এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • কয়েদ ই আজম...

    রাণা আলম লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ মে ২০১৮ | ১১০৭ বার পঠিত
  • আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটি ঘরে পাকিস্তান রা‎ষ্ট্রটির প্রাণপুরুষ ‘কয়েদ ই আজম’, মুহাম্মদ আলি জিন্না’র একটি ছবি টাঙানো আছে। যেটি নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে। দেশভাগের জন্যে যাকে প্রধান দোষী ধরা হয় তার ছবি কেন আমাদের দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে, তর্কটা তাই নিয়ে। এখন মুহাম্মদ আলি জিন্না মোহনবাগানের সমর্থক ছিলেন না, তিনি ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে চেল্লান নি, এমনকি লাহোরের বিরিয়ানি অব্দি আমাকে-আপনাকে অফার করেন নি, সুতরাং, তাকে নিয়ে মাথা ঘামাবার কারণ দেখছিনা।

    কিন্তু ধর্ম যেখানে এই উপমহাদেশে রাজনীতির অন্যতম প্রধান উপাদান হয়ে আছে সেই কোনকাল থেকে, সেখানে তো জিন্না আসবেনই আলোচনায়।ধর্মের মাধ্যমে দেশ আর মানুষ বিভাজনের খেলায় যারা তার উত্তরাধিকারী তাদের প্রয়োজনেই তার আবির্ভাব,সেটা বোঝার জন্য একেনবাবু হবার দরকার নেই আশা করি।

    জিন্না মুসলিমদের জন্যে আলাদা রাষ্ট্রের দাবী করেছিলেন।এবং সেই দাবী ছিল ইসলাম ধর্ম-ভিত্তিক ব্যক্তি পরিচয়ের উপর স্থাপিত। যদিও, ১৯৪৭ এর পর যারা ভারত থেকে পাকিস্তানে গেছিলেন,তাদের অনেকেই সেদেশে এখনও ‘মুহাজির’ নামে পরিচিত।‘প্রতিশ্রুত ভূমি’তে নাগরিকত্ব, মৌলিক অধিকার ইত্যাদি অনেক বিষয় নিয়েই এদের লড়তে হয়েছে।২০১৭ তে ইউনাইটেড নেশনস-এর সদর দপ্তরে মুহাজিরদের সংগঠন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। পাকিস্তানে মুহাজির কম্যুনিটির অসংখ্য মানুষকে সামরিক বাহিনী দ্বারা হত্যা এবং বিনা বিচারে বন্দী করে রাখার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ।প্রসঙ্গত নিদা সাত্তারের এই নিয়ে একটা পেপার আছে ‘দ্য রিজেক্টেড বিহারিজ’ নামে। অতএব ধর্মের নামে যে দেশের জন্ম সেখানে ধর্মের টানে গিয়ে মুহাজির রা কিরকম স্বর্গ পেয়েছিল তা বোঝাই যায়।মুহাজিরদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করলাম এই জন্যে যে একটি অতিপ্রচলিত তর্ক আছে, জিন্না’র ইসলামপ্রীতি আদতে তার রাজনৈতিক উচ্চাশার অস্ত্র ছিল মাত্র।ইসলাম ধর্মকে তিনি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন।এটার সমর্থনে বলা হয় ব্যক্তি জীবনে মুহাম্মদ আলি জিন্না ধর্মের ধার ধারতেন না। Nisid Hajari এর বই “Midnight’s Furies” নিয়ে লিখতে গিয়ে উইলিয়াম ডালরিম্পল বলেছেন যে জিন্না সেকুলার ছিলেন, হুইস্কি খেতেন,কদাচিৎ মসজিদে যেতেন, পোশাকে ছিলেন অত্যন্ত স্টাইলিস্ট, বিয়ে করেছিলেন একজন পার্সী মহিলাকে যিনি ভোটের দিন তাকে হ্যাম স্যান্ডুইচ এনে দিয়েছিলেন(“A staunch secularist, he drank whiskey, rarely went to a mosque, and was clean-shaven and stylish, favoring beautifully cut Savile Row suits and silk ties. Significantly, he chose to marry a non-Muslim woman, the glamorous daughter of a Parsi businessman. She was famous for her revealing saris and for once bringing her husband ham sandwiches on voting day.”)।

    এদিক দিয়ে দেখলে বিজেপি’র প্রয়োজনে জিন্না’র করাচির ‘মাজার এ কয়েদ’ থেকে উঠে আসাটা অপ্রাসঙ্গিক নয়। জিন্নার মতই এই দলটিও নিজেদের রাজনৈতিক উচ্চাশার অস্ত্র হিসেবে ধর্ম এবং ধর্মীয় বিভাজনকে ব্যবহার করে এসেছে।যেকারণে মুখে হাজারো উন্নয়নের দাবী করে থাকলেও এদের ভোটের আগে নিয়ম করে রাম মন্দির ইস্যুর জাগরণ আর পেইড আইটি সেল দিয়ে সোসাল সাইটে ভুয়ো খবর আর ভিডিও দিয়ে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে হয়।

    আরেকটি আগ্রহের জায়গা হল জিন্নার বংশ পরিচয়।পাকিস্তান ক্রিশ্চিয়ান কংগ্রেস এর প্রেসিডেন্ট নাজির ভাট্টি দাবী করেন যে পাকিস্তানী ঐতিহাসিকরা কয়েদ ই আজমের বংশ পরিচয় নিয়ে সত্য বলেন না।তাদের মতে জিন্নারা হিন্দু থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।

    প্রেমজিভাই মেঘজি ঠাক্কর,মুহাম্মদ আলি জিন্নার ঠাকুর্দা গুজরাতে ভিরাভালে মাছের ব্যবসা করতেন।স্থানীয় নিরামিষাশী লোহানা সম্প্রদায় তার বিরোধিতা করে। প্রেমজিভাই নিজেও লোহানা সম্প্রদায়ের হিন্দু ছিলেন।প্রেমজিভাই ঠাক্কর মাছ ধরার ব্যবসাতে যথেষ্ট অর্থ উপার্জন করেছিলেন।তিনি ব্যবসা ছেড়ে দিলেও লোহানা সম্প্রদায় তাকে ফিরিয়ে নেয়নি।প্রেমজিভাই ঠাক্করের ছেলে, পুনজাভাই ঠাক্কর বিরক্ত হয়ে গোটা পরিবারসমেত ইসলামে ধর্মান্তরিত হোন।মুহাম্মদ আলি জিন্না এই পুনজাভাই ঠাক্করের সন্তান।এবং ধরা হয় যে ধর্মান্তরিত হবার সময় জিন্না কিশোর বয়সে পৌঁছে গেছিলেন।

    অন্যমতও আছে।সেটাও বলে নেওয়া উচিত।আকবর এস আহমেদ, তার বই, ‘JINNAH, PAKISTAN AND ISLAMIC IDENTITY: The Search for Saladin’ তে বলছেন যে জিন্না আদতে ইরানী বংশোদ্ভূত।তার মতে জিন্নার বংশে শিয়া,সুন্নী এবং ইসমাইলি প্রভাব ছিল।যদিও Valji, Manbai এবং Nathoo, এই জাতীয় ‘হিন্দু নাম’ কেন জিন্নার বংশে ছিল তা নিয়ে তার ব্যখ্যা খুব স্পষ্ট নয়।আকবর এস আহমেদ একটি অন্য সোর্স উল্লেখ করে জানাচ্ছেন যে কারও মতে জিন্নারা ছিলেন সাহিওয়ালের রাজপুত যারা ইসমাইলি বংশে বিবাহসূত্রে ইসলামে কনভার্টেড হয়েছিলেন।

    আরেকটু রেফারেন্সের খোঁজে পাকিস্তানের সরকারী আর্কাইভে জিন্নার বাবার নাম পাচ্ছি জিন্নাভাই পুনজা।মায়ের নাম মিঠিবাঈ।মিঠিবাঈ মুসলিম নাম বলে মনে হয়না।ঠাকুর্দার নাম পাইনি।আবার পাকিস্তানের প্রামাণ্য যে নিউজ পেপারগুলো আছে তারা কয়েদ ই আজমের বংশ পরিচয় সংক্রান্ত বিতর্ক থেকে শতহস্ত দূরে।স্ক্রল এ প্রকাশিত একটা রিপোর্ট থেকে জানতে পারছি পাকিস্তানে জুলফিকার আলি ভুট্টো কয়েদ ই আজমের জন্ম সংক্রান্ত বিতর্কের অবসানের জন্যে স্কুলের তথ্যাদি যোগাড়ের উদ্দেশ্যে একটা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি করেন।তারা কিছু পান নি। প্রেসিডেন্ট আয়ূবের সময় হায়দ্রাবাদের কমিশনার মাসরুর আহসান সে তথ্য লোপাট করেন বলে অভিযোগ।কি উদ্দেশ্যে সেটা জানা যায়নি।

    আরেকটা কথা, মুহাম্মদ আলি জিন্নার ভূত যাদের মাথায় চেপেছে তাদের গুরুঠাকুর, নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ তে জগদীশভাই ঠাক্কর কে প্রাইম মিনিস্টার’স অফিসের পাবলিক রিলেশন অফিসার করেছিলেন।এই জগদীশভাই ঠাক্করও গুজরাতের লোহানা সম্প্রদায়ের মানুষ যেখান থেকে জিন্নার বংশের শুরু বলে মনে করা হয়।

    এতটা অব্দি ইনফো নিয়ে কচকচানির পর একটু ফ্রিহ্যান্ড নিচ্ছি সার।কল্পনা কে একটা লাইন উড়ান দিই।যে লোকটা আজীবন ধর্মের ধার ধারেন নি, তার কি শুধু রাজনৈতিক উচ্চাশার জন্যেই ধর্ম-ভিত্তিক রাজনীতির খেলায় নামতে হয়েছিল নাকি পারিবারিক তিক্ত অভিজ্ঞতা তাকে প্রাক স্বাধীনতা পর্বের ‘কালাপাহাড়’ হতে সাহায্য করেছিল?

    ইতিহাসের ছাত্র নই।নেহাতই পড়তে পড়তে মনে হয়েছিল বলেই প্রশ্নটা রাখা। অর্বাচীনের চিন্তা ভেবে উড়িয়ে দিলে খুশি হবো।

    শুধু ভাবছি, দেশভাগের জন্যে দায়ী মুহাম্মদ আলি জিন্নার ছবি সরাবার দাবী যারা তুলছেন তারা ব্রিটিশদের কাছে নিজেকে বিকিয়ে দেওয়া ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কলংক সাভারকরের নাম সরাবার দাবী কবে তুলবেন? নাকি,জিন্নার বিষাক্ত রাজনীতির শর্ত মেনেই তারাও বিভাজনের আগুন লাগিয়ে যাবেন যদ্দিন না দেশটা পুড়ে শেষ হয়?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ মে ২০১৮ | ১১০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ০৭ মে ২০১৮ ০১:৪৩62774
  • দেশটাকে পুড়িয়ে ঝুড়িয়ে একটা স্পংকীর্ণ ঘেটো বানানোই তো লক্ষ
  • dd | ***:*** | ০৭ মে ২০১৮ ০৪:৪৬62775
  • বৃটীশের সমর্থনে শুধু একলা সাভারকরই বা কেনো? আম্বেদকর কেনো বাদ যান? ডাংগের কথা নাহয় ছেড়েই দিলাম - ওনার ছবি কোথাওই বোধ হয় নেই।

    যাস্ট মনে পড়লো - পাকিস্তান সফরে গিয়ে আদবানিও জিন্নাকে সেকুলার বলে সুখ্যাত করেছিলেন। ফলে নিজের দলেই বেদম হ্যাঁটা খান।

    রাণার এই লেখাটাও ভালো লাগলো।
  • PT | ***:*** | ০৮ মে ২০১৮ ০২:৫২62776
  • জিন্না উবাচ (অগাস্ট ১১, ১৯৪৭)ঃ
    "You may belong to any religion or caste or creed -- that has nothing to do with the business of the State."
    কি চেয়েছি আর কি যে পেলাম........
  • Du | ***:*** | ০৮ মে ২০১৮ ০৩:২৫62777
  • founding member ছিলেন তো। আর কোন কারনের দরকারই বা কি?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন