কবিতা এক ধরণের দান। মুক্তি। অন্তরের দান। এই বিশ্বাসে আমি ভিখারীর মতো হাত পেতে দাঁড়াই। দয়াপরবশ হয়ে একটা দু'টো টুকরো যদি কখনও ভেসে ওঠে! কখনও জাগর চোখে তার অপেক্ষা করি। অপেক্ষা করি। কিন্তু আসে কি! অসম্ভব ঔদাসীন্যভাব তার। হবেই নাই বা কেন! কতটুকু সাধনা করতে পারি আমি? অন্তরের কাছে পৌঁছানোর জন্য কতটুকুই বা চেষ্টা আমার! আর মুক্তি! ছোটবেলা থেকে আমি মৃদুভাষী। বুকের মধ্যে অসংখ্য কথা, শব্দ, অক্ষর কিন্তু প্রকাশ করতেই যত বাধা। ভাইবোনদের বললেই ওরা হেসে কুটিপাটি। মায়ের সংসার। অবসর নেই! একা বারান্দায় এসে দাঁড়াই। রাতের কালপুরুষ কথা বলে, সকালের রোদ কথা বলে, শব্দ দেয় প্রবল নৈঃশব্দ। এরাই একদিন বন্ধু হয়ে ওঠে। এই প্রবল বাধার ঝাপটে খুলে যায় মাঝে মধ্যে জানলার কাচ। হু হু করে শব্দ ঢুকে। আমি সাজাই তাকে। নিভৃতে, যতনে। একটি দুটি শব্দ তৈরি হয়। তারপর বাক্য। তারপর ...তারপর... জানি না ওসব কবিতা কিনা! কিন্তু একটা ভালোলাগা এসে জড়িয়ে ধরে। একটা বিরাট প্রাপ্তিযোগে নেচে ওঠে ছন্দের যাতায়াত। আমার ওইসব পোষা একাকীত্ব ও নির্জনতাকে দেখতে পাই, অক্ষরের স্রোতে; একেই মুক্তি বলে বুঝি! এমনই এক সকালে...