সম্প্রতি মিয়ানমার বিভিন্নভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে বাংলাদেশের সীমানা লঙ্ঘন করছে। এর প্রকৃতি থেকে পরিষ্কার যে এগুলো এক্সিডেন্টাল নয়। এর কারণ কী সেই ব্যাপারেই অনুসন্ধান করার চেষ্টা করা হয়েছে। ... ...
আজকের নিউজ চ্যানেল ঘাটলেই ইরাকের সংঘর্ষের ব্যাপারটা নজরে আসবে। খবরগুলোতে যা বলা হচ্ছে তার সারমর্ম হচ্ছে, প্রভাবশালী শিয়া ক্লেরিক মুকতাদা আল সাদরের রাজনীতি থেকে পদত্যাগের পর তার সমর্থকরা বাগদাদের গ্রিন জোনে, মানে যেখানে প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেস, পার্লামেন্ট, ডিপ্লোমেটিক ভবন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন আছে সেখানে ঢুকে পড়েছে। বাগদাদ ছাড়াও কারবালা, বসরা সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। পুলিস বরাবরের মতই বিক্ষোভ থামাতে ব্যস্ত। ন্যাশনওয়াইড কারফিউ জারি করা হয়েছে। শেষ জানা খবরে ২৩ জন আন্দোলনকারী মারা গেছে। আন্দোলনকারীরা বলছে পার্লামেন্টের ডিজোল্যুশন চান, এই পার্লামেন্ট করাপ্টেড। যাই হোক, আসল পরিস্থিতি কী, কেন এই আন্দোলন, দেশটিতে কী সংকট চলছে তা জানতে একটু পিছিয়ে আপাতত ২০২১ সালের অক্টোবরের ইলেকশনে যেতে হবে। আর তারও কারণ খুঁজলে যেতে হবে সেই ইউএস ইনভ্যাশনে... ... ...
১৪শ শতক হচ্ছে ইউরোপের মধ্যযুগের শেষ শতক। দুর্ভিক্ষ, প্লেগ মহামারির মত নানান বিপর্যয়ে এই শতাব্দি পরিপূর্ণ। এই শতাব্দীতে জনসংখ্যার হ্রাসের ফলে ইউরোপের কৃষি, বাণিজ্য, শিল্পোৎপাদন সব কিছুতেই বিপর্যয় নেমে আসে। কিন্তু এই বিপর্যয়ের মাঝেই হয়তো আধুনিক যুগের উত্থানের বীজ নিহিত ছিল। এই বিপর্যয়ের প্রভাবের পতন ঘটে তদকালীন সামন্ততন্ত্রের। প্রচুর কৃষক-শ্রমিকের মৃত্যু ঘটলেও যারা বেঁচে যায় তারা হয়ে ওঠে আগের থেকেও বেশি স্বাধীন, জীবনযাত্রার মান হয় আগের থেকেও উন্নত। এই শতাব্দীর বিপর্যয় আবার প্রভাবিত করেছিল পরের শতকের সমুদ্রযাত্রা, ভারত আবিষ্কার ও এর সাথে বাণিজ্যকে। সব মিলে পৃথিবীর ইতিহাসে এই শতাব্দীর গুরুত্ব অনেক। তাই ইউরোপের ১৪শ শতক সম্পর্কে জানতে চাইলে এই নিবন্ধটি পড়ুন (আগাম সতর্কতা - এই লেখায় সাহিত্যরসের ঘাটতি আছে)। ... ...
২০১৬ সালের ইন্ডিয়া টুডে এর একটি সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অ্যাপলের কো-ফাউন্ডার স্টিভ ওজনিয়াক বলছেন "ভারতীয়রা কঠিন পড়াশোনা করে এবং এমবিএ পায়, মার্সিডিজ কিনতে পারে ,কিন্তু সতাদের মধ্যে সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে"। প্রতিবেদনটির প্রথম অনুচ্ছেদটির অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, "ভারতীয়রা সৃজনশীল হতে পারে না। ভারতেও অনেক মানুষ এই সন্দেহ করেছে। এখন এটা অ্যাপলের আরেক স্টিভ, স্টিভ ওজনিয়াকেরও মতামত। ওজনিয়াক ওরফে ওজ, যিনি অ্যাপলের প্রথম কম্পিউটার অ্যাপল ১ এর পেছনে ছিলেন এবং স্টিভ জবসের সাথে কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা, তিনি বলেন যে ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা অধ্যয়নশীলতা-ভিত্তিক ( based around studiousness), কিন্তু তা সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে না।" ... ...
এই বছরের ২৮ ও ২৯শে আগস্ট মুসলিমদের, বিশেষ করে শিয়া মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় পবিত্র দিবস আশুরা উদযাপিত হচ্ছে। ইসলামিক পঞ্জিকা অনুযায়ী মুহররম এর দশম দিনকে আশুরা বলা হয়। সুন্নি মতানুযায়ী ইহুদীরা মুসার বিজয়ের স্মরণে আশুরার সাওম বা রোজা পালন করত। তবে শিয়া মত আশুরার পূর্ব ইতিহাসকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তারা আশুরাকে কারবালার বিষাদময় ঘটনার স্মরণে পালন করে। এই দিনটি শিয়া মুসলমানদের দ্বারা বেশ আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে তারা বিভিন্ন ধরনের মিছিল, মাতম ও শোকানুষ্ঠান আয়োজন করে। তবে একটি ক্ষুদ্র অংশ তদবীর পালন করে থাকে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, লেবানন ও বাহরাইনের শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে এসব অনুষ্ঠান চোখে পড়ার মত। ... ...