এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • #বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ (২) - প্রথম পর্ব #নব্বই মিনিট পর#বেরসিক 

    প্রলয় বসু লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ অক্টোবর ২০২০ | ১২২৫ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • #বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ (২) - প্রথম পর্ব 


    #নব্বই মিনিট পর


    #বেরসিক 


    ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ আসছে, তাই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবল নিয়ে কতগুলো জিনিস। এর আগে একটা লেখা বিশ্বকাপের 'ড্রিম-টিম' নিয়ে লেখা হয়েছিল। সেটা দিয়েই এই সিরিজের শুরু ছিল। এটা সেই সিরিজেরই অংশ। 


    ফুটবল নব্বই মিনিটের খেলা। বছরের পর বছরের পরিশ্রমের নিষ্পত্তি হয় এই নব্বই মিনিটে। নব্বই মিনিট ধরে স্পিড (গতি), পাওয়ার (শক্তি), পারফরম্যান্স (কর্মক্ষমতা), স্কিল (দক্ষতা), স্ট্যামিনা (মানসিক শক্তি), ট্যাকটিক্স (কৌশল)-এর টক্কর দেখলেও ফুটবলের মূল আকর্ষণ গোল। অবশ্য শুধুই গোল না। দেখতে চায়, প্রিয় দলের জয়। অমীমাংসিত খেলা কেউই দেখতে চায় না। তাই, খেলায় যদি এই নব্বই মিনিটের মধ্যে কোন নির্ণায়ক ফলাফল হয়, অর্থাৎ কোন একটি দল, আরেকটি দলের তুলনায় বেশী গোল করে তাহলে, খেলা শেষ। না হলে? না হলে, অনন্তকাল ধরে তো আর খেলা চলতে পারে না। খেলার মীমাংসা তো অবশ্যম্ভাবী। হতেই হবে। করতেই হবে। বিশ্বকাপ তো আর দুটো দলের খেলা না। বিভিন্ন পর্যায়ের পর চূড়ান্ত খেলা, ফাইনাল। তাই, একটি দলকে জিততেই হবে। একের পর এক পর্যায় টপকাতে হবে। হার-জিত খেলার অঙ্গ। বিভিন্ন বিশ্বকাপে, বিভিন্ন নিয়ম-কানুন ছিল, তা দেখেছি। তাই, এখানে নিয়ম-কানুন বাদ দিয়ে একটা অন্য জিনিস দেখা যাক। নব্বই মিনিটের ফলাফল নিয়ে - 


    ১৯৩০ সাল। উরুগুয়ে। 


    এই বিশ্বকাপে কোন ম্যাচ (১৮ টি) নির্ধারিত নব্বই মিনিটের পরে অমীমাংসিত থাকেনি, পুলের রাউন্ড-রবিন লিগের পনেরোটি ম্যাচ এবং তিনটি নক-আউট (দুটি সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল) ম্যাচ। প্রতিটি ম্যাচের নিষ্পত্তি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হয়েছিল। ১৮-১৮-০-০-০-০ 


    ১৯৩৪ সাল। ইটালি। 


    প্রথম রাউন্ডের (নক-আউট পর্ব) আটটি ম্যাচের একটি ম্যাচ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মীমাংসা না হওয়ায়, খেলা অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গড়িয়েছিল। 


    অস্টিয়া-ফ্রান্স: ৩-২ (১-১), এইটি*


    কোয়ার্টার-ফাইনালে চারটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময় এবং এরপরে অতিরিক্ত সময়েও (ত্রিশ মিনিট) নিষ্পত্তি না হওয়ায়, রি-প্লে খেলতে হয়েছিল, পরের দিন। 


    ইটালি-স্পেন: ১-১ (১-১), এইটি*; ১-০


    ফাইনালের ফলাফল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। 


    ইটালি-চেকোস্লোলাকিয়া: ২-১ (১-১), এইটি* 


    সুতরাং, মোট সতেরোটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। তিনটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। দুইটি ক্ষেত্রে সেখানেই ফলাফল নিষ্পত্তি হয়। একটি ম্যাচের ফলাফল সেখানেও না হওয়ায়, রি-প্লে খেলতে হয়েছিল।


    *এইটি = aet = after extra time 


    ১৯৩৮ সাল। ফ্রান্স। 


    প্রথম রাউন্ডের আটটি ম্যাচের মধ্যে (সাতটি হয়েছিল। অস্টিয়া অংশগ্রহণ না করতে পারার কারণে) পাঁচটির ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে মীমাংসা না হওয়ায়, খেলা অতিরিক্ত সময় অবধি গড়িয়েছিল। দুটি ক্ষেত্রে, সেখানেও ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, রি-প্লে খেলতে হয়েছিল। 


    সুইজারল্যান্ড-জার্মানি: ১-১ (১-১), এইটি; ৪-২


    কিউবা-রোমানিয়া: ৩-৩ (২-২), এইটি; ২-১


    ইটালি-নরওয়ে: ২-১ (১-১), এইটি


    ব্রাজিল-পোল্যান্ড: ৬-৫ (৪-৪), এইটি


    চেকোস্লোভাকিয়া-নেদারল্যান্ডস: ৩-০ (০-০), এইটি 


    কোয়ার্টার-ফাইনালের চারটি ম্যাচের একটি ম্যাচে খেলা অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু সেখানেও ফলাফল নির্ধারণ হয়নি, ফলে রি-প্লে খেলতে হয়। 


    ব্রাজিল-চেকোস্লোভাকিয়া: ১-১ (১-১), এইটি; ২-১ 


    সুতরাং, মোট আঠেরোটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। ছয়টি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। তিনটি ক্ষেত্রে সেখানেই ফলাফল নিষ্পত্তি হয়। তিনটি ম্যাচের ফলাফল সেখানেও না হওয়ায়, রি-প্লে খেলতে হয়েছিল।


    ১৯৫০ সাল। ব্রাজিল। 


    প্রথম রাউন্ডের ষোলটি পুল লিগ খেলার মধ্যে দুটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল। 


    ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড: ২-২


    সুইডেন-প্যারাগুয়ে: ২-২ 


    ফাইনাল রাউন্ডের খেলায়, ছয়টি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল। 


    উরুগুয়ে-স্পেন: ২-২ 


    সুতরাং, মোট বাইশটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। কোন ম্যাচেই অতিরিক্ত সময় খেলা হয়নি।


    ১৯৫৪ সাল। সুইজারল্যান্ড। 


    প্রথম রাউন্ডের পুলের খেলায়, ষোলটি ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচের ফলাফল, নব্বই মিনিটের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল হয়নি। 


    ব্রাজিল-যুগোস্লাভিয়া: ১-১ (১-১), এইটি 


    ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম: ৪-৪ (৩-৩), এইটি


    দুটি সেমি-ফাইনালের একটি অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত গড়িয়েছিল। 


    হাঙ্গেরি-উরুগুয়ে: ৪-২ (২-২), এইটি 


    সুতরাং, মোট ছাব্বিশটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। তিনটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। একটি ক্ষেত্রে সেখানেই ফলাফল নিষ্পত্তি হয়।


    ১৯৫৮ সাল। সুইডেন। 


    পুলের খেলায়, চব্বিশটি ম্যাচের মধ্যে নয়টা ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    পঃজার্মানি-চেকোস্লোভাকিয়া: ২-২ 


    পঃজার্মানি-নর্দান আয়ারল্যান্ড: ২-২ 


    যুগোস্লাভিয়া-স্কটল্যান্ড: ১-১ 


    যুগোস্লাভিয়া-প্যারাগুয়ে: ৩-৩


    ওয়েলস-হাঙ্গেরি: ১-১ 


    ওয়েলস-মেক্সিকো: ১-১ 


    ওয়েলস-সুইডেন: ০-০ 


    ইংল্যান্ড-সোভিয়েত ইউনিয়ন: ২-২ 


    ইংল্যান্ড-ব্রাজিল: ০-০ 


    পুল ১-এ, প্লে-অফ ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছিল। 


    নর্দান আয়ারল্যান্ড-চেকোস্লোভাকিয়া: ২-১ (১-১), এইটি 


    কোয়ার্টার-ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল, ফাইনাল বা তৃতীয় স্থানাধিকারীর কোন ম্যাচই অতিরিক্ত সময় অবধি গড়ায় নি। 


    সুতরাং, মোট পঁয়ত্রিশটি ম্যাচের মধ্যে দশটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। একটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই একটি ক্ষেত্রে সেখানেই ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়। 


    ১৯৬২ সাল। চিলি। 


    গ্রুপের খেলায়, চব্বিশটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটা ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    সোভিয়েত ইউনিয়ন-কলম্বিয়া: ৪-৪ 


    পঃজার্মানি-ইটালি: ০-০ 


    ব্রাজিল-চেকোস্লোভাকিয়া: ০-০ 


    হাঙ্গেরি-আর্জেন্টিনা: ০-০ 


    ইংল্যান্ড-বুলগেরিয়া: ০-০ 


    কোয়ার্টার-ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল, তৃতীয় স্থানাধিকারীর ম্যাচ, ফাইনাল সরাসরি নব্বই মিনিটের মধ্যে মীমাংসা হয়। 


    সুতরাং, মোট বত্রিশটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। কোন ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়নি।


    ১৯৬৬ সাল। ইংল্যান্ড। 


    গ্রুপের খেলায়, চব্বিশটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটা ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    ইংল্যান্ড-উরুগুয়ে: ০-০ 


    ফ্রান্স-মেক্সিকো: ১-১ 


    উরুগুয়ে-মেক্সিকো: ০-০ 


    পঃজার্মানি-আর্জেন্টিনা: ০-০ 


    উঃকোরিয়া-চিলি:১-১ 


    ফাইনাল ছাড়া আর সমস্ত ম্যাচই নির্ধারিত সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল। ফাইনালে অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিট খেলতে হয়। 


    ইংল্যান্ড-পঃজার্মানি: ৪-২ (২-২), এইটি 


    সুতরাং, মোট বত্রিশটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। একটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই একটি ক্ষেত্রে সেখানেই ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়।


    ১৯৭০ সাল। মেক্সিকো। 


    গ্রুপের খেলায়, চব্বিশটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটা ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    সোভিয়েত ইউনিয়ন-মেক্সিকো: ০-০ 


    ইটালি-উরুগুয়ে: ০-০ 


    সুইডেন-ইসরায়েল: ১-১ 


    ইটালি-ইসরায়েল: ০-০ 


    বুলগেরিয়া-মরক্কো: ১-১ 


    চারটি কোয়ার্টার-ফাইনালের দুটি নির্ধারিত সময়ে খেলা অমীমাংসিত ছিল। ফলে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। 


    পঃজার্মানি-ইংল্যান্ড: ৩-২ (২-২), এইটি 


    উরুগুয়ে-সোভিয়েত ইউনিয়ন: ১-০ (০-০), এইটি 


    দুটি সেমি-ফাইনালের একটি নির্ধারিত সময়ে খেলা অমীমাংসিত ছিল। ফলে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। 


    ইটালি-পঃজার্মানি: ৪-৩ (১-১), এইটি 


    সুতরাং, মোট বত্রিশটি ম্যাচের মধ্যে আটটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। তিনটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই তিনটি ক্ষেত্রেই সেখানেই ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়।


    ১৯৭৪ সাল। পঃজার্মানি। 


    গ্রুপের খেলায়, চব্বিশটি ম্যাচের মধ্যে নয়টা ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    চিলি-পূর্ব জার্মানি: ১-১


    চিলি-অস্ট্রেলিয়া: ০-০ 


    ব্রাজিল-যুগোস্লাভিয়া: ০-০ 


    ব্রাজিল-স্কটল্যান্ড: ০-০ 


    যুগোস্লাভিয়া-স্কটল্যান্ড: ১-১ 


    সুইডেন-বুলগেরিয়া: ০-০ 


    সুইডেন-নেদারল্যান্ডস: ০-০ 


    বুলগেরিয়া-উরুগুয়ে: ১-১ 


    আর্জেন্টিনা-ইটালি: ১-১ 


    সেকেন্ড রাউন্ডের খেলায়, বারোটি ম্যাচের একটা ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    আর্জেন্টিনা-পূর্ব জার্মানি: ১-১ 


    সুতরাং, মোট আটত্রিশটি ম্যাচের মধ্যে দশটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। কোন ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়নি।


    ১৯৭৮ সাল। আর্জেন্টিনা। 


    গ্রুপের খেলায়, চব্বিশটি ম্যাচের মধ্যে ছয়টি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    পঃজার্মানি-পোল্যান্ড: ০-০ 


    পঃজার্মানি-টিউনিসিয়া: ০-০ 


    ব্রাজিল-সুইডেন: ১-১ 


    ব্রাজিল-স্পেন: ০-০ 


    স্কটল্যান্ড-ইরান: ১-১ 


    নেদারল্যান্ডস-পেরু: ০-০ 


    সেকেন্ড রাউন্ডের খেলায়, বারোটি ম্যাচের তিনটি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    পঃজার্মানি-ইটালি: ০-০ 


