বেশ হুড়ুদ্দুম করে, পাশ্চাত্য ট্যাগে হৃদি একূল ওকূলে ভাসিয়ে, 'মো'হ'দি'য় কাঁসর ঘণ্টায় 'পাশে আছি'র হিন্দি সিনেমার জোলাপ লাগিয়ে হাজির হয়েছেন স্বদেশে, ভিলেন অফ দ্য ইয়ার; করোনা। সাথে টিকটিকি গোয়েন্দাকে পূজ্যতে নমঃ করবার যোগ্য চামচা, লকডাউনও, ফ্রি। প্রথম প্রথম এরা ছিলেন রেড কার্পেটের মধ্যমণি, পারফরম্যান্স আর্টিস্ট। চারপাশে ক্যামেরার খিঁচ-সংবাদীয় খ্যাঁচ। জনগণ সোনামুখ করে উলু দিয়েছেন, (ফ্লাইট)ডালা সাজিয়েছেন তারপর বরণ করেছেন 'জাস্ট ব্লুমড' অভ্যগতদ্বয়দের।ধীরে ধীরে পাপড়ি খুলেছে, ফুল ফুটেছে ঠিক একখানা সদ্য গজানো দগদগে লালমাংসের হাঁ মুখ ঘা যেন, সে ঘা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা সমাজের শরীরে। পাশের বাড়ির চিরবিড়ে জ্বলুনির খবরে দেখে যা একখানা অচ্ছুৎ ঘনঘটার হাসি-তামাদি-বিনোদন জুটেছিল প্রথম প্রথম, শাপ-শাপান্ত-বাপ-বাপান্ত সেরে সেসব এখন বুমেরাং হয়ে ফিরছে নিজেদের ঘাড়ে, ঘায়ের দোসর খয়েরি-বেগুনি রঙে।
যদিও প্রেমসে সুখে থাকার উপায় হল মানসিকতাকে নিম্নোক্ত ভাবে গ্রেডান্বিত করা:
চাষ করে 'চাষা'রা। কাজ করে অশিক্ষিতরা। লেখাপড়া করবার মুরোদ হয়নি (গরীব অনেকেই হয়, তাতে কী!) তাই আলফাল কিছু করে পেট চালায়। তারা কোথায় আটকেছে না কী কাজ হারিয়েছে; এসব নিয়ে মাথা ঘামাবার মতন অফুরন্ত সময় বা ইচ্ছা নেই। বরং নিত্যনতুন রান্না-কাজ-ফেবু আঁতলামি ইজ মাচ বেটার। দেশ এগোল না পিছাল, চাকরি কে পেল আর কে পেল না ইত্যাদি প্রভৃতি: ভাঁড় মে যাক। যদ্দিন নিজের পেটে না পড়ে টান, হীরকের রাজা ভগবান।
এতদসত্বেও বাগে না মানা মনে শেয়াল ডেকে উঠলে, ফিরতে হয় আঁতুড় শেকড়ে, জলের আশায় যেভাবে মুখ বাড়ায় মরু-পথিক; অবশ্য এসব ক্ষেত্রে শ্রেণী-ভ্রুষ্টাচারী 'পরিযায়ী' নাম উড়ে যেতে পারে ভবঘুরে বালি রূপে। তবে এত আঁকাবাঁকা ভূমিকার নামে আভাঁ-গার্দ শিল্পকম্মো সেরেছি মার্কা কলার উত্তোলন না দেখিয়ে সোজা-সাপ্টা বলা ভাল, লাকডাউন বাজারে দীর্ঘক্ষণ ঘরে থাকবার সৌভাগ্য দ্বিগুণ হয়েছে গ্রামে ফিরতে পেরে, মাটি গন্ধ মেখে।
জায়গার নাম চক ইসলামপুর। বহরমপুর থেকে কিলোমিটার পঁচিশেক দূরে শহুরে ভাষায় এক হদ্দ মুদ্দের 'গণ্ডগ্রাম'। সেই গ্রাম, যা নবাব থেকে হালের আমল পর্যন্ত সকলেবরে অক্ষত 'মুর্শিদাবাদ সিল্ক' এর প্ৰথম প্রাণকেন্দ্র; খাদি এবং রেশম যেখানে হাত ধরাধরি করে বাঁচে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে যা কিছু রোশনাই, নহবত ছিল, ১৯২৯ এর বিশ্বজুড়ে মন্দার গ্রাসে সেসব ভয়াবহ ধাক্কা খায় । সেসময় গ্রামের ললিতমোহন সাহা, তৎকালীন বোম্বে প্রদেশের অল ইন্ডিয়া স্পিনার্স অ্যাসোশিয়েশন ও খাদি ভান্ডারের প্রতিষ্ঠাতা-কর্তা এবং স্বয়ং গান্ধীর খাদি দ্রব্যাদির বাণিজ্যিকরণের দায়িত্বে থাকা শ্রী জেরাজিনিজির সাথে যোগাযোগ করে রেশমশিল্পকে খাদির সাথে বিবেচনা করবার জন্য বারবার বোঝাতে থাকেন। ভারত জুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের সৌজন্যে গ্রামীণ শিল্পের কদর তখন তুঙ্গে। ললিতমোহন বাবু দূরদর্শী। তিনি আন্দাজ করেন, গ্রামের মানুষের নিজের হাতে তৈরি রেশম শিল্পও যে খাদির সমতুল্য "খাঁটি ভারতীয়"; এটা গান্ধী-জেরানিজিদের একবার বোঝাতে পারলেই মুখ থুবড়ানো সিল্ক-ইন্ডাস্ট্রি শ্মশানের আগেই কল্কে পাবে। সুতরাং, জামাই কালিপদ চৌধুরীকে তিনি পাঠালেন অল ইন্ডিয়া স্পিনার্স অ্যাসোশিয়েশনের তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারি শঙ্করলাল ব্যাংকারের কাছে। ইতিমধ্যে গান্ধী আশ্রম,মিরাটের সভাপতি অনিল চন্দ্র মুখার্জি মুর্শিদাবাদ সিল্কের ব্যাপারে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন। শ্রী মুখার্জি চক-ইসলামপুরে আসেন এবং গোটা ব্যাপারটা পরিদর্শন করবার পর, ফিরে গিয়ে তিনি রেশম শিল্পকে খাদি-আন্দোলনের অংশ করবার প্রস্তাব দেন। যদিও গান্ধী ১) রেশম শিল্পে যেহেতু গুটি পোকা মারার প্রসঙ্গ আসে তাই এটি হিংসাত্মক ঘটনা এবং ২) সিল্ক সম্পূর্ণরূপে অভিজাত-বড়লোক-সম্পন্ন শ্রেণীর ব্যবহার্য দ্রব্যাদি; এই দুই কারণে মরণাপন্ন সিল্ক ইন্ডাস্ট্রিকে প্রথমে খাদির অন্তর্ভুক্তিকরণ হিসেবে চাননি। পরবর্তীকালে, ইসলামপুরে পর্যবেক্ষণের জন্য পাঠানো দল, সোদপুর আশ্রমের সতীশ চন্দ্র দাশগুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী হেমাপ্রভা দাশগুপ্ত, শ্রী অনিল মুখার্জি, শঙ্করলাল ব্যাংকার,জেরাজিনিজিদের মতন ব্যক্তিত্বদের সাথে আলোচনায় গান্ধীজি প্রত্যয়ী হন যে রেশম শিল্পের সাথে জড়িত; তুঁতেচাষী, গুটি থেকে প্রথম সুতো বের করা বা লাট কাটা, কাপড় বোনার ওপর অসংখ্য মানুষের রুটি-রুজি নির্ভরশীল। উপরন্তু রেশম পোকার লার্ভা গুটি কেটে বেরোনোর সময় এমনিই মারা যায়। রেশমের সুতো তৈরির সময় তাই (যাতে অক্ষতভাবে সুতো বোনা যায়) গুটি কাটার আগে লার্ভাকে মেরে ফেলার মধ্যে কোন বাহ্যিক হিংসা জড়িত নেই। এভাবেই রেশম,ব্র্যান্ড খাদির সাথে যুক্ত হল। এখনও চকের প্রতিটা ঘরেই কম বেশি খাদি বা মটকা কিংবা রেশমের কাজ প্রধান উপজীব্য।
ইতিহাসের কচকচি থেকে মুখ সরিয়ে দেখি, ইয়াব্বড় নীল পাটভাঙা আকাশের নিচে ভৈরব নদ জড়িয়ে আছে শাড়ির পাড়ের ধৈবত লব্জে। কপালে মিহি শিউলির সাদা টিপ। গলায় কাশের সীতাহার। টুপটাপ নদীর পানিতে আব্বুলিশ দিচ্ছে কমলাপুলির সুয্যি। নিথর সেঁটে যাওয়া রোজনামচা ধুয়ে যায় এমন আইভরি মৌসুম নাজে। সত্যি বলতে, খলবলে বর্ষায় ভরা টইটম্বুর এত সবুজ দেখিনি আগে। যতদূর চোখ যায় শুধু পাটখেত। সেসব পাট তাদের লম্বা ঢ্যাঙা শরীর নিয়ে নীলচে গোলাপি মেঘের সরের সাথে খেলায় মত্ত। জায়গায় জায়গায় পানি জমে আকাশটাকে টুক করে নামিয়ে এনেছে নিস্কলঙ্ক নাদে।
এজমালি উঠোনের পশ্চিমে ভিটেবাড়ি। মাটির ভিত। দক্ষিণের কড়ি-বরগার ওপরের ছাদ ফাটল ধরা। এই অংশের ঘরগুলো বরাদ্দ ছিল লোক-লস্কর, মাঠের মুনিশ, রাখাল আর দূর-দূরান্ত থেকে পড়তে আসা ছেলেপুলেদের থাকা-খাওয়ার জায়গা হিসেবে। পূবদিকে পেছনের ঘরের গা ঘেঁষে বারান্দা। সামনে পেয়ারা-ডালিম-পাতাবাহার গাছের ঝোপ। বারান্দা সংলগ্ন এই ঘর আগে হাট খোলা থাকত পাড়ার মানুষের জন্য। যার যখন ইচ্ছে এসে টিভি দেখত, গল্পগাছা করত। এখন এসব ফাঁকা পড়ে থাকে মাদার গাছ জড়িয়ে সারা রাত একা বকতে থাকা পাগলটার মতন। উত্তর আর পূর্ব দিকে, ওপরে নিচের তলার পুরো অংশ লম্বা, দরাজ। খাবার আর রান্নাঘরের পেছনের পুরো অংশ জুড়ে লম্বা সেগুন গাছের সারি। সেখানে কাক-বুলবুলি আর শালিকের বাসার ফাঁক দিয়ে আলো ঢোকে হীরেঘষা সূঁচের মতন। বাড়ির পেছনে আদা, হলুদ, লেবু আর উচ্ছে গাছের জঙ্গল। দক্ষিণ-পশ্চিমে জড়াজড়ি করে সখীবিলাসী হাওয়ায় দোল খায় কুমড়ো, বেগুন আর কান্তাই কচু। পুকুরের পাড়ে সজনে, নিম, বাতাবি লেবু আর বেল গাছ আদুড় দাঁড়িয়ে থাকে পাহারাদারের মতন, ঠিক উল্টোদিকে সদর দরজা থেকে দূরে কলতলার পাশে আছে আরেকটা কাঁঠাল গাছ।পুকুরের ওপারে আম আর লিচুর বাগান।। আগে মধ্যমণি ভৈরব থেকে জল উপচে পুকুর ভরাট থাকত গলা অব্দি; নদীর খুচরো মাছ পিউলি, ময়া, তিনকাঁটা,আইখড়া,ছলম, উফল, উপরচোখি, উড়োল, খয়রা, বাঁশপাতার সাথে কিলবিলিয়ে উজিয়ে আসত বোয়াল, চিতল, রুই, কাতলা, আড়, মাগুর, শিঙি,শোল, গজাড়, কালবাউশ। হালে বৃষ্টির অভাবে পুকুর আর নদীর মাছে পেটবতী হয়না ঠিকই তবে ছাড়া মাছ আর অঢেল প্রাকৃতিক ভাঁড়ারের কল্যাণে আমাদের বাজারমুখো হতে হয়েছে কদাচিৎ। পাড়ার আট-দশটা ঘরের কোথাও সব্জি ফুরোলে চলে আদিম বিনিময় প্রথা। ক'য়ের গাছের পটলের বদলে মেলে খ'য়ের চাষের ঢেঁড়স। গ'য়ের ছাদের চাল কুমড়োর বদলে ঘ'য়ের বাড়ির গম।
আশেপাশের সমস্ত পাড়াতেই কেরল, পাঞ্জাব, পুণে, মুম্বাই, গুজরাট থেকে ফেরত এসেছে 'ঘরের ছেলে'রা। তা প্রাইমারি/হাইস্কুল/অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেরা এলিজিবল স্পিনস্টার হলেও তেনারা ঘোমটা তুলে, দু'কদম হেঁটে হবু কনে-সমা আইসলেশন সেন্টার হিসেবে নির্বাচিত হবার পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন নি। গার্জিয়ান সরকার পক্ষের নাক হাঁকপাঁক - গোল্লাপাক কিনা! বাস-ট্রেন থেকে
কুলকুলিয়ে নামা জনগণের জন্য নিদান ছিল, তাদের এক কামরার ঘরে, স্বপ্নে কোয়ারান্টিন- কোয়ারান্টিন খেলে আত্মশুদ্ধি করবার। ভুল করে শ্বাস-টাস নিতে কষ্ট হলে কিংবা গন্ধ, গন্ধমাদন পর্বতে বিশল্যকরনী আনতে গেলে, শীতকালের সর্দির মতো তোমার করোনা-জুজু ভড়ভড় করছে, বলে টলে রাতারাতি পত্রপাঠ বিদেয় করা হয়েছে তামাদি জনগণকে। টেমপ্লেটের বাইরে এরপর নাকখত দিয়েছেন তো কপালে শোনা বরাদ্দ: 'মাস্টারমশাই, আপনি কিছু দেখেন নি'র মতন 'ঘরের ছেলে, তোর কিছু হয়নি।'
গান্ধীর প্রসঙ্গ এসেছিল যখন, একজনের গপ্পো দিয়ে শেষ করি। নদীর ওপারে হপ্তাভর ভিক্ষে করে একটা দিন সাঁকো পেরিয়ে বাসে চেপে শহরের দিকে আসত এক দাদু।তারপর বারান্দায় রংচটা খয়েরি কানাউঁচু টুলটার একদিক টেনে বসেই হুড়মুড় করে মেঝের ওপর ছোট্ট থলেটা ঢেলে দিত সে বুড়ো।
- দ্যাক দিকি লাতলিরা! আজ কত হইয়্যাছে?
- একশো তিন হয়েছে গো দাদু!
-তাইলে তো হোইয়্যা গ্যাছে আজকের মইত্যন! আর দশ-বিশ ট্যাকা হলে চইল্যে যাব। বাজারটা যাই,ওইহ্যানে ঘুইর্যে নিলিই হবে।
-এতেই হবে?এই নাও, চা টা খাও ততক্ষণে।
-হ্যাঁ ! আবার কত! ঘরে তো আমার বুড়ি আসে শুধুক। ইই অনেক দুই জনার। আর সেই সক্কালে ব্যারাইছি, বুড়িটারও আমার বয়স হইছে, চোকেও কম দ্যাখসে আজকাল। রান্না করতি কষ্ট হয়। আমি না যাওয়া অব্দি না খেইয়ে বসে থাকপেখন।
-ওহ দাদু...দাদু! দিদা বুঝি খুব ভালবাসে তোমায়?আচ্ছা দিদা কেমন দেখতে গো? খুব সুন্দরী? দিদা অত সুন্দরী, যদি তোমায় পাত্তা না দিয়ে চলে যায়?
-হি হি! তা....বুড়ি আমার খুউব সুন্দলী গো বাবারা। অমন সুন্দলী লোকে হয় না'কো.....বড় বড় চোক, চিকন ঠোঁট...নায়িকা বিয়া করসিলাম বুইজেস্যো বাবারা..পুরাই নায়িকা, সে কত্ত বৎসর আগের কথা..এক দিইনের জন্যও চাহন অন্য দিইক্যা ফেইল্যে নি বুড়ি আমার আর তোরা বলসস কি বুড়ি আমায় এহন ছাইড়্যা যাবে! যাব্বেই না..হতিই পাইর্যা না..হে হে...
ছেলেমানুষের মত আহ্লাদে দমকে হাসতে থাকে বুড়ো।একশোর ওপর বয়স মানুষটার। সেই খাদি-রেশমের টানাটানির কালে এই মানুষটাই সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন স্বয়ং গান্ধীজির। চামড়ায় অভিজ্ঞতার শেকড় তুমুল লন্ডভন্ড চালানোর পর বোধহয় একরাশ শান্ত মেদুরতা শেষ ধুলো বেয়ে মিশে গেছে মনে।
এখানে ঝড়-জলে আটকে গেলে অচেনা মানুষ সাধ্যমতো রেঁধে খাওয়ায়, রাতে থাকতে দেয়। মানুষের বিপদে অন্য মানুষ হাত ধরে থাকে, জলে ডোবা ঘাসে কালো শামুকের সেঁটে থাকার মতন। ন্যাপথলিনের গন্ধ মাখা ট্রাঙ্কে সাদা-কালো ছবি যেমন যত্নে থাকে, আলতো করে তাকে ছুঁয়ে স্মৃতিজাফরিতে বিলি কাটতে হয়; শহুরে ভোম্বলবাজিতে গা পুড়ে গেলে তেমনি উন্নাসিকতাকে সুবেশ মানুষের ভিড়ে গচ্ছিত রেখে মন্থর গ্রাম্য জীবনে ফিরতে হয়। দু'কুচি সময় পিছিয়ে থাকে, থাক- নৈবেদ্যক্ষণের হৈ চৈ ফুরিয়ে যাবার আগে অপেক্ষাপ্রহর বড় মধুময়: তাকে বালক রোদ্দুরের মতন গায়ে মেখে নিতে হয় টইটম্বুর সুযোগবিলাসে। এরই নাম বেঁচে আছি...এরই নাম বেঁচে থাকা...।
কী ভালো লেখা ! আর কী ভালো জায়গা ! পরের বার নিয়ে যাবার অনুরোধ রইল।
প্রতিভা দি, তুমি যখন বলবে নিয়ে যাব। তবে যেতে গেলে খুব কষ্ট পোহাতে হবে এখন, কারণ রাস্তা। আগে সাড়ে পাঁচ ঘন্টায় যেতাম গাড়িতে, এখন নয় থেকে দশ ঘন্টা লাগে