এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • হাম্বা (নাটক)

    শারদ্বত লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ | ১০৯৪ বার পঠিত
  • ঋণঃ সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘গোরু রচনা’

    চরিত্র
    গোষ্ঠঃ নগন্য এক শ্যামলী গাই, চাকরবিশেষ (ধুতি-ফতুয়া-খালি পা)
    গোপালঃ শ্যামলী রাষ্ট্রপ্রধান (ধুতি-পাঞ্জাবি-উত্তরীয়)
    গোয়েবলসঃ ধবলী বিদেশসচিব (কোট-শার্ট-টাই-জিনস)
    জার্সিঃ ধবলী শিল্পপতি (জার্সি-জিনস-মাথায় বেসবল ক্যাপ)

    [মাউথ অর্গ্যান বা এসরাজ বা বাঁশিতে ‘আমরা সবাই রাজা’র সুর বাজে]

    [মঞ্চের ওপর একটা বড় টেবিল, একদিকে একটি ও অন্যদিকে দু’টি চেয়ার রাখা, গোলটেবিল বৈঠকের ঢঙ এ সাজানো]

    (নেপথ্যেঃ গরু দুই প্রকার। শ্যামলী ও ধবলী। শ্যামলীরা উন্নয়নশীল, ধবলীরা উন্নত। শ্যামলীদের দেশ এই গোষ্পদ। সমস্ত ঐতিহ্যশালীদের মত গোষ্পদও দরিদ্র। যাগ‘গো’বল্ক্য, ‘গোতম’ ঋষির দেশ ছিল গোষ্পদ। কিন্তু এখন, গোষ্পদের লেখালিখি- মাস্টারের নোটবই, গোষ্পদের আইন- পুলিশের ধাতানি, গোষ্পদে উড়ালপুল মানেই উন্নয়ন। এ হেন প্র‘গো’তিশীল দেশ গোষ্পদের প্রতিনিধি গোপালের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন ধবলীদের দেশের রাজা গোবামার প্রতিনিধিরা।
    সাক্ষাৎস্থল- গোষ্পদের শ্রেষ্ঠ খাটাল- ‘গ্র্যান্ড খাটাল’
    উদ্দেশ্য ? - সে তো আপনারা এক্ষুনি দেখতে পাবেন।)

    (নেপথ্য ভাষণের মাঝামাঝি গোষ্ঠের প্রবেশ, চেয়ার-টেবিল ঠিক করে সাজায়, কাল্পনিক ধুলো ঝাড়ে। নেপথ্য ভাষণ শেষ হলে উইংসের দিকে তাকিয়ে ডাকে)
    গোষ্ঠঃ স্যার, স্যার...
    (গোপালের হন্তদন্ত প্রবেশ)
    গোপালঃ বল গোষ্ঠ, ওঁরা এসে গেছেন ?
    গোষ্ঠঃ হ্যাঁ স্যার, রিসেপশনে অপেক্ষা করছিলেন, এখন এদিকেই আসছেন।
    গোপালঃ তুমি যাও, ওঁদের নিয়ে এসো, দাঁড়িয়ে থেকো না। ধবলী তো, ঠিকঠাক আপ্যায়ন না করলে আবার গোঁসা করতে পারেন।
    (গোষ্ঠের প্রস্থান, জার্সি ও গোয়েবলসকে নিয়ে প্রবেশ, জার্সির হাতে একটা ব্রিফকেস)
    গোপালঃ আসুন, আসুন স্যার, কী সৌভাগ্য আমাদের, এই গোষ্পদে আপনাদের ক্ষুরের ধূলি পড়ল।
    জার্সিঃ Mice to meet you Mr. Gopal. আমি মিস্টার জার্সি, আর আমার সঙ্গে আছেন, মহান রাজা গোবামার বিদেশসচিব মিস্টার গোয়েবলস।
    গোপালঃ আসুন, বসে কথা বলা যাক।
    (গোপাল জার্সির সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে, গোয়েবলসের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করতে গেলে গোয়েবলস পকেটে হাত পুরে অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ায়)
    গোপালঃ গোষ্ঠ, ওঁদের বসাও।
    গোষ্ঠঃ হ্যাঁ স্যার।
    (চেয়ার টেনে দু’জনকে বসতে সাহায্য করে, তারপর গোপালের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে)
    জার্সিঃ আপনারা তো আমাদের আসার উদ্দেশ্য জানেনই...
    গোপালঃ তবুও আর একবার যদি খোলসা করে বলেন, কারণ আমাদের গ্র্যান্ড খাটালের বাইরেও তো (দর্শকদের দিকে উদ্দেশ্য করে) আরো অনেক সাধারণ গরু অপেক্ষা করে আছে, তাদের জ্ঞাতার্থে...
    গোয়েবলসঃ দেখুন মিস্টার গোপাল, সুদীর্ঘ গোবলয়ের ইতিহাসে আমরা বেশ কয়েকবার ‘গো’ঘাতী-’গো’রক্তক্ষয়ী বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছি, এবং তা থেকেই আমরা এটা অনুধাবন করেছি যে, সাধারণ গরুরা যুদ্ধ চায় না। তারা চায় দু’বেলা দু’আঁটি খড়, শীতকালে চট, আর বর্ষা-বাদলে থাকার জন্য গোয়াল। আর আপনি তো এটা মানবেনই যে, এই খড়, চট আর গোয়াল তৈরিতে আমরা, ধবলীরা এক্সপার্ট।
    গোষ্ঠঃ (অবাক হয়ে) এক্সপার্ট ! এটা কে বলেছে ?
    গোপালঃ (গোষ্ঠকে থামিয়ে) হ্যাঁ হ্যাঁ, তা তো বটেই।
    গোয়েবলসঃ আমাদের মহান রাজা গোবামা তাই মনে করেন, আমাদের কর্তব্য, আমাদের এই যে উন্নত শিক্ষা, সংস্কৃতি, জীবন-যাপন (জার্সি ও গোপাল ঘাড় নাড়ে), তাতে আপনাদের, এই তৃতীয় বিশ্বের গোষ্পদকে তার অঙশীদার করে তোলা।
    গোপালঃ (বিগলিত কন্ঠে) বেশ, বেশ। আমিও তো তাইই চাই। কিন্তু, এই উদ্দেশ্যের পদ্ধতিটা কীভাবে রূপায়িত হবে, তা যদি একটু খুলে বলেন...
    জার্সিঃ খুব সহজভাবে। যেমন আপনারা এই খড় খান, চট পরেন, কোনো ব্র্যান্ড-বিচার না করেই। কিন্তু দেখুন, এই আমাদের খড়লিক্স (ব্রিফকেস থেকে হরলিক্সের শিশি বার করে) স্বাদে ও স্বাস্থ্যে ভরা। এছাড়াও আছে Free to ‘Hay’s বা ‘Hay’s Chips... তরুণ-তরুণী গরুদের বড্ড পছন্দের।
    গোষ্ঠঃ (Horlicks এর উপাদানগুলো দেখতে দেখতে) কিন্তু এগুলো তো তৈরি হয় সেই খড় থেকেই, যা আমরা, এই তৃতীয় বিশ্বের গরুরা যা খেতে খামারে ফলাই !
    গোয়েবলসঃ আপনি থামুন তো ! (গোষ্ঠ চুপ করে যায়) এছাড়া ধরুন, এই যে আপনি এই চটের থানটা গায়ে দিয়েছেন, আমাদেরটাও কিন্তু সেই চটেরই তৈরি, কিন্তু Stretchable ! দেখুন, দেখুন, বিখ্যাত গোভাইস ব্র্যান্ডের, কী স্মুদ... তাই না?
    গোপালঃ সত্যি ! (হাঁটু মুড়ে বসে গোয়েবলসের পায়ে হাত দিয়ে কাপড়টা পরখ করে) আমার যে বিশ্বাসই হচ্ছে না !
    (গোষ্ঠ অবাক হয়ে দেখে, লজ্জায় মাথা হেঁট করে)
    জার্সিঃ তাই আমাদের, মানে উন্নত ধবলীদের তরফ থেকে শ্যামপ্লীদের উপহার, এই DDI Bill (ফাইল থেকে কনট্র্যাক্ট পেপার বার করে)
    গোপালঃ মানে ?
    গোয়েবলসঃ দেখুন, এটা সবাই জানি যে আপনাদের দেশের সাধারণ গরুরা অত্যন্ত নিম্নমানের জীবন-যাপন করে, সেটা বড্ড খারাপ দেখায়। এটা বদলানো দরকার। তাই, এখন থেকে তারা কেবলই খড় আর চট প্রস্তুত করুক, আর আমরা তা ন্যায্যমূল্যে কিনে নিয়ে যাব। তার বদলে আপনারা পাবেন এইসব Free to ‘Hay’s, গোভাইসের মত আরো হাজার হাজার...
    জার্সিঃ কী মিস্টার গোপাল, আমাদের উপহার আপনাদের পছন্দ হয়েছে তো?
    (গোষ্ঠ কনট্র্যাক্ট পেপারটা সবার অলক্ষ্যে নিয়ে পড়তে শুরু করে, চমকে ওঠে)
    গোপালঃ (ধরা গলায়) পছন্দ কী বলছেন স্যার ! আনন্দে চোখে জল এসে যাচ্ছে স্যার !
    গোষ্ঠঃ আচ্ছা, এর মানে কি, আমরা আমাদের মত খামারের খড়-চট আর বিক্রি করতে পারব না ? কেবল আপনাদের বসানো নতুন বড় বড় রিটেলার খামার থেকেই সে সব কিনতে হবে, এই তো ?
    গোয়েবলসঃ (একান্তে) জার্সি, এই গরুটি কে হে ? বড় প্রশ্ন করে তো !
    গোষ্ঠঃ (গোপাল গোষ্ঠকে বাধা দিতে যায়, গোষ্ঠ পাত্তা দেয় না) এবার আপনারা যদি আপনাদের Free to ‘Hay’s, খড়লিক্স, গোভাইসের দাম ক্রমশ বাড়াতে থাকেন, তাহলে তো আমাদের গোষ্পদের সাধারণ গরুরা না খেতে পেয়ে মারা যাবে !
    জার্সিঃ মিস্টার গোপাল, এই নব্য গরুটির কথাগুলো কিন্তু কুখ্যাত ইতালিয়ান গরু আন্তোনিও গোমসির মত ঠেকছে ! এ তো ভালো লক্ষ্মণ নয় !
    গোয়েবলসঃ (ঈষৎ হুমকির সুরে) দেখুন মিস্টার গোপাল, গোবলয়নের পর এ হল আমাদের এক সার্থক সৎ প্রচেষ্টা। এর মধ্যে দুরভিসন্ধি খুঁজে খুঁজে বার করা মানে তো আপনারা নিজেদেরকে, এই গোষ্পদকে আরো অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।
    জার্সিঃ আর এরপর যদি আপনাদের সঙ্গে ঐ পাশের গোর্কিস্তানের সুঁতোগুঁতি লাগে...
    গোয়েবলসঃ জার্সি, জার্সি, আহা, কেন বেলাইনে যাচ্ছো? ওঁরা আমাদের কথা ঠিকই বুঝতে পারছেন। ঠিক কি না ?
    জার্সি ও গোপালঃ ঠিক, ঠিক...
    গোষ্ঠঃ (গোপালকে, চেঁচিয়ে) স্যার, ভয় পেয়ে আর বিজ্ঞাপনে ভুলে থেকে আর কত দিন কাটবে আমাদের ? এরা যে গরু হয়ে গরুরই মাংস খায়, এরা গোমাংসভোজী, ক্যানিবালের দল !
    গোয়েবলসঃ যাদের দিনে দু’বেলা খড় জোটে না, তাদের হাম্বার এত জোর !
    গোষ্ঠঃ ভয় পেয়েছেন ? গোবরই যদি মুছবেন, তাহলে ল্যাজ নেই কেন ?
    গোয়েবলসঃ আমাদের ল্যাজ নাড়ার প্রয়োজন হয় না, তাই ওটা রাখিনি। তোমাদের ল্যাজ কই?
    গোষ্ঠঃ আমাদের ল্যাজ নেড়ে কাজ হয় না, ওটা তাই ইভলিউশনে খসে গেছে। ভয়ে বা টোপে আমরা আর ল্যাজে-গোবরে হই না। আর, ল্যাজ না থাকলে হাম্বার জোর তো বাড়বেই !
    গোয়েবলসঃ (প্রচণ্ড রেগে) আপনি কিন্তু এবার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। মনে রাখবেন, গোষ্পদ একদা ‘স্বর্গাদপি ‘গো’রিয়সী’ ছিল কি না কেউ জানে না, আজ এটা ‘গো’রীবের দেশ।
    জার্সিঃ মিস্টার গোপাল, এই রইল আপনার কনট্র্যাক্ট পেপার, আর এই রইল স্ট্যাম্প-প্যাড। হয় খুরের ছাপ দিন, নইলে গো টু হেল !
    (কনট্র্যাক্ট পেপার নিয়ে প্রায় কাড়াকাড়ি চলে, একদিকে জার্সি-গোপাল-গোয়েবলস অন্যদিকে গোষ্ঠ)
    গোষ্ঠঃ স্যার, স্যার, একবার পুরোটা পড়ে দেখুন স্যার ! কী করতে যাচ্ছেন ?
    গোপালঃ সরে যাও !
    (সজোরে গোষ্ঠকে ধাক্কা দেয়, গোষ্ঠ মঞ্চের একপ্রান্তে ছিটকে পড়ে ‘falling on back and roll’ step, গোপাল খুরের ছাপ দেয়। গোয়েবলস গোপালের হাত থেকে কনট্র্যাক্ট পেপারটা প্রায় ছোঁ মেরে নিয়ে নেয়)
    গোষ্ঠঃ (কোনমতে ওঠার চেষ্টা করে, পারে না, কাতরায়, কাঁদে) এ কী করলেন ! কী করলেন ! আমাদের রাজা তো গোবামা নন... আমাদের রাজা গোবামা নন...
    (গোয়েবলস গোষ্ঠের মুখের সামনে কনট্র্যাক্ট পেপারটা নাচায়, মুচকি হাসে)
    গোষ্ঠঃ আমাদের রাজা তো আমরাই !!!
    (‘আমরাই’ বলার সঙ্গে সঙ্গে এক ঝটকায় কনট্র্যাক্ট পেপার ধরে থাকা গোয়েবলসের হাতটা ধরে, ধাক্কায় কনট্র্যাক্ট পেপার মাটিতে পড়ে যায়, জার্সি ছুটে এসে একসঙ্গে হাতটা ছাড়াতে চেষ্টা করে, পারে না। গোষ্ঠ আস্তে আস্তে পায়ে ভর দিয়ে উঠে একটানে জার্সি আর গোয়েবলসকে মাটিতে শুইয়ে দেয়। গোপাল হাঁ হয়ে দেখে, freeze । গোষ্ঠ মাটি থেকে কনট্র্যাক্ট পেপারটা কুড়িয়ে নিয়ে গান ধরে)

    আমরা সবাই গরু আমাদেরই গরুর রাজত্বে
    নইলে গো-দের রাজার সনে মিলব কী সত্ত্বে
    আমরা সবাই গরু

    (পড়ে থাকা দুজনকে ডিঙিয়ে মঞ্চের সামনে আসে গোষ্ঠ, হাতে ধরা কাগজটা কুচি কুচি করে ছিঁড়তে ছিঁড়তে বলে)
    গোষ্ঠঃ অবাক লাগছে, তাই না ? তৃতীয় বিশ্বের গরুদের কখনো গলা ছেড়ে গান গাইতে শোনেননি তো, তাই লাগছে। কানে আঙুল দিন মশাইরা, শুনতে অভ্যেস নেই তো, তালা লাগতে পারে, দুনিয়ার সব গরু একসাথে হাঁক ছাড়বে-
    হাম্বা হা হা হা হা হা হা
    (আকাশে কাগজের কুচিগুলো উড়িয়ে দেয়, দর্শকদের উদ্দেশে জোড়হাত করে)
    -হাম্বা।
    [নেপথ্যে মাউথ অর্গ্যানে খুব জোরে জোরে ‘আমরা সবাই রাজা’ বাজতে থাকে, বাজতেই থাকে]

    বিধিসম্মত সতর্কীকরণ
    1. কলেজের সেকেন্ড ইয়ারের দুগ্ধপোষ্য ও দাঁত না ওঠা ছেলের লেখা, তাত্বিক আলোচনায় গেলে নিজেরই বিপদ।
    2. দশ মিনিটের নাটক প্রতিযোগিতার জন্য লেখা। এটা নাটক নয়, নাটিকা, না-টিকটিকিও বলা যায়।
    3. প্রচুর নির্দেশ দেওয়া আছে, নাটক পাঠে ব্যাঘাত ঘটাতে যা যথেষ্টর চেয়েও বেশি।
    4. ২০১১-১২ সালের FDI বিলের অতিসরলীকৃত ব্যাখ্যা দেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা আছে এতে।
    5. মান্য-কলকাত্তাইয়া-সুশীল পাঠকরা পড়ে শেষ করতে পারলে তাঁরা দেবের সিনেমাও দেখে শেষ করতে পারবেন।
    6. যে খুশি অভিনয় করতে পারেন, তবে বিনে-পয়সায় নয়। লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে একটি মাঝারি গোল্ড-ফ্লেকের সিলড প্যাকেট দিলে তবেই অভিনয়ের অনুমতি মিলবে, নচেৎ কোর্ট-কাছারি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ | ১০৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কল্লোল | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০২:১০70276
  • চমৎকার হয়েছে। ক্যামোন অ্যানিমেল ফার্মের মতোন। শুধু একটা ইয়ে আছে - তৃতীয় বিশ্বের জায়গায় তৃতীয় গোশালার হলে বোধহয় মানাতো।
  • Debasish Dasgupta | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৪৪70277
  • অভিনয় টভিনয় পরে, আগে আপনাকে একটা গোল্ড ফ্লেক (sealed) দিতে চাই।
  • anag | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:২৭70278
  • কল্লোলদার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।
  • pi | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:৩৭70279
  • উফফ ! অবশেষে এটা পড়তে পাওয়া গেল ! ঃ)

    যা-তা !
  • শারদ্বত | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:৪৬70280
  • @কল্লোল, @anag, আমি বিশ্বের জায়গায় 'গোলোব', 'গোবলয়' লিখব ভেবেছিলাম। কিন্তু বার বার 'গো' শব্দটার pun এসে এসে লেখাটার সহজ গতিটা আটকে দিচ্ছিল... তাই, তৃতীয় বিশ্বই লিখে দিয়েছিলুম। দর্শক আর পাঠকের তফাৎটাও মাথায় রাখতে হয়েছিল। যেটা পাঠকের ভালো লাগে, সেটা অনেকসময় দর্শকের বুঝতে অসুবিধে হয়... এই আর কী...
  • শারদ্বত | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৮:৪৫70281
  • postimg.org/image/h8wafxnc1/
  • শারদ্বত | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৮:৪৬70282
  • শারদ্বত | ***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০১৫ ০৮:৪৮70283
  • হাম্বার ছবি, প্রথমবার মঞ্চস্থ হওয়ার সময়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন