গ্রামের নাম তেঘড়িয়া,পাথরঘাটা। এইসময়-এর প্রতিবেদন থেকে খবর পেয়েছিলাম সেইখানকার জমি অধিগ্রহণ ও তৎসংক্রান্ত অসন্তোষের কথা। ২৭/১২/২০১৩ শনিবার সকালে সেই গ্রামে গেলাম। এর আগের সপ্তাহে এমনি-ই খানিকটা অবকাশ পেয়ে ঘুরছিলাম রাজারহাটের সিটি সেন্টারের পেছন দিকটায়। একটা বড়ো অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের গা ঘেঁষে পিচের রাস্তা গ্যাছে, তার পাশে খাল, খালের ওপারে একটা গ্রাম, যেটা আজ অবধি অধিগৃহীত হয় নি। হাঁটাপথটা নো-ম্যানস্ ল্যান্ডের মতন। শহরের উদ্বৃত্ত যেমন সিটি সেন্টারের ফেলে দেওয়া প্যাকেট ইত্যাদি, ম্যাকডির উচ্ছিষ্ট হাড্ডি, সিসিডির কাপ সব জড়ো হয়ে আছে খালের ঐ পাড়টায়। এ-পারে তকতকে আবাসন, কিম্বা একটু এগোলে মাটি গুঁড়ো করে নতুন কন্সট্রাকশন উঠছে, সিমেন্টের ধুলো এসে পড়ছে অন্যপারের গ্রামে। গাজা স্ট্রিপের তুলনা মাথায় এলো, নিজভূমে উদ্বাস্তু কিছু মানুষ আর ঘিনঘিনে আবর্জনার নো-ম্যানস্ ল্যান্ড। একটা পুকুর মতন জায়গায় কিছু লোক কাজ করছে। খাল পেরিয়ে এগিয়ে যেতে এক প্রবীণের সঙ্গে কথা শুরু হল। শুনলাম যেটাকে পুকুর ভেবেছিলাম সেটা এক কালে মাঠ ছিল, শীতের সময় সবজি ইত্যাদি চাষ হত। নিউটাউন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খালের মুখ গুলো বুজে যায়। ‘বুঝলে এখানে আগে এক গোড়ালি জল দাঁড়াত না, এখন বৃষ্টি হলেই হাঁটুজল’।ওই মাঠে এখন পানিফল চাষ হচ্ছে। ভদ্রলোকের জমি ছিল সিটি সেন্টার থেকে একটু এগোলেই। খুব বেশি না, তবে সম্বৎসরের খোরাকি আসত ওই জমি থেকে। তারপর ‘তোমার মত চেহারার কিছু লোকজন এসে বলল, জমি দিয়ে দিতি হবে। বাড়ির লোককে চাকরি দেবে ওরা।’ বলাবাহুল্য আবাসনে গ্রামের সবার চাকরি হতে পারে না। জমির জন্য ২০০১ সাল নাগাদ কাঠা প্রতি ৬০০০ টাকা হারে পেয়েছেন ওনারা। চাষ না থাকা এবং নোংরা আর নিকাশি বিপর্যয়ে ভদ্রলোক নিশ্চিত এখান থেকে ওনাদেরও কিছুদিনের মধ্যে চলে যেতে হবে। ৬০০০ টাকা স্কোয়ার ফিট অবশ্য এখনো নিউটাউনে জমির দাম ওঠে নি। তবে ওনাদের থাকার জায়গা এ চত্বরে জুটবেনা বলেই মনে হয়। ওনার সমস্ত রাগ সিপিএমের ওপর। তৃণমূল নিয়ে বললেন এরা আর কী করবে, মাজা তো ভাঙা হয়েই গ্যাছে। খটকাটা এখানেই লাগে, ধ্বংসের এমন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের ভ্যানগার্ড হওয়ার তাত্ত্বিক মঞ্চ যে বৃহত্তম বাম দলটি, এনাদের কাছে চিহ্নিত প্রধান শত্রু শেষে তারাই।
|
|
মাঠে ১০০ দিনের কাজ চলছে |
বহুতল প্রকল্পের গা বেয়ে চাষের মাঠ |
যাই হোক, পাথরঘাটা তেঘড়িয়ার কথায় আসি। গ্রামটা সত্যিই সীমান্তে, এরকম নো-ম্যানস ল্যান্ড গড়ে ওঠে নি বলে সীমান্তটা প্রকট ভাবে চোখে পড়ে। নিউটাউনে টাটা মেডিকেলের পর ডিএলএফ-টু ছাড়িয়ে গোল আইল্যান্ড থেকে ডানদিকে ঘুরে ইডেন কোর্ট নামের বিশাল নির্মীয়মান আবাসনের গায়ে এসে পিচের রাস্তা শেষ হয়ে যায়, গাড়ি আর এগোতে পারে না। বুলডোজার-ক্রেনগুলো পেরোলেই পাঁচিল। পাঁচিলের ওপারে অন্য দেশ, যে দেশে আমরা রাজারহাটে পিকনিক করতে যেতাম। আমবাগান-ছাওয়া মাঠ, টিউবওয়েল, ইঁটের রাস্তার দুপাশ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের ক্ষেত, তার মধ্যে সর্ষে তার ফুল নিয়ে প্রকট। মাঠে লোকজন একশ দিনের কাজে পুকুর কাটছে, কবরস্থান বাঁধাচ্ছে। লোকে অটোর বদলে সাইকেলে যাতায়াত করে। ক্লিশের ব্যবহার এনে বলা যায় ইন্ডিয়া ও ভারতের সীমান্তে ঐ পাঁচিলটি। গ্রামে ইতিউতি খোঁজ নিচ্ছিলাম জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কী চলছে- হাল্কা টাক পড়া এক ভদ্রলোক বললেন, গোটা রাজারহাটেরই তো এই অবস্থা, ওনার চুলের মত এক খাবলা আছে তো এক খাবলা নেই। কখন নোটিশ বেরোচ্ছে কেউ জানে না, হঠাৎ করে শোনা যাচ্ছে জমির দাম আদালতে পড়ে আছে। এখনকার অধিগ্রহণ আন্দোলনে যাঁরা আছেন, এরকম একজনের খোঁজ পেলাম, সাইজুদ্দিন ঢালি। সাইজুদ্দিন ও তাঁর ভাইদের সঙ্গে কথা হল এই নিয়ে। ওনারা কত পুরুষের বাসিন্দা তার ইয়ত্তা পেলাম না। সাইজুদ্দিন আমাকে বাড়ি জমির দলিল দেখালেন, অজস্র পুরুষের উত্তরাধিকারের খতিয়ান সেখানে। এই মুহূর্তে এক্সটেন্ডেড ঢালি পরিবারের প্রায় ২৫০ জন সদস্য। প্রায় সকলেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন জমিতে চাষ করেন। এনাদের জমির ২৪০ বিঘে ইতিমধ্যে অধিগৃহীত হয়ে গ্যাছে। সবচেয়ে বেশি অংশ গ্যাছে কলকাতার নবতম আকর্ষণ ইকোপার্কের পেটে। ২০০০-এর শুরুর দিকে, তখন পেয়েছিলেন কাঠাপ্রতি ওই ৬০০০। পরে সেটা বেড়ে ১৩০০০ হলো। এখন ক্ষতিপূরণের দাম অবশ্য তুলনায় ভালো, কাঠা প্রতি ৬০০০০ এর কাছাকাছি। অবশ্য, ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ৬ লাখ টাকা কাঠাপ্রতিতে নাকি খোলা বাজারে জমি বিক্রি হচ্ছে। ‘আচ্ছা, ওরকম দাম পেলে আপনি জমি দেবেন?’প্রশ্ন করলাম।সাইজুদ্দিনের জবাব ‘আর এক ইঞ্চিও দেব না, আগে হলে দিতাম।এখন যা প্রতারণা হয়েছে; আমি কিন্তু গ্রামের ছেলে।’ প্রতারণার ঘটনাগুলো শুনছিলাম- ‘তৃণমূল ভোটে জিতল, দিদি বললেন আর কোনও জমি অধিগ্রহণ হবে না। আমরা সবুজ আবির মেখে ঢোল বাজিয়ে ঘুরলাম। তারপর বছর ঘুরতেই এই জমি নিয়ে টানাটানি। তৃণমূলরা এখন বলে উন্নয়নে বাধা দিও না।’ সাইজুদ্দিনের জমির ওপর টাটাবাবুদের নজর আরও আগের। ‘২০০৮-এ বামফ্রন্টের সময় নোটিশ আসে। আমাদের বেশির ভাগ জমি ততদিনে চলে গ্যাছে। আমরা কোর্টে যাই। তারপর টাটারা আসে, খোলামাঠে বেশ কয়েকবার মিটিং হয়। বলে আমাদের কাজের ব্যাপারটা দেখবে। গ্রামের উন্নয়ন করে দেবে। রাস্তা আলো স্কুল ইত্যাদি। তারপর চুপচাপ। ২০১৩য় আবার আসে জমি নিতে। আমি কোর্টে যাই, এবার স্টে অর্ডার দ্যায় কোর্ট। আমাকে থানা থেকে ডেকে পাঠায়। অফিসার প্রথমেই বলেন আমি বে-আইনি ভাবে জমি আটকে রেখেছি। স্টে অর্ডার দ্যাখাতে চুপ করেন।’ কাগজপত্রগুলো সব দ্যাখাচ্ছিলেন সাইজুদ্দিন, ২০০৮ এর বর্তমানের পেপার কাটিং থেকে শুরু করে ২০১৩-র স্টে অর্ডার। ‘এর মধ্যে টাটারা কমপ্লেন করে ওদের ইঞ্জিনিয়ারকে কিডন্যাপ করেছি আমরা। এখনও বোধ হয় কেস ঝুলিয়ে রেখেছে। এ জমি দেওয়া এখন ইজ্জতের ও প্রশ্ন কিন্তু।’ ... ‘আগের সরকার যা করত সামনা-সামনি করত। পুলিশ পাঠিয়ে জমি ঘিরে নিত। কিন্তু এ করে লুকিয়ে, মাঝরাতে জমিতে গুন্ডা নামায়, ফসল নষ্ট করে, খুঁড়ে দ্যায়।’‘জমি থেকে আপনাদের চলছিল কেমন?’ ‘২৫০ জনের মত লোক, তারপর ভাগচাষীরা সব তো খেয়ে-পরে বাঁচছিল। পড়াশুনোও তো শেখাচ্ছিলাম বাচ্চাগুলোকে। এই চাষের জমি থেকে আমরাও তো কিছু পড়াশুনো করেছি। কোর্ট-কাছারি টুকু করতে পারি। চলে গেলে কী চলে তাও তো দেখছি।’–‘নগরায়ণ হলে তো আরও উন্নয়ন হবে, আপনাদের এখানে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের হাল কেমন?’ সাইজুদ্দিনের এক ভাই জানালেন- ‘হাইমাদ্রাসা আছে, স্কুল আছে একটু দূরে। তো সেসব তো কিছু করল না। আগে একগ্রাম লোকের সামনে অনেক কথা দিয়েছিল ওরা। জানেন, এখান থেকে কোনও প্রসূতিকে আরজিকরে নিয়ে যেতে চার ঘন্টা লাগে। তো করত রাজারহাটে একটা সরকারি হাসপাতাল। আমরা হেসে হেসে জমি দিতাম।’ জানতে চাই, যাঁদের অলরেডি জমি চলে গ্যাছে, তাঁদের কী হল? ‘বসতবাটিও তো গ্যাছে। রাজারহাটে বেশিরভাগ লোকই জমি দিয়েছে ৬০০০ টাকা করে। তো সে দামে তো সুন্দরবনের বাইরে কোথাও থাকার জায়গাও পাওয়া যাবে না। নয় তো কলকাতার ফুটপাথে আছে।’‘ওদের আর দেখিনি।’ ‘পাশ থেকে মন্তব্য করলেন একজন। সাইজুদ্দিন বিতর্কিত মাঠটাতে নিয়ে চললেন। ওঁদের ছবি তুলতে গেলেন। অল্পবয়স্ক একজন ছবিতে থাকতে চাইলেন না। ‘সরকারি চাকরির চেষ্টা করছি দাদা, কেস-এ আমাকেও ঝুলিয়ে দেবে ওরা।'
|
|
|
সাইজুদ্দিন ও তার ভাইয়েরা দলিলপত্র দ্যাখাচ্ছেন |
দুশ বছরের দালান |
যিনি এখন চাষ করছেন |
বেরোনোর মুখে সাইজুদ্দিনরা বললেন ‘এই বাড়িটার ছবি তুলে নিন দাদা। ২০০ বছরের পুরোনো বাড়ি।’ পুরোনো ভারতে একটা সাটেনেবেল সিস্টেম ছিল যেখানে রাজারহাটের একটা গ্রাম মানুষকে অন্ততঃ দুশো বছর একটা জমি-বাড়ির ওপর দিয়ে টিকিয়ে রেখেছিল- শাইনিং ইন্ডিয়ার নিউটাউন দুশো বছরের শহরজীবন পাবে কি? আমরা অবশ্য ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ফাঁকে ফাঁকে সাস্টেনেবিলিটি শব্দটা গুঁজে দিয়ে ফান্ডিং চাইছি আজকাল। সাস্টেনিবিলিটির আরেক নমুনা দেখলাম সাইজুদ্দিন ঢালির ক্ষেতে এসে। অসাধারণ চাষের বাহার। এক জায়গায় বেগুন হয়েছে তো পাশে কুমড়ো, কিছুটা সর্ষের ক্ষেত। একটা ধানের বীজতলা। আর টাটাদের পাঁচিলের গা জুড়ে ছড়িয়ে আছে রজনীগন্ধার গাছগুলি। জিগেশ করলাম ‘চাষে এখন খরচা কেমন? জল পান কোথা থেকে?’ সাইজুদ্দিন বললেন ‘শ্যালো আছে আমার, জল তুলে নিই’ওয়াটার রিসোর্সের ক্লাস করা আমি এবার আঁতকে উঠি- ‘জলসেচ ছিল না এখানে?’ – ‘ছিল তো। বাগজোলা থেকে জল আসত। তো ২০০০ সাল নাগাদ সে সব পুরো রাজারহাটে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই নোটিশ বেরোনোর কিছু আগে। যাদের পাম্প কেনার পয়সা নেই, তারা এমনিই চাষ ছেড়ে দ্যায়।’ কী ভয়ংকর! মাটির তলা থেকে জল তুলে চাষ করা কতটা ক্ষতিকর তা নিয়ে এখানে আলাদা করে লিখছিনা। কিন্তু সত্যিই শিউরে উঠি আমি, কয়েক বছর আগে সেচ বন্ধ করে তারপর জমি দখল করে বাড়ি তোলার ধান্দা যাদের, তারা তো আক্ষরিক অর্থে নিজের মাকে বিক্রি করে দিতে পারে! জমিতে চাষ করছিলেন যে চাচা, তিনি বললেন- ‘আমি তো চাষ ছাড়া আর কিছুই জানিনা। জমি চলে গেলে এই বয়সে খাবটা কী?’ এ প্রশ্ন অনেকবার আলোচনা-টোনায় শুনেছি। কিন্তু এখন যিনি খাবটা কী বললেন, ওই বীজতলার ধান ছড়িয়ে বড় করে আমার অন্ন তিনিই হয়তো সংগ্রহ করেন। সাইজুদ্দিননে জিগেশ করলাম, ওই যে বড় বাড়িগুলো, একসময়ে আপনার, আপনার ভাই বন্ধুদের মাঠ ছিল। এখন পিচ-কংক্রিট। কেমন লাগে? উত্তর দিলেন- ‘কী বলব দাদা, ওখানে এখন তো আমাকে ঢুকতেও দ্যায়না, দেখতেও দ্যায়না ভেতরে কী আছে। কিন্তু একটা হাসপাতাল যদি হত। দরকারে অদরকারে আমিও যেতে পারতাম।’
ওনাদের টাটা করে বেরিয়ে পড়লাম শহরের দিকে, টাটাদের বিশাল ইডেন আবাসন, সেখানে আমাকেও ঢুকতে দেবেনা ভিজিটর্স বুকে সই না করে, পরিচিত নাম না দেখিয়ে। সঙ্গত কারণেই দেবে না। হিডকোর জমি তো আর সাইজুদ্দিনের ক্ষেত বা ২০০ বছরের বাড়ির চত্বরের মত দখলযোগ্য নয়। ক্রমশঃ এগিয়ে গেলাম শহরের অ্যালিয়েনেশনের দিকে। সেখানে কোনও বহুতল ২০০ বছর টেকানোর ডিজাইনে তৈরি হয় না, মাটির গভীর থেকে পাম্প দিয়ে জল তোলা হয়, হাঁটা-পথ পেরোনো হয় গাড়িতে-অটোতে পেট্রো-রাজনীতির বৈদেশিক নীতিকে সমীহ করতে করতে। বাড়ির সামনের জমিতে গাছ লাগানোর অধিকার থাকে না বহুতলের বাসিন্দার। শহরের রাস্তায় নো-সাইক্লিং বোর্ড লাগিয়ে রেখে যায় কলকাতা পুলিশ। দেশের ডিপ্লোম্যাট কাজের মাসিকে কম পয়সায় খাটিয়ে কেস খান। যেখানে রাজারহাটের উদ্বাস্তুরা শহরের ফুটপাথে আশ্রয় ন্যান। আবর্জনা ফেলে আসা হয় সিটি সেন্টার টু এর পাশের গ্রামে।
পাঁচিলের ওপারে পড়ে থাকল ফেলে আসা হাজার বছরের গ্রাম্যতা মাখা সেলফ-সাস্টেইন্ড ‘জড়’-ভারত। আর সীমান্ত রক্ষার শেষ প্রহরীদের কয়েকজন।
|
|
|
টাটার প্রস্তাবিত প্রকল্পের ভিতর সর্ষে চাষের জমি |
রজনীগন্ধা ক্ষেতে ঢুকে পড়তে চাইছে আবাসন |
ইডেন কোর্ট আবাসন- প্রস্তাবিত প্ল্যানে |
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।