    পঃজার্মানি-নেদারল্যান্ডস: ২-২ 


    ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা: ০-০ 


    ফাইনাল নির্ধারিত সময়ে নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। 


    আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস: ৩-১ (১-১), এইটি 


    সুতরাং, মোট আটত্রিশটি ম্যাচের মধ্যে দশটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। একটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই একটি ক্ষেত্রেই সেখানেই ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়।


    ১৯৮২ সাল। স্পেন। 


    গ্রুপের খেলায়, ছত্রিশটি ম্যাচের মধ্যে এগারোটি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    ইটালি-পোল্যান্ড: ০-০ 


    পেরু-ক্যামেরুন: ০-০


    ইটালি-পেরু: ১-১ 


    পোল্যান্ড-ক্যামেরুন: ০-০ 


    ইটালি-ক্যামেরুন: ১-১ 


    চেকোস্লোভাকিয়া-কুয়েত: ১-১ 


    ফ্রান্স-চেকোস্লোভাকিয়া: ১-১ 


    স্পেন-হন্ডুরাস: ১-১ 


    যুগোস্লাভিয়া-নর্দান আয়ারল্যান্ড: ০-০ 


    নর্দান আয়ারল্যান্ড-হন্ডুরাস: ১-১ 


    সোভিয়েত ইউনিয়ন-স্কটল্যান্ড: ২-২ 


    সেকেন্ড রাউন্ডের খেলায়, বারোটি ম্যাচের মধ্যে চারটি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    পোল্যান্ড-সোভিয়েত ইউনিয়ন: ০-০ 


    পঃজার্মানি-ইংল্যান্ড: ০-০ 


    ইংল্যান্ড-স্পেন: ০-০ 


    অস্ট্রেলিয়া-নর্দান আয়ারল্যান্ড: ২-২ 


    একটি সেমি-ফাইনাল নব্বই মিনিটের মধ্যে নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয় এবং সেখানেও ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায় প্রথমবারের জন্যে পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়, 


    পঃজার্মানি-ফ্রান্স: ৩-৩ (১-১), এইটি; ৫-৪, পিএসও* 


    *পিএসও = pso = penalty shoot-out 


    সুতরাং, মোট বাহান্নটি ম্যাচের মধ্যে ষোলটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। একটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই একটি ক্ষেত্রে সেখানে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়।


    ১৯৮৬ সাল। মেক্সিকো। 


    গ্রুপের খেলায়, ছত্রিশটি ম্যাচের মধ্যে এগারোটি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    ইটালি-বুলগেরিয়া: ১-১ 


    ইটালি-আর্জেন্টিনা: ১-১ 


    বুলগেরিয়া-দঃ কোরিয়া: ১-১ 


    মেক্সিকো-প্যারাগুয়ে: ১-১ 


    বেলজিয়াম-প্যারাগুয়ে: ২-২ 


    ফ্রান্স:সোভিয়েত ইউনিয়ন: ১-১ 


    আলজিরিয়া-নর্দান আয়ারল্যান্ড: ১-১ 


    পঃজার্মানি-উরুগুয়ে: ১-১ 


    উরুগুয়ে-স্কটল্যান্ড: ০-০ 


    পোল্যান্ড-মরক্কো: ০-০ 


    ইংল্যান্ড-মরক্কো: ০-০ 


    রাউন্ড অফ ১৬-এর খেলায়, আটটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। 


    বেলজিয়াম-সোভিয়েত ইউনিয়ন: ৪-৩ (২-২), এইটি 


    কোয়ার্টার-ফাইনালের, চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। সেই তিনটি ক্ষেত্রেই ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, অতিরিক্ত সময়ের পরেও। ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ফ্রান্স-ব্রাজিল: ১-১ (১-১), এইটি; ৪-৩, পিএসও 


    পঃজার্মানি-মেক্সিকো: ০-০, এইটি; ৪-১, পিএসও


    বেলজিয়াম-স্পেন: ১-১ (১-১), এইটি; ৫-৪, পিএসও 


    তৃতীয় স্থানাধিকারীর ম্যাচটিও, অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। খেলতে হয় অতিরিক্ত সময়। 


    ফ্রান্স-বেলজিয়াম: ৪-২ (২-২), এইটি 


    সুতরাং, মোট বাহান্নটি ম্যাচের মধ্যে ষোলটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। পাঁচটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই পাঁচটি ম্যাচের, তিনটি ক্ষেত্রে সেখানে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়। 


    ১৯৯০ সাল। ইটালি। 


    গ্রুপের খেলায়, ছত্রিশটি ম্যাচের মধ্যে আটটি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    আর্জেন্টিনা-রোমানিয়া: ১-১ 


    পঃজার্মানি-কলম্বিয়া: ১-১ 


    উরুগুয়ে-স্পেন: ০-০ 


    ইংল্যান্ড-রিঃ আয়ারল্যান্ড: ১-১ 


    নেদারল্যান্ডস-ইজিপ্ট: ১-১ 


    ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস: ০-০ 


    রিঃ আয়ারল্যান্ড-ইজিপ্ট: ০-০ 


    নেদারল্যান্ডস-রিঃ আয়ারল্যান্ড: ১-১ 


    রাউন্ড অফ ১৬-এর খেলায়, আটটি ম্যাচের মধ্যে চারটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। একটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল নির্ধারণ হয়নি, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ক্যামেরুন-কলম্বিয়া: ২-১ (০-০), এইটি 


    রিঃ আয়ারল্যান্ড-ইজিপ্ট: ০-০, এইটি; ৫-৪, পিএসও 


    যুগোস্লাভিয়া-স্পেন: ২-১ (১-১), এইটি 


    ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম: ১-০, এইটি 


    কোয়ার্টার-ফাইনালের, চারটি ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। একটি ক্ষেত্রে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, অতিরিক্ত সময়ের পরেও, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    আর্জেন্টিনা-যুগোস্লাভিয়া: ০-০, এইটি; ৩-২, পিএসও 


    ইংল্যান্ড-ক্যামেরুন: ৩-২ (২-২), এইটি 


    দুইটি সেমি-ফাইনালের কোনটির ক্ষেত্রেই, নির্ধারিত সময়ে ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেখানেও, ফলাফল নির্ধারিত হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    আর্জেন্টিনা-ইটালি: ১-১ (১-১), এইটি; ৪-৩ পিএসও 


    পঃজার্মানি-ইংল্যান্ড: ১-১ (১-১), এইটি; ৪-৩ পিএসও 


    সুতরাং, মোট বাহান্নটি ম্যাচের মধ্যে ষোলটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। আটটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই আটটি ম্যাচের, চারটি ক্ষেত্রে সেখানে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়। 


    ১৯৯৪ সাল। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। 


    গ্রুপের খেলায়, ছত্রিশটি ম্যাচের মধ্যে আটটি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    সুইজারল্যান্ড-ইউএসএ: ১-১ 


    সুইডেন-ক্যামেরুন: ২-২ 


    ব্রাজিল-সুইডেন: ১-১ 


    স্পেন-দঃ কোরিয়া: ২-২ 


    জার্মানি-স্পেন: ১-১ 


    দঃ কোরিয়া-বলিভিয়া: ০-০ 


    রিঃ আয়ারল্যান্ড-নরওয়ে: ০-০ 


    ইটালি-মেক্সিকো: ১-১ 


    রাউন্ড অফ ১৬-এর খেলায়, আটটি ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। একটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল নির্ধারণ হয়নি, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ইটালি-নাইজেরিয়া:২-১ (১-১), এইটি 


    বুলগেরিয়া-মেক্সিকো: ১-১ (১-১), এইটি; ৩-১, পিএসও 


    কোয়ার্টার-ফাইনালের, চারটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, অতিরিক্ত সময়ের পরেও, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    সুইডেন-রোমানিয়া: ২-২ (১-১), এইটি; ৫-৪, পিএসও 


    ফাইনাল ম্যাচে, নির্ধারিত সময়ে ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেখানেও, ফলাফল নির্ধারিত হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ব্রাজিল-ইটালি: ০-০, এইটি; ৩-২, পিএসও 


    সুতরাং, মোট বাহান্নটি ম্যাচের মধ্যে বারোটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। চারটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই চারটি ম্যাচের, দুটি ক্ষেত্রে সেখানে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়। 


    ১৯৯৮ সাল। ফ্রান্স। 


    গ্রুপের খেলায়, আটচল্লিশটি ম্যাচের মধ্যে ষোলটি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    নরওয়ে-মরক্কো: ২-২ 


    স্কটল্যান্ড-নরওয়ে: ১-১ 


    ক্যামেরুন-অস্ট্রিয়া: ১-১ 


    ইটালি-চিলি: ২-২ 


    অস্ট্রিয়া-চিলি: ১-১ 


    চিলি-ক্যামেরুন: ১-১ 


    ডেনমার্ক-সাউথ আফ্রিকা: ১-১ 


    সাউথ আফ্রিকা-সৌদি আরব: ২-২ 


    বুলগেরিয়া-প্যারাগুয়ে: ০-০ 


    স্পেন-প্যারাগুয়ে: ০-০ 


    নেদারল্যান্ডস-বেলজিয়াম: ০-০ 


    বেলজিয়াম-মেক্সিকো: ২-২ 


    বেলজিয়াম-দঃ কোরিয়া: ১-১ 


    নেদারল্যান্ডস-মেক্সিকো: ২-২ 


    জার্মানি-যুগোস্লাভিয়া: ২-২ 


    রোমানিয়া-তিউনিশিয়া: ১-১ 


    রাউন্ড অফ ১৬-এর খেলায়, আটটি ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। একটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল নির্ধারণ হয়নি, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ফ্রান্স-প্যারাগুয়ে: ১-০ (০-০), এইটি 


    আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড: ২-২ (২-২), এইটি; ৪-৩, পিএসও 


    কোয়ার্টার-ফাইনালের, চারটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, অতিরিক্ত সময়ের পরেও, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ফ্রান্স-ইটালি: ০-০, এইটি; ৪-৩, পিএসও 


    দুটি সেমি-ফাইনালের, একটিতে নির্ধারিত সময়ে ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেখানেও, ফলাফল নির্ধারিত হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ব্রাজিল-নেদারল্যান্ডস: ১-১ (১-১), এইটি; ৪-২, পিএসও 


    সুতরাং, মোট চৌষট্টিটি ম্যাচের মধ্যে কুড়িটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। চারটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই চারটি ম্যাচের, তিনটি ক্ষেত্রে সেখানে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়। 


    ২০০২ সাল। সাউথ কোরিয়া ও জাপান। 


    গ্রুপের খেলায়, আটচল্লিশটি ম্যাচের মধ্যে চৌদ্দটি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    ফ্রান্স-উরুগুয়ে: ০-০ 


    ডেনমার্ক-সেনেগাল: ১-১ 


    উরুগুয়ে-সেনেগাল: ৩-৩ 


    প্যারাগুয়ে-সাঃ আফ্রিকা: ২-২ 


    কোস্টারিকা-তুর্কি: ১-১ 


    দঃ কোরিয়া-ইউএসএ: ১-১ 


    রিঃ আয়ারল্যান্ড-ক্যামেরুন: ১-১ 


    জার্মানি-রিঃ আয়ারল্যান্ড: ১-১ 


    ইংল্যান্ড-সুইডেন: ১-১ 


    আর্জেন্টিনা-সুইডেন: ১-১ 


    ইংল্যান্ড-নাইজেরিয়া: ০-০ 


    ইটালি-মেক্সিকো: ১-১ 


    বেলজিয়াম-জাপান: ২-২ 


    বেলজিয়াম-তিউনিশিয়া: ১-১ 


    রাউন্ড অফ ১৬-এর খেলায়, আটটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। একটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল নির্ধারণ হয়নি, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    সেনেগাল-সুইডেন: ২-১ (১-১), এইটি 


    স্পেন: রিঃ আয়ারল্যান্ড: ১-১ (১-১), এইটি; ৩-২, পিএসও 


    দঃ কোরিয়া-ইটালি: ২-১ (১-১), এইটি 


    কোয়ার্টার-ফাইনালের, চারটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, অতিরিক্ত সময়ের পরেও, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    দঃ কোরিয়া-স্পেন: ০-০, এইটি; ৫-৩, পিএসও 


    সুতরাং, মোট চৌষট্টিটি ম্যাচের মধ্যে আঠারোটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। চারটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই চারটি ম্যাচের, দুটি ক্ষেত্রে সেখানে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়। 


    ২০০৬ সাল। জার্মানি। 


    গ্রুপের খেলায়, আটচল্লিশটি ম্যাচের মধ্যে এগারোটি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    সুইডেন-ত্রিনিদাদ ও টোবাগো: ০-০ 


    ইংল্যান্ড-সুইডেন: ২-২ 


    আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস: ০-০ 


    মেক্সিকো-অ্যাঙ্গোলা: ০-০ 


    ইরান-অ্যাঙ্গোলা: ১-১ 


    ইটালি-ইউএসএ: ১-১ 


    জাপান-ক্রোয়েশিয়া: ০-০ 


    ক্রোয়েশিয়া-অস্ট্রেলিয়া: ২-২ 


    ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ড: ০-০ 


    ফ্রান্স-দঃ কোরিয়া: ১-১ 


    সৌদি আরব-তিউনিশিয়া: ২-২ 


    রাউন্ড অফ ১৬-এর খেলায়, আটটি ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। একটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল নির্ধারণ হয়নি, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো: ২-১ (১-১), এইটি 


    ইউক্রেন-সুইজারল্যান্ড: ০-০, এইটি; ৩-০, পিএসও 


    কোয়ার্টার-ফাইনালের, চারটি ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, অতিরিক্ত সময়ের পরেও, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    জার্মানি-আর্জেন্টিনা: ১-১ (১-১), এইটি; ৪-২, পিএসও 


    পর্তুগাল-ইংল্যান্ড: ০-০, এইটি; ৩-১, পিএসও 


    দুটি সেমি-ফাইনালের, একটিতে নির্ধারিত সময়ে ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। 


    ইটালি-জার্মানি: ২-০, এইটি 


    ফাইনাল ম্যাচে, নির্ধারিত সময়ে ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেখানেও, ফলাফল নির্ধারিত হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ইটালি-ফ্রান্স: ১-১ (১-১), এইটি; ৫-৩, পিএসও 


    সুতরাং, মোট চৌষট্টিটি ম্যাচের মধ্যে সতেরোটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। ছয়টি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই ছয়টি ম্যাচের, চারটি ক্ষেত্রে সেখানে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়। 


    ২০১০ সাল। দক্ষিণ আফ্রিকা। 


    গ্রুপের খেলায়, আটচল্লিশটি ম্যাচের মধ্যে চৌদ্দটি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    সাঃ আফ্রিকা-মেক্সিকো: ১-১ 


    উরুগুয়ে-ফ্রান্স: ০-০ 


    দঃ কোরিয়া-নাইজেরিয়া: ২-২ 


    ইংল্যান্ড-ইউএসএ: ১-১ 


    ইউএসএ-স্লোভেনিয়া: ২-২ 


    ইংল্যান্ড-আলজিরিয়া: ০-০ 


    অস্ট্রেলিয়া-ঘানা: ১-১ 


    ইটালি-প্যারাগুয়ে: ১-১ 


    স্লোভাকিয়া-নিউজিল্যান্ড: ১-১ 


    ইটালি-নিউজিল্যান্ড: ১-১ 


    প্যারাগুয়ে-নিউজিল্যান্ড: ০-০ 


    পর্তুগাল-আইভরি কোস্ট: ০-০ 


    ব্রাজিল-পর্তুগাল: ০-০ 


    সুইজারল্যান্ড-হন্ডুরাস: ০-০ 


    রাউন্ড অফ ১৬-এর খেলায়, আটটি ম্যাচের মধ্যে


    দুটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। একটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল নির্ধারণ হয়নি, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ঘানা-ইউএসএ: ২-১ (১-১), এইটি 


    প্যারাগুয়ে-জাপান: ০-০, এইটি; ৫-৩, পিএসও 


    কোয়ার্টার-ফাইনালের, চারটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, অতিরিক্ত সময়ের পরেও, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    উরুগুয়ে-ঘানা: ১-১ (১-১), এইটি; ৪-২, পিএসও 


    ফাইনাল ম্যাচে, নির্ধারিত সময়ে ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। 


    স্পেন-নেদারল্যান্ডস: ১-০ (০-০), এইটি 


    সুতরাং, মোট চৌষট্টিটি ম্যাচের মধ্যে আঠারোটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। চারটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই চারটি ম্যাচের, দুটি ক্ষেত্রে সেখানে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়। 


    ২০১৪ সাল। ব্রাজিল। 


    গ্রুপের খেলায়, আটচল্লিশটি ম্যাচের মধ্যে নয়টি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    ব্রাজিল-মেক্সিকো: ১-১ 


    জাপান-গ্রিস: ০-০ 


    ইংল্যান্ড-কোস্টারিকা: ০-০ 


    ফ্রান্স-ইকুয়েডর: ০-০ 


    নাইজেরিয়া-ইরান: ০-০ 


    জার্মানি-ঘানা: ২-২ 


    পর্তুগাল-ইউএসএ: ২-২ 


    রাশিয়া: সাঃ কোরিয়া: ১-১ 


    রাশিয়া-আলজিরিয়া: ১-১ 


    রাউন্ড অফ ১৬-এর খেলায়, আটটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। দুটি ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল নির্ধারণ হয়নি, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ব্রাজিল-চিলি: ১-১ (১-১), এইটি; ৩-২, পিএসও 


    কোস্টারিকা-গ্রিস: ১-১ (১-১), এইটি; ৫-৩, পিএসও 


    জার্মানি-আলজিরিয়া: ২-১, এইটি 


    আর্জেন্টিনা-সুইজারল্যান্ড: ১-০, এইটি 


    বেলজিয়াম-ইউএসএ: ২-১, এইটি 


    কোয়ার্টার-ফাইনালের, চারটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, অতিরিক্ত সময়ের পরেও, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    নেদারল্যান্ডস-কোস্টারিকা: ০-০, এইটি; ৪-৩, পিএসও 


    দুটি সেমি-ফাইনালের, একটিতে নির্ধারিত সময়ে ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেখানেও, ফলাফল নির্ধারিত হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস: ০-০, এইটি; ৪-২, পিএসও 


    ফাইনাল ম্যাচে, নির্ধারিত সময়ে ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। 


    জার্মানি-আর্জেন্টিনা: ১-০, এইটি 


    সুতরাং, মোট চৌষট্টিটি ম্যাচের মধ্যে সতেরোটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। আটটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই আটটি ম্যাচের, চারটি ক্ষেত্রে সেখানে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়। 


    ২০১৮ সাল। রাশিয়া। 


    গ্রুপের খেলায়, আটচল্লিশটি ম্যাচের মধ্যে নয়টি ম্যাচ অমীমাংসিত হয়েছিল। 


    পর্তুগাল-স্পেন: ৩-৩ 


    পর্তুগাল-ইরান: ১-১ 


    স্পেন-মরক্কো: ২-২ 


    ডেনমার্ক-অস্ট্রেলিয়া: ১-১ 


    ফ্রান্স-ডেনমার্ক: ০-০ 


    আর্জেন্টিনা-আইসল্যান্ড: ১-১ 


    ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড: ১-১ 


    সুইজারল্যান্ড-কোস্টারিকা: ২-২ 


    সেনেগাল-জাপান: ২-২ 


    রাউন্ড অফ ১৬-এর খেলায়, আটটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। তিনটি ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত সময়ের পরেও খেলার ফলাফল নির্ধারণ হয়নি, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    রাশিয়া-স্পেন: ১-১ (১-১), এইটি; ৪-৩, পিএসও 


    ক্রোয়েশিয়া-ডেনমার্ক: ১-১ (১-১), এইটি; ৩-২, পিএসও 


    ইংল্যান্ড-কলম্বিয়া: ১-১ (১-১), এইটি; ৪-৩, পিএসও 


    কোয়ার্টার-ফাইনালের, চারটি ম্যাচের মধ্যে একটি ম্যাচ অমীমাংসিত ছিল নির্ধারিত সময়ের পর। ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, অতিরিক্ত সময়ের পরেও, ফলে পেনাল্টি শুট-আউট করতে হয়। 


    ক্রোয়েশিয়া-রাশিয়া: ২-২ (১-১), এইটি; ৪-৩, পিএসও 


    দুটি সেমি-ফাইনালের, একটিতে নির্ধারিত সময়ে ফলাফলের নিষ্পত্তি না হওয়ায়, অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। 


    ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ড: ২-১ (১-১), এইটি 


    সুতরাং, মোট চৌষট্টিটি ম্যাচের মধ্যে চোদ্দটি ম্যাচের ফলাফল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়নি। পাঁচটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলতে হয়। সেই পাঁচটি ম্যাচের, চারটি ক্ষেত্রে সেখানে ফলাফলের নিষ্পত্তি হয়নি, তাই পেনাল্টি শুট-আউট করা হয়। 


    এই লেখার পরের পর্বে বিশ্লেষণ...


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ অক্টোবর ২০২০ | ১২২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন