এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • তোমার নাম... আমার নাম...

    অবন্তিকা পাল লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১২ জানুয়ারি ২০১৪ | ১১৮৪ বার পঠিত
  • প্রিয় শাল্মলী,

    আজ অনেকটা পথ একসাথে হাঁটলাম আমরা l পায়ে পায়ে l তুমি সামনে, পরনে কটকি প্রিন্ট কুর্তা, কপালে বড় লাল টিপ l শ’তিনেক মানুষের মিছিলে তোমার পিছনে আমি, পশ্চিমি পোশাকে l আমদের বয়সের তফাত বিস্তর l আমাদের জন্মের জড়, বেড়ে ওঠার গল্প, শিক্ষার পরিসর, সবই বেশ পৃথক l আমরা পরস্পরের প্রেমিকাও নই l তবু আমরা গান গাই, হাত ধরে রাস্তা পেরোই, ছুটির সন্ধ্যেয় কফি খাই একসঙ্গে l তুমি আমার কথা ভেবে একা বেরিয়ে কিনে আনো গোলাপি নোটবই l আমি তোমার জন্য বেছে রাখি মল্লিকা সেনগুপ্তর কাব্যগ্রন্থ l তারপর যখন তুমি বাঁ হাতের মুঠো শক্ত করে শুন্যে তোলো, আমি যখন দৃপ্ত হাঁটি প্রতিবাদী মিছিলে, আর আমরা আওয়াজ তুলি- ‘তোমার নাম আমার নাম/ কামদুনি মধ্যমগ্রাম’, তখন মনে হয় আদপেই তোমার আমার বেঁচে থাকায় বড় একটা প্রভেদ নেই l

    তুমিও ইতিহাস পড়েছো শাল্মলী, তাই বলি শোনো, আমার মার যখন বিয়ে হয়, তখন তার বয়স আঠেরো পেরোতে সামান্য বাকি l ‘শ্বশুরবাড়ি’ আধুনিক, অতএব বাড়ির বড় বৌমা টুয়েলভ পাশের পর ভর্তি হয় কলেজে l তিন বছর যাবৎ যৌথ পরিবারের ঝক্কি সামলে দিনে খুব বেশি হলে ঘন্টা দুই পড়াশুনো করে সে বি.এ পাশ করে, যদিও ইতিহাসের অনার্সটা কেটে যায় মাঝরাস্তায় l রেজাল্ট বেরোবার পর যে সামান্য উদ্যোগটুকু দু’বাড়ির যেকোনো একজন পুরুষকে নিতে হত সেটা হল, পাশের সারটিফিকেট সংগ্রহ করা, যা কোনো অজ্ঞাত কারণে কেউই করে উঠতে পারেনি l মায়ের স্কুল শিক্ষিকার চাকরিটা শেষপর্যন্ত হাতছাড়া হয়ে যায় l তুমি বলতেই পারো ’৭৫-’৭৬ সালে এটা তেমন অস্বাভাবিক কিছু ছিল না l সত্যিই অস্বাভাবিক নয় l যদিও রোকেয়ার ‘অবরোধবাসিনী’র হাত ধরে তার বহু আগে বাঙালি নারী স্বাধীনতা শব্দের সাথে পরিচিত হয়েছে, যদিও সত্তর দশকের প্রথমদিক থেকেই ভিনদেশে শুরু হয়ে গেছে নারী আন্দোলন, তবু এসবের ছোঁয়াচ তখনও কোলকাতা থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে বসবাসকারী নারী পুরুষদের জীবনে লাগেনি l আমার মা, বুঝলে শাল্মলী, খুব রং ভালবাসত l এখনও বাসে l লাল, খয়েরি, সবুজ, আকাশি, হলুদ, কমলা, ময়ুরকণ্ঠী, টিয়া- ভিন্ন ভিন্ন ঝলমলে রং l অথচ পুরুষতান্ত্রিক ‘শ্বশুরবাড়ি’তে প্রসাধন ছিল গর্হিত কাজ l বছর কয়েক আগে মা বিউটি পার্লার থেকে একদিন পরিপাটি সেজে রানি ক্লিওপেট্রার মতো হেঁটে এল l আমি আমার নতুন কেনা ডিজিটাল ক্যামেরায় অনেকগুলো ছবি তুলে দিয়েছিলাম l দেখিয়েওছিলাম আমার এক প্রেমিক বন্ধুকে l বলেছিলাম- ‘আমার মা, কী সুন্দর সেজেছে দ্যাখ !’ উত্তরে সে কি বলেছিল জানো? বলেছিল- ‘এর সাথেই তো প্রেম করা যায় দিব্যি !’ সেই মুহূর্তে ওকে সপাটে একটা থাপ্পড় মারতেই ইচ্ছে হয়েছিল, কিন্তু এখন আর ওর ওপর কোনো রাগ নেই আমার ! ছেলেটির স্ত্রী, যার বয়স এখন বেয়াল্লিশ, জীবনে চারবার গর্ভবতী হয় l প্রথম সন্তান পেটে আসে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই l তখন ‘স্বামী’র রোজগার নগণ্য তাই একপ্রকার জোর করেই তার গর্ভপাত করিয়ে আনা হয় l দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নেয় উভয়ের ইচ্ছাতে l অতঃপর তৃতীয়বার l একটোপিক প্রেগনেনসি l মৃত্যুর সাথে লড়ে ক্লান্ত ছিল মেয়েটা l আর মা হতে চায়নি l আর ছেলেটা বোধ হয় ভেবেছিল পুত্রসন্তানের পিতা হবে এইবার l ‘দুর্ভাগ্যবশত’ চতুর্থবারের গর্ভসঞ্চারেও তাদের কন্যাসন্তানই জন্মায় l এ সমস্ত গল্প ওই কালোকোলো ছোটোখাটো চেহারার মেয়েটা তাদের দক্ষিণের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আমায় বলেছিল l আসলে আমাকে নয়, সেদিন সে নিজের সাথে কথা বলছিল নিজেই, যেমনভাবে নাটকের শানু রায়চৌধুরী তার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির চড়াই-উতরাইগুলোকে ভাগ করে নিত দেওয়ালের সাথে, পাথরের সাথে !

    পুরুষতান্ত্রিকতা একটা ‘কনসেপ্ট’ শাল্মলী, যা নারী বা পুরুষ যে কেউ তার মস্তিষ্কে লালন করতে পারে বা করেও থাকে l যে পুরুষটি প্রকাশ্য রাস্তায় পুরনো বান্ধবীর সঙ্গে দেখা হওয়ার পুলকে মুহ্যমান হয়ে মেয়েটির উদর আর নিতম্ব ইদানিং কত স্ফীত হয়েছে তাই নিয়ে রঙ্গ তামাশা করার সাথে সাথে অন্য পুরুষদেরও মস্করায় অনুপ্রেরণা জোগালো এবং এই বান্ধবীটি, যে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে বা প্রতিবাদ না করে হেসে উড়িয়ে দিল- এরা উভয়ের কিন্তু পুরুষতন্ত্রের প্রতক্ষ বা পরোক্ষ প্রশ্রয়দাতা l তুমি প্রশ্ন করতেই পারো- সর্বদা এত প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ার আছেটা কি ! একটু খেয়াল করলে দেখবে, নব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে ছেলেরা মেয়েদের নিয়ে যে মজাগুলো করে থাকে, সেগুলো ভীষণরকম ‘সেক্সিস্ট হিউমার’ l কলেজে শীর্ণা মেয়েটির নামকরণ করা হয় ‘নিমাই’ আর পৃথুলা মেয়েটিকে ডাকা হয় ‘লাউ বা চালকুমড়ো’ নামে l তুমি কি মনে করো না এ ধরণের যৌন রসিকতাও কোনো না কোনোভাবে যৌন অপরাধীকে সুড়সুড়ি দেয়? অন্ধকার গলিতে অফিসফেরত মহিলার ওড়নায় টান মেরে যখন চারজন সাইকেল আরোহী বলে যায়- ‘কী জিনিস বানিয়েছ গুরু’, তার মূলেও থাকে ওইসব যৌন রসিকতারই আদি-বোধ? শ্লীলতাহানির কথা ছেড়ে দিলাম l দৈনন্দিনতাতেই দ্যাখো, মেয়েদের চেহারা, গায়ের রং, পোশাক পরিচ্ছদ নিয়ে চর্চার অন্ত নেই l কোমরের মাপ আঠাশ থেকে বত্রিশ হলেই রে রে করে তেড়ে আসবে পুরুষতন্ত্র l হয় মেয়েটিকে বাধ্য করবে আধপেটা খেতে, নয়তো ক্রমাগত ‘ঠাট্টা’ করতে করতে তাকে এমন এক পরিস্থিতিতে নিয়ে গিয়ে ফেলবে যেখানে পৌঁছে তাকে ভালো থাকার জন্য বেছে নিতে হবে এক বা একাধিক ‘অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট’l আর এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশি বিদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলো ক্রমাগত বাজারে ছাড়তে থাকবে স্লিমিং ক্যাপসুল l ভুলে যেও না শাল্মলী, যে পুরুষতন্ত্র মেয়েদের ‘উদ্বুদ্ধ’ করে ওজন কমাতে, সেই পুরুষতন্ত্রই বাজারে আনে ‘প্যাডেড ব্রা’ l সাম্প্রতিককালে মার্কিন বিজ্ঞানীরা বললেন: কার্টুন ছবিতে সিন্ডারেলা রাপুনজেল বা স্নো হোয়াইট-দের যেসব ছবি আঁকা হয় সেগুলো ভয়ানক অবৈজ্ঞানিক – বায়োলজিকালি মেয়েদের কব্জি, কাঁধ, ছেলেদের তুলনায় চওড়া – তাই অবিলম্বে এ ধরণের অ্যানিমেশন বন্ধ করতে হবে যা মেয়েদের চেহারা সম্পর্কে শিশুমনে ভুল ছবি চিত্রিত করে l আমার এক ষোড়শী রোগিনী তার স্কুলের ‘প্রিয় বন্ধু’র চোখে ‘সুন্দরী’ হয়ে ওঠার তাগিদে ওজন কমাতে শুরু করে এবং আমার কাছে এক বছর পর যখন এসে পৌঁছয়, তখন সে অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসার শিকার l জল খেলেও বমি করে ফেলছে, সঙ্গে প্রবল রক্তাল্পতা l আরেক তুতো দিদির কথা মনে পড়ল হঠাৎ l আই আই টি-র ছাত্রী ছিল মেয়েটা l মনকাড়া রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইত l কিন্তু শরীরের ওজন একশোর কাছাকাছি, তাই তার কোনো ‘বয়ফ্রেন্ড’ জোটেনি কখনও l আচমকাই একদিন সে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছিল, আর তার মৃতদেহ প্রায় দু’দিন পড়েছিল ভাড়া বাড়ির ভেতরে, যেখানে সে একাই থাকত শেষদিকটায় l বিপণনের বিশ্বে মার্কিন বিজ্ঞানী আর মনস্তত্ত্ববিদদের ওই গবেষণা কতদূর ফলপ্রসু হবে আমি জানিনা, কেবল এটুকুই প্রার্থনা, যেন আর কোনো নারীকে শুধুমাত্র তার চেহারার জন্য পৃথিবী এভাবে ব্রাত্য করে না রাখে l

    একটা মজার গল্প বলি l হপ্তাখানেক আগে হাসপাতালের ইনডোরে রোগীর বাড়ি থেকে এক ভদ্রলোক এলেন দেখা করতে l তিনি পেশায় মৌলবী l কথা বলতে বলতে প্রায় মিনিট কুড়ি পার হল l তাঁর কাছে যা শুনলাম তা কিঞ্চিত এইরকম: এক দেশে এক রাজা ছিল- সে খুব দুরাচারী আর দুশ্চরিত্র- সুন্দরী মেয়ে দেখলেই তার সাথে সম্ভোগ করার জন্য সেপাই সান্ত্রী দিয়ে তাকে তুলে আনতো- সে কন্যার বয়স আট হোক বা আটচল্লিশ, রূপবতী হলে রাজার হাত থেকে আর রেহাই নেই- স্বধর্মের জেনানাদের বাঁচাতে তখন এক মৌলবী উপায় বাতলালো, মহিলাদের বোরখা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হোক যাতে দুষ্টু রাজার আর তাদের প্রতি কুনজর না পড়ে- এভাবেই প্রচলন হল বোরখার l মৌলবীর বক্তব্য শেষ হতেই দুম করে বলে বসলাম- ‘হতচ্ছাড়া রাজাকে শূলে চড়ানোর বদলে মেয়েদের ঢেকে রাখা, এ কি ন্যায্য বিচার হল মৌলবী সাহেব? দোষ করলো রাজা আর ফল ভুগবে মহিলারা?’ মৌলবী চটলেন l তারপর সামলে নিয়ে অউরতের আব্রু টাব্রু বিষয়ে জ্ঞানদান করে কেটে পড়লেন l তো শাল্মলী, এই আমাদের পুরুষতান্ত্রিকতা যা নিজেদের সুবিধার্থে যেকোনোপ্রকার আষাঢে গপ্পো সাজিয়ে মেয়েদের আড়াল করে রাখতে চায় বোরখা অথবা ঘোমটার পেছনে l না আমার বোরখা বা ঘোমটায় কোনো ছুঁৎমার্গ নেই l যেটা নিয়ে আপত্তি সেটা হল- আব্রুর নামে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে কোনো কিছুকে চাপিয়ে দেওয়া l লিঙ্গ নির্বিশেষে চল্লিশ পেরোলে মানুষের চোখে চালসে হয় যখন সে একইসাথে দূরের আর কাছের জিনিসগুলোকে অস্পষ্ট দেখতে শুরু করে l আমার মনে হয় বয়স-নিরপেক্ষভাবেই পুরুষতান্ত্রিকতা আদতে একপ্রকার সামাজিক চালসে আর নারীবাদ তার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা একটি রাজনৈতিক প্রতিষেধক l একজন গ্রামের মেয়ে, যাকে ষোলো বছর বয়সে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে আর দু’বছর বয়স বাড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দেয়া হল; একজন মফঃস্বলী স্ত্রী, যে দিনের পর দিন প্রাতঃকৃত্যের মতো স্বামী-সহবাস করলো; একজন শহুরে প্রৌঢা, যে মেনোপজকে নারীত্বের অবসান ভেবে ভেঙে পড়ল প্রবল- নারীবাদ কিন্তু এদের সকলের মুক্তির কথাই বলে l আমি কিভাবে ফুরফুরে বাঁচব শাল্মলী, যখন আমি দূরের কোনো জায়গায় কাজে গেলে আমার সঙ্গী চরম উৎকণ্ঠায় ঘন্টায় ঘন্টায় এস এম এস পাঠিয়ে আমার অক্ষত শরীর মনের খবর নিতে থাকে? আমি কি করে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যাবো যখন আমি জানি আগামীকাল সকালে কাগজের পাতায় বা টিভি চ্যানেলে একটা না একটা শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের ঘটনা জানবোই? নারীবাদ মস্তিষ্কে চেপে বসা কোনো ভূতুড়ে খামখেয়াল নয় যাকে ওঝাবিদ্যা বা ডাকিনীতন্ত্র দিয়ে তাড়ালেই ল্যাঠা চুকে যায় l নারীবাদ একটা নিরন্তর লড়াই, যে লড়াই নারী স্বাধীনতা-প্রত্যাশী, কিন্তু যে লড়াইটা নারী-পুরুষ-ভিন্নলিঙ্গ নির্বিশেষে লড়ে যেতে হবে আমাদের সকলকে l একটা ধর্ষণ ঘটে যাওয়ার পর ধর্ষকের ফাঁসি হল কি হল না তা নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে অনেক বেশি জরুরি আজ, ধর্ষণের উৎসগুলোকে খুঁড়ে বার করা l জরুরি, উপড়ে ফেলা সেই পুরুষতন্ত্রকে যা আদপে ধর্ষণ নামক ক্ষমতাপ্রদর্শনের শেকড় l আর এও উপলব্ধি করা যে পুরুষতন্ত্র-বিদ্বেষী হয়ে ওঠা মানেই পুরুষবিদ্বেষী হওয়া নয় কখনোই l

    আজ অনেকটা পথ একসাথে হাঁটলাম আমরা- দিল্লির জন্য, কামদুনির জন্য, পার্কস্ট্রিটের জন্য, মধ্যমগ্রামের জন্য l আমরা আমাদের জন্যও কি হাঁটলাম না শাল্মলী? তোমার জন্য? আমার জন্য? ওই রূপান্তরকামী কমরেড, সেও তো আমাদের জন্যই গলা তুললো আজ ! আমদের প্রত্যেকের হাঁটার ছন্দ, স্লোগানের সুর, মিলে গেল বলেই তো ওই সামান্য হেঁটে চলা একটা মিছিলের রূপ নিল, যে মিছিলের সব্বাই তোমার আর আমার মতো, আমাদের জন্য একটা নিরাপদ, মুক্ত, আর বাসযোগ্য পৃথিবীর স্বপ্ন দ্যাখে !
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১২ জানুয়ারি ২০১৪ | ১১৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্রাবণী | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০২:৪৫74420
  • হুচি ঠিকঠাক বলেছে.......একচোখ বুজে দেখায় আমরা বেশীরভাগেরাই দড়, সে যে চোখই হোক না কেন!
    লেখাটা ভালো।
  • swati | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৪:৫৫74405
  • awe-সা......কতগুলো লাইক দিলে যে ঠিক হয়....... কিছুতেই সেই সংখ্যাটা গুণে উঠতে পারলাম না .... তাই নিরুত্তরই রইলাম ....
  • | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:১১74406
  • অসম্ভব ভাল লাগল লেখাটা।

    এই টিপিক্যাল পুরুষতান্ত্রিক জোকগুলো নির্বোধ স্থুল রসিকতাগুলোর প্রতিবাদ করলে, আপত্তি জানালে শুনতে হয় ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কটুবাক্য। এই গুরুতেই যেখানে যথেষ্ট সংখ্যক সমমন্ষ্ক মানুষ রয়েছে, সেখানেও এই নিয়ে কম কটুবাক্য শুনি নি।

    একেবারে ঠিক ঠিক লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
  • সিকি | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:১৪74407
  • ভালো লাগল।
  • dhurandhar | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:৪৯74421
  • যে পুরুষতন্ত্র মেয়েদের ‘উদ্বুদ্ধ’ করে ওজন কমাতে, সেই পুরুষতন্ত্রই বাজারে আনে ‘প্যাডেড ব্রা’ খুব ভালো
    লেখা
  • byaang | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৫:৫৬74408
  • যে কথাগুলো অনেকদিন ধরে বলতে চেয়েছি, বলে উঠতে পারি নি নানা কারণে, আজ সেই লেখাগুলৈ পড়তে পেয়ে ভারি স্বস্তিবোধ করলাম।
    লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
  • aranya | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:২৯74409
  • খুব খুব ভাল লেখা
  • রোবু | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:০২74410
  • খুব সুন্দর লেখা।
  • dipankar | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:১৩74411
  • ভীষণ ভালো লাগলো লেখাটা
  • hu | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:২৯74412
  • পুরুষতান্ত্রিকতা আর নারীবাদের সাদাকালো ছকে ঘুঁটি সাজাতে সাজাতে যেন আমরা বোর্ডের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ধূসর মুখগুলিকে ভুলে না যাই। নারীদেহের স্থূলত্ব বা শীর্ণত্ব নিয়ে প্রচলিত কৌতুকগুলির পাশাপাশি উচ্চতায় খাটো অথবা কিছুটা নারীসুলভ পুরুষদের প্রতি বরাদ্দগুলি ভুলে যাওয়া একপেশেমি হবে। বিয়ে হয়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে যাকে লেখাপড়া ছাড়িয়ে সংসারে জুতে দেওয়া হল তার সাথে খুব বেশি তফাত নেই এমন ছেলের যাকে ছেলে হয়ে জন্মেছে বলেই টাকা রোজগার করতেই হল যেনতেন প্রকারে। ক্রমাগত অন্যের ঠিক করে দেওয়া মাপকাঠিতে বাঁচবার চেষ্টা করাটাই একটা বড় বালাই। পুরুষতন্ত্র নামে তাকে ডাকা যেতেই পারে।
  • Blank | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৭:৪৭74413
  • হুচি কে ক।
    যা বলার ছিল তা বলে দিয়েছে।
  • | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:০১74414
  • হু এর মন্তব্যে একটু বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। হু-এর কথাগুলো ঠিক, একমত ও বটে।
    কিন্তু এখানে কী প্রসঙ্গে? মানে এই লেখায় কি সেরকম কিছু বলা হয়েছে?
  • রোবু | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:০৪74415
  • না, বাকি গুলো ঠিক আছে, একটা তে আমার আপত্তি আছে। "বিয়ে হয়ে যাওয়ার দোহাই দিয়ে যাকে লেখাপড়া ছাড়িয়ে সংসারে জুতে দেওয়া হল তার সাথে খুব বেশি তফাত নেই এমন ছেলের যাকে ছেলে হয়ে জন্মেছে বলেই টাকা রোজগার করতেই হল যেনতেন প্রকারে।" - এই দুটো বোধ হয় তুলনীয় নয়। টাকা রোজগার করা অনেকসময়ই বাধ্যতা মূলক হয়ে পরে, একটা বয়সের পর। সেখানে কোনো চয়েস দেওয়া একেবারেই অসম্ভব হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রেই। সুযোগ না থাকলে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই। আমি তো আমার আর আমার খুড়তুত বোনের পরিস্থিতিতে কোনো তফাত দেখিনি।
    তবে সুযোগ থাকলে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে কাউকেই যেন চাকরিতে বা সংসারে জুতে না দেওয়া হয়, এটা অবশ্যই চাইব।
  • hu | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:১২74416
  • না, এখানে কিছু বলা হয়নি তো। সেজন্যই বলে দিলাম। এইদিকটা না দেখলে পুরুষতন্ত্রের একটা খন্ডিত রূপই চোখে পড়ে শুধু। যে পুরুষতন্ত্র মেয়েদের পীনপয়োধরা গুরুনিতম্বিনী দেখতে চায়, সেই একই পুরুষতন্ত্র ছেলেদের জন্যও মাপকাঠি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। দুইতরফেই যোগ্যতামান স্পর্শ করতে না পারলে অপমান আছে, আত্মবিশ্বাস হারাতে হারাতে একদিন হেরে যাওয়া আছে। যখনই একদিকের গল্প শুনি অন্যদিকটাও মনে পড়ে যায়। সেই স্বগোতক্তিটাই লিখেছিলাম।
  • Blank | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:১৮74417
  • জিনিসটাকে পুরুষতন্ত্র বলতেই আমার আপত্তি আছে।
    প্যাডেড ব্রা এর পাশাপাশি লিঙ্গ বর্দ্ধক যন্ত্রপাতি র যে পরিমান অ্যাড চারদিকে চলে, সরু কোমরের ওপর মাসলের পাহাড় বানাবার জন্য অজস্র রকমের স্টেরয়েড যে ভাবে নিয়মিত ইউজ হয়, সেগুলো সম্পুর্ন বাদ পরে যায় 'পুরুষতন্ত্র' কথাটার আড়ালে।
  • hu | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:১৮74418
  • রোবু, আমাদের জেনরেশনের কথা বা আরো স্পেসিফিকালি বললে আমাদের জেনরেশনের আলোকপ্রাপ্তদের দিয়ে সব বিচার হয় না। লেখিকা শুরু করেছেন তাঁর মা-কে দিয়ে। ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ আনব না। ঐ জেনরেশনের মহিলাদের যদি দেখি - তাঁদের কাছে টাকা রোজগার করতে বাইরে বেরোনোটা বাধ্যতামূলক ছিল না। অনেকেই করেছেন। ছকের বাইরে গিয়েই করেছেন। টাকা রোজগার করবে বাড়ির পুরুষ, সংসার দেখবে মেয়ে - এই প্রত্যাশা দুতরফেই অনবশ্যক চাপ। আর তার দায়বহন দুতরফেই ক্লান্তিকর।
  • jhiki | ***:*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:৩১74419
  • হু কে পোচ্চুর ক। যা যা বলার ছিল হু বলে দিয়েছে।
  • PM | ***:*** | ১৪ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:৩৫74422
  • লেখাটা ভালো। হুচির বলা কথাও দরকারী। সংসারে পুরুষরা "প্রোভাইডার" এই সাঃ নিঃ নিপাত যাক পুরুষতন্ত্রের সাথে
  • Ishani | ***:*** | ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:৫৮74423
  • কলম অক্ষয় হোক !
  • K.S. | ***:*** | ২১ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:৪০74424
  • খুব খুব ভালো লাগলো। আপনার কলম চলতে থাকুক।
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ ০৬:৫০74425
  • সংহতি। জয় হোক!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন