মৃত্যুর রঙ কালো
কৈফিয়তঃ বলতে পারবেন ফাদার অফ পাবলিক হেলথ কে?
না, কোনও বিখ্যাত চিকিৎসক অথবা বৈজ্ঞানিক নন, এই উপাধি দেওয়া হয়েছে একটি রোগকে। সেই রোগের নাম কলেরা। এই কলেরাই আমাদের জনস্বাস্থ্যের গুরুত্ব ঘাড় ধরে শিখিয়েছে। এই কলেরার ভয়েই রাষ্ট্র তৈরী করেছে উন্নত পয়ঃপ্রণালী, জীবাণুমুক্ত জল সরবরাহ ব্যবস্থা। ভেবেছিলাম কলেরা রোগ নিয়ে লিখব। বিশেষ করে বেশ কয়েকজন বাঙালী চিকিৎসকের কলেরা রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এবং ও আর এস এর প্রচলনের ক্ষেত্রে গৌরবজনক ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু দুই পর্ব লেখার পর মনে হল কুখ্যাত ব্ল্যাক ডেথ’কে এড়িয়ে যাব কি করে।
১৩৪৭ থেকে ১৩৫১ সালের মধ্যে প্লেগের এই মহামারীতে ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় মারা গেছিলেন প্রায় কুড়ি কোটি মানুষ, যা ছিল এই অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের তিন ভাগের এক ভাগ। এই অঞ্চলের জনসংখ্যা এতটাই কমে গেছিল যে পরবর্তী চারশ বছর লেগেছিল আগের জনসংখ্যা ফিরে পেতে।
যদিও মানুষ তখনও জানতনা রোগটা প্লেগ এবং এর জন্য দায়ী ইয়ারসেনিয়া পেস্টিস বলে একটি ব্যাকটেরিয়া। আর এই রোগ ছড়ানোতে বড় ভূমিকা আছে ইঁদুর ও ইঁদুরের গায়ে একরকম মাছির। তারা এই রোগের নাম দিয়েছিল কৃষ্ণ মৃত্যু বা ব্ল্যাক ডেথ। তাদের ধারণা ছিল রোগটি ছড়ায় মিয়াসমা বা বিষ বাষ্পের মাধ্যমে।
এতদিন চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল ফেল কড়ি, মাখো তেল। এই প্লেগ মহামারীর সময়েই প্রথম সরকারি ডাক্তার দেখা গেল। তাঁরা বেতন পেতেন সরকারের থেকে। অথবা স্থানীয় লোকেরা চাঁদা তুলে তাঁদের বেতন দিত। বিচিত্র তাঁদের পোষাক, আরও বিচিত্র তাঁদের চিকিৎসা পদ্ধতি।
আমি গল্প ওয়ালা। আর ইতিহাসের কচকচানির মধ্যে না গিয়ে বরঞ্চ এরকম একজন চিকিৎসকের দিনপঞ্জী থেকে কয়েকটা পাতা আপনাদের জন্য তুলে দিলাম।