এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মানবাধিকার কার জন্য

    রঞ্জন রায়
    আলোচনা | বিবিধ | ০৫ আগস্ট ২০০৭ | ৬৩০ বার পঠিত
  • ভারতবর্ষের প্রায় কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ছত্তিসগড়ের রাজধানী রায়পুরে গত মে-জুন থেকে একটা খবর "নবভারত", "দৈনিক ভাস্কর", "হরিভূমি" ইত্যাদি প্রায় সমস্ত খবরের কাগজে যথেষ্ট প্রাধান্য দিয়ে ছবিশুদ্ধু প্রকাশিত হয়েছে -- "ড: বিনায়ক সেন নকশাল নেতাদের লিংক সন্দেহে গ্রেপ্তার" ; "পি ইউ সি এল এর ছত্তিসগড় রাজ্য কমিটির সেক্রেটারি নকশাল সন্দেহে পুলিশ কর্তৃক ধৃত"; "মানবাধিকার সমিতির রাজ্য সেক্রেটারি নকশাল চর -- বিলাসপুর শহরে পুলিশের ফাঁদে"।

    খবরগুলোর সারমর্ম হল -- রায়পুর শহরে গত পনেরো বছর ধরে "রূপান্তর" নামে একটি এনজিও চালিয়ে গ্রামের গরীবদের মধ্যে স্বরোজগার এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে চেতনা বাড়ানোর কাজ করে অনেকের শ্রদ্ধা অর্জন করেছিলেন যে ড: বিনায়ক সেন তিনি নাকি আসলে নকশালপন্থী শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ডাক হরকরা! পুলিশের কাছে নাকি ওনার সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমান তথ্যপ্রমাণ মজুত আছে -- তবে না পুলিশ হাত বাড়িয়েছে।

    কেমন প্রমাণ? আসলে এর পৃষ্ঠভূমিতে আছে কিছু ঘটনা। গতবছর রায়পুর শহরের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ রাতের অন্ধকারে হানা দিয়ে নারায়ণ সান্যাল নামে এক সত্তর ছুঁই ছুঁই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁর আত্মীয় পরিজন সাতদিন ছুটোছুটি করেও কোনো হদিশ পেলেননা। তখন নারায়ণবাবুর ভাই মাধব বিলাসপুর হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাসের রিট দাখিল করে বলে যে চিকিৎসার জন্য রায়পুরে আসা তাঁর অসুস্থ দাদাকে রায়পুর পুলিশ সন্দেহের বশে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আদালতে হাজির করেনি। সাতদিন হয়ে গেল। পুলিশ এখন গোটা ঘটনাকেই অস্বীকার করছে। শহরের সমস্ত থানা ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি। আদালতে রাজ্যপুলিশের আমলারা বললেন যে ওদের হেফাজতে নারায়ণ সান্যাল বলে কেউ নেই। শেষে মাননীয় আদালত গৃহসচিবকে হলফনামা দিতে বলায় জানা গেল যে অন্ধ্রপুলিশের অনুরোধে নকশালপন্থীদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা নারায়ণ সান্যাল ওরফে "প্রসাদ"কে গ্রেপ্তার করে অন্ধ্রপুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই বক্তব্যের সাপেক্ষে অন্ধ্রপুলিশের একটি ফ্যাক্স মেসেজ আদালতে পেশ করা হয়। বলা হয় এই "প্রসাদ" বা নারায়ণ সান্যাল যে সে লোক নয়। উড়িষ্যার কোরাপুটের দু:সাহসিক জেলভাঙার পুরো পরিকল্পনাটাই নাকি নারায়ণ বাবুর! আদালতের কাজ শেষ হল।

    এদিকে ছত্তিসগড়ের বস্তার জেলায় নকশালদের দাপট বেড়েই চলেছে। কখনও চোরাগোপ্তা মাইন বা বুবিট্র্যাপে উড়ে যাচ্ছে পুলিশভ্যান। কখনও ওদের গণআদালত মৃতুদন্ড দিচ্ছে সন্দিগ্‌ধ পুলিশের গুপ্তচর বা "মুখবির"দের। সরকারি প্রশাসনতন্ত্রের প্রত্যক্ষ সহযোগে চালানো "সলবা জুডুম" আন্দোলনও ওদের থামাতে পারছেনা। বস্তারের রানীবোদলি গ্রামে একটি স্কুলবাড়িতে ঘাঁটি বানিয়ে পাহারাদারি করছিল সুরক্ষাবাহিনী। স্কুলবাড়ির ছাদে বসানো ছিল একটি লাইট মেশিনগান। কিন্তু রাতের অন্ধকারে নকশালি অ্যামবুশে প্রায় পঞ্চাশজন নিহত। ইতিমধ্যে নারায়ণ সান্যালকে কবে যেন আবার রায়পুর সে¾ট্রাল জেলে আনা হয়েছে, যদিও ভদ্রলোকের কার্যকলাপ সবই নাকি অন্ধ্রপ্রদেশে। ছত্তিসগড় সরকার মাঝে মধ্যেই জনগণকে আশ্বাস দিচ্ছেন যে নকশালি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আদিবাসীরা "সলবা জুডুম" আন্দোলনের মাধ্যমে ভয় কাটিয়ে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন, সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। হতমান হতবল নকশালরা এবার আত্মসমর্পণ করছে।

    কিন্তু হা হতোস্মি! এত করে প্রেস কনফারেন্স করে ছবি তুলে যে সারেন্ডার করা নকশালি সন্ত্রাসবাদীদের দেখিয়ে বাহবা লোটা হল -- সব গেল ফেঁসে! আদ্দেক নাকি স্থানীয় লোক, নকশাল তো নয়ই, বস্তারের আদিবাসীও নয়। ওদের খাবার-দাবার আর নানা ভুজুং-ভাজুং দিয়ে আনা হয়েছে। এবার ওদের বাড়ি ফিরতে দেওয়া হোক। ব্যস! বিরোধীদলের অজিত যোগী এবং তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা জুড়ে দিল চেঁচামেচি। রমণ সিংহ সরকার প্রথমে বীরদর্পে অস্বীকার করলেও চাপে পড়ে "এনকোয়্যারি" করানো, কিছু দোষী অফিসারকে সাসপেন্ড করার কথা বলতে লাগলেন। ইতিমধ্যে একদিন পুলিশ জানালো যে পীযুষ গুহ বলে একটি বাঙালি ছেলে রায়পুর স্টেশনের কাছে ধরা পড়েছে -- সে নাকি রায়পুর জেলে বন্দী শীর্ষস্থানীয় নেতা নারায়ণবাবুর কুরিয়ার। ১৪ মে বিলাসপুর শহরে এক উকিলের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হল পি ইউ সি এল এর ছত্তিসগড় রাজ্য সেক্রেটারি ড: বিনায়ক সেনকে। প্রথমে বলা হল উনিই আসল ডাক-হরকরা। আগে ধৃত ছেলেটি নাকি জানিয়েছে। তারপর প্রমাণ হিসাবে দেয়া হল উনি বন্দি নারায়ণ সান্যালের সঙ্গে গত ক"মাসে জেলে গিয়ে ক"বার দেখা করেছেন তার ফিরিস্তি। বিনাক এবং তাঁর স্ত্রী ইলিনা সেন বললেন যে স্বাভাবিক ভাবেই পি ইউ সি এল এর সংগঠক এবং ডাক্তার হিসেবে অসুস্থ বন্দিকে দেখতে দরকার মতো বেশ ক"বার জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই বেশ ক"বার উনি সান্যালকে দেখতে গেছেন। মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে আদালতে জামিনের দরখাস্ত দেওয়া হল। তখন কথা হল ওনার ফ্ল্যাটের তালা খুলে ওনার ঘরদোর-বইপত্তর সব খুলে দেখা হবে। তারপর খবর বেরোলো ১৯শে মেওনার ফ্ল্যাট থেকে নাকি আপত্তিজনক নকশালসাহিত্য এবং সান্যালকে লেখা কিছু চিঠিচাপাটি পাওয়া গেছে আর ওনার কম্পুটারের হার্ডডিস্ক থেকেও বেশ কিছু এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে যা থেকে ওনার সন্ত্রাসবাদী হওয়া নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়।

    কিন্তু, গত পঁচিশ বছর ধরে ছত্তিসগড়ে মানবাধিকার আন্দোলনের অগ্রণী এবং পি ইউ সি এল অধ্যক্ষ রাজেন সায়েল বললেন যে সব বাজে কথা। বস্তারে নকশাল আক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ রমণ সরকার নিজেদের ভাবমূর্তি বদলাতে মানবাধিকার আন্দোলনকে সহজ টার্গেট করেছে। আদালত জামানতের আবেদন অগ্রাহ্য করল কিন্তু পুলিশের এই বলে সমালোচনা করল যে ড: সেনের ফ্ল্যাটের সিল ভেঙে কাগজপত্র এবং কম্পুটারের হার্ডডিস্ক খোলার সময় ওনার স্ত্রী ও উকিলকে থাকতে দেওয়া হয়নি অথচ এ ব্যাপারে আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল। এখন সেনের জামিনের আবেদন বিলাসপুর হাইকোর্টে মুলতুবি আছে। জাস্টিস সিনহা ছুটিতে আছেন।
    কিন্তু হোম মিনিস্টার রামবিলাস নেতাম বারবার বলছেন যে পুলিশ বিনা প্রমাণে কাউকে ধরেনা। বিনায়ক সেন একজন সমাজসেবক জাগ্রত নাগরিক? বাজে কথা! সেন হার্ডকোর নকশাল, রাষ্ট্রদ্রোহী , সন্ত্রাসবাদী। সরকার যথাসময়ে এর বিরুদ্ধে সিডিশনের মামলা চালাবে।

    ছবিটা কেমন যেন চেনাচেনা। এই স্ক্রিপ্ট আগে যেন কোথায় পড়েছি। আরে, ঘটনাটা যেন রায়পুরে নয়, অস্ট্রেলিয়ায় ঘটছে। সেই ডাক্তার! সেই কিছু ছবি, কাগজপত্র, অকাট্য প্রমাণ! পুলিশের বড়গলা। তারপর আরও বড়গলা মন্ত্রীমশাইয়ের। আর, আর মিডিয়ার বিচার। তফাত আছে, কিছু তফাত অবশ্যই আছে। খোদ অস্ট্রেলিয়ার বুকে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়নি বলেই বোধহয় হিউম্যান রাইটসের চড়া সুর শোনা গেছে। বেশ কিছু অস্ট্রেলীয় যেন ওদের প্রশাসনের ব্যবহারে লজ্জিত। কিন্তু এখানে? লেখিকা অরুন্ধতী রায়, "বন্ধুয়া মজদুর মুক্তি আন্দোলন"এর স্বামী অগ্নিবেশ, এমন কজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ছাড়া কোথাও কোনো বিবাদী স্বর নেই। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন চুপ। ছত্তিসগড়ের বাইরের ডাক্তারদের একটি প্রতিনিধিদল এসে প্রেস কনফারেন্স করলেন।

    ভাবছিলাম মানবাধিকার, তুমি কার? সহজ উত্তর শুনতে পেলাম -- সবার, সমস্ত মানবের।
    -- তুমি কি পুলিশেরও? তাহলে যখন সন্ত্রাসবাদী হামলায় ওরা মরে, ওদের বাচ্চারা অনাথ হয়, ওদের বৌরা বুক চাপড়ে কাঁদে, তখন তো তোমায় দেখতে পাইনা! নাকি সন্ত্রাসবাদীদের চোখে চোখ রেখে ""এ অন্যায়"" বলার সাহসটুকু হারিয়ে ফেলেছ। তোমার যত বড় বড় কথা সব এই সভ্য ভব্য লোকজনের মাঝখানে, ক্যামেরার সামনে বাইট দিতে দিতেই ফুরিয়ে যায়। তোমার যত দাবী সব খালি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে। এই একচোখামির জন্যই তুমি দিনে দিনে একঘরে হচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলছ।
    -- মিস্টেক মিস্টেক। একেবারে গোড়ায় গলদ। আরে আমি কি বাইরের লোক নাকি? আমি তো তোমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আত্মা। আমার কাজ হল রাষ্ট্রযন্ত্রের অঙ্গগুলো সংবিধান মেনে কাজ করছে কিনা তা দেখা। ধরো "আইনের চোখে সবাই সমান", "প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত সবাই নিরপরাধ", "কারোরই স্বাধীনতা আইনানুগ পদ্ধতি ছাড়া কেড়ে নেওয়া যাবেনা", -- এইসব নীতিবাক্যগুলো মানা হচ্ছে কিনা। আর সন্ত্রাসবাদীরা তো আমাদের সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে হামলা চালাচ্ছেনা। ওদের কাছে আমাদের সংবিধানের প্রতি আনুগত্য আশা করাই বৃথা। কিন্তু যাঁরা ঐ শপথ নিয়েই চাকরিতে বা মন্ত্রীসভায় যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সেটা মনে করাব না?
    -- বা: বেশ আবদার! যারা সংবিধান মানছেনা তাদের দমন করতেও সংবিধান মেনে কাজ করতে হবে? যারা বলছে আমরা ডাংগুলি খেলি, তাদেরও বলতে হবে -- ক্রিকেট খেল?
    -- ঠিক বুঝেছ।
    -- না করলে কার ক্ষেতি?
    -- তোমার -- আমার -- সবার ক্ষেতি। দেখাতে হবে যে আমরা ডাংগুলিকে ঠিক খেলা ভাবিনা। আমরা কেবল ক্রিকেট খেলি। আর নিয়মগুলো শেখা খুব কঠিন নয়।
    -- ওরা না বুঝলে কি হবে?
    -- সংবিধানের ওপর আরও লোক বিশ্বাস হারাবে। আইনের শাসনে ভরসা হারিয়ে লোকে সন্ত্রাসবাদী হয়। মেরে শেষ করবে? কটাকে মারবে! সিভিল সোসাইটি গড়ার কাজ সহজ নয়। ক্‌নো শর্টকাট নেই, মেড ইজি নেই।

    এমন সময় বিদ্যুৎ চলে গেল। ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়লাম। ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ দেখি টিভি চলছে গাঁক গাঁক করে। যাক লাইট এসে গেছে। তাকিয়ে দেখি ই-টিভির অনুষ্ঠান "গুফতগু"। এক মহিলা উকিল তথ্য দিয়ে বোঝাচ্ছেন যে কিভাবে গুজরাতের প্রাক্তন মন্ত্রী হরেন পান্ডিয়া হত্যা মামলায় মোদী সরকার দাঙ্গার পরবর্তী জনমানসের সুযোগ নিয়ে ওদেরই টেকনিকাল সাক্ষ্য যা বলছে তার থেকে একদম উল্টো চার্জশিট বানিয়ে এক ডজন নিরপরাধ যুবককে জেলে পুরেছিল। আর ছেলেগুলি সবকটা মুসলিম। তারপর উনি ব্যাখ্যা করলেন যে এইরকম অস্বাভাবিক সময়ে মানবাধিকারের কাজ কত কঠিন। কারণ, আমরা দাঁড়াই সাংবিধানিক অধিকারের পক্ষে। কিন্তু সরকার এবং মিডিয়া ভাব দেখায় যে সরকারি গল্পটা না মানলেই তুমি দেশদ্রোহী। আর কোনটা দেশপ্রেম, কোনটা কি সেটা ওরাই ঠিক করবে। এবার উনি শেষ করলেন এই বলে যে ছত্তিসগড়ে যেভাবে ড: বিনায়ক সেনকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে তা আমার বক্তব্যকেই প্রমাণ করছে।

    কিন্তু আমার স্ত্রী ভিন্নমত। ওনার কথা হল পুলিশকে ওদের কাজ করতে দাও। নাক গলিওনা। আইন শৃঙ্খলা বেশ জটিল ব্যাপার। আমাদের সবার সুরক্ষার খাতিরে যদি গোটা দুই বিনায়ক সেন কদিন জেলে থাকেন তাতে কিছু যায় আসেনা। মানছি পুলিশের ভুল হতে পারে। তা কাজ করলে কিছু ভুল হয়। Law of Torts এ রাষ্ট্রশক্তিকে কাজের খাতিরে ভুল করবার অধিকার দেওয়া আছে। আর গত সপ্তাহে যে শিবতরাইয়ের পাহাড়িতে ওরা প্রায় পঞ্চাশজন পুলিশকে যমদুয়ার দেখিয়ে দিল তার কি হবে? কাজেই চেঁচামেচি করো না, বেগুন-বড়ির ঝোল খেয়ে ঘুমিয়ে পড়।

    শেষে ২৩শে জুলাই হাইকোর্ট জামিনের আবেদন খারিজ করল এই বলে যে প্রাইমা ফেসি প্রমাণ পাওয়া গেছে যে ড: বিনায়ক সেন নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। আর ওনার বিচার হবে "ছত্তিসগড়
    জনসুরক্ষা অধিনিয়ম"এর ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে। ডিফেন্সের এই যুক্তি যে ১৯শে মে বাজেয়াপ্ত করা বইপত্তর-সিডি কোনোটাই বে-আইনী বা নিষিদ্ধ নয় -- বিচারক মানতে রাজি নন। কারণ নকশাল সমস্যা দমনে তৈরি এই নতুন আইন পোটা বা মকোকার চেয়ে অনেক কড়া। আর সিডিতে পুলিশী অত্যাচারের নাটকীয় দৃশ্য আছে। আজকের দিনে পুলিশের মনোবল ভেঙে যায় এমন সবই রাষ্ট্রদ্রোহিতা।

    আগস্ট ৫,২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৫ আগস্ট ২০০৭ | ৬৩০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন