর করে তিনি ফুটিয়ে তুলেছিলেন। সেটা দেখে না থাকলে, দেখার অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ @সুমিত রায়, @dc, @S
ভাললাগা ব্যপারটা ভীষণ আপেক্ষিক। যা আজ ভাল লাগে না, তা কাল হয়তো ভাল লাগতে পারে, তার পরিপ্রেক্ষিত জানতে পারলে। এটাও আমার একটা আপেক্ষিক মন্তব্যই।
তবে, এবিষয়ে একটাই কথা বলতে পারি। যদিও আমি বিশেষজ্ঞ না, একান্তভাবেই পাঠক। তবু... পাঠকেরও তো একটা দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, সেই বিচারে।
আসলে শার্লক হোমসের সৃষ্টিই হয়েছিল, শার্লক হোমসকে 'সুপারম্যান' হিসেবে দেখাতে। কেন? এটা আর এখানে বিস্তারিত ভাবে লিখছি না। এই লেখার দ্বিতীয় পর্বে দেওয়া আছে। সেখান পড়লেই বুঝতে পারবেন 'কেন'র উত্তর।
এরকম ডিটেকটিভ চরিত্র তৈরি করা মানেই একজন সুপারম্যানকে তৈরি করা। এই চরিত্রকে অন্য সবার থেকে অধিক বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা সম্পন্ন হতে হয়। অন্য কেউ যদি তাদের মত ক্ষমতা ধারণ করতই তাহলে তার কাছে কাউকে আসতে হত না। অন্যান্য স্টোরির মত এগুলো লাক নির্ভর না, প্রেডিক্টেবল না, এমন সব কেসই এইসব ডিটেক্টিভদের কাছে আসে যা সাধারণ বুদ্ধির মানুষ ধরতে পারেনা, অনেক সময় এর জন্য লেখক "সুপারহিরো" এর মত "সুপারভিলেইন" তৈরি করে, যেমন জিম মরিয়ার্টি ছিলেন। সুপারম্যান সমস্যা নয়, আমাদের বরং দেখতে হয় সেই সুপারম্যান কতটা বাস্তব, তার চরিত্র কতটা যুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সেটা। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আর্থার কোনান ডয়েল অন্যদের চেয়ে নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকবেন, কেন তা উপরের কমেন্টেই বলেছি। বিবিসির শার্লকেও শার্লক হোমসের চরিত্রকে আর্থার কোনান ডয়েল সুলভ বাস্তবতার ভিত্তিতেই তৈরি করা, তাই সেই শার্লক সুপারম্যান হলেও বাস্তব সুপারম্যান।
মূল লেখা বেশ সুন্দর। কিন্তু ফেলুদার মুখ দিয়ে বলাতে হলো কেন? তাহলে তো ফেলুদা য় শার্লকের ছায়া নিয়ে আলোচনা হবে না লেখাতে। যদিও সত্যজিৎ নিজেই স্বীকার করে গেছেন বারে বারে যে, "গুরু, তুমি ছিলে বলেই আমরা আছি"। তবু প্রশ্নটা থাকে।।
@সৌর
লেখাটা যখন শেষ করি, তখন প্রবন্ধাকারে ছিল। কিন্তু নিরস প্রবন্ধ আদৌ লোকে পড়বে কিনা সন্দেহ ছিল। তাই...
আর বহুদিনের ইচ্ছে ছিল, ফেলুদাকে নিয়ে একটা প্যাসটিস্ লিখবো। সেই ইচ্ছেপূরণ করে ফেল্লুম, আর কি...
একইসঙ্গে, আগাথা ক্রিস্টির মিস মার্পল ও এরকুল পোয়ারোর আলোচনা থাকলে আরও ভালো হতো।