রাজনীতির খোলা ময়দান, ইন্টারনেটের খোলা রাজনৈতিক সিনেমা। এই নিয়ে আমরা একটি সিরিজ প্রকাশ করছি। খোলা ইন্টারনেটের রাজনৈতিক সিনেমাগুলি কী? কেমন হচ্ছে তারা? এই লেখাটি 'রাম কে নাম' বিষয়ক। সিনেমাটি বাবরি মসজিদ ধবংসের আগেই নির্মিত হলেও অধুনা নতুন করে এর নাম শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শন বন্ধ করে দেবার সুবাদে। কেন বন্ধ হচ্ছে সিনেমাটি? এ কি এতই বিপজ্জনক?
মিলান কুন্দেরা বলেছিলেন, 'ক্ষমতার বিরুদ্ধে মানুষের সংগ্রাম আসলে বিস্মৃতির বিরুদ্ধে মনে রাখার লড়াইয়ের সমার্থক।' সাম্প্রতিক 'রাম কে নাম' তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে যে বিতর্ক হল, তার পর কুন্দেরার এই উক্তিটাই বারবার মনে আসছে। বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি রাজনীতি নিয়ে আনন্দ পটবর্ধন তাঁর তথ্যচিত্র 'রাম কে নাম' তৈরি করেছিলেন ১৯৯২-এ। তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাস দুই পরেই ঘটে যায় কলংকময় বাবরি অধ্যায়। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই ছবিকে সেন্সর বোর্ড 'ইউ' সার্টিফিকেট দেয়। অর্থাৎ সকলের সঙ্গে বসে দেখার মতো সিনেমা এটি। ছবিতে লালকৃষ্ণ আদবানির রথযাত্রা, ভিএইচপি নেতা-কর্মীদের রাম মন্দির বানানোর উদ্যোগ, নানা রাজ্যে উস্কানিমূলক কথাবার্তা ছড়ানো এবং মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রশংসা করা বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী নেতাদের সাক্ষাৎকার দেখানো হয়েছিল। কিছুদিন আগে এর প্রদর্শন বন্ধ করতে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশ পৌঁছয়। আটক করা হয় ছ'জন ছাত্রকে। প্রেসিডেন্সি কলেজে প্রদর্শন হবার কথা ছিল সম্প্রতি। কিন্তু ছবি দেখানোর অনুমতি ঘিরে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ সিনেমাটি দেখানোয় আপত্তি জানিয়ে অনুমতি বাতিল করেছেন। শেষে প্রতিবাদস্বরূপ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ডভিউ ক্যাম্পাসে গত ২৬শে অগাস্ট সিনেমাটি দেখানো হয়েছে। প্প্রশ্ন উঠতেই পারে, সাতাশ বছর আগে তৈরি হওয়া একটি তথ্যচিত্রকে আজ দেখানোয় এত আপত্তি উঠছে কীসের !
আপত্তি উঠছে, কারণ এটা আসলে কুন্দেরা বর্ণিত বিস্মৃতির বিরুদ্ধে মনে রাখার সংগ্রাম। বিজেপি-শাসিত রাষ্ট্রে মানুষকে ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে হিন্দুত্ববাদের অন্ধকার দিকগুলি। এর আগে গুজরাত দাংগার প্রেক্ষিতে 'আ ফাইনাল সলিউশন' তথ্যচিত্র নিয়েও এরকম বিতর্ক হয়েছিল। পশ্চিমবংগেও এই মুহুর্তে তৃণমূল কংগ্রেস সফট হিন্দুত্বের তাস খেলছে, আর তাই প্রেসিডেন্সি কলেজে দেখাতে দেওয়া হল না সিনেমাটি।
রাম কে নাম
কিন্তু সত্যিই কি তথ্যচিত্রটি এতটাই শক্তিশালী? অথবা, আরো সাধারণভাবে বলতে গেলে, একটা শিল্পবস্তু কি রাজনীতির গতিপ্রকৃতিকে প্রভাবিত করবার ক্ষমতা আর রাখে? মাকেল মুরের ফারেনহাইট ৯/১১ আমেরিকার ইতিহাসে সর্বাধিক লাভ করা তথ্যচিত্র হয়েও জর্জ বুশের দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়া আটকাতে পারেনি। আনন্দ পটবর্ধন পরের পর দলিত প্রান্তবাসী প্রতিবাদী স্বরদের তাঁর তথ্যচিত্রে আনার পরেও নরেন্দ্র মোদির বিপুল ভোটে পুনর্নির্বাচিত হওয়া রোধ করতে পারেনি। আজকের পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে শিল্প এতটাই সাধারণের জীবনযাত্রা থেকে বিচ্ছিন্ন, এমনকি আভা-গাঁর্দও, যে কিছুতেই কোনও প্রভাবই তা ফেলতে পারছে না। এমনকি 'রাম কে নাম', তার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েও, নিছক শিল্পের হিসেবেই একটি ম্যাড়ম্যারে এবং সরলরৈখিক তথ্যচিত্র মাত্র। এই ধরণের তথ্যচিত্র প্রদর্শনের সমস্যা হল, এদের টার্গেট অডিয়েন্স সম্বন্ধে সঠিক ধারণা না থাকা। এগুলো গ্রামের দিকে, বা বস্তিতে দেখালে মানুষ কতটা গ্রহণ করবেন সন্দেহ আছে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের যে পরিমণ্ডলগুলিতে দেখানো হয়, এবং যাঁরা দেখেন, সেই ছাত্রছাত্রীরা ইতিমধ্যেই অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, বামপন্থী সেকুলার। ফলে পুরো ব্যাপারটাই প্রিচিং টু দ্য কনভার্টেড হয়ে যায়। দুঃখের কথা, সাধারণ মানুষকে নাড়া দেবার মত তথ্যচিত্র রাম কে নাম নয়। তার অ্যাপিল মূলত শিক্ষিত প্রগতিশীল মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে গিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বর্তমান লেখকের বাড়ির টিভি-তে যদি এই ডকুমেন্টারি দেখানো হয়, তার বাবা মা-ই একটু পরে 'ধুর একঘেয়ে বকবকানি'' বলে বন্ধ করে দেবেন। ফলে পুরো উদ্দেশ্যটাই মাঠে মারা যাচ্ছে। তথ্যচিত্র হিসেবে, নির্ভীক শিল্প হিসেবে দেশি বিদেশি ফেস্টিভ্যালে পুরষ্কার পাচ্ছে সত্য। কিন্তু তার বাইরে সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছে না। এই দায় একা আনন্দ পটবর্ধনের নয়। আমাদের দেশের এক বৃহৎ অংশের বামপন্থী শিল্প সাহিত্যই, যারা কমিটেড থাকতে চায়, তারা এই বিচ্ছিন্নতায় ভুগছে।
'রাম কে নাম' শুরু হচ্ছে লালকৃষ্ণ আদবাণীর রথয়াত্রার বিবরণ দিয়ে। তারপরেই খুব সহজ ভাষায় রামজন্মভূমি বিতর্কের ইতিহাস ব্যাখ্যা। সেই ব্যাখ্যায় দেখানো হচ্ছে কিছু হাতে আঁকা ছবি। ব্রিটিশদের। মুঘল শাসকদের। এই জায়গাটায় এসে প্রথমেই মনে হল, এগুলো কি না করলেই হত না? হাতে আঁকা ব্রিটিশদের ছবি, আর ব্যাকগ্রাউন্ডে শোনা যাচ্ছে, কীভাবে ইংরেজরা রামজন্মভূমি বিতর্ক উশকে দিয়েছিল। ব্যাপারটা হয়ত এতটা সরল আর ড্যাবড্যাবে নয়। কিন্তু এর পরেই একটা ইন্টারেস্টিং জায়গা চলে আসছে। একদল দর্শক রূধ্বশ্বাসে একটা ভিডিও দেখছেন, কীভাবে স্বর্গ থেকে রামলালা নেমে এসে মসজিদের ভেতর বালক রূপে আবির্ভুত হলেন। ভিডিওটি বানিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই সময়কালে গ্রামে গঞ্জে নাকি এরকম ভিডিও হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছিল। যখন এই জায়গাটা দেখছিলাম, সাধারণ দর্শকদের বিস্ময়, ভক্তি, ভয়, শ্রদ্ধার এক অভূতপূর্ব মিশেল কীভাবে গোটা ভীড়ের মধ্যে সংক্রামিত হয়ে যাচ্ছে, সেটা দেখছিলাম। আর দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, ঠিক এই জায়গাতেই আনন্দ পটবর্ধনের হার। 'রাম কে নাম' কখনওই সাধারণ মানুশকে এভাবে নাড়া দেবে না, যতটা দেবে সিনেমার ভিতর ঘটে চলা এই অপর সিনেমাটি। দক্ষিণপন্থীরা জানে, কীভাবে ধর্মীয় উন্মাদনাকে ছড়িয়ে দেওয়া যায় দৃশ্য তৈরির মাধ্যমে। কীভাবে মানুষকে উগ্র সাম্প্রদায়িকতায় উন্মাদ করে তোলা যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের আভা-গাঁর্দ শিল্প সেটা পারছে না। হেরে যাচ্ছে বারবার। ভিডিওর ঘুরতে থাকা কালচক্রের মধ্যে মিলেমিশে যাচ্ছে স্বস্তিকা এবং ওঁ চিহ্ন। আর তার ঠিক আগের চিত্র? 'শ্রী রাম' লেখা ইঁট পরপর সাজানো। কারোর গায়ে খোদাই করা, সাদাম্পটন ইউকে। কারোর গায়ে, নেদারল্যান্ড। একটা উগ্র ধর্মীয় মৌলবাদ কীভাবে সারা বিশ্বে নিজের বৈধতা স্থাপন করছে, সেটাকেই যেন কয়েকটা বিচ্ছিন্ন দৃশ্যের মাধ্যমে গেঁথে দেন আনন্দ। ছবিটির সবথেকে গভীর অংশ এই জায়গাতেই।
বাকি জায়গাগুলো? গালাগালি খাবার ঝুঁকি নিয়েও বলি, ম্যাড়ম্যাড়ে। খুবই সাধারণ লেগেছে। এই ভিডিওর পরের দৃশ্যে এক সাধুর সাক্ষাৎকার নেওয়া আছে। তাঁর বিবরণ দেবার আগে প্রায় দশ সেকেন্ড ধরে ক্যামেরা সম্পূর্ণুপ্রাসংগিকভাবে একটা রাস্তা দেখায়, আর প্রহরারত এক পুলিশের মুখ। পুলিশটি তাকিয়ে আছে ক্যামেরার দিকে। কী ছিল এই দৃশ্যের তাৎপর্য, বোঝা দায়। নির্মম সম্পাদনার কবলে পড়লে দৃশ্যটি থাকতই না। এরপর বহু মানুষের সাক্ষাৎকার। কেউ সেই জায়গার হিন্দু পূজারী, কেউ সেই অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিম পরিবার। হিন্দু পূজারী লালদাস খুব সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দিলেন, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজনীতি। অপরদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীদের সাক্ষাৎকারগুলো উন্মাদনার রাজনীতি দেখাল। এসবই ঠিক আছে। কিন্তু আনন্দবাবুকে প্রশ্ন-- ও মশায়, ভেতরে ঢুকলেন কই? এসব ইতিহাস তো আমরা সবাই জানি! ভিএইচপি যে ওখানে রাজনীতি করেছিল পাতি ভোটের স্বার্থে, সাধারণ মানুষ যে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে শান্তি চায়, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি যে ইতিহাস ভুলিয়ে দিতে চায়, এ সবই খুব পুরনো এবং বহুচর্চিত তথ্য। যখন তথ্যচিত্র দেখব, এর ভেতরে তো ঢুকব ! দেখতে চাইব, কেন লাখ লাখ মানুষ তখন রামলালার ইঁট নিয়ে অযোধ্যাগামী ট্রেনে উঠে বসেছিলেন। কী ছিল তাঁদের মনস্তত্ব? এত এত মানুষকে শুধুমাত্র ধর্মীয় উন্মাদনা দিয়ে ভুল বোঝানো হয়েছিল, এরকম শিশুতোষ ইতিহাস কংগ্রেস ও বামেরা এতকাল পড়িয়েই এসেছে। তার ফলশ্রুতি? লোকসভায় বিজেপি-র ৩০০-র উপর আসন। এটুকু তো বোঝান, মব সাইকোলজিকে ট্রিগার করবার সেই মাধ্যমটা কী ছিল? কেন শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ দাংগার সময়ে দুম করে বাইরে বেরিয়ে অন্যদের সংগে মিশে ছুটে গেলেন মুসলিম প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন দিতে? এত এত মানুষ, তাঁরা সবাই দাংগাবাজ শয়তান নরকের কীট, অথবা অপর ব্যাখ্যায় সরল গরীব আর তাই কথামালার গোপাল, যা খাওয়ানো হয় তাই খান, এমন গোল ব্যাখ্যার বাইরে তথ্যচিত্রতে আর নতুন কী পেলাম? কী আছে এখানে, যাতে সাধারণ গরীব মানুষ, যাঁর হিন্দুরাষ্ট্র দিয়ে কিছু এসে যায় না, তিনি নড়েচড়ে বসবেন? বুঝবেন দাংগা মানে কী?
ভুল বুঝবেন না প্লিজ, এই নিবন্ধকার একটা বড় সময় ধরে কাছ থেকে বাম রাজনীতিকে দেখার ফলে কিছুটা হতাশ। উদ্দেশ্যের মহত্ব থাকা সত্বেও এক প্রকার নিরাপদ মাহাত্ম্যের আকর্ষণ আমাদের কমিটেড শিল্পকে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। তাতেও সমস্যা নেই। শিল্পকে মানুষের কাছে যেতেই হবে এমন মাথার দিব্যি কেউ দেয়নি। শিল্প হতেই পারে কারুকার্যে, সৌকর্য্যে এবং স্বকীয়তায় এতটাই চমকে দেওয়া যে দেখে ধাঁ হয়ে যেতে হয়--আরিব্বাস, কী বানিয়েছে কাকা ! সে শিল্প হোক না মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন, গুটিকয় রসগ্রাহীর মধ্যেই তার স্থান আবদ্ধ থাকুক। তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু এই তথ্যচিত্র তো শিল্প হিসেবেও নতুন কিছু দেখাতে পারল না। কিছু সাক্ষাৎকার আর কিছু দৃশ্যের সমষ্টি হলেই কি তথ্যচিত্র হয়? তাহলে তো সেসব জিনিস ইতিয়াহস বইয়ের পাতা বা মহাফেজখানার দলিল থেকেই আরো ডিটেইলে বিবরণ পেতে পারি। এমনকি কোনও নতুন ভাবনাও রাখতে পারল না। এটা দাবী না তথ্যচিত্র হিসেবে খারাপ। খারাপ নয়। কিন্তু অসাধারণ ভালও নয়। ভারতের অন্যান্য গড়পড়তা তথ্যচিত্র যেমন হয়, তেমনটাই। বিজেপি এখন মরীয়া হয়ে উঠেছে যে তাদের রাজনীতিকে খণ্ডন করে এমন কিছুই দেখানো যাবে না। স্মৃতিকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে বিস্মৃতির জগদ্দল পাথরের নিচে। তাই তারা এসব দেখাতে দিতে চায় না। কিন্তু তেতো সত্যিটা হল, এ জিনিস দেখালেও কিছু আসত যেত না। সাধারণ খেটে খাওয়া গরীব মানুষ দেখতেনই না। আর যারা দেখত এবং দেখছে, তারা এটা না দেখলেও রেজিস্টান্স দিতই। কারণ তারা মূলগতভাবে বামপন্থী, এই চিত্রনাট্য তাদের নতুন করে বাম বানাবে না।
আমাদের দূর্ভাগ্য যে আমাদের বাম এবং দক্ষিণ, দুই দিকই প্রতিভার দিক থেকে খর্বকায়। দক্ষিণেও নেই নেলি রাইফেনস্তালের মত দানবিক প্রতিভা, আর বামদিকেও এই মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কমিউনিস্ট তথ্যচিত্রকার জিগা ভের্তভের মত কেউ নেই। কাজেই, যা আছে তাই নিয়েই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তবুও দিনের শেষে টুপি খুলতেই হয় 'রাম কে নাম' অথবা 'মুজাফফরনগর বাকি হ্যায়' তথ্যচিত্রগুলির নির্মাতাদের প্রতি। টুপি খুলতে হয় হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি এবং যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীদের প্রতি। দেশব্যাপী আগ্রাসনের সামনে দুর্বল হাতে এবং নিজেদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেই তাঁরা যতটুকু পারা যায় রেজিস্টান্স দিচ্ছেন। আমরা তো ঘরে বসে সমালোচনাই করতে পারি, বুদ্ধির পরিতৃপ্ত ঢেঁকুর তুলে দাগিয়ে দিতে পারি বাজে আর ভাল। কিন্তু কাজের কাজ যেটুকু, ওঁরাই করছেন। সে হিসেবে এই কলমের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতি সশ্রদ্ধ স্যালুট।