তুমি বা তুই না হয়ে ওঠা তুই বা তুমি।।
তোর সাথে আবার দেখা হলো। আসলে দেখাও তো না। তোকে ফেসবুকে পেলাম। ফেসবুকে যে তুই আছিস তা তো আমি বুঝি নাই। আমি ভুলেই গেছিলাম যে তুই বলে কেউ আসলে আছিস। তুই একদিন দুম করে জানালি যে তুই আসলে তুই। তখন তোকে তুমি মনে হলো। ফলে তুমি বলে অনেকক্ষণ কথা বললাম। একসময় তুমি বললি যে আসলে ছিল তুই। তখন একটু সময় নিলাম আর ভাবলাম যে তুই আসলে কী ছিলে! ভাবতে গিয়ে দেখলাম আসলেই তুমি ছিলি তুই। তখন ভালো লাগলো যে আবার তোকে পেলাম। আসলে পাওয়ার মতো তো কিছু নাই, তুমিতেও নাই তুইয়েও নাই।
জিগ্যেস করলাম, তুই ভালো আছিস?
তখন তুই জানালি যে তুমি খুবই ভালো আছো। যেহেতু তোমার এখন স্বামী আর সন্তান আছে। সন্তান নিয়ে ব্যস্ত্ম থাকতে পারছো। মনে হলো ব্যস্ত থাকতে পারাটা ভালো থাকা। আমার মনে হলো আমি যে ভালো নাই এর কারণ আমি ব্যস্ত না। ফলে তোকে জানালাম যে আমি ভালো আছি, খুবই ভালো আছি।
তখন তুই মুচকি হাসির ইমো পাঠালে। আমার মনে হলো গোল মাথার ওই ইমোটা আমাকে উপহাস করছে। মনে হলো যে তুমি বুঝেছিস আমি আসলে ভালো নাই। বা, আমার যেমন তোর ভালো থাকার সংবাদে ভালো লাগলো না, এক ধরনের খারাপ লাগলো, বেশ খারাপ লাগলো, যে কেন তুমি ভালো থাকছিস আর এইখানে ভালো থাকার কী আছে? সন্তান থাকলেই মানুষ ভালো থাকে না। সন্তানই কি শেষ? আর কিছু ভালো নাই। আর কোনো ব্যস্ততা নাই? আর এত ব্যস্ততা কিসের? কেমন ব্যস্ততা? তখন গালি চলে এল মনে। খুব খারাপ ধরনের গালি। কিন্তু গালি না দিয়ে আরেকটা হাসির ইমো পাঠিয়ে দিলাম।
আর এরকম খারাপ মনে হলো তোরও লাগলো। মনে হলো গালির বদলে তুমি একটা হাসির ইমো পাঠালি।
তুমি অনেকক্ষণ কোনো জবাব দিলি না। জবাবের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে আমি ঘুমিয়েই যাচ্ছিলাম, তখন তুই প্রশ্ন করলি--
এ্যাই ঘুমায়ে গেছ?