স্পষ্ট ও অসাধারণ বক্তব্য। সত্যিই উপমহাদেশের মানুষকে আরো অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। নইলে জ্ঞান আর অজ্ঞানের বিভাজন শুধু বাড়তেই থাকবে। গুরুবাদ কে ছেড়ে যুক্তি তর্ক বিকাশের খুব প্রয়োজন। দরকার ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং।
সোশ্যাল মিডিয়া আসার শুরুর দিকে লোকে যেমন ভেবেছিল মুক্ত চিন্তার এক পরিসর পাওয়া যাবে, কিছুদিনের মধ্যেই দেখা গেল প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া যে গুলো , মেষ চারণ ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। মৌলবাদী গোঁড়া বিশ্বাস কে আরো সহজে আরো দূরে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। আরো লাখো ভক্ত কে জড়ো করা যাচ্ছে, পাথর ছোড়া যাচ্ছে অবিশ্বাসী র গায়ে ট্রোলিং বা বুলিং এর মাধ্যমে।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যুমেরাং হয়ে গ্যাছে।
এখন জনসংহতি তৈরির জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আর কোন উপায় অবশিষ্ট নেই। এই যুগে বইপত্র লিখে পরিবর্তন আনতে চাওয়া মানে গানফাইটে ছুড়ি নিয়ে যাওয়ার মতো। সোশ্যাল মিডিয়া একটা শিটহোল এটা বুঝে নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় জনসংহতি ও পাবলিকদের মধ্যে পৌঁছানোর স্ট্র্যাটেজি বের করতে হবে। আর কোন উপায় সামনে খোলা দেখিনা।..
মাধ্যমটি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে । চব্বিশঘন্টা ড্যাশনৃত্য চলছে । এই জিনিসের উপরে দাঁড়িয়ে কিছু করাই তো ---ইয়ে মানে---
সোশ্যাল মিডিয়ার এই আয়নাঘর এই ইকো-চেম্বার ছেড়ে না বেরিয়ে এলে জোরালো কোনো সদর্থক পরিবর্তন সম্ভব না।
আপনি বেরোলেও তো আর সাধারণ মানুষ বেরোবেনা। আর সাধারণ মানুষকেই যদি পাশে না পান তাহলে পরিবর্তন আনবেন কিভাবে? এলিট থিওরি ডেভলপ করার সময় ভিলফ্রেডো প্যারেটো আর গায়তানো মস্কা বলেছিলেন জনসংহতির জন্য এলিটদেরই সাধারণ মানুষের কাছে যেতে হয়। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে এলিটগিরি ফলাতে পারি কিন্তু সাধারণ মানুষ সেখানেই থাকবে আর সেখান থেকে বের হয়ে এসে আর যাই হোক জনসংহতি বা পরিবর্তন কোনটাই আনা যাবে না। (কমা চিহ্নটা কেন কমেন্টে ব্যবহার করা যাচ্ছেনা বুঝতে পারছিনা)।
কেবল সোশাল মিডিয়ায় উপস্থিত লোকেরাই জনগণ নন, এর বাইরে বিপুল সংখ্যক মানুষ আছেন।
আফনে মার্কস নিয়া কথা কইলেন। মার্কস ব্লুমেনবাখ রে কইছিলেন প্রগ্রেসিভ থিংকার। আর হেই ব্লুমেবাখ রেস বা বর্ণ বান্দের পুরোধা মানুষ। তাঁর শিশ্য আছিল পেটারসন জারে আবার রাজা রাম মোহন রায় মাথার খুলি বিলাতে পাঠাই দিয়া গবেষণা কাজে সাহায় করেছেন। মার্কস দরকার আছে কী না এখন আফেনি কন। মেইল দিতে পারেন ।