এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ব্যোমকেশ, ফেলুদা ও মগজাস্ত্র

    শারদ্বত লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৩ মে ২০১৬ | ১৯১৮৭ বার পঠিত
  • সত্যজিৎকে নিয়ে আমরা কথা বলতে ভালোবাসি। আমরা খুবই সামান্য মানুষ। উচ্চাকাঙ্ক্ষা-স্বপ্ন-পরিশ্রম-লক্ষ্য সবই ছোটমাপের করে গড়ে নিই আমরা, তাই চারপাশে কেউ একটা অসাধ্য-সাধন করে বসলে আমরা তাঁর মতো হওয়ার পরিশ্রম না করে পুজো করতে শুরু করে দিই তাঁকে। শর্টকাট। কিন্তু এই পোস্ট সেজন্য নয়, সেই পুজো-সমালোচনার বাইরে কয়েকটা কথা বলতে ইচ্ছে হল। যাদবপুরে শেষ সেমেস্টারে স্পেশাল পেপার ছিল 'গোয়েন্দা-সাহিত্য'। সেই ক্লাসগুলোয় আমরা কিছু আলোচনা করতাম শম্পাদি-কাফিদার সঙ্গে। সেই সময়ের আলোচনা আর নিজস্ব চিন্তা থেকে তুলে আনা কিছু কথা আজকে প্রাসঙ্গিক হতে পারে।

    আমরা সবাই রাজনৈতিক। আমাদের প্রতিটি আচরণের, প্রতিটি কথার, প্রতিটি চুপ করে থাকার একটা করে রাজনৈতিক অবস্থান আছে। আমাদের সাহিত্যও, রাজনৈতিক উপন্যাস থেকে ননসেন্স ভার্স, সবকিছুরই একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে, সাহিত্যের পাঠকরা সেটা জানি। বাংলা সাহিত্যের সেরা দুই গোয়েন্দা চরিত্রের মধ্যে আমরা যদি রাজনীতি খুঁজতে থাকি, অনেক মণিমুক্তোই বেরোবে, অস্বস্তিও।

    আমার ব্যোমকেশকে ফেলুদার চেয়ে ঢের বেশি ভালো লাগে, তাকে মনে হয় অনেক বেশি পরিণত, শাণিত, মার্জিত। অন্যদিকে ফেলুদা টিন আইডল। টিন-এজ পেরনোর পর তাই বোধহয় ফেলুদা আর পাতে ওঠে না পাঠকের। ব্যোমকেশের কিন্তু এই বয়েসের বাধাটা নেই। সত্যজিৎ যখন ফেলুদা লিখতে শুরু করছেন, তখন বাজার ছেয়ে আছে দেব-সাহিত্য-কুটীর-সিরিজে-স্বপনকুমারে। এই ধরণের বইগুলোয় গোয়েন্দার বুদ্ধিবৃত্তির চেয়ে টিন এজারদের মনোরঞ্জনের উপাদান রাখার গুরুত্বটাই বেশি ছিল। ফলে আজগুবি কাহিনি আর সস্তা চমকে বোঝাই ছিল। সেকালের বাবা-মায়েরা 'ডিটেকটিভ বই' পড়তে দেখলে সেজন্যই চটে যেতেন। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ব্যোমকেশ লেখার সময় এরকম প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছিল। ডিটেকটিভ সাহিত্য সম্পর্কে পাঠকদের নাক সিঁটকানো দেখে তিনি লিখেছিলেন, '... আমাদের দেশে উহার প্রতি সাধারণের এত অশ্রদ্ধা কেন? প্রথম কারণ, যাঁহারা এদেশে সর্বাগ্রে গোয়েন্দা গল্প লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন তাঁহাদের অক্ষমতা। তাঁহারা গোড়াতেই জিনিসটাকে খেলো করিয়া দিয়া গিয়াছেন। ... ডিটেকটিভ গল্প যেন অন্ত্যজের ঘরেই জন্মগ্রহণ করিয়াছে, তাই বর্ণশ্রেষ্ঠদের কাছে হেয় ও অবজ্ঞাত হইয়া রহিল। ইহা ডিটেকটিভ গল্পের দোষ নহে- দোষ তাহার জন্মদাতাদের। দ্বিতীয় কারণ, বিদেশ হইতে তৃতীয় শ্রেণির ডিটেকটিভ গল্পের আমদানী...'

    সত্যজিতের সময়ে এই শ্রেণির সাহিত্য বাজার ছেয়ে ফেলেছে। সেসময় ফেলুদার কৌলীন্য বজায় রাখা হয়েছিল 'দেশ' পত্রিকায় প্রকাশ করে। আজকের দিনে প্রকাশিত হলে আমরা ব্যোমকেশকে 'দেশ'এর পাতায় দেখতে পেতাম, ফেলুদাকে কিন্তু 'আনন্দমেলা'র বাইরে ভাবাই যেত না। এসব কথা থাক, দু'একটা ঘটনা বা পরিস্থিতি উল্লেখ করলে এই লেখকদ্বয়ের জিনিয়াস আন্দাজ করতে পারি আমরা...

    ব্যোমকেশ বল্লভভাই প্যাটেলের অনুরোধে একটি কেস সলভ করতে যায় দিল্লিতে। এই উল্লেখ থেকে শরদিন্দুর রাজনৈতিক অবস্থানটা স্পষ্ট ধরা যায় বটে, কিন্তু আরো মজা আছে 'আদিম রিপু'তে। গল্পটা আমরা পড়েছি, বা না পড়ে থাকলেও অঞ্জন দত্তর ফিল্মটা দেখেছি। যদিও ফিল্মের সময়টা এগিয়ে যাওয়ায় এই সূক্ষ্ম দিকটা মাঠে মারা গেছে।

    'আদিম রিপু'র শেষ দিকটা মনে করা যাক। অনাদি হালদারকে খুন করা সত্ত্বেও ব্যোমকেশ প্রভাত হালদারকে পিতৃপরিচয় জানার শাস্তি দিয়েই ছেড়ে দ্যায়। ছেড়ে দেওয়ার আরেকটা কারণ, সেদিন ভারতের স্বাধীনতা পাওয়ার দিনটা। এই ঘটনা-কাল-রাজনৈতিক পরিস্থিতির পেছনে আরেকটা সূক্ষ্ম দিক আছে। অনাদি হালদার একজন ডাকাত-পিতৃহন্তার পাশাপাশি একজন কালোবাজারিও ছিল। যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের সময় কালোবাজারির মাধ্যমেই সে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিল, তাকে মারার জন্য প্রভাতের কোনো শাস্তিই হল না... পাঠকের মনে আছে, নেহরুর সেই বিখ্যাত লাইন, 'স্বাধীনতার পর প্রত্যেক কালোবাজারিকে ল্যাম্পপোস্টে ফাঁসি দেওয়া হবে!' সেই লাইনটা মনে রেখে আরেকবার 'আদিম রিপু' পড়ে ফেলুন।

    সত্যজিতের প্রথমদিকের উপন্যাসে লালমোহনবাবুর অস্তিত্ব নেই। সোনার কেল্লায় তাঁকে প্রথম দেখি আমরা। তার আগে ফেলুদার কাহিনিগুলো উপভোগ্য হলেও মজার হয়ে ওঠেনি সেরকম। লালমোহনবাবু আসার পর ফেলুদা সিরিজ সব বয়েসের সমস্ত পাঠকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ফিল্ম হওয়ার পর থেকে বাকিটা ইতিহাস। এবার লালমোহনবাবু চরিত্রটাকে যদি আমরা একটু খুঁটিয়ে দেখি, দেখতে পাব, আদ্যন্ত সাধাসিধে, বোকাবোকা প্রশ্ন করেন, ভাবেন কম, অথবা, যেটুকু ভাবেন তা ভুল ভাবেন। অথচ এই চরিত্রটা একজন বেস্টসেলার কিশোর উপন্যাস রচয়িতা, যাঁর নায়ক প্রখর রুদ্র, উপন্যাসগুলোর নাম যতটা না সত্যিকারের, তার চেয়ে ঢের বেশি প্যারডি, যাঁর কাহিনিতে উটেরা পাকস্থলীতে জল নিয়ে মরুভূমি পাড়ি দ্যায়। বুদ্ধিমান ফেলু মিত্তির তাঁকে কথায় কথায় অপদস্থ করেন, তিনি এতটাই সরল (পড়ুন বোকা) যে সেটাও ধরতে পারেন না।

    খুব সূক্ষ্মভাবে এখানে সত্যজিৎ অন্যান্য বেস্টসেলার কিশোর রচয়িতাদের কী ভাবতেন, তার ছায়া পড়ে। ফেলুদা তো সত্যজিতেরই প্রতিভূ। ভাবুন দেখি, যাকে পরাজিত (মগজাস্ত্র ও বাজার, দু'জায়গাতেই) করতে চাইছেন, তাকে নিজেরই সিরিজে একটা কমিক চরিত্র বানিয়ে তাকে ক্ষণে ক্ষণে অপদস্থ করা, পাঠকের কাছে একইসঙ্গে হাস্যাস্পদ আর জনপ্রিয় করে তোলা, পাঠকের মনে এই লেখকদের সম্পর্কে একটা স্থায়ী তাচ্ছিল্যের বীজ পুঁতে দেওয়া- এই সবকটা পাখি একঢিলে মারতে হলে, কীরকম জিনিয়াস হতে হয়। এঁকে বাকিরা প্রণাম করুন গে, আমি বরং বলি, 'আয় তোর মুন্ডুটা দেখি, আয় দেখি “ফুটোস্কোপ” দিয়ে'।

    মগজাস্ত্রকে সেলাম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৩ মে ২০১৬ | ১৯১৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • T | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:০৩54611
  • একক, পাঠক নিশ্চয়ই বলতে পারে যে এই যখন পরিস্থিতি তখন নারী চরিত্র এবং আবর্জনা নেই ক্যানো? কিন্তু সেটা ঔচিত্যের প্রশ্ন হতে পারে না। সেটা খামতির প্রশ্ন হতে পারে। ফিডব্যাক কখনো 'আপনার লেখা উচিত ছিল', এটা হতে পারে না।
  • Ekak | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:০৮54612
  • "ঔচিত্য " আর "খামতি" র তফাত তো ডিপেন্ড করছে "বেসিক মিনিমাম " কে তুমি কিভাবে ডিফাইন করছ তার ওপরে , তাই না ? কাজেই আমরা কিভাবে পারে বা পারে না ঠিক করে দেব ? বেসিক মিনিমাম পাঠকের হাতে ।
  • T | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:১২54613
  • এছাড়া সিরিয়াস সমালোচনার (মানে এই গোল বেলুন ইত্যাদির কথা বলছি না) ক্ষেত্রে পাঠের সাথে পাঠক/পাঠিকার বিযুক্তিকরণ দরকারী বলে মনে করি। যেকারণে রিলেট করার প্রসঙ্গ অন্ততঃ সমালোচনার ক্ষেত্রে থাকা উচিত নয়। রাশিয়ান সাহিত্য আমি কি করে রিলেট করব, ঐরম শীতই তো দেখিনি। তো সেক্ষেত্রে সমালোচনার সময় রিলেট করতে পারছি না অতএব বাজে এতো বিশ্রী ক্যাও।
    ঠিক এরকম ভাবেই মনে করি নারী চরিত্রের না থাকাটা সত্যজিতের খামতি হিসেবে আলোচিত হতে পারে, আমি ইন্সপিরেশন পেলুম না ইত্যাদি ব্যক্তিগত মূল্যায়ণ সরিয়ে রেখে। সাতকোটি সন্তানের ইন্সপিরেশন দেখতে গেলে মানে ইয়ে...মানে সিরিয়াস আলোচনার কথা বলছি আর কি :) না হলে তো সবই বেসিক্যালি আইদার 'আমার' ভালো লেগেচে অথবা লাগেনি।
  • T | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:২৫54614
  • দ্যাখো, প্রথমে পাঠক কে? বটম ডাউনে সবাই পাঠক হলে অ্যাত রকম প্রতিক্রিয়া (এবং সবগুলোই উল্লেখযোগ্য) হবে যে সাহিত্যের মান কখনো নির্দিষ্ট হতে পারে না। প্রেডিকশন অ্যালগোর কথা ভাবো। নেক্সট ডেটাটা প্রেডিক্ট করার সময় তোমার হাতবাক্সে যদি ইনফাইনাই খানা ছোটবড় টেরা বেঁকা কার্ভ থাকে তো কোনটাকে নিয়ে তুমি পরের ডেটাটা প্রেডীক্ট করবে। যেকারণে সাহিত্যের আলোচনার সময় বিযুক্তিকরণটা একটা মাস্ট বলে মনে হয়, এটা অনেকটা ফিল্টারের কাজ করে।
    তুমি এ তফাতটা বেসিক মিনিমাম অ্যাঙ্গেল থেকে দেখছ। আমি বলতে চাইছি সাহিত্যের মূল্যায়ণ করার সময় সেটা করা ভালো ইন্ট্রিন্সিক্যালি। এইটিনথ সেঞ্চুরীর কোনো গল্প লেখার সময় যদি একজন সাধারণ ঘরের নারীকে সাংঘাতিক তেজস্বিনী এবং সমাজ তুচ্ছ করা ব্যাপার স্যাপার দেখানো হয়, তখন এ প্রশ্ন উঠতে পারে যে অ্যাঁ, তখন তো সাধারণতঃ অ্যামন হত না। এক্ষেত্রে পাঠকের এক্সপেক্টশন তো মিলছে না তাই না? তা হলে সেই সাহিত্যের কি হবে।
    দ্যাখো বেসিক্যালি যে কোনো রকম আর্ট ফর্মের তো বিচার হয় না ভালো না খারাপ। পিকাসো বলছেন আফ্রিকার মুখোশও আর্ট। ভালো খারাপ হয় না বড়জোর ক্যাটেগোরাইজেশন হতে পারে। সেই ক্যাটেগোরাইজেশন অ্যাবস্ট্রাক্ট এলিমেন্ট ভিত্তিক হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে হয়। না হলে তো সবই পাঠকের মতামতে পর্যবসিত হয়।
  • Critic | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:২৭54615
  • খামতিই বলা হচ্ছে তো। ভদ্রতাবশে বলায় ওই রকম শোনাচ্ছে।
    যার সারা জীবনের লেখালেখিতে কোনো স্ট্রীম অফ কনসেনশাস নেই, তার লেখা নিয়ে কোনো সিরিয়াস আলোচনা সম্ভব?
  • T | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:৩১54616
  • সারা জীবন ধরে বিবিধ রিয়েলাইজেশনের কনসেনশাস থাকতেই বা হবে কেন? ব্যাপারটা ঋত্বিক বনাম সত্যজিতের দিকে গেলে হাত তুলে দিচ্ছি :)
    লেখা ভিত্তিক সমালোচনার জায়গা তো অবশ্যই থাকে।
  • S | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:৩২54617
  • কোন লেখকের লেখায় আছে?
  • Ekak | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:৩২54618
  • "রাশিয়ান সাহিত্য আমি কি করে রিলেট করব, ঐরম শীতই তো দেখিনি। তো সেক্ষেত্রে সমালোচনার সময় রিলেট করতে পারছি না অতএব বাজে এতো বিশ্রী ক্যাও।"

    হোয়াট মেকস ইউ সো সিওর :) আমি নিজে এই রিলেট করতে না পারলে ক্যাও করব তা নয় , কিন্তু অন্যেরা করলেও কোনো লজিকাল প্রবলেম তো দেখছিনা । এটা সত্যি তো যে আমাদের কল্পনা আসলে প্রত্তক্ষ্য বা পরক্খ্য অভিজ্ঞতাপ্রসূত । কাজেই যা অভিজ্ঞতায় নেই তা কল্পনা দিয়েও ধরা সম্ভব না । এখানে "অভিজ্ঞতা " না ফিসিকাল ফেনোমেনা নয় , লজিকাল ইন্টিগ্রিটি , বুঝতেই পারছো । শীত হয়ত আমি কোনদিন ফীল করিনি , কিন্তু লজিকাল স্ট্রাকচার টা জানি যে শীত হলে জল জমে কাঁচের মত হয় , লোকে লেয়ার দিয়ে পোশাক পরে ইত্যাদি । কাজেই পাঠক সেইভাবেই রিলেট করে নেয় । এইভাবেই পাঠক জুজুবুড়ি -একানড়ে- এল্ফ -গবলিন সবকিছুই রিলেট করে । রিলেট মানে আমার বাড়িতে হয় এমন না । আমার মাথায় হয় এইটা । রিলেট না করলে কোনো লেখাই বিন্দু মাত্র এপ্রিশিএত করা সম্ভব না পাঠকের পক্ষে । কাজেই রিলেট করতে পারা বা না পারাটা একটা সমস্যা , যেটা এড়িয়ে গেলে মনে হয় হবেনা ।

    এবার , কিছু পাঠক রিলেট করা শব্দ টা মুখে বললেও একচুয়ালি যেটা বলতে চান তা হলো উনি যেটা রিলেট করছেন সেটা ওনার পছন্দের স্ট্যান্ড নয় । যেমন কেও বলবে অমুক লেখক বড়লোকের গল্প লেখে , কেও বলবে ঋত্বিক মানে তো খালি উদ্বাস্তু কলোনির ভাট । এগুলো যার যার ব্যক্তিগত রাজনীতি । রিলেট করার সমস্যা না । একচুয়ালি রিলেট করতে গিয়ে অপছন্দের জিনিস পেয়েছে বলে অসন্তুষ্ট । রিলেট করতে পারেনি এমন না । মানে , রিলেট করাটা সর্বদাই জরুরি আরকি ....কোনভাবেই রিলেট না করে আর্ট এপ্রিসিয়েশন করা নেক্সট টু ইম্পসিবল , তাই না :)
  • avi | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:৩৯54511
  • ঝিনুক আনন্দমেলার দু মলাটের মধ্যে পড়লে ভালোই লাগবে। আলাদা বই হিসেবে ভালো লাগবে না, এবং দুবার পড়তে ইচ্ছে হবে না। এখানে সত্যজিতের মহিমা বুঝি। রহস্য বা ডিটেকশন আহামরি না হলেও ফেলুদা একাধিকবার পড়েছি। ভাষা, ইলাস্ট্রেশন, ভ্রমণ সব মিলিয়ে টান তো ছিলই। মেয়ে না থাকার ব্যাপারটা ছোটবেলায় পাত্তা দিই নি। রিলেট করতে কখনো চেষ্টাও করিনি। বৃত্তটা আলাদা ছিল। আর তখন যেসব পড়তাম, মেয়ে আর কোথায়-ই বা ছিল? টম সইয়ার, হাক ফিন, ট্রেজার আইল্যান্ড, ফেলু, টেনি, টিনটিন প্রায় সবই তো নারীবর্জিত। সেইসাথে অনুবাদে রামায়ণ মহাভারত বা ইলিয়াড ওডিসি পড়েছি, সেখানে মনে করানো হচ্ছে মেয়ে থেকেই যত বিপদ। আমি তো ছোটবেলায় এটাই বুঝি নি যে হেলেন যদি প্যারিসের সাথে চলেই যায়, তাতে মেনেলাসের এত চটে যাওয়ার কি আছে। বা পেনেলোপের জন্য এত লোক হত্যে দিয়ে আছে কেন। অ্যাডভেঞ্চারেও মেয়ে থাকলে ঝামেলা; মন্টে ক্রিস্টো বা অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ বা থ্রী মাস্কেটিয়ার্স। একটা পুরনো শুকতারা পরে পড়লাম, তাতে একটা গল্প ছিল, আশাপূর্ণা দেবীর মেয়ে গোয়েন্দার কেরামতি। তখন মাথায় স্ট্রাইক করল, হ্যাঁ, তাই তো, মেয়েরা হবে না কেন। বাড়িতেও তো দেখি বাবাকে টুপি পরানো জলবৎ, মাকে অসম্ভব, গোয়েন্দা হিসেবে মায়েদের স্বাভাবিক ক্ষমতা থাকে, প্রেমিকা বা গিন্নীদেরও অনেকের থাকে, গুণীরা বলেন। :-)
    মিস মার্পল যখন পড়েছি, তখন লেট টিন, মিস মার্পল মানে কিন্তু আমার মাথায় চলে আসেন শুভ মহরতের রাঙাপিসি; দক্ষ সার্জেনের মত ব্লেন্ড করেছিলেন ঋতুপর্ণ, ওনাকে বের করতে পারি নি। তবে মিতিনমাসী বারবার হতাশ করেছেন, ঝিনুক তুলনায় ভালো।
    অফ টপিক, একবার আমি আর জনৈকা বন্ধু কম্পুতে সিনেমা দেখছিলাম, তার মধ্যে 'আশিক বানায়া আপনে' গানটি চিত্রায়িত হল। তনুশ্রী ইমরানের উষ্ণ প্রেমের পর আমার বন্ধুর জিজ্ঞাসা, 'হ্যাঁ রে, এগুলো এরা নিজেরাই করে, না ক্যামেরার কাজ?'
    আমি: 'নিজেরা করতেই পারে তো।'
    সে: 'ইমরানের বৌএর এটা দেখলে হেব্বি জ্বলবে তো।'
    আমি: 'ওহো, গানটায় আমি ইমরানকে ভালো করে দেখিই নি, তার বৌএর কথা ভাবা তো অনেক পরের কথা।' :-)

    হ্যাঁ, গুরুতে একবার রহস্য গল্প লিখে সার্চ করেছিলাম। একাধিক গল্প তখন পড়ি। লেখক আর গোয়েন্দা দুজনের নামই ভুলে গেসলাম। ওই সিরিজে কয়েকটা গল্প বেশ ভালো ছিল।
  • Critic | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:৪৩54619
  • প্রথমদিকের পাতায় লিস্ট আছে। মোস্টলি একক দিয়েছে।
    নিজেই বল, তারাশঙ্কর, মানিক, বিভূতি, এমনকি সতীনাথ, অদ্বৈত -এদের লেখা নিয়ে সাহিত্য আলোচনা কর। একটা মানে দাঁড়ায়। নিদেন প্রেমেন্দ্র। কিন্তু সত্যজিৎ? তাইলে আর পাঁচকড়ি দে শশধর দত্ত কী দোষ করল? হুইলার সাহিত্য নিয়ে শেষে পাতার পর পাতা?
  • S | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:৪৬54620
  • তা এটা কে ঠিক করবে যে কার কার কি নিয়ে আলোচোনা হবে?
  • b | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:৪৮54512
  • ভ্যাল ম্যাক্ডার্মিড (বড্ড দাম)আর পি ডি জেমস পড়তে পারেন। পি ডি জেমস এর সবগুলো ভালো না।
  • T | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:৪৯54621
  • ইয়েস লজিক্যাল ইন্টিগ্রিটি। এবং এই খেলায় বাউন্ডারীর নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ। নিজস্ব রাজনৈতিক ভাবনা সেই বাউন্ডারীর নির্মাণে ছাপ ফেলবে সেটা স্বাভাবিক, কারেক্ট। এই বাউন্ডারীর হিসেবে আবর্জনার কমপ্লিমেন্টারী সেটটা বালিগঞ্জ প্লেস ইত্যাদি।
    কিন্তু সমালোচনা (মানে 'সিরিয়াস সমালোচনার' সময়) করার সময় তুমি কোথা থেকে দেখতে চাইবে। আবর্জনা সেটের বাইরে নাকি কমপ্লিমেন্টারীতে। যেটা থেকে করবে সেই সেটের রাজনৈতিক স্ট্যান্ডটা তোমায় নিতে হবে। ওখানে থেকেই ঔচিত্য কেসটা চলে আসে। ট্যাগিং বা রবীন্দ্রনাথ বুর্জোয়া কবি হন। বেসিক্যালি কেসটা ফাইনালি দাঁড়ায় তুই বেড়াল না মুই বেড়ালে। কেননা দুটো সেটই সত্য।
    আমার মনে হয়, লেখাকে পড়তে গেলে তার রচনার প্রেক্ষাপট বা সময়কাল যেমন মাথায় রাখতে হয় তেমনি দরকার একটা প্রাথমিকভাবে নিজের রাজনৈতিক দর্শন থেকে বিযুক্তিকরণ, একেবারে বিমুক্তি নেক্সট টু ইম্পসিবিলিটি জানি ঃ)। অ্যাপ্রিসিয়েশনের ব্যাপারটা কিছুটা অন্ততঃ অ্যাবস্ট্রাক্ট লেভেলে বা ম্যাথমেটিক্যাল লেভেলে করা যায় বলেই মনে হয়। শাস্ত্রীয় সঙ্গীত যারা পছন্দ করে তারা বলতে পারবে, আমি সেসব জানি না ছাই, না হলে আরেকটু বেটার লিখতে পারতাম। ঈশেনদা বলতে পারবে।
  • Ekak | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:৫৪54622
  • যে প্রফাইল এত জ্বলেছে, রে সাহেব কে সাহিত্যিক নন এনটিটি বলায় , তিনি একটু পেট পরিস্কার করে এলে বুঝতে পারতেন , বর্তমান আলোচনা তে , রে একজন উদাহরণ মাত্র । সাহিত্য সমালোচনায় পাঠকের অংশগ্রহন কিভাবে হয় -হতে পারে এগুলো নিয়েই কথা হচ্ছে ।

    বাই দ্য ওয়ে , উনি সত্যি নীলবসনা সুন্দরী পড়েছেন ? ফট করে পাঁচকড়ি লিখলেন যে বড় ! এক মিনিটের মধ্যে মোবারক সৃজান বিবি বা দেবেন্দ্রবিজয় নিয়ে টীকা লিখুন তো । বেনামে নেম ড্রপ করে পেছনপাকামি দেখলে এবার থেকে পড়া ধরবো :)
  • T | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১১:৫৯54623
  • হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা...
  • S | ***:*** | ০৬ মে ২০১৬ ১২:২০54485
  • বাপরে এতো অনেক লেখা হয়ে গেছে। তাই ভাবি লোকজন ভোটের বাজারে কোথায় পড়ে আছে।

    যাইহোক নায়কে ওটাতো ছবি বিশ্বাসই বটে।

    আর জটায়ু দেখলে মনে হয় রায় বাবু নিজেকেই দুটি চরিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন - উনার স্মার্টনেস, শার্পনেস, পড়াশুনা ইত্যাদি থ্রু ফেলুদা, আর গোয়েন্দা গল্পের লেখক ইত্যাদি থ্রু জটায়ু। সিনেমাতে জটায়ুর প্রতি ফেলুদাকে যতটা রুড লাগে, গল্পগুলো পড়ে অতটা লাগে না।
  • এটা | ***:*** | ০৭ মে ২০১৬ ০১:২০54626
  • একক নিজে লিখেছে? এই পোস্টটা? জাস্ট অবিশ্বাস্য! :)
  • cb | ***:*** | ০৭ মে ২০১৬ ০২:৪৩54627
  • আই থিন্ক মগনলাল হ্যাড আ লেডি সেক্রেটারি ইন কাঠমান্ডু :-)

    তবে রায়বাবু ৫০০ পোস্ট তো করিয়ে নিলেন এই নির্বাচন/সিঙ্গুরের বাজারে ১০ গোল দিয়ে !!!!!
  • S | ***:*** | ০৭ মে ২০১৬ ০২:৪৫54628
  • বোম্বেটে তে একজন সিনেমার নায়িকা ছিলেন না।
  • Critic | ***:*** | ০৭ মে ২০১৬ ১২:০৪54624
  • জ্বলবে কেন। আমিও তো বলছি সাহিত্যিক নন এনটিটি। আরো অনেকেই বলেছেন আগে। এটা একটা নতুন কথা হল?
  • একক | ***:*** | ০৭ মে ২০১৬ ১২:১৭54625
  • টি

    এইটা খুব ক্লাসিকাল অবস্থান তো :) তোমার বক্তব্য আমি বুঝেছি , নিজেও মাথায় রাখি কিন্তু এটা না হলে পাঠক নয় এরকম টা ভাবতে পারিনা । ধর আজ ধ্রুপদ এর ক্ষেত্রে তুমি যেভাবে নিজের পলিটিক্স থেকে বেড়িয়ে উপভোগ করতে পারো , রবিবাবুর গানের ক্ষেত্রে পারো কি ? কথা এসে গেলেই রাজনৈতিক বিযুক্তিকরণ অসম্ভব হয় দাঁড়ায় । তখন আবার কথার শব্দ ছেড়ে , তার দ্যোতনা -ধ্বনি -ভাব এসবের মধ্যে ঢুকতে পারলে আবার নতুন করে বিযুক্তিকরণ পাবে । কিন্তু সেই ফেজ এ গদ্য আর গদ্য থাকবেনা , কবিতা হয়ে যাবে :( গদ্য তায় আবার ফিকশন এর একটা এক্সট্রা লোড আছেই , যারা ফিকশন পড়ে তারাও ওই লোড টা পছন্দ করে বলেই পড়ে। এখানে এবস্ট্রাক্টভাবে ধারণা করা খুবই চাপ । আর পাঠক চাপ নেব্ভেই বা ক্যানো । সে গপ্প শোনার মজা পেতে এসেছে । তুমি একটা বাচ্চাকে গপ্প বলার সময় "একটা বনে একটা বাঘ ছিলো " না বলে " এক শহরের মিউনিসিপ্যালিটির গার্বেজ ডিপার্টমেন্ট এ এক কমিশনার ছিলো " বলে দ্যাখো , বাচ্চা দৌড় দেবে ! এসব এব্স্ত্রাক্ষণ নিয়ে মাথা ঘামে তারাই যারা নিজেরা দুকলম লিখতে চায় বা বেটার লিখতে চায় । আমার মনে হয়না ওটা পাঠকের প্রিরিকুইসিট হিসেবে সেট করা যায় । আমি আগের একটা মন্তব্যে , সত্যজিত এর প্যাকেজিং -গ্রাফিক্স এর দিকে জোর দিতে বলেছিলুম এইটা মাথায় রেখে যে এখানে অনেক লেখক আছেন যাঁরা নিজে লেখেন রেগুলারলি । নইলে পাঠকের ভীড়ে ওরকম বলার ও কথা নয় । তো দেখলুম লেখক রা কেও "শুধুমাত্র পাঠক" সত্বা থেকে বেরোতে রাজি নন । ইন দ্যাট কেস ওনাদের রিলেট করার আবদার শুনতেই হবে এই আর কি :)
  • Rit | ***:*** | ০৯ মে ২০১৬ ০৬:৪৯54629
  • সত্যজিত খুব মন দিয়ে টিনটিন পড়তেন। মগনলালের ডেরায় নাইফ থ্রোয়িং টা পুরো মমির অভিশাপ থেকে তুলে নেওয়া।
  • avi | ***:*** | ০৯ মে ২০১৬ ০৭:০২54630
  • সত্যজিৎ ওটা মাঝে মাঝেই লেখার মাঝে ট্রিবিউট হিসেবে দিতেন তো। তপেশ তো তিব্বতে টিনটিন ইত্যাদি পড়ত, ইংরেজি অনুবাদে, তারপর বলত, টুনটুনির বই নয়, টিনটিনের বই। শঙ্কুর লেখাতেও টিনটিনের ছোঁয়া এন্তার মেলে। একশৃঙ্গ অভিযান আর টিনটিন ইন টিবেট তো অনেক মিল দেখায়।
    টিনটিনের কোন একটা গল্পে ছিল যেন ভারতে একটা গরুর সাথে স্নোয়ির আলাপচারিতা। তাতে গরুটাকে "এক্সকিউজ মী ম্যাডাম' বলে ডাকায় গরুটা খুব রেগে বলেছিল, 'জানিস না, আমি পবিত্র গোমাতা?'
  • Atoz | ***:*** | ০৯ মে ২০১৬ ০৭:৪৪54631
  • এক্ষুনি অভ্যু এসে ছবি দিয়ে দেবে । ঃ-)
  • Atoz | ***:*** | ০৯ মে ২০১৬ ০৮:১৯54632
  • কুট্টুস নামটা স্নোয়ির তুলনায় অনেক ভালো লাগতো।
  • Rit | ***:*** | ১০ মে ২০১৬ ০২:৫৪54633
  • হার্জের তো লামা নিয়েও অবসেশন ছিল। সে তিব্বতের ভাসমান লামাই হোক আর পেরুর জল ছেটানো লামা।
    আর গাইপাজামা নাম টা শুনে হেব্বি লেগেছিল।
  • Rit | ***:*** | ১০ মে ২০১৬ ০৩:০১54634
  • কুট্টুস নামটা তো নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর দেওয়া।
    আর ভালো নাম হল রনসন আর জনসন।
    এখানে একটা ছোট্ট নিজের গল্প। আমি একবার দোহাতে দুই জমজ প্রফেসর ভাই এর গেস্ট হিসেবে ছিলাম। তাদের নাম হাজেম আর মোহাম্মদ। গেটাপ, গোঁফ সব পুরো রনসন আর জনসন এর মত।
  • Bhagidaar | ***:*** | ১০ মে ২০১৬ ০৩:১৭54635
  • জনসন রনসন নাম ভালই, কিন্তু ঐ যে থমসন/থম্পসন-এর পি আচে না নেই সেই সন্ক্রান্ত মজাগুলো মিস হয়ে যায়।
  • ranjan roy | ***:*** | ১০ মে ২০১৬ ০৫:১৩54636
  • "কিন্তু সমালোচনা (মানে 'সিরিয়াস সমালোচনার' সময়) করার সময় তুমি কোথা থেকে দেখতে চাইবে। আবর্জনা সেটের বাইরে নাকি কমপ্লিমেন্টারীতে। যেটা থেকে করবে সেই সেটের রাজনৈতিক স্ট্যান্ডটা তোমায় নিতে হবে। ওখানে থেকেই ঔচিত্য কেসটা চলে আসে। ট্যাগিং বা রবীন্দ্রনাথ বুর্জোয়া কবি হন। বেসিক্যালি কেসটা ফাইনালি দাঁড়ায় তুই বেড়াল না মুই বেড়ালে। কেননা দুটো সেটই সত্য।"
    == T এর এই অবসার্ভেশন মনে দাগ কাটলো।

    @ একক,
    দেবেন্দ্রবিজয়ঃ
    " দেবেন্দ্রবিজয় করিলেন কী? পলায়ন? অসম্ভব। তাহা ওনার কোষ্ঠীতে লেখে নাই"।
    দেবেন্দ্র দুই পা পিছাইয়া গিয়া লাফাইয়া জুজুৎসুর কৌশলে মোবারকের ( নাকি কবিরাজের) হস্তে সবেগে পদাঘাত করিলেন। হাত হইতে গুপ্তি খসিয়া পড়িল।

    সৃজান বিবিঃ
    সৃজান বিবির চক্ষে এক অপূর্ব দীপ্তি দেখা গেল। সহসা উনি তাহার কোমর জড়াইয়া ধরিয়া বোরখার অন্দরে লুক্কায়িত ছুরিকা বক্ষে আমূল প্রোথিত করিলেন। বলিলেন--তোমার উপযুক্ত পুরষ্কার দিলাম"।

    টীকাঃ পরের পাতায় একটা শস্তা উডকাট গোছের ছবি আছে। সেখানে বিবি যেমন অ্যাঙ্গেলে শত্রুর কোমর জড়িয়ে ধরে বুকে ছুরিকা আমূল বিদ্ধ করেছেন, তাতে ওঁর হাতগুলো অক্টোপাসের শুঁড়ের মত হওয়া উচিত।

    একক কহ, পাস করিয়াছি ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন