কার্তিকেয়
[রায়মাটাং ২০০৮]
বেদনা সহন করে খসে গেছে শীত
আমার দু’হাতে –- দ্যাখো –- স্পর্ধা রেখেছি
যদি গণ্ডুষ পাতো, তবে ভিক্ষে দিতে পারি
জলার্করূপে চুষে খেতে পারি, জেনো, তোমার কলুষ
কুয়াশাআড়াল থেকে আকণ্ঠচাঁদ ... ধীরেসুস্থে ধুয়ে দিচ্ছে ঘুমের আদল
ভিজে জলঘরে দু-একটা লেগে-থাকা চুল ... আমাদের-ই পাড়ভাঙা কথার অংশবিশেষ
রাত্রিকালীন
ফুটেছো শরীর নিয়ে
... তবু অপঠিত রয়ে গেলে তুমি।
গর্ভপাতের ফুল, দেখি, মানুষেরা ‘জোসনা’ বলছে
নদীতে উড়ে চলেছে ঘুমপোকাদের ঘর
পোড়াপালকের নিচে পুঁতে-রাখা দাঁত
আর ভেসে-যাওয়া মেঘেদের রূপবাণী
স্বচ্ছল ডিনারে, দেখি, রোজ-ই দু’তিনটে রক্ত ...
... অস্তিত্ত্ব ও সম্পর্কের মধ্যবর্তী পিচ্ছিল যে-ব্রিজ --
অস্ত্রহীনের জন্যে তা পাঠযোগ্য নয়।
শোধকল্প
ঘুরেছি প্রেতের মত জ্বলনে স্খলনে
প্রত্নপোড়া মায়া এসে ঘিরেছে শরীর
মাংস-শোধনে মেখে নির্বাপিত রোদ
পতঙ্গকরোটি ঘিরে অনুপম খনিজ খাদক
পুরুষ্টু ওষ্ঠে, দেখি, ক্লেদ লেগে আছে
গর্ভনুনে ছেয়ে আছে সামুদ্রিক জোঁক
ঘোষিত-আঘাতে তন্তুময় পুরুষ-পাবক
ঋতুতাপসীরা আজ স্নাত ও উভলিঙ্গ হোক!
চিত্রঃ মৃগাঙ্কশেখর গঙ্গোপাধ্যায়