গান্ধীজি : ব্রিটিশ সরকার নুন বানানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। আমরা নুন বানাবোই। এরজন্যই আমি আজ লবণ সত্যাগ্রহের ডাক দিচ্ছি।
‘গো’স্বামী : কেন শুধু নুন? চিনি কেন না? আপনি চিনিও কেন বানাচ্ছেন না? এতো পরিষ্কার সিউডো-সল্টিজম।
গান্ধিজি : আহেম.. মানে ওরা তো চিনি বানানোয় কোন নিষেধাজ্ঞা আনেনি। যদি আনে তাহলে অবশ্যই...
‘গো’স্বামী (গান্ধীজিকে মাঝপথে থামিয়ে) : না মিঃ গান্ধী, আপনি আলোচনা থেকে সরে যাচ্ছেন। স্বীকার করুন যে আপনি চিনির আগে নুনকে প্রেফারেন্স দেন।
গান্ধিজি : কিন্তু…
‘গো’স্বামী (চিৎকার করে) : কোন কিন্তু না মিস্টার গান্ধী। নেভার, নেভার, নেভার, নেভার, এভার ট্রাই টু হাইড ইওর লাভ ফর সল্ট ওভার সুগার ইন মাই শো। নুনে ব্লাড প্রেশার বাড়ে জানেন আপনি? জানেন, অবশ্যই জানেন। তাও শুধু মাত্র নুনখোরদের তোষণ করতে আপনি সেটা বানাতে যাচ্ছেন। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
গান্ধিজি : কিন্তু চিনিও তো শরীরের জন্য খারাপ।
‘গো’স্বামী (টেবিল চাপড়ে) : আমি জানতাম। আমি জানতাম। আপনি চিনি পছন্দই করেন না। চিনির প্রতি আপনার ঘৃণা আছে। আর এখন গোটা দেশ এখন দেখছে কিভাবে আপনি চিনির দোষ খুঁজে বার করলেন। আপনার ছদ্ম সল্টিজমের মুখোশ খুলে পড়ে গেছে মিঃ গান্ধী।
গান্ধীজি (দুর্বল ভাবে) : কিন্তু ওরা তো চিনি বানানো ব্যান করেইনি। আগে ওরা চিনি বানানো ব্যান করুক, তারপর নাহয় আমি সেটা নিয়েও প্রতিবাদ..
গোস্বামী (থামিয়ে দিয়ে): আমি আমার দর্শকদের বলছি দেখুন এই ব্যক্তিকে। ইনি এখন চিনিও ব্যান করাতে চান। ইনি দেশের শত্রু। নাহলে এভাবে আখচাষীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলতে পারতেন? ইনি পরিষ্কারভাবে আমাদের দেশের স্বার্থ বিরোধী। আপনাদের কি মত? আপনারা কি চিনির বদলে নুনকে বেছে নেবেন? আপনাদের ভোট দিন #নোটুসল্টঅ্যাপিজমেন্ট এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে । শুভ রাত্রি।
গান্ধিজি বিড়বিড় করে কিছু বললেন। সেটা “ওহ মাই গডসে” না “হে রাম” বোঝা যাবার আগেই চ্যানেলের অ্যাডভারটাইজমেন্ট শুরু হয়ে গেল।
লিখেছেনঃ অভিজিৎ মজুমদার, অনুবাদ করেছেন আশিস দাস