এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ  গুরুচন্ডা৯ সাত

  • জলপরী, তোর

    তাপস দাশ
    আলোচনা | বিবিধ | ০১ মার্চ ২০০৬ | ৯০১ বার পঠিত
  • ভালোবাসা মানে কান্না ভেজা চোখে
    ভালোবাসা নীল খামেদের ভেলা

    কিন্তু শুধু এই ই নয়, ভালোবাসাকে কখনও কখনও রাজনীতি হয়ে যেতে হয়, কারণ কখনও কখনও কোনো ভালোবাসার সম্পর্ক একটি বিশেষ পরিচয়ের জ্ঞাপক হয়ে ওঠে, একটা নির্দিষ্ট আইডেন্টিটির বাহক। আইডেন্টিটির বাহক হয়ে যাবার ফলশ্রুতিতে, আইডেন্টিটির পলিটিক্সের ডিসকোর্সের আধারে, বা আঁধারে ডুকে পড়ে তখন ভালোবাসা ডানা মেলে উড়ে যেতে পারেনা, পঙ্কিল জলাশয়ের, মারণভূমির থেকে অনেক অনেক উঁচুতে ওঠার কথা ছিলনা কি ভালোবাসার?

    লেসবিয়ান সম্পর্ক কি একটি নারী-নারী শরীরী সম্পর্কের বিষয়ই শুধু? আমি তার শরীরকে একটুও অস্বীকার করছিনা, শুধু একটা উদ্ধৃতি দিই :

    যে চুম্বন নয় শুধু
    ঠোঁটে ঠোঁট মেশা-
    যে আশ্লেষ নয় শুধু
    স্তনস্পর্শে স্তনের আকুল ফুটে ওঠা-
    যে সঙ্গম নয় শুধু
    যোনিতে যোনিতে ডুবে যাওয়া-
    যে শীৎকার নয় শুধু
    শৃঙ্গজয় সেরে নিচে নামা-
    অথচ এসবও থাকে।
    এসবের ছলে
    বিশ্বাস গচ্ছিত থাকে,
    ঐ ঠোঁটে
    ঐ যোনিমূলে
    স্তনপুষ্পে,
    নিহিত শীৎকারে।। (১)

    অর্থাৎ ঐ শরীর-শরীর সম্পর্ক থেকে উত্তীর্ণতার একটা আকুতি আছে, থাকে, যারা অ্যাকটিভিস্ট তাদের মধ্যেও। স্বপ্নদর্শী বলে একটু বাড়িয়ে নিই কল্পনাটা -- আকুতিটুকু আছে বলেই তাঁরা অ্যাকটিভিস্ট। যে আকুতি, যে স্বপ্নসম্ভাবনা চারিয়ে যায় আমারও মধ্যে, আমি -- কে আমি?

    আমি ঠিক জানিনা। পৌরুষ যদি জয়াকাঙ্খা, পুরুষ যদি আগ্রাসী মনোভাব, পৌরুষ মানে যদি যুদ্ধ সম্ভাবনা, তবে সেই পুরুষত্বকে আমি নাকচ করি, করলাম। অথচ আমার শরীর, আমার যৌনচিহ্ন এক পুরুষের।

    অন্য দিকে, লেসবিয়ানিজম শুধু নারী-নারী শরীরী সম্পর্কের থেকে অতিরিক্ত কিছু, একটা সংস্কৃতি বলে যদি একটা ধারণা তৈরী করার চেষ্টা করা যায়? "আমি যখন লেসবিয়ান শব্দটা উচ্চারণ করি, তখন আমি তার মধ্যে লেসবিয়ানের গোটা জীবনটাকে ধরার চেষ্টা করি; তার আবেগী, বৌদ্ধিক, ক্রিয়াশীল, আত্মিক, নৈতিক, রাজনৈতিক, শারীরিক ও সামাজিক একটা অস্তিত্ব। আমি লেসবিয়ান বলতে এমন একজনের কথা ভাবি যে অন্য লেসবিয়ানদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়।' (২) আইডেন্টিটিটাকে আমি এই অবধি বাড়িয়ে আনলাম। চারপাশের পৃথিবীটাকে একটা খাদের মতো করে ভাবি যদি, ভাবি সেটা অতলান্ত; অন্য পারটা দেখা যায়না, শুধু দেখা যায় পিছনে কে শুয়ে আছে? স্যাফো লিখেছিলেন, "কোনো একজন, আমি বলছি, একদিন,কোনো এক ভবিষ্যতে ঠিক ভেবে উঠবে আমাদের কথা।' লেসবিয়ান পৃথিবী এমন এক পৃথিবী যেখানে অজস্র কাজ, সুতোগুলোকে একসাথে বুনতে হবে, এলোমেলো অনেক বুনুনি থেকে একটা ছাঁচ তৈরী করতে হবে। এ একটা স্পেস যেখানে শুন্যগুলো পূরণ করতে হয়, বিন্দুগুলোকে জুড়তে হয়, কিছু না থেকে সৃষ্টি করতে হয় একটা কিছু। এই পৃথিবীতে, এই পৃথিবীর, এই সম্ভাবনার সংস্কৃতিতে, একটি সম্ভাবনাময়, কবিতা-কল্পনালতার জগতে আমি একটি সাশ্রিত বোধ করি। যেখানে জগৎটা শুধু দ্বিত্বে ভেঙে পড়েনা, পড়বেনা বলে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে, কিছুদূর বিশ্বাস করতে পারি ও।

    প্যাট্রিয়ার্কাল-হেটারোসেক্সুয়ালিটির হেজিমনির হাত ধরাধরি করে বেঁচে থাকা সমাজ আমাকে এই স্পেস দেয় না।আমাকে উড়ে যেতে দেয় না,আমাকে কল্পনাপ্রবণ্‌হতে দেয় না,সে কেবল আমাকে এক ইঁদুর দৌড়ে ঠেলতে থাকে,তার নিজস্ব ইতিহাসে,তার হিস্ট্রি(হিজ Ùটোরি) তে জায়গা করে নেওয়ার জন্যে,আমার প্রতিরোধ অথচ কোনও হিংসার রূপ নিতে পারে না,পারে নাকারণ আমি হিংসাকে,হিংস্রতাকে একটি ক্ষতিকর" মেল অ্যাট্রিবিউট" বলে চিহ্নিত করতে পারি।

    আমার পুরুষ শরীর, আমার যৌনচিহ্ন পুরুষের। আমি শারীরিক ভাবে, মানসিক ভাবে আকৃষ্ট হই, গোপনতমও গভীরতমটুকু ভাগ করে নেওয়ার জন্যে, একটি নারীর ই প্রতি। এক নারী-যার কোনও দেশ নেই, যে কোনও রাষ্ট্র চায় না, সমস্ত পৃথিবীইযার নিজস্ব রাষ্ট। আমি এক পুরুষ, শরীরে ও যৌন চিহ্নে, আমার বুকের ভেতর বাজতে থাকে ইমাজিন, দেয়ার ইজ নো কান্টি ... রাষ্ট্র একটি পরুষ আকাঙ্ক্ষা, রাষ্ট্র মানেই পুলিশের কালো গাড়ী, রাষ্ট্র পরিবার ও তার নর্ম্যাটি ভবে টিকিয়ে রাখতে চায়। তার সাঁজোয়া গাড়ী,তার বোমারু বিমান কখন ও কোনদিন গোলাপের তোড়া কিংবা চকোলেটবাহী নয়... রাষ্ট্র এক দমবন্ধকরা ধারণা,নারীর ও লেসবিয়ান পৃথিবীর রাষ্ট্র প্রয়োজন হয় না... আমি রাষ্ট্র কে এই পার্সপেক্টিভ থেকে অস্বীকার করি...আমি শরীরে পুরুষ...আমি নারীর প্রতি আকৃষ্ট হই...তাকে জয় করার জন্যে নয়..অন্য এক পৃথিবীর জন্য...হাতে হাত রেখে...ভালোবাসা আমাকে এই প্‌ঙ্কিল জলাভূমি...এই মারণ উপত্যকার উপরে উড়িয়ে নিয়ে যাবে...ডানা মেলে ... হেথা নয়,হেথা নয়,অন্য কোথা,অন্য কোনওখানে ... কোনও ওখানে ... কোনও এক ওখানে ... দূরবর্তী এক সম্ভাবনায় ... এক স্বপ্ন কল্পনার পৃথিবীতে... যেখানে স্বপ্ন-কল্পনা কোনও মজাদার তীর্যক হাসি উদ্রেককারী কোনও বস্তু নয়... অন্য পৃথিবী... রাষ্ট্র হীন ... পরিবার ও ভালোবাসার নর্ম্যাটিভ হীন... যেখানে ভালোবাসাবাসির জন্যে নির্দিষ্ট পরিচয়ের নিগড়ে বাঁধা পড়তে হয় না।।।আর সেই পরিচয়ের বাহক হয়ে যাওয়ার জন্যে,শুধু সেই কারণে একটা রাজনৈতিক বাতাবরণ তৈরী করে ফেলতে হয় না ... আমি শরীরে পুরুষ...আমার যৌনচিহ্ন পুরুষের... আমি নারীর প্রতি আকৃষ্ট হই...তাতে পেনিট্রেট করার উদ্দেশ্যে নয়...তার সাথে আমার শৃঙ্গার কোনও ফোরপ্লে নয়...কোনও প্লেয়িং বিফোর নয়...পেনিট্রেশনের এ¾ডসে পৌঁছোনোর কোনও মিন্‌স হিসেবে নয়...শৃঙ্গার নিজেই এক সর্বময়তা...আমার শরীর পুরুষের ,আমার যৌন চিহ্নও তাই... কিন্তু সমস্ত পরুষ সংস্কৃতি আমায় ছেড়ে চ'লে গেছে,কিংবা কখনে ও বাসা বাঁধে নি আমার বুকের হাড়ে...আমি আকৃষ্ট হি নারীর প্রতি...আমি যদি বলি আমি এক লেসবিয়ান পুরুষ... তবে কি আমার "ফার ফেচ্‌ড ইমাজিনেশান" ততদূর "আর্টিকুলেট' করা গেল না বলে মনে হবে?

    লেসবিয়ানিজম কোনও ফিমেল হোমোসেক্সুয়ালিটি নয়... লেসবিয়ানিজম একটি সংস্কৃতি,তার হাতে কোনও প্লুটোনিয়াম নেই,তার কোনও সেনাবাহিনী নেই... তবু তা এক মহার্ঘ থেট।।।বাহিনী ও বোমা সমৃদ্ধ পিতৃতান্ত্রিক রাষ্ট্র ক্ষমতার কাছে... কিন্তু পিতৃতান্ত্রিক রাষ্ট্র ক্ষমতার সংস্কৃতি অত ছোট করে দেখা চলে না...সে ঢুকে পড়ে শৃঙ্গজয়ের মেটাফর নিয়ে... শৃঙ্গজয়ের কল্পনা ... জয়কল্পনা,জয়াকাঙ্খা,জয়াকাঙ্খা থেকে যায়...ভাষার সংস্কৃতির মধ্যে দিয়ে... সাবধান সুমিতা,ওরা কিন্তু দাঁড়িয়ে আছে,প্রহরী সম্বলিত,কোথাও ঢুকে পড়ল না তো কবিতাটার মধ্যে?

    পরিচয়ের রাজনীতিকে একটু এক্সটেন্ড করতে হবে,করতে হবে শব্দবন্ধটা কোনও নির্দেশিকা নয়,লেসবিয়ান সংস্কৃতির এক অংশীদার হিসেবে এক দাবী,না হলে হয়তোকোন এক দিন একটা সমাধি তৈরী হবে,জনৈক লেসবিয়ানের সমাধি,এক সমাধি যার সামনে কোনও উদ্‌যাপন হবে না কখন ও ,এক সমাধি যেটা তৈরী হবে অন্য কোন ও কারণে নয়,শুধু এই কারণে যে তাকে পোড়ানোর জন্যে,তার কবর দেওয়ার জন্যে কোনও কাঠ পাওয়া যায়নি,কোনও ভূমি নয়,তার কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা যায়নি,সমাধিটা আসলে কোনও এক লেসনিয়ানের নয়,লেসবিয়ানিজ্‌মের... যাকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে ডাইনী বলে... আমি ভীত নই... সাবধানী ও সংশয়ী এক লেসবিয়ান পুরুষ।

    পুনশ্‌চ :লেখাটার কি কি ফ্যালাসি?কোথায় কোথায় লেখক,লিখন ভাবনা রেশ রেখে গেল তার চিন্তার জগতের অতি সরলীকৃত এক চিন্তনের?রাষ্ট্র ও হিংসা এক পরুষ ভাবনা।এটি একটি চলিত ডিসকোর্স।আমি আমার সমস্ত অস্তিত্ব দিয়ে পুরুষ/নারীর এই দ্বিত্ব কে তো ভাঙতে চাইছিলাম।কিন্তু পেরে উঠলাম কোথায়?ঐ ডিসকোর্সের কাছেই তো আমাকে "সাবমিট"করতেই হলো একভাবে।অন্তত ঐ পংক্তিটাতে।ঐ পংক্তির আলোকে যদি লেখাটাকে পাঠ করা হয়,তাহলে আমার গোটা ভাষ্যটাই ভেঙে পড়ে।

    দ্বিতীয়ত,আমার শরীর পুরুষের এবংযৌনচিহ্ন পুরুষের।সেটাকে অতিক্রম করার আকাঙ্খার উপর গুরুত্ব দিতে গিয়ে আমি কি কোথাও একজন নারীর ,নারী শরীরের,নারীর যৌনচিহ্ন,কেবল মাত্র যা দিয়েই তাকে প্রান্তিক করে রাখা হয়,তাকে সেই শরীরী অস্তিত্ব কে কি প্রান্তিক করে ফেললাম?করে ফেললাম না কি?পাঠিকা ও পাঠক ,আপনি যদি দেবেশ রায়ের "সময়-অসময়ের বৃত্তান্ত"পাঠ করে থাকেন,আপনি জানেন যে কনক,সাংবাদিক কনক ,তার রেলযাত্রায় ভয় পেয়েছিলো,যে ভয় তাকে গ্রাস করে নিয়েছিলো:একজন নারী হিসেবে,তার শরীরী অস্তিত্বের কারণেই সে ধর্ষণযোগ্য,এই ভয়,সত্যি তো আমাকে ,আমার পুরুষ শরীর নিয়ে,আমার পুরুষ যৌনচিহ্ন নিয়ে,এই আশ্‌ঙ্কার ,এই ভালনারেবিলিটির মুখোমুখি হতে হয় নি।আসলে এই যে প্রান্তীকরণ করে দেওয়ার ভাবনা কি আসলে একটি পরুষ ভাবনা,যা আমাকে বহন করে চলতে হচ্ছে এখনও,করে চ"লে যেতে হবে আরও অনেক দিন,যা আমার পুরুষ -শরীর ,পুরুষ যৌনচিহ্নের কারণেই?তাহলে কি অত সহজে অতিক্রম করা যায় না পুরুষ শরীর ,পুং শরীরী অস্তিত্ব?

    তৃতীয়ত,নারী-নারী সম্পর্ক মাত্রেই কি লেসবিয়া নিজ্‌ম?দুটি শারীরিক নারীর মানসিক সম্পর্কে এবংশারীরিক সম্পর্কে ও ,যখন একজন আগ্রাসী,ডমিন্যান্ট,একজন ডমিনেটেড-সেই সম্পর্কে,যখন এক নারীর স্বপ্নে থাকে শুধু অন্য নারীটির সাথে ঘর বাঁধার স্বপ্ন,তখন সেই সম্পর্ক কি কোনও লেসবিয়ান সম্পর্ক?না কি আসলে তা হেটেরোসেক্সুয়ালিটির,পিতৃতন্ত্রের নর্ম্যাটিভকেই কোথাও একটা স্বীকার করে চলে।ক"রে ফেলে?সে সম্পর্ক কি আসলে ,খুব বেশি দূর হলে একটা ফিমেল হোমোসেক্সুয়ালিটির অতিরিক্ত কিছু?

    আমি এক লেসবিয়ান পুরুষ-এই ঘোষণার মধ্যে যদি আত্‌ম্‌ম্ভরীতা থেকে থাকে কোনও,আমি তার থেকে একটু প্রতিসারিত করছি নিজেকে,বলতে চাইছি , আমি এক লেসবিয়ান পুরুষ হয়ে উঠতে চাই,যে লেসবিয়ানিজ্‌ম একটি সংস্কৃতি,যে সংস্কৃতি র নির্মাণে সকল কে হাত লাগাতে হবে,সংস্কৃতিটার মধ্যে,অন্তত আমাদের পরিপাশ্বে একটা যৌন সম্পর্কের পরিচিতিই একটা ডমিন্যা¿ট রোল প্লে ক"রে যাচ্ছে ,তাকে এবার ছাপিয়ে যাওয়ার পালা।

    ১,কবিতাটা প্রকাশিত হয়েছিল স্যাফোর নিউজ লেটারের প্রথম সংখ্যায়।
    ২,"হেকাটে" জার্নালে সুসান হথোর্নের লেখা থেকে এটা উদ্ধৃত।এই লেখাটা এত বেশি প্রভাবিত করেছে ,হয়ত বা উদ্ধৃতি হীন অনেক কথাই ঢুকে পড়েছে এই লেখার মধ্যে,সেটা সচেতন প্ল্যাজিয়ারিজ্‌ম ছিল না।

    ** লেখাটি স্যাফো নিউজ লেটারে প্রকাশিত
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০১ মার্চ ২০০৬ | ৯০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন