এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • দুগ্গোপুজোঃ দুই দেশে, দুইকালে

    রঞ্জন রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৯ মার্চ ২০১০ | ৮৯৯ বার পঠিত
  • বিলাসপুরের মধ্যনগরী দুগ্গোপুজো কমিটির বৈঠকে আজ তুমুল হট্টগোল। কমিটি প্রায় দু'ফাড় হয়ে যায়। কালকে অব্দি সব ঠিক্‌ ছিল। কিন্তু গতকাল রাত্তিরে স্থানীয় কংগ্রেসী বিধায়কের বাড়ি থেকে লোক এসে কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সহ-সচিব কে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি হোটেলে ভুরিভোজন করায়। তারপরে প্রস্তাব দেয় যে বিধায়ক মহোদয় দুগ্গোপুজো ফান্ডে দশহাজার টাকা চাঁদা দিতে রাজি। কিন্তু শর্ত হচ্ছে যে মধ্যনগরী পুজো প্যান্ডেলের এবারের যে ঝাঁকি তা বদলে দিতে হবে। সেটা ছিল ১৯৯২ এর পুজো। সেবারের লোক- উপচে পড়া কি এমন ঝাঁকি ছিল যে কংগ্রেসী বিধায়ক সেটা বন্ধ করতে একেবারে দশহাজার টাকা দিতে রাজি? সেবারের ঝাঁকি ছিল--"" বোফোর্স''। সেকী?

    আজ্ঞে হ্যাঁ, কোলকাতার অনেক আগে থেকেই হিন্দিবলয়ে থিম পুজো চলছে। দুগ্গোপুজোর প্যান্ডেল হবে একটু ছোট। পাশে থাকবে বেশ বড় করে একটি ঝাঁকি বা থেমাটিক ডিসপ্লে। বিলাসপুরের সব পুজো প্যান্ডেলে এমনি ঝাঁকি থাকে। বিসর্জনের দিন (দশহরায় না করে একাদশী বা দ্বাদশীতে হয়) শহরের সব পুজো প্যান্ডেল থেকে মিছিল বেরোয়। তাতে ফিল্মি নিতম্ব দোলানো বাঁদুরে নেত্য ছাড়াও থাকে ছোট ছোট দলে আলাদা আলাদা ছত্তিশগড়ি লোকনর্তক। রাস্তার দুপাশে আম জনতা ভীড় করে দাঁড়িয়ে দেখে মেয়েদের সুয়া নাচ, সতনামী সম্প্রদায়ের মর্দানা ছন্দোবদ্ধ পন্থী নৃত্য, রাউতনাচ বা রাখালবালকদের নানান সাজস্‌জ্জায় লাঠি ঢাল নিয়ে যুদ্ধের অভিনয়। আর নগরনিগমের নির্বাচিত জুরীরা পুরস্কার ঘোষণা করে-- শ্রেষ্ঠ প্রতিমা, ঝাঁকি, বিসর্জনের মিছিল এইসবের।

    সরকারী হাসপাতাল ( লোকের মুখে ""ধরম হাসপাতাল'') এর সামনে হয় আর এস এসের ""জগজ্জননী'' পুজো। তেমনি ঘসিয়াপাড়া বা রাজেন্দ্রনগর চৌকের পুজোর সাজসজ্জা অভিনব। ওখানে পিল্লে বলে এক মালয়ালী ছেলে স্বভাব আর্টিস্ট। সে প্রতিবার বানায় নতুন নতুন থিম। অনেক খর্চা করে কখনও অজন্তা-ইলোরা, কখনও মহাবলীপুরম আর কখনও পুরীর স্থাপত্য। এটা যেন খানিকটে কোলকাতার কাছাকাছি।

    তবে মধ্যনগরীর কথা আলাদা। এরা প্রত্যেকবার পলিটিক্যল থিম বানায়। গতবার ছিল ভারতমাতা। তাঁর পায়ে ভ্রষ্টাচারের শেকল, উগ্রবাদ, খালিস্তান ইত্যাদি দস্যুরা তাঁকে সামনে থেকে আক্রমণ করছে, পেছন থেকে পাকিস্তান। এরা নতুন নতুন শিল্পীকে নিয়ে আসে। এবারের থিম ""বোফোর্স''।

    ধীরে ধীরে ঘ্রছে একটি গ্লোব। দিল্লির কাছে নেমেছে একটি প্লেন। তার সামনে সিঁড়ি দিয়ে নামা এক সায়েব বিগলিত চেহারার এক সাদা পাজামা-পাঞ্জাবী পরা কংগ্রেসী নেতাকে ব্রিফকেস দিচ্ছে। পেছনে গর্জাচ্ছে একটি কামান। কী ভীড়, কী ভীড়! ছোট ছোট ভলান্টিয়র ভীড়ের মাঝে পুজোকমিটির তরফ থেকে বিক্রি করছে একটাকাওলা ছাপা কুপন। মাইকে ঘোষণা করছে-- দশেরার দিন লাকি ড্র বিজেতা পাবে একটি লুনা, দ্বিতীয়জন টু-ইন-ওয়ান ক্যাসেট প্লেয়ার ইত্যাদি। নমুনাস্বরূপ ঝাঁকির পাশে দাঁড় করানো আছে লুনা। চোখে দেখলে তো বিশ্বাস হবেই। বিক্রি হচ্ছে কুপন, জোর কদমে।

    সামনে নির্বাচন। বিধায়কের পাড়ার পুজো যদি বোফোর্স থিম দেখায় তবে অপোজিট লবি দেখবে যাতে এই বিধায়ক আগামীবার নমিনেশন না পায়। তাই দশহাজার টাকা চাঁদা।

    প্যান্ডেলে গান বাজছে--"" না বিবি না বাচ্চা, না বাপ বড়া ন মাইয়া,
    দ্য হোল থিং ইজ দ্যাট, সবসে বড়া রুপাইয়া।''

    এদিকে মিটিং চলছে, ওদিকে আমি দাঁড়াই পুজো প্যান্ডেলের সামনে। কী ভীড় ! কী ভীড়! মাইকে ঘোষণা, রেকর্ডে ভজন সবই আছে। খালি নেই ঢাকের বাদ্যি।

    ইতিমধ্যে কমিটির মিটিং শেষ। শুনলাম একটু সমঝোতা হয়েছে। কমিটির সামনে ছিল "শ্যাম রাখি না কুল রাখি' গোছের সমস্যা।

    কমিটির জনাতিনেক হোমরা-চোমরা ""জরুরি অবস্থা''র সময় প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যাপারে সক্রিয় ছিলেন। আজ কমবয়সের সেই আগুন নেই, কিন্তু ছাইয়ের মধ্যে কিছু ধিকিধিকি রয়ে গেছে। তাঁরা বেঁকে দাঁড়িয়েছেন যে কোন বিধায়ক আমাদের কেনার দু:সাহস দেখায় কি করে! কিন্তু ইয়ং গ্রুপের ইন্দিরাজীর ইমার্জেন্সি নিয়ে কোন স্মৃতি নেই, কোন মাথাব্যথা নেই। আবার বিধায়ক গত দশবছর ধরে এই পুজোর পেট্রন। তাঁকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করা যায় না। অবরে-সবরে ওনার সাহায্য পাওয়া যায়। যেমন টেনিস বল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ব্যবসায়ী সংঘের চাঁদা বা মেয়েদের পেছনে লাগায় থানায় ডাকলে ছাড়া পাওয়া----- ওনার একটা ফোনই যথেষ্ট।

    সমঝোতা হল এইরকম---- উনি দেবেন দশ নয়, পাঁচ। আর ঐ ঝাঁকি থেকে বোফোর্স লেখা বড় লেভেলটি সরাতে হবে। তবে কোথাও কিছু স্যাবোটাজ হল। নবমীর ভিড় দেখল সায়েবের হাতে ব্রিফকেস নেই। যেন শেক্‌ হ্যান্ড করার জন্যে হাত বাড়াচ্ছে আর পিছোচ্চে। মাইকে শ্লোগান উঠছে-- দূর্গা মাঈয়া কী জয়! জয় মা শেরাওয়ালী!

    দশহরার দিন রাবণ-বধ হবে, এর মধ্যে নতুন ফ্যাক্‌ড়া! এক কংগ্রেসি নেতার পিতৃদেব একটি চটি বই লিখে পুজো প্যান্ডেলে বিলোচ্ছেন--- "" ব্রাহ্মণসন্তান রাবণ কো মৎ মারো''!

    উনি পুরাণ-টুরাণ ঘেঁটে দেখাতে চাইছেন যে পুলস্ত্য মুনি ও নিকষা রাক্ষসীর পুত্র রাবণ জাতিতে ব্রাহ্মণ বটেক! তায় সকাল -সন্ধ্যে বেদপাঠ করেন। রাবণের নামে বৈশেষিক সূত্রের ওপর ""লংকাবতার ভাষ্য'' আছে। এমন মহাপণ্ডিত রাবণকে মারার অধিকার সির্ফ ভগবান বিষ্ণুর অবতার রামের আছে, অন্য কোন মনুষ্যের নেই। কিসের অধিকারে ব্যবসায়ী সংঘের প্রেসিডেন্ট রামলীলার পরে দশহরার ময়দানে রাবণের খড়-কাগজ-বাখারি দিয়ে তৈরি মূর্তিতে আগুন দেন? পাপ লাগবে না!

    কিন্তু আম জনতার রায় হল--- বিটলে বুড়োর ভীমরতি হয়েছে। পাপী রাবণ সীতামাইয়াকে অপহরণ করেছিল না? সুপণ্ডিত তো কী হয়েছে? আইনের চোখে সব সমান। তালে কি বামুনের ছেলে রেপ্‌ করলে জেল হবে না? খালি চামারের জেল হবে?
    যাক, সে'বই পুজো প্যান্ডেল থেকে পুলিস নিয়ে গেল। কংগ্রেসি নেতা বাবাকে নিয়ে দিল্লির রামলীলা দেখতে চলে গেলেন। কিন্তু পাপস্খালন হল না। পরের নির্বাচনে কংগ্রেস কমিটি আর ওনকে দাঁড় করানোর রিস্ক নিল না।

    রাবণ পোড়ানোর পর সবাই কোলাকুলি করে এবং ""সোনপত্তি'' অর্থাৎ, স্বর্ণপত্র বলে একধরনের বেলপাতার মত দেখতে পাতা একজন আর এক জনের হাতে দেয়। মানে রাবণকে পুড়িয়ে শ্মশান থেকে আসার পর শুদ্ধ হওয়া আর কী!

    এখানেই শেষ নয়, বাঙালী পুজোয় যাই মিলনমন্দিরে। সেখানে আছে ঢাকের বাদ্যি, সন্ধ্যেয় ছেলেমেয়ে এবং বয়স্কদের ধুনুচি নিয়ে আরতিনৃত্য। প্রতিদিন একটি করে নাটক, মায় বয়স্কদের তিন অংকের বড় বাংলা নাটক।

    বিলাসপুরে একটা কথা আছে--- ক্রীশ্চানদের রোব্বার-রোব্বার গির্জেয় যাওয়া আর বাঙালীদের প্রতি বছর দূগ্গোপুজো। দুটোতেই ছেলেমেয়েরা একে অন্যকে ঝারি করে। কেউ খালি চারা বানিয়ে ছিপ ফেলে বসে থাকে, কেউবা খেলিয়ে ডাঙায় তোলে।

    এ'ব্যাপারে আমার কপাল বরাবর একই রকম। "" জনম্‌দুখে কপালপোড়া গুরু আমি একজনা।''

    একমাস ধরে যে বিশিষ্ট তরুণীকে একটা কথা বলব-বলব করছি নবমীর দিন দেখলাম তিনি আমার পরিচিত আর এক বিশিষ্ট তরুণের বাহুলগ্না হয়ে পুজোর ভীড়ের মধ্যে জলকেটে মরালগতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন।

    দেড় দশক আগে কোলকাতার নাকতলায় পুজো প্যান্ডেলে করেছিলাম --- ভিয়েৎনাম একজিবিশন। মার্কিন অত্যাচার ও ভিয়েৎনামীদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রদর্শনী। সেইসব দিনের প্রখ্যাত সাংবাদিক ফেলিক্স গ্রীন, উইলফ্রেড বার্চেটদের ফটো অ্যালবাম থেকে কেটে সাঁটা। তার সঙ্গে আমাদের গাইডের কাজ। সমবয়েসী ছেলেমেয়েদের মধ্যে কি ইম্প্রেশন!

    কিন্তু যাকে বলতে চেয়েছিলাম সে খবর পাঠালো --- আমি খুব সাধারণ মেয়ে। সবার মত সাধারণ সাধ-আকাঙ্খা আছে। রঞ্জনদার মত সিম্পল্‌ লিভিং - হাই থিংকিং জিন্দগী আমার জন্যে নয়, সরি!

    আজকাল দুগ্গোপুজোর দিনগুলোতে প্যান্ডেলে যাইনে, ঘরে বসে বই পড়ি, টিভি দেখি, গান শুনি। "" কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!''

    ২৯শে মার্চ, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৯ মার্চ ২০১০ | ৮৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